নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
বাংলাদেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক দর্শন নির্মাণের চেষ্টা চলছে তা আত্নঘাতি কিনা তা সময়েই বলে দিবে। তবে মূমুর্ষ এই গণতন্ত্রের যাবতীয় যাতনা যে বাংলাদেশের জনগণকেই বহন করতে হবে এতে সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের অবস্হা অনেকটা সেই সুন্দরী কন্যার মত, যে বয়ঃসন্ধিকালে উপনিত। পিতার মৃত্যুর পর বালিকাটিকে নিকটতম প্রতিবেশী আগলিয়ে রেখেছিল অন্যদের হাত থেকে, বিনিময়ে ভোগ করেছিল তার উত্তরাধিকারে পাওয়া সম্পত্তি। আজ বালিকাটি বড় হয়ে আরও সুন্দরী ও আকর্ষনীয় হয়েছে। সবারই লোভ তার দিকে। কেউ বিয়ে করতে, কেউবা ঘরের ব্উ বানাতে, আর কেউবা নিরেট ফুর্তি করতে চায়। আর গার্ডিয়ান রুপি প্রতিবেশী চায় তার সব কিছুই।
আওয়ামীলীগের বর্তমান নেতৃত্ব আর ভারতের যৌথ প্রযোজনায় নতুন বাংলাদেশ দর্শন আমাদের এতোদিনের সামাজিক এবং রাজনৈতিক বিশ্বাসের ভিত্তিমুলকে যে ভেংগে ফেলেছে এতে কোন সন্দেহ নেই। ২০০৭-২০১৫, এই সময়কাল ভবিষ্যতের বিবেচনায় ফেলে রাখলেও এই ক্ষত যদি ক্যান্সারে রুপ নেয় তবে তার যাবতীয় দায় এদেশের আওয়ামীলীগের তৃণমূলকেই নিতে হবে। কারণ তখন এর জবাব দেয়ার জন্য শেখ হাসিনা বা অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের পাওয়া যাবেনা।
হত্যা বা দমিয়ে রেখে রাজনৈতিক ভাবে যে কোন আদর্শকে পরাজিত করা যায়না তা জানার জন্যে রাজনীতির বিশেষগ্ঞ হতে হয়না। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্হিতিতে ভারত যে ষোল আনাই লাভবান এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে এর থেকে আওয়ামীলিগের প্রাপ্তি কি তা জানতে আমাদেরকে আরও কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে।
আর বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা জামাতের ভাগ্য কি হবে তা অনেকটাই অনুমান করা যায়। নেতৃত্বের দিক থেকে দূর্বল বিএনপি চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হারিয়ে গেলে বাংলাদেশের স্বাধিনতা বা সামাজিক স্হিতিতে তা চরমভাবে আঘাত হানতে পারে। জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অস্তিত্ব অনেকটাই নিঃশেষ। অন্তঃমুখি জামাতের ক্ষমতা নেই রাজনীতিতে মধ্যপন্হি বলে পরিচিত বিশাল জনগোষ্টিকে ধারণ করার। ফলে রাজনীতিতে তৃতীয় শক্তির উৎথান হতে পারে। আর তা নির্ভর করবে ভারত প্রযোজানায় চালিত বর্তমান সরকারের কর্মকৌশল এবং নতুন রাজনৈতিক দর্শণ নির্মাণের প্রয়াশের উপর।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৪:২১
সরলপাঠ বলেছেন: কোনটা হাউকাউ আর কোনটা সামাজিক সাম্যতার জন্যে বিবেচ্য - না বুঝলেই সমস্যা। সংগঠিত বিরোধীদল না থাকার কারনেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার ব্যার্থ হয়। যার বোঝা বাংলাদেশ এখনও টেনে চলছে।
অন্ধ দলীয় আনুগত্য থেকে নয়, আমরা যারা স্বাধীন, গনতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের স্বপ্নে বিভোর, তাদের কাছে বর্তমান সরকার এক চপেটাঘাত।
এই সরকারের কারণেই আওয়ামীলীগ আর কখনই নিজেকে নিরংকুশ ভাবে গণতন্ত্রের প্রতিভু বলতে পারবেনা।
আমার এই কথাগুলো আপনার কাছে হাউকাউ মনে হতে পারে - কিন্তু রাজনীতি আর রাজনৈতিক অর্থনীতির ভবিষ্যতকে সামনে আনলে, আর রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বের প্রতি অন্ধ আনুগত্য থেকে বের হয়ে আসতে পারলেই তবে দেশকে নিরংকুশ ভাবে ভালবাসা যাবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৫০
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: হাউকাউ
আপনি লিখেছেন, "নেতৃত্বের দিক থেকে দূর্বল বিএনপি চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হারিয়ে গেলে বাংলাদেশের স্বাধিনতা বা সামাজিক স্হিতিতে তা চরমভাবে আঘাত হানতে পারে। "
বিএপ হারিয়ে গেলে 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা'র কি হতে পারে?
আপনি হাউকাউ