নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
তারেক রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসের ক্রান্তিকাল নিয়ে ২টি প্রশ্ন তুলেছেন। তার বলার ধরনে এবং আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বুঝা যায় এ ধরনের আরও ইস্যু সামনে আসবে। আমাদের স্বাধীনতার অনেক বিষয়ই এখনও অমিমাংসিত। ইতিহাসের অমিমাংসিত বিষয় যুক্তিকভাবে সমাধান না হলে এ নিয়ে সুযোগ সন্ধানীরা প্রশ্ন তুলবেই। তারেক সে ধরনেরই একটি সুযোগ নিয়েছে। গায়ের জোরে, প্রচারনার মাধ্যমে, বা আদালতের রায়ে ইতিহাস তৈরি হয়না বা ইতিহাসকে চাপিয়ে দেয়া যায়না। যদিও যায় তবে তা সাময়িক।
এ কথা সকলেই অনুধাবন করেন বংগবন্ধু শেখ মুজিবকেই ঘিরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রস্তুতি পর্ব তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তান আন্দোলনের একজন কর্মী হিসাবে বংগবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তহীনতা লক্ষ্য করা যায়। তিনি শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টায় ছিলেন একটি সমাযোতায় পৌঁছানোর। যে কারনে আমরা তাঁকে দেখি মার্চের ৩য় সপ্তাহে ঢাকাতে পাকিস্তানীদের সাথে সিরিজ অব মিটিং করতে। কিন্ত যদি তিনি স্বাধীনতার ব্যাপারে নুন্যতম সচেতন হতেন তাহলে মিটিংয়ের পাশাপাশি স্বাধিনতা যুদ্ধের রোডম্যাপ তখনই তৈরি হওয়ার কথা। যে কাজটি বংগবন্ধুর অনুপস্হিতিতে হয়েছিল এপ্রিলের ২য় সপ্তাহে, সেটি যদি বংগবন্ধুর উপস্হিতিতে মার্চের ৩য় সপ্তাহে শুরু হত তাহলে বংগবন্ধুকে স্বাধীনতার একক রুপকার হিসাবে উপস্হাপন প্রশ্নাতীত থাকত।
স্বাধীনতা পূর্ব পূর্ববাংলায় যে রাজনীতি ছিল, তাতেও বংগবন্ধু একক নেতা ছিলেননা। তবে ওনার নেতৃত্ব প্রশ্নাতীত ছিল। মাওলানা ভাষানী থেকে শুরু করে সে সময়ের অন্য রাজনীতিবিদদের যোগ্য প্রাপ্য না দিয়ে শুধু বংগবন্ধুকেই গ্লোরিফাই করলে বর্তমানে কারও কারও রাজনৈতিক ফায়দা হতে পারে, কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের ক্ষতিই হতে পারে। বংগবন্ধু একজন সাধারণ মানুষই ছিলেন, অতি মানব ছিলেন না। যারা তাকে অতি মানব হিসাবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিলেন তারা তার ক্ষতিই করলেন এতদিন।
মেজর জিয়ার উত্থান যে ২টি সময়ে - সে ২টি সময়েই তিনি সুযোগের পূর্নাংগ সৎব্যবহার করেছিলেন। জিয়া স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে বংগবন্ধু বা আওয়ামীলীগ নেতাদের যে অযোগ্যতা ছিল তা পূরুন করেছিলেন। জিয়া যা করেছিলেন তা তার করার কথা ছিলনা। তিনি তার গন্ডির বাহিরে গিয়ে সাহস দেখিয়েছিলেন। এসাহসই তাকে পরবর্তীতে ১৯৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক শুন্যতায় রাজনীতির মাঠে আসতে সাহসযুগিয়ে ছিল। সে ২য় বারের মত সুযোগের সৎব্যবহার করল। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে এখনকার জাদরেল আওয়ামীলীগ নেতারা রাজনীতির মাঠ থেকে হাওয়া হয়ে গিয়ে জিয়াকে হিরো হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
তাই সময় এসেছে সবকিছুই নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখার। সুবিধাবাদের হাত থেকে জাতির ইতিহাসকে রক্ষা করার।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫২
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: তারেক এইগুলা বুইজা কইতাছে এইটা আমরা যারা তারেকরে চিনি তারা বিশ্বাস করি না।
তবে এই প্রসঙ্গ গুলা উঠা দরকার।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:০০
মোঃ উরমান বলেছেন: তারেকের প্রশ্নের সঠিক উত্তর চাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:২৫
সুন্দর সমর বলেছেন: 'তাই সময় এসেছে সবকিছুই নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখার। সুবিধাবাদের হাত থেকে জাতির ইতিহাসকে রক্ষা করার।'
এ কথার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি।