নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
বাংলাদেশের গত কয়েকদিনের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন এবং গতকালের টেলিফোন আলাপের পর নির্বাচনের যে সম্ভাবনাটুকু ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে। বর্তমান অবস্হা অনুসারে চলতে থাকলে সম্ভবত ২০১৫ সালের আগে দেশে কোন নির্বাচন হবেনা। বর্তমানে যারা রাজনৈতিক কর্মী, সবাই কিছুটা দ্বিধা দ্বন্ধে আছেন - কি আওয়ামীলীগ কি বিএনপি। তারা ভাবছেন - নেত্রী কি ভূল করলেন টিলিফোন করে, বা নেত্রী কি দাওয়াত কবুল এবং হরতাল চালিয়ে গিয়ে কি ভূল করলেন? কি হবে বা কি হতে পারে সামনে? আসুন আজ আমরা বিষয়টি একটু বিশ্লেষণ করি।
সবাই যা জানেন - বাংলাদেশের রাজনীতি কঠিন কাল পার করছে। কিন্তু কতটা কঠিন? আমি হতাশাবাদী নই, তবে আবারও বলছি রাজনীতির নাটাই এখন আর দুই দলের হাতে নেই। আর সামনে যে ফলাফল আসছে তা অধিকাংশের কল্পনারও বাহিরে। আসুন প্রথমে ফোনালাপের রাজনীতি নিয়ে কথা বলি।
এক সপ্তাহ আগ থেকে ঘোষণা দিয়ে আলটিমেটামের শেষ মিনিটে টেলিফোন - কেন এই সময় নেয়া? এর একটাই কারণ সমাযোতার মুলো ঝুলিয়ে বিএনপিকে আন্দোলনের মাঠ থেকে সরিয়ে নেয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিা তাঁর সরকারের শেষ সপ্তাহটিতে খুবই ভাল খেলেছেন - ভাল বলছি এই কারণে যে বিএনপি ছিল কিছুটা দিশেহারা, এমনকি কি করবে শেষ মুহুর্তেও বুঝতে পারছিলনা। ফোনলাপের এটা যে নিছক রাজনীতি তা বিএনপি ভাল করে বুঝলেও কিভাবে সামাল দিবে তা বুঝে উঠতে পারছিলনা। আওয়ামীলীগ প্রধান খুব হিসেব নিকেশ করেই শেষ মুহুর্তে এই ফোনটি করেন যাতে খালেদা জিয়া কোন অবস্হাতেই আলোচানার টেবিলে বসার মত অবস্হায় না থাকেন। বাস্তবেও ঘটেছেও তাই।
খালেদা জিয়াকে এখন নতুন চ্যালেন্জের মুখে পড়তে হবে। যা খালেদা বা তার নেতারা কেউই অনুমান করতে পারেনি। বিএনপি বলে আসছিল ২৭ তারিখের পর এই সরকার অবৈধ। এখন এই অবৈধ সরকারের সাথে সরকার প্রধানের সরাকরী বাসভবনে আলোচনায় বসতে রাজী হওয়া এক ধরনের রাজনৈতিক পরাজয়। টেলিফোন আলোচানায় যদি খালেদা বিষয়টি আনতেন তাহলে তিনি যতটুকু সুবিধা পেতেন, এখন সে সুযোগ হারালেন। সংবিধান অনুসারে আজ থেকে নির্বাচনকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। এবং এই সরকারের প্রধান হচ্ছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু এখনও বিএনপির অবস্হা না ঘরকা না ঘাটকা।
তবে খালেদ জিয়া হরতাল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে সরকারকে চাপে রাখার যে কৌশল নিয়েছেন তা আরও স্পষ্ট হওয়ার দরকার ছিল। অস্পষ্ট অবস্হান নিয়ে বা গোজামিল দিয়ে বিএনপি কখনই তাদের দাবী আদায় করতে পারবেনা। এ ক্ষেত্রে বলেতে চাই আওয়ামীলীগ বিএনপির জন্য যে ফাঁদ পেতেছিল তাতে তারা কিছুটা হলেও সফল।
তবে বিএনপি জোট হরতাল প্রত্যাহার করলে আওয়ামীলীগের সফলতার ষোলকলা পূর্ণ হতো। হরতাল প্রত্যাহার না করে বিএনপি তার রাজনৈতিক কৌশলের রাস্তা কিছুটা হলেও খোলা রাখতে পেরেছে।
শুরুতেই বলেছি ২০১৫ সালের আগে নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই। এই কথাটি বলার জন্যে খুব বেশি রাজনৈতিক বিশ্লেষক হওয়ার প্রয়োজন নেই। রাজনীতির নাটাই যেহেতু নেত্রীদ্বয়ের হাতে নেই, তাই এর সমাধানও তাদের হাতে এখন আর নেই। এই নাটাই ছুটে গেছে আরও ২ বছর আগে।
ড্যান মজিনার ভারত সফর ব্যার্থ হওয়া এবং তার চীন সফরের আগ্রহ অবশ্যই নতুন রাজনীতির ইংগিত। তার এই সফর যে ব্যার্থ হবে তা আগেই অনুমান করা গিয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের কারণে ভারত - আমেরিকার সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। যেহেতু মজিনা ভারতে ব্যার্থ হয়েছেন তাই আমরা অনুমান করতে পারি একটি রক্তাত্ব ঘটনাই আমাদের এই সমস্যার সমাধান করবে। আর সেই রক্তাত্ব ঘটনায় সম্ভবত কিছু শীর্ষ নেতৃত্বের প্রাণহানির মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন যাত্রা শুরু হতে পারে। আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনা বুঝতে পারছেন না তিনি কিসের উপর দাড়িয়ে আছেন, যখন বুঝতে পারবেন (সম্ভবতঃ খুব সহসাই বুঝবেন) তখন তার কিছুই করার থাকবেনা, যেমন ছিলনা বংগবন্ধুর।
বাংলাদেশের রাজনীতি বাংলাদেশেই ফিরে আসুক এই প্রত্যাশায় ...।
এ বিষয়ের আগের লিখা: Click This Link
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:০২
সরলপাঠ বলেছেন: আপনার লিংকের লিখাটি পড়লাম - এই ব্লগের একটি বিষয়ের সাথে আমি একমত - মনমোহনের সাবডিউড ট্টিটমেন্ট। কিন্তু তা চীনের মোকাবিলায় ভারতের সাথে দূর্বল সম্পর্কের উপস্হাপনা নির্দেশ করেনা। বরং এ হচ্ছে মনমোহন সরকারের দূর্বল বিদেশ নীতির পরিচয়। যেই দূর্বল ব্যবস্হাপনার কারণেই বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক একপক্ষীয়। মনমোহন তার সরকার পরিচালনায় লেজেগোবরে অবস্হায় আছে - এখানে আমেরিকা মনমোহন সরকার এবং ভবিষ্যত ভারত সরকারকে ভিন্ন ভাবে ভিবেচনা করছে, তা বুঝতে হবে।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:১৮
কষ্টবিলাসী বলেছেন: যেহেতু মজিনা ভারতে ব্যার্থ হয়েছেন তাই আমরা অনুমান করতে পারি একটি রক্তাত্ব ঘটনাই আমাদের এই সমস্যার সমাধান করবে। আর সেই রক্তাত্ব ঘটনায় সম্ভবত কিছু শীর্ষ নেতৃত্বের প্রাণহানির মাধ্যমে বাংলাদেশের নতুন যাত্রা শুরু হতে পারে। আওয়ামীলীগ প্রধান শেখ হাসিনা বুঝতে পারছেন না তিনি কিসের উপর দাড়িয়ে আছেন, যখন বুঝতে পারবেন (সম্ভবতঃ খুব সহসাই বুঝবেন) তখন তার কিছুই করার থাকবেনা, যেমন ছিলনা বংগবন্ধুর।
বাংলাদেশের রাজনীতি বাংলাদেশেই ফিরে আসুক এই প্রত্যাশায় ...।
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২১
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ। সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় আসুন আমাদের ভাবনাগুলো ছড়িয়ে দেই।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: ভাল লিখেছেন । আমি এখনও অপেক্ষার পক্ষে । এমন এক সময় কেউ বলতে পারবে না কি ঘটবে ।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
সরলপাঠ বলেছেন: ভবিষ্যত সম্পর্কে মহান আল্লাহই ভাল জানেন। তবে আমার এই অনুমান শুধুমাত্র কয়েকটি সম্ভাব্য বিকল্পের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময়, আমার মতে, একটি বিকল্প।
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: ভাল কিছুর আশা করছি... খারাপ কিছু হওয়া মানে ভবিষ্যতে খারাপ কিছুর পথ নিশ্চিত করা
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
সরলপাঠ বলেছেন: সে ভালো যে সহজে আসবেনা..................।
আল্লাহ আমাদের জন্যে সব কিছু সহজ করে দিন।
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:১৮
ভারসাম্য বলেছেন: কে যে কোনদিকে পাদিলো! আওয়াজ আসল একদিক থেইকা, গন্ধ বাইর হয় আরেকদিক থেইকা!!
এই লেখা পইড়া আরো কনফিউজড। ২০১৫ এর আগে অনেক দেরী। কবে নাগাদ জরুরী অবস্থা শুরু হইতে পারে?
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৪০
সরলপাঠ বলেছেন: সাসপেনস তৈরি করা আমাদের রাজনীতিবিদদের জন্যে একধরনের খেলা। আপনি সিনেমার সিক্যুয়েন্স সহজে বলতে পারবেন, কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতির সিকুয়েন্স অত সহজে ধরা দেয়না, কারণ রাজনীতিবিদদের সাসপেন্স প্রীতি।
নির্বাচন ২০১৩/২০১৪/২০১৫/২০১৬ কোন সালে হবে তা এই মুহুর্তে অনেকটাই নির্ভর করছে বিএনপির রাজনৈতিক শক্তি এবং কৌশলের উপর।
আওয়ামীলীগ তার রাজনীতির জাল অনেকটাই বিছিয়ে দিয়েছে, এখন দেখার বিষয় বিএনপির কৌশল আওয়ামীলীগের কার্ডের বিপরীতে কতটুকু কার্যকর।
কৌশলের ক্ষেত্রে এখানে দেশ মূখ্য নয়, বরং ব্যক্তিগত বিষয় গুলোই প্রধান।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৫০
জগ বলেছেন: কিন্তু বাংলাদেশের কারণে ভারত - আমেরিকার সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে এটা ভাবার কোনও কারণ নেই।
লেখকের জন্য একটা খারাপ খবর: ভারত - আমেরিকা সম্পর্কের হানিমুন অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।
Click This Link