নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
আজকের লিখার প্রধান বিষয় হচ্ছে কি হতে পারে আগামী ৬ মাসের রাজনীতিতে। গত ৪ঠা ডিসেম্বর রাজনৈতিক বিষয়ে 'পুরোনো পথেই সমাধান আসছে' শিরোনামে একটি পূর্বাভাষ মুলক ব্লগ লিখেছিলাম যা সত্যি বলে প্রমানিত হয়েছে। ব্লগটি এখানে পড়ুনঃ Click This Link
এই ব্লগটি যখন লিখা হয় তখনো বিএনপির উপদেষ্টা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের মধ্যে এই বিশ্বাস ছিল জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে সমাধান আসবে। তাই সবাই তারাণকো মিশনের দিকে অধির আগ্রহে তাকিয়ে ছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং বাংলাদেশের রাজনীতির ক্যামেষ্ট্রি যতটুকু বুঝি তাতেই এই ব্লগ লিখেছিলাম। বিএনপি গোত্রিয় লোকজন পলিট্রিক্সকে একটি বহুমুখী কৌশল মনে না করে তারা মনোট্রিক্স বা একমুখী কৌশলে সীমাবদ্ধ ছিলেন। ফলাফল যা হবার তাই হয়েছে। আমার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে বিএনপির এই সীমাবদ্ধতাটুকুও বিবেচনায় নিয়েছিলাম।
আজকের লিখার মূল বিষয় ভবিষ্যত সম্পর্কে কিছু পূর্বাভাষ করা যাতে রাজনীতি নিয়ে যারা নাড়াচড়া করেন তারা এতে কিছুটা হলেও চিন্তার খোরাক পান।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জোটবদ্ধ রাজনীতির সূচনা রাজনীতির ফলাফলের পূর্বাভাসকে সহজ করে দিয়েছে। এই সহজ সমীকরণই বিগত সময়ের রাজনীতির কৌশল গুলোকে জটিল লাইনের উপর দাড় করিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে এখনো ধর্ম একটি আবেগের বিষয় (ঢাকা শহর ব্যাতিত)।
সরকার দলীয় লোকজন যদিও ইদানিং কালে সমাঝোতার শর্ত হিসাবে জামাত ফ্যক্টরকে সামনে নিয়ে আসছে, এই বিষয়টি তাদের সুকৌশল রাজনীতির দূর্বলতাকেই তুলে ধরেছে। এতোদিন পর্যন্ত তারা জামাতকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে তুলেধরার চেষ্টা করলেও সংলাপের শর্ত হিসাবে বিএনপিকে জামাত ছাড়ার শর্তারোপ করা জোটিয় রাজনীতির পাল্লা ভারীর হিসাবেই দেখা হচ্ছে। তদুপরি বিগত সময়ে যারা জামাত বিরোধী আন্দোলনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তাদেরকেই আবার সরকারী দলের সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী হতে দেখে অনেকেরই মোহ ভংগ হচ্ছে।
আসলে ইকুয়েশনটা খুবই সহজ, ১৮ দলীয় জোট একসাথে থাকলে ১৪ দলীয় জোটের পক্ষে কোন অবস্হাতেই সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব হবেনা, তাই জামাতকে আলাদা করার দাবী। রাজনীতিতে আওয়ামীলীগ এখানেই এক বড় ভুল চাল দিয়েছে। ১৮ দলকে দূর্বল করার কৌশল হিসাবে নামে মাত্র যুদ্ধাপরাধের বিচার করার যে নীতি আওয়ামীলীগ নিয়েছিল তা কাংখিত ফল না দিয়ে বরং উল্টো ফল দিতে শুরু করায় রাজনীতি কিছুটা বেসামাল। জামাতকে বিএনপি থেকে বিচ্ছিন্ন করার দাবী বা প্রচেষ্টাও আবারও ভুল বার্তাই দিবে জনগণকে। ফলে রাজনৈতিক সমাধানের পথ আওয়ামীলিগ না জেনেই নিজের জন্য কঠিন করে ফেলছে। আওয়ামীলিগ মনে করছেন বিএনপির জন্য জোট ভাংগা সহজ হবেনা। বাস্তব অবস্হা হচ্ছে ১৮ দলীয় জোটে সম্ভবত খুব সহসাই নতুন মেরুকরণ দেখতে পাবেন। এবং সরকার সম্ভবত আরও একটি রাজনৈতিক ধাক্কা খেতে যাচ্ছেন।
আওয়ামীলীগের উচিত হবে মূলত আগামী এক বছরের মধ্যে ইলেকশন দিয়ে দেয়া। সরকারের নীতি নির্ধারকেরা আশা করছেন তারা ইলেকশন করার জন্য তিন বছর সময় পাবেন- আসলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ইলেকশনের ঘোষণা না আসলে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন অবরোধের সম্মূখীন হবেন, তবে তারা কম পক্ষে ৬ মাস সময় পাবেন।
সরকারের জন্য পরামর্শঃ ১) জামাত ইস্যুতে সরাসরি রাজনৈতিক বক্তব্য থেকে সরে এসে দৃশ্যমান আইনি মোকাবিলায় যান। ২) যৌথ বাহিনীর অভিযানের নামে নিরীহ গ্রামের মানুষ, যারা জামাতের রাজনীতির সাথে জড়িত তাদের, হত্যা বন্ধ করে জামতকে আস্হায় নিয়ে আসুন। ৩) জামাতের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়ে জামাত বিএনপির জোটকে দূর্বল করুন। বিগত দিনে নিশ্চয়ই বুঝা গেছে চাপের মুখে জামাত আরও বেশী বিএনপি মূখী হয় এবং জনগণের কাছে যাওয়ার সুযোগ পায়।
৪) জনগণের মধ্যে এই ধারণা জন্ম নিয়েছে আওয়ামীলীগ ভারত নির্ভর দল। বাংলাদেশের মানুষ আধিপত্যবাদ বিরোধী। তারা যেমন পাকিদের আধিপত্যকে মেনে নেয়নি, তমনি বর্তমান ভারতের চলমান এই আধিপত্যবাদকেও মেনে নিচ্ছেনা। সহজে বিকানো কবি, সাহিত্যিক, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, আর সাংবাদিকদেরকে এক বিকেলে নাস্তা করালেই তারা বিক্রি হয়ে যেতে পারে কিন্তু তাদের কথায় গ্রামের মানুষের মধ্যে সমর্থন বাড়বেনা। যা বাড়বে সুশাষণে আর আধিপত্যবাদ বিরোধী ভূমিকায়। ৬) সরকারকে আবারও বলছি ৩ বছর নয়, আপনারা সময় পাবেন সর্বোচ্ছ এক বছর। ৭) গণজাগরণ মন্চের অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা ঢাকায় সীমিত রাখুন, এটা এখন শুধু রাজনৈতিক অপচয়। ৮) বিএনপি নেত্রীর অহিংস রাজনীতির সুযোগ গ্রহন করুন যাতে মানুষ সরকারের প্রতি আস্হায় আসে। ৯) মাননীয় প্রধানমন্ত্রিকে বলছি, আপনার অনুপস্হিতিতে কিভাবে দল পরিচালিত হবে তা এখনি ঠিক করে ফেলুন - অন্তত ৩ জন বিকল্প ঠিক করুন, যারা অন্তত বংগবন্ধু পরিবারকে ভবিষ্যত রাজনীতি থেকে মাইনাচ করবেনা - কারণ আগামী ৩ মাস পরেই সে হিসেব শুরু হবে। মনে রাখবেন আপনি বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকাচ্ছেন।
১০) বি পজিটিভ।
মোট কথা সরকারকে পজিটিভ রাজনীতির কথা বলছি। এর কারণ হচ্ছে সরকার এখনও বাকা রাজনীতির কথা চিন্তা করছে যাতে কমপক্ষে ৩ বছর ক্ষমতায় থাকা যায়। কিন্ত বাস্তব কথা হচ্ছে এই সরকারের স্হায়িত্বকাল কোন অবস্হাতেই এক বছরের বেশী হবেনা। সরকারকে এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। মনের যাবতীয় ক্ষোভ ক্লেশ ভুলে গিয়ে চাইব আওয়ামীলীগ টিকে থাকুক।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০৫
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য। ভালো থাকবেন।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩৭
মেকগাইভার বলেছেন: অনেক দিন পর একা কোয়ালিটি পোস্ট পরলাম সামুতে।
একটা জিনিশ একটু বুঝি্যে দেন। আপনি কেন মনে করছেন যে আগামী ৩ মাস পরেই হিসেব শুরু হবে বংগবন্ধু পরিবারকে ভবিষ্যত রাজনীতি থেকে মাইনাচ করার?
কারা করবে? আর যদি করেই তাহলে সেটা কি দেশের মানূষের জন্য ভালো হবে নাকি খারাপ হবে?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:২৬
সরলপাঠ বলেছেন: প্রথমত এই লিখাটির উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী। আমার জানামতে সামু ব্লগ গোয়েন্দা সংস্হা নিয়মিত মনিটর করে। আমি আসা করছি আমার এই লিখাটি তাদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসবে।
এবার আসি আপনার প্রশ্নের উত্তরে। ৩ মাস পর হিসেব শুরু হবে - যদিনা বর্তমান নেগেটিভ রাজনীতি থেকে আওয়ামীলীগ বের হয়ে আসতে না পারে। এই সুযোগ নিবে তারাই যারা ঘরের শত্রু ভিবিষণ। ঘরেরে বাহিরে এক ধরনের আবহ মাস তিনের পরে শুরু হতে পারে। আসা করছি সরকার এ ব্যাপারে সচেতন থাকবে। সময়টা নির্ভর করছে সামষ্টিক রাজনৈতিক অবস্হার উপর।
আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির একটি অংশ পারস্পরিক সমাঝোতায় জিয়া পরিবার এবং বংগবন্ধু পরিবারকে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছে। এরা দলে খুবই প্রভাবশালী। এর সাথে যখন আন্তর্জাতিক সুত্রগুলো যুক্ত হবে তখন সবকিছুই সহজ হয়ে যাবে। কিছুটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই বাস্তব।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১২
রাফা বলেছেন: বেশ ভালো...খুব কৌশলে জামাতের দালালী করলেন।আঃ লীগকে রাজনিতী করতে হবে জামাতকে আস্থায় নিয়ে ।শতাব্দির বড় কৌতুক মনে হয় এটাই।
আপনাকে পরিস্কার ভাষায় আজকে বলে দিচ্ছি আড়াই বছরের পুর্বে কোন সংসদ নির্বাচন হবেনা বাংলাদেশে।লিখে রাখুন ভালো করে।
আঃ লীগ আর বিএনপি এক কথা নয়।আঃ লীগ এখন পয়েন্ট অফ নো রিটার্নে আছে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৩৬
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্যে। আপনার মন্তব্যের মধ্যেই আছে আমি কৌতুক করিনি বরং আপনি ভুল বুঝেছেন।
আওয়ামীলীগ পয়েন্ট অব নো রিটার্ণে চলে গেছে। আপনার এই মন্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি একমত। আর এ কারণেই আমার আজকের এই ব্লগ লিখা। যখন কেউ পয়েন্ট অব নো রিটার্ণে চলে যায় তখন তার জন্যে রাজনীতির স্পেস খুবই সীমিত হয়ে যায়। আর যাবতীয় ভূল গুলো তখন একের পর এক সামনে আসতে থাকে যার থেকে বের হওয়া অসম্ভব হয়ে যায়। অপেক্ষা করুন জনাব তোফায়েল আহমদ দিল্লী থেকে ফেরত আসা পর্যন্ত।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন জামাত বড় দুদলের জন্যই এক সমস্যা। ক্ষমতার রাজনীতিতে ঘড়ির কাটা অনেক ক্ষেত্রে উল্টো ঘুরে। গত ২ বছরে পুলিশের গুলিতে ৩০০ এর মত জামাত-শিবির মারা গেছে। সরকার হয়তো আরও ১০,০০০ মারতে পারবে। কিন্তু এতে তাদের পক্ষে জনসমর্থনই বাড়বে। এটা জামাতী দালালী নয়। নির্মোহ দৃষ্টিতে বিশ্লেষন। জামাতকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে শক্তি দিয়ে নয়। আর সরাকরের মূল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে জামাতকে বিএনপি থেকে বের করে আনা। শক্তি দিয়ে কেন তা সম্ভব নয় বরং বিএনপি-জামাত অবিশ্বাসের মাধ্যমেই তা কিভাবে সম্ভব আমার লিখায় তাই উল্লেখ করেছি মাত্র।
সময় টা ১ বছর না আড়াই বছর তা ভবিষ্যতই বলে দিবে।
ভাল থাকবেন
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:২৬
মিতক্ষরা বলেছেন:
Govt should ban jamat if they think jamat is violent. Al supporters are happy with this election because they know bnp will come to power if there is a free election. Therefore they do not want any fair election.
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৫৪
সরলপাঠ বলেছেন: Thanks for your comment. I do agree with you for your first comment. But I am not sure that all AL supporters are happy for the 10th national election. As I know a good number of supporters of AL are not happy with the current political situation though presumably the Govt will sustain for a period.
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৪৬
রামন বলেছেন:
সরকারের এই মেয়াদে মধ্যবর্তী কালীন সময়ে নির্বাচন দেয়ার চিন্তা করা হলে তা হবে দলের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। যে ভাবেই হোক সরকারকে জনগনের আশা আকাঙ্খা যথাসম্ভব পূরণের মধ্য দিয়ে মেয়াদ পূর্ণ করতে হবে। গত মেয়াদে বেশ কিছু মন্ত্রী পকেট ভর্তি করে বিদায় হয়েছেন যেগুলো পত্র পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশ হয়েছে , এবারের মন্ত্রীসভায় খালি পকেটওয়ালা নতুন কয়েকজন মন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন। দেখা যাক এবারের উদীয়মান মন্ত্রীগণ তাদের উত্তরসুরীর পদাঙ্ক অনুসরণ করেন নাকি লোভ লালসা উর্ধ্বে রেখে জনগনের সেবায় নিজেদের উৎসর্গ করেন।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:৫৮
সরলপাঠ বলেছেন: যদি মেয়াদ পূর্ণ করা যায় এবং যদি ভাল কাজ তথা সুশাষণ উপহার দেয়া যায় তবে অবশ্যই তা সরকারকে পরবর্তী নির্বাচনে অনেক সুবিধা দিবে।
কিন্তু বাস্তব বিষয় হচ্ছে, এটা অনেকটা অসম্ভব।
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৩৩
উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্কার বিশ্লেষন করেছেন
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৬:৫০
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্যে। ভাল থাকবেন। শুভ সকাল।
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:০২
মিতক্ষরা বলেছেন: আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ যে ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনকে সমর্থন করেছে তা আমি ব্লগে, পত্রিকায় এবং টিভির টক শোতে দেখছি। এছাড়াও দেখেছি মন্ত্রীত্বের জন্য সরকারের কাছে আওয়ামীদের ধর্না। সাধারন মানুষের মধ্যে যারা আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন (হয়তবা রাজনীতির সাথে জড়িত নন) তাদের অনেকে এ নির্বাচন নিয়ে অসুখী বিধায় ভোটকেন্দ্রে যান নি। কিছু আওয়ামী সমর্থক নির্বাচন নিয়ে অসুখী হলে সেটা বিচ্ছিন্ন বিষয়। যা কোনভাবেই মূল আওয়ামী রাজনীতির স্রোতকে বোঝায় না। আওয়ামী লীগাররা এ নির্বাচন মেনে না নিলে বিদ্রোহ হত। সেরকমটি দেখা যাচ্ছে না। বরং গাফফার চৌধুরী, আরাফাত, মুনতাসীর মামুন সহ বেশীর ভাগের লেখায় সন্তোষ ফুটে উঠেছে।
বিএনপি দম নিচ্ছে - এটা ভাল কথা। তারা হয়তবা ভাবছে যে এবার জনগনের উপরে বিষয়টি ছেড়ে দেয়ায়ই করনীয়। এটা ঠিক আছে। তাড়াহুড়ার কিছু নেই। আওয়ামী লীগ অবৈধ ভাবে ক্ষমতা আকড়ে রাখতে চাইলে কিছুদিন রাখুক। এরশাদ কাকু তো বেশ অনেক দিন এভাবে ক্ষমতায় ছিলেন। আর এখন তো হাসিনা আর এরশাদ যেন মানিকজোড়। সুতরাং এরশাদের উদাহরন তো হাসিনা অনুসরন করতেই পারেন।
কিন্তু সামনের দিন গুলোতেও বিরোধী জোটের নেতৃত্ব বিএনপিকে ধরে রাখতে হবে। স্বচ্ছ ভাবে সংসদ নির্বাচনের মূল দাবী থেকে সরে আসা কোনভাবেই উচিত হবে না। এটা জনগনের ভোটের অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট। খালেদা জিয়া বলেছিলেন, "আমি একলা হলেও এ দাবীতে অটল থাকব।" আজ সবাই দেখল যে তিনি এ দাবীতে একা নন, বরং তার সহযাত্রী হিসেবে রয়েছে বেশীর ভাগ জনতা। উপজেলা নির্বাচন সহ অরাজনৈতিক নির্বাচন গুলোতে অংশ নেয়া বিরোধী জোটের জন্য ঠিক রয়েছে। ওগুলো সাধারন ভাবে সরকারের অধীনেই হয়ে থাকে। কিন্তু সংসদ নির্বাচনকে হতে হবে মানদন্ডে উত্তীর্ন।
সরকার এখন শেষ অস্ত্র হিসেবে জামাত জুজু দেখিয়ে চলছে। কারন তাদের হাতে আর কিছু নেই। নিজেরা জামাতেকে নিষিদ্ধ করলে যেহেতু জুজুবিহীন হয়ে যাবে তাই নিজেরা নিষিদ্ধ করবে না। সম্ভবত জামাতীরা খালেদার প্রস্তাবে রাজী হয়ে বিএনপির ব্যানারে আন্দোলন করবে। জামাত নিজেদের ব্যানার আর ব্যবহার করবে না। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের জামাত জুজু আর বেশী ভাত পাবে না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে ঠিকই, কিন্তু এদের নৈতিক অবস্থান সর্বনিম্ন। এই নৈতিক অবস্থান ধীরে ধীরে আরো তলানিতে যাবে কারন তারা কোন বৈধ নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। যার ফলে তারা আরো বেশী পুলিশের উপরে কিংবা ছাত্রলীগের ক্যাডারদের উপরে নির্ভর করবে। আমরা বরং অপেক্ষা করি আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত অধপতনেরর জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:০০
লন্ডন থেকে বলেছেন: ভালো বিশ্লেষন