নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
জনমতের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি - সরকারের উচিত রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করা। নতুবা সহসাই আমাদেরকে আরেক ইরান দেখতে হবে বাংলাদেশে। খবরে প্রকাশ প্রথম দফা ৯৭ উপজেলার নির্বাচনে ২৬ উপজেলায় নির্বাচন করে জামাত ১৩ টিতে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জয়ী। ২৪ টিতে ভাইস চেয়ারম্যান, আর ১০টিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানে জয়ী। সবচাইতে বেশী অবাক হলাম এদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর জয়ী হওয়া দেখে। এই ২৬টি আসনের শুধু ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলনা। বিষয়টি অবশ্যই গুরুতর!
সরকারের থিংকট্যাংকের উচিত বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা। হত্যা করে যদি রাজনীতি শেষ করে দেয়া যেত তবে ১৯৭৪ এর পর এ দেশে আর কোন বিরোধী দল থাকার কথা ছিলনা। গোঁজামিল দিয়ে যদি রাজনীতি হত, তবে শাহবাগের গণজাগরণ মন্চের পর মানুষ জামাতের দিকে তাকানোর কথা নয়। ১৯৭১ সালের জামাতের ভূমিকা দিয়েই জামাতকে রাজনীতিতে মোকাবিলা করতে হবে। সরকারকে অনুরোধ করবো অতীত থেকে শিক্ষা নিতে। জামাতকে রাজনীতি দিয়েই মোকাবিলা করতে হবে।
বিস্তারিত খবরঃ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে জামায়াত তুলনামূলক ভালো ফল পেয়েছে। গতকাল ৪০ জেলার ৯৭টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে মাত্র ২৬টি উপজেলায় প্রার্থী দিয়ে চেয়ারম্যান পদে জামায়াত সমর্থিত ১৩ জন বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া জামায়াত সমর্থিত ২৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন বিজয়ী হয়েছেন। প্রথম ধাপের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধভাবে জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলেও উপজেলায় ভালো ফল করেছে জামায়াত। যুদ্ধাপরাধের বিচারে কোণঠাসা এ দলটির সমর্থিত ১৩ প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন। এবারে ২৬ উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী ছিল। এর মধ্যে সিলেটের জৈন্তাপুর, রংপুরের মিঠাপুকুর, নীলফামারীর জলঢাকা, বগুড়ার শেরপুর ও সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিএনপির প্রার্থী ছিল না। প্রথমে জামায়াতকে ১৪টিতে ছাড় দিলেও শেষ পর্যন্ত সাতটিতে বিএনপি স্থানীয়ভাবে একক প্রার্থী দেয়। অপর দুটিতে বিএনপি দলীয়ভাবে জামায়াতকে সমর্থন দিলেও বিদ্রোহীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে আটকাতে পারেনি। ১৪ উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত দু’দলই আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রার্থী দেয়। এসব উপজেলার নয়টিতে জয়ী হয়েছে জামায়াত। নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির। সর্বশেষ নির্বাচনে সংসদে ৩৪ আসন পেলেও উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে এরশাদের দল।
http://www.amadershomoy.com/
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:২৮
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে। ভাল থাকবেন।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৩
ভিটামিন সি বলেছেন: আমার মতে জামাতকে নিষিদ্ধ না করে কিছু নিয়ম-কানুন পরিবর্তন করার সুযোগ দিয়ে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া উচিত। কারণ এখন আর জামাতে সেই একাত্তরের ঘাতক রাজনীতিবিদ নেই। এখন যারা তারা সবাই এই প্রজন্মের বা একধাপ পূর্বের। এরা জন্মসুত্রে বাংলাদেশী। এতো গ্রেফতার, ক্রসফায়ারের পরও জামায়াত যেভাবে এই নির্বাচনে জয় লাভ করেছে, তাতে আর নিষিদ্ধের অপশন খালি নেই। সরকারকে রাজনীতি দিয়েই জামাতকে মোকাবেলা করতে হবে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৩৮
সরলপাঠ বলেছেন: জামাতের পক্ষে ওকালতি করার যায়গা আমার ব্লগে নেই - অনুগ্রহ করে রাস্তা মাপুন।
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫
এম এ কাশেম বলেছেন: এ কারণই তো জামাতের উপর এত হামলা মামলা,
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৯
অেসন বলেছেন: যেখানে জামাত আলীগ-বিএনপিকে পরাজিত করেছে সেসকল স্থানে বিএনপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দিলে তথ্য পরিষ্কার হতো।
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩
অেসন বলেছেন: জোট বাদ দিয়ে জামাত নির্বাচন করুক তখন বুঝা যেতো জামাতের আসল
শক্তি। যা জাপা করেছে। জামাত ২৬টি নয় সব আসনেই নির্বাচন করেছে।
২৬টিতে নিজেদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে এবং বিএনপির সমর্থন নিয়েছে আর বাকিগুলোতে বিএনপির পক্ষে কাজ করেছে।
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
ভোরের সূর্য বলেছেন: জনমতের উপর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি - সরকারের উচিত রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করা। নতুবা সহসাই আমাদেরকে আরেক ইরান দেখতে হবে বাংলাদেশে।
ভাল বলেছেন কিন্তু আমাদেরকে আরেক ইরান দেখতে হবে ব্যাপারটা বুঝলাম না। লেখক যদি আরেক ইরানের ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলতেন তাহলে ভাল হত।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১০
মনসুর-উল-হাকিম বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন, সুভেচ্ছান্তে ধন্যবাদ।