নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ লক্ষ ছাত্রের টিউশন ফির উপর ৭.৫% ভ্যাট বসিয়ে সরকার বছরে প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা আয় করবে - এত সহজে অর্ধ হাজার কোটি টাকা আয়? নীতি, নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ, সাম্যতা, ন্যায়পরায়ণতার দৃষ্টিতে এটি অনুচিত এবং দেশের জন্য অকল্যাণকর সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা উচিৎ। আর, যে কোন বিক্ষোভ গুলি মেরে দমন করা স্বৈরাচারের চুড়ান্ত লক্ষন। তবে ভ্যাট বসানোর এ সিদ্ধান্ত এমনিতেই হয়নি। এর অন্যতম কারণ সামাজিক মনোভাব। সামাজিক ভাবে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায়িক মুনাফার অন্যতম মাধ্যম। এটি যতটুকু না শিক্ষার মানের জন্য ব্রান্ডেড হয়েছে তার থেকে বেশী হয়েছে ভিত্তের প্রকাশ বা নিশ্চিত ব্যবসায়িক মুনাফের মাধ্যম হিসাবে। বাংলাদেশে শিক্ষায় ভ্যাট কিন্তু নতুন নয়।
ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলে যখন ভ্যাট চালু হল, তখন তেমন কোন আলোচনাই হয়নি। কারণ স্কুলে ইংরেজী মাধ্যমে যারা পড়েন, তাদের প্রায় সবাই হয় উ্চ্ছভিত্ত না হয় উচ্ছমধ্যভিত্ত। ফলে তাদের তেমন কোন সমস্যা নেই ভ্যাট প্রদানে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কর্তৃক শিক্ষায় ভ্যাট ধার্য উচিৎ না অনুচিৎ সে প্রশ্নটিও আসেনি। এটাই আমাদের সামাজিক রাজনৈতিক সমস্যা -যতক্ষন পর্যন্ত নিজের গায়ের উপর না উঠে ততক্ষন পর্যন্ত আমরা নিশ্চুপ থাকি।
আমাদের উচ্ছশিক্ষা গ্রহনের অধম্য এবং অদুরদর্শী আগ্রহই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসারের অন্যতম কারণ। এতে করে নিম্নমধ্যভিত্ত থেকে উচ্চভিত্ত সবাই এর অনুগামী। বর্তমানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫% ছাত্রই মধ্যভিত্ত বা নিম্নমধ্যভিত্ত থেকে উঠে আসা। সামাজিকভাবে, যেকোনভাবে বিবিএতে, কম্পিউটার সায়েন্সে, বা মেডিসিনে পড়া একধরনের সামাজিক ভিত্ত বা অহংবোধের প্রকাশ। আর এই সুযোগে রাজনৈতিক চত্রছায়ায় নুন্যতম অবকাঠামো বিহীন অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এতে পড়াশুনার মান মধ্যম থেকে নিম্নমানের। পড়াশুনার মান থেকেও বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে - ব্যবসায়িক লুটপাঠ। উদ্যোক্তারা একে একটি ব্যবসায়িক মাধ্যম হিসাবেই দেখছেন। তারা এর থেকে লুটপাঠও করছেন। সরকারও তাদের সহযোগী। সরকার এ লুটপাঠ বন্ধের উদ্যোগ না নিয়ে বরং এর থেকে কিছু পেতে চায়। আর তাই ৭.৫% ভ্যাট।
সরকারের উচিৎ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তা বা পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক যে লুটপাট হয় তা বন্ধে বাস্তব সম্মত ব্যবস্হা নেয়া। সরকার তা না করে লুটপাটের সহযোগী হলেন। মহান অর্থমন্ত্রীর ভাষায় 'প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফির মাধ্যমে অনেক আয় হয়, তার থেকে একটু ভ্যাট নিলে সমস্যা কি?' - মাল সাহেব ভুল করলেন এখানে, আয় হলে আপনি আয়কর নিবেন, ভ্যাট কেন। সরকার অলরেডি আয়কর নিচ্ছে গত কয়েক বছর ধরে। কিন্ত ট্রাস্ট আইনে প্রতিষ্ঠিত বলে, এতে সরকারের লোভের জিহবা কিছুটা সীমিত।
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
সরলপাঠ বলেছেন: @নতুন - ভাল বলেছেন। মাজার ভ্যাট আয়ের একটি ভাল মাধ্যম হতে পারে।
২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
প্রাইভেটের মালিক হবে ছাত্রদের মা-বাবা, এাই সমাধান
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০
সরলপাঠ বলেছেন: @চাঁদগাজী - হাসালেন ভাই।
৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৩
জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: বর্তমানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫% ছাত্রই নিম্নমধ্যভিত্ত থেকে উঠে আসা -এই তথ্য কোথায় পাইলেন।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশের মত কম শিক্ষিত দেশে, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি করা অপরাধ।
করলে, সেগুলোর মালিক হতে হবে ছাত্রদের মাতাপিতা, এবং চাত্ররা
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৬
নতুন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান ভাল করার দিকে নজর নেই কিন্তু চিন্তা কিভাবে টাকা আয় করা যায়?
এরচেয়ে বেশি পয়সা আসবে যদি পীরের দরবার আর মাজারের আয়ে কর বসায় সরকার।