নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
মাত্র ২ বছরের ব্যবধানে একি বাংলাদেশ দেখছে বিশ্ব। বিচারবিহীন হত্যার নগ্ন শাষণ আজ ডুবিয়ে দিয়েছে পুরো বাংলাদেশকে। প্রথমদিকে শুধু সরকার বিরোধীরা, বিশেষ করে জামাত-শিবির আর বিএনপির কিছু নেতা, এখন সবাই। এমনই হয়। কোন সমাজে ঘুনে ধরলে এভাবেই হঠাৎ করে সব কিছু শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশও।
আগে আমরা চুপচাপ ছিলাম - কারণ জামাত-শিবির মরেছে বা বিএনপি মরেছে, আমরাতো ভাল আছি। এখোনো আমরা চুপচাপ আছি, কারণ সরকারী দলের লোকেরা মরছে আমিতো ভালো আছি। কাল হয়তো বলবো - প্রতিবেশী মরেছে তো কি হয়েছে, আমিতো ভাল আছি। এভাবেই আমার আমিতে ডুবতে গিয়ে আমরা আমাদের প্রিয় বাংলাদেশকে একটি জংগী দেশে পরিণত করছি। কি লাভ এগুলো বলে। আফগানিস্তানে যেমন জীবনের নিরাপত্তা নেই, তারপরও জীবন চলে; নাইজেরীয়ায় যেমন জীবনের নিরাপত্তা নেই, তারপরও জীবন চলে; পাকিস্তানে যেমন জীবনের নিরাপত্তা নেই, তারপরও জীবন বসে নেই। বাংলাদেশেও আমরা জীবন চালিয়ে যাচ্ছি, আমার আমিতে ডুবে থেকে।
আজ ছোট খাট বিষয়ের শত্রুতা থেকেও যে কেউই এমন করতে পারে। করলে সমস্যা নেই। যেহেতু র্যাব পুলিশ এ পথ দেখিয়েছে, সেহেতু দোষ তাদেরই হবে। সুতরাং এখন বাংলাদেশ মানে এক, অসভ্য জংলী দেশের নাম। হত্যা গুমের দেশ, বাংলাদেশ। ভাবতেই কান্নায় বুক ভেংগে যায়। এ জংলী সমাজের আবির্ভাব হয়েছে জংলী নিয়মেই।
প্রথমে প্রতিবাদের ভাষাকে সীমাবদ্ধ করে দিয়ে - পুলিশের অনুমতির নামের তথাকথিত জংলী নিয়মের মাধ্যমে, যার মূল উদ্দ্যেশ্যই ছিল বিরোধী মত নিয়ন্ত্রন। এর পর মিছিলে গুলি, এরপর গ্রেফতার বানিজ্য। এরপর তুলে নিয়ে গিয়ে সরাসরি হত্যা। এরই মাঝে গুমের সংস্কৃতি চালু হওয়া।
এরপর কি হবে? সামাজিক বিশৃংখলা সীমাহীন আকার ধারণ করবে। সরকার কার্যত সোমালিয়ার বা নাইজেরিয়ার সরকারের মত হবে। এখন আর মৌলবাদী জংগীরা নেই।এখন যারা এসব করছে এরা সবাই কোন না কোন ভাবে সরকারী জংগী। ত্রিশালে পুলিশ হত্যা করে মৌলবাদী জংগীর পলায়ন, তাতেও যুবলীগ তথা সরকারী জংগী।
বাংলাদেশ কার্যত সুগঠিত সরকারের নিয়ন্ত্রণ বিহীন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কারজন্যে আজ এই বাংলাদেশ আমাদের উপহার দিলেন। আপনি ৭২ এর সংবিধান দিলেন, সে বোঝা তুলার আগেই আপনি ৭৪কে আমাদের উপার চাপিয়ে দিচ্ছেন। যে কোন দায়হীনতার শাষণই জংলী শাষণ।
পুলিশ যদি একবার নির্বচারে ট্রিগার টিপতে অভ্যস্হ হয়ে যায়, সন্ত্রাসীরা যদি একবার গুমের সুড়ং খুজে পায়, তবে আপনি কি করে সেখানে সুশাষণ আশা করবেন। ভাবতে অবাক লাগে এখনও সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি নামক কিছু চামচা যেগুলো কিছু নিকৃষ্ট প্রাণীর ছেয়েও অধম, এই জংলী শাষণের সাফাই গেয়ে যাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১১:০০
তিক্তভাষী বলেছেন: রাস্ট্রীয় উচ্চ পর্যায় থেকে জংলীবাদকে প্রশ্রয় দিয়ে এ ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছ। অবশ্য অবাক হওয়ার কিছু নেই, আওয়ামীরা স্বভাবজাত এবং বংশগতভাবেই ফ্যাসিস্ট।