নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
এককালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা বর্তমানে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত পীরহাবিব দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক পদের চাকুরী হারিয়েছেন। এটা গতকালের খবর। কিন্ত কেন? খবরে জানাগেল তার ফেইসবুক স্টেটাসই কাল হল। তার ফেইসবুক স্টেটাসটি নীচে দেয়া হলঃ
‘‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে বিদ্যুৎ, ডিস, ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে সরকার ক্ষমতার আরেক দফা দাপট দেখাল। রাজনৈতিক চলমান সংকট নিরসনে এটা কতটুকু ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে সেটি উদ্বেগের ব্যাপার। এই ধরণের ঘটনা সামরিক শাসনামলে মানায়। গণতন্ত্রের জমানায় বড্ড বেমানান। এটা সভ্যতার পর্যায়ে পড়ে না। বেগম খালেদা জিয়াকে কি সরকার ওখানে আটক করে রেখেছে? একজন রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করলে রাজবন্দীর মর্যাদায় তাকে কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। বিষয়টা খটকা লাগছে। বিএনপি নেত্রীও দেশের অর্থনীতির ওপর এবং মানুষের নিরাপত্তার ওপর আঘাত হানা টানা অবরোধ-হরতালের যে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন তা গণআন্দোলনে রূপ না নিয়ে নকশাল বাড়ির বা জাসদীয় গণবাহিনীর কিংবা সিরাজ সিকদারের পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির কিংবা পাকিস্তানি তালেবানি উগ্র হটকারী রাজনীতির জন্ম দিয়েছে। সর্বনাশা পেট্রোল বোমার আঘাতে মানুষের জীবন পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত ইজতেমাও রেহাই পায়নি। রেহাই পায়নি শুক্রবারের মতো ছুটির দিনও। অবরোধের পাশাপাশি হরতাল যেন মড়ার ওপর খড়ার ঘাঁ। মানুষের সম্পৃক্ততা না থাক, নাশকতার ঘটনা বাড়ছে। জনজীবন অচল হচ্ছে। অর্থনীতি শেষ হচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গেই পড়েনি, এসএসসি পরীক্ষার মতো বহুল প্রতীক্ষিত সর্ববৃহৎ পাবলিক পরীক্ষাকে শিক্ষার্থীই নয়, অভিভাবকদের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। অন্ধের মতো মানুষের সমালোচনার ভাষা না শুনছে সরকার, না শুনছে বিএনপি। মানুষের সর্বনাশ হচ্ছে। সর্বনাশা রাজনীতির হিংসা-প্রতিহিংসা চলছে। এটাকে কি মানুষের জন্য রাজনীতি বলে? এটাকে কি জনগণের রাজনীতি বলে? একে কি আসলে মানবকল্যানের রাজনীতি বলে? এ কোন অপরাজনীতি শুরু হয়েছে দেশে? রাজনৈতিক সংকট দুই পক্ষকেই উদার মনোভাব নিয়ে দেশ ও মানুষের স্বার্থে সমাধানের পথে যেতে হবে। না হয় উগ্রতা, হটকারীতা ও দাম্ভিকতার পরিণতি কখনো ভাল হয় না। জানি না আর কী সর্বনাশ আমাদের সামনে অপেক্ষা করছে। মানুষের জীবনের চাইতে, সন্তানদের শিক্ষার চেয়ে, দেশের অর্থনীতির চেয়ে সর্বপরি শান্তির চেয়ে ক্ষমতার রাজনীতি কখনো বড় হতে পারে না।মানুষের সভা সমাবেশের অধিকার খর্ব করে সরকার কার্যত সংবিধান লঙ্ঘন করছে।’’
আসলে দলীত মিডিয়ার সরকারের সকল অপকর্মের সাফাই না গাইলেই বিপদ। বর্তমান সরকার একচোখা দানব। এই দানব বাংলাদেশে নতুন ধরনের বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে দেশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আসুন এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই
সুত্রঃ সংবাদ২৪,নেটঃhttp://www.sangbad24.net/media/2277/
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৫৩
সরলপাঠ বলেছেন: আমার চোখে পড়েছে - তবে আমার চোখে পড়লে হবেনা, পড়তে হবে একচোখা দানবের চোখে, যারা নিজের সামান্য সমালোচনাটুকুও সহ্য করতে পারেনা।
বাংলাদেশ প্রতিদিন একটি কর্পোরেট প্রত্রিকা। এই নিপিড়নের সময়ে বসুন্ধরা গ্রুপের কাছে সরকারের একটি টেলিফোন ই যথেষ্ট। নইম নিজাম যিনি এই পত্রিকার সম্পাদক, যিনি সরকারের প্রতি সহানুভুতিশীল, তিনিও নিরুত্তর ছিলেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৬:৩৯
রামন বলেছেন:
সব সর্বনাশের জন্য পি এন পি - জামাত দায়ী। ৫ জানুয়ারির আগে দেশ তো এমন ছিল না, সব কিছুই চলছিল শান্তিপূর্ণ ভাবে। ব্যবসা বানিজ্য, অর্থনীতির চাকা সবই সচল ছিল৷ দেশের মানুষ নির্ভয়ে অফিস আদালত করতে পারত। আজ ক্ষমতা দখলের লিপ্সায় অন্ধ হয়ে খালেদা জিয়া নিরীহ মানুষ জনকে পুড়িয়ে মারার জন্য বি এন পি জামাতের খুনি ক্যাডারদের আদেশ দিয়ে যাচ্ছে। জ্বালাও পোড়াও মধ্য দিয়ে চলমান অর্থনীতিকে ধ্বংশ করে দেশকে পঙ্গু করার ষড়যন্ত্র করছে খালেদা জিয়ার পালিত তস্কররা। কিন্তু জনগণ অন্ধ নয়, তারা সচেতন। শুধুমাত্র অল্প সংখ্যক দুস্কৃতিকারী,দুর্বৃত্ত ছাড়া কেহই নাই বি এন পি জামাতের পাশে। বি এন পি জামাতের জনপ্রিয়তা এখন শুন্যের কোঠায়। তাই ভরাডুবি থেকে বাঁচার জন্য মানুষ মেরে নিজেরা বাচতে চাইছে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:১৭
সরলপাঠ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন ৫ই জানুয়ারীর আগে এমন ছিলনা। সরকার বিএনপির সাময়িক নিশ্চুপতাকে সীমাহীন দূর্বলতা মনেকরেছিল।
যেউ করুক, জ্বালও পোড়াও ঘৃনিত কাজ। কিন্ত একই সাথে সরকার যখন স্বাভাবিক প্রতিবাদকে পুলিশের রাইফেলের গুলিতে বা ক্রসফায়ার নামক দানবের মাধ্যমে, বা জেল, জুলুম, নিপিড়নের মাধ্যমে দমিয়ে দিতে চায় তখন সরকারকে এই ভংগুর রাজনীতি নামক স্বৈরনীতির দায়িত্ব নিতে হবে।
স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকার পরও যদি বিএনপি-জামাত জোট পেট্রল বোমার রাজনীতি করত তাহলেই তাদেরকে প্রধানত দায়ী করা যেত। কিন্ত বর্তমান পরিস্হিতিতে সরকারই প্রধানত দায়ী।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২৪
শাহরীয়ার সুজন বলেছেন: উচিত কথায় বন্ধু বেজার!
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৪১
নিলু বলেছেন: আমার মনে হয় , একবার জামাত কে সরকার চালানোর জন্য , সুযোগ দেওয়া
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৭
মহান অতন্দ্র বলেছেন: আমার মনে হয় দুপক্ষকেই হটিয়ে দিয়ে শিক্ষিত বুদ্ধিদীপ্ত দায়িত্বশীল কোন তরুনের হাতে দেশটা ছাড়া উচিৎ। কিন্তু এও জানি দেশের যা অবস্থা কোন তরুণই ভয়ে এগিয়ে আসবে না। কবে যে দেশটা শান্তি পাবে কে জানে।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন: এই লাইন গুলি কি চোখ পড়ে নাই
"বিএনপি নেত্রীও দেশের অর্থনীতির ওপর এবং মানুষের নিরাপত্তার ওপর আঘাত হানা টানা অবরোধ-হরতালের যে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন তা গণআন্দোলনে রূপ না নিয়ে নকশাল বাড়ির বা জাসদীয় গণবাহিনীর কিংবা সিরাজ সিকদারের পূর্ববাংলা সর্বহারা পার্টির কিংবা পাকিস্তানি তালেবানি উগ্র হটকারী রাজনীতির জন্ম দিয়েছে। "
বাংলাদেশ প্রতিদিন কি সরকারী পত্রিকা....