নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার উপরে দেশ - আমার স্বদেশ। ভাল লাগে সততা, সরলতা। খারাপ লাগে নোংরামি, মিথ্যা, অহমিকা, কুটিলতা।
বাংলাদেশে আগামী অর্থ বছরের বাজেট পেশ হবে শীঘ্রই। এই বাজেটের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ সারভাইবাল বা টিকে থাকা। এই লক্ষে আমি কয়েকটি বিষয় সরকারের সদয় বিবেচনার জন্যে পেশ করছিঃ
১) উন্নয়ন বাজেটকে সংকুচিত করে সামাজিক নিরাপত্তা বাজেট বাড়ানো।
২) বাজেটে পেশাগত কাঠামো পরিবর্তনে দিকনির্দেশনা দান এবং এর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্ধ দেয়া। অর্থাৎ পেশা পরিবর্তনের জন্যে কাঠামোগত সুবিধা প্রদান। যেমনঃ যে সকল মানুষ চাকুরি হারাবে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান বা দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় নিয়ে আসা। যথাযত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন কর্মসূচীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জিডিপি ১% বাড়ানো সম্ভব এবং এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়া আনাও সম্ভব।
৩) প্রাইভেট পেনশন ফান্ড গঠনের এবং বিনিয়োগের দিক নির্দেশনা দান ।
৪) যেহেতু আগামী বছর সম্ভাব্য মন্দার বছর, তাই যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন বা আত্নকর্মশীল প্রকল্পের ঊপর গুরুত্ব আরোপ।
৫) দেশের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাখাতকে কভিড ১৯ এর দ্বিতীয় বার আক্রমণ প্রতিরোধের জন্যে সক্ষমতা অর্জনে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ দান। বিশেষ ভাবে বলতে গেলে ভেঙ্গে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আমরা দেখেছি, একই ভাবে আমাদের উচ্ছ শিক্ষাব্যবস্থা যে একেবারেই ভঙ্গুর এবং যুগোপযোগী নয়, তা কভিড ১৯ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে।
৬) কৃষি এবং পশুপালনের স্বনির্ভরতা অর্জনের পাশাপাশি রপ্তানিমুখী কৃষি ও পশুপালন নির্ভর শিল্প স্থাপনে প্রনোদনা দেয়া। এই সেক্টরে মন্দা জনিত কারণে আগামী ৩ বছর বিশ্বব্যাপী চাহিদার সম্ভাবনার সুযোগ নেয়া।
৭) বিদেশ ফেরত দক্ষ কর্মীদের জন্যে দক্ষতা অনুযায়ী আত্নকর্মসংস্থানমূলক কাজের জন্যে প্রনোদনা দেয়া।
৮) বর্তমান চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ রিভিউ করে প্রয়োজনে গতিশ্লত করা।
৯) কভিড১৯ জনিত কারনে প্রতিযোগিতা টিকতে না পেরে বন্ধ হওয়া / বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়া প্রতিষ্ঠানের জন্যে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে দিকনির্দেশনা দান। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিক প্রণোদনা না দিয়ে বরং নন ফাইনান্সিয়াল প্রনোদনা দেয়া। বাংলাদেশে আগামী অর্থ বছরের বাজেট পেশ হবে শীঘ্রই। এই বাজেটের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ সারভাইবাল বা টিকে থাকা। এই লক্ষে আমি কয়েকটি বিষয় সরকারের সদয় বিবেচনার জন্যে পেশ করছিঃ
১) উন্নয়ন বাজেটকে সংকুচিত করে সামাজিক নিরাপত্তা বাজেট বাড়ানো।
২) বাজেটে পেশাগত কাঠামো পরিবর্তনে দিকনির্দেশনা দান এবং এর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্ধ দেয়া। অর্থাৎ পেশা পরিবর্তনের জন্যে কাঠামোগত সুবিধা প্রদান। যেমনঃ যে সকল মানুষ চাকুরি হারাবে তাদের বিকল্প কর্মসংস্থান বা দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় নিয়ে আসা। যথাযত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষন কর্মসূচীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জিডিপি ১% বাড়ানো সম্ভব এবং এর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়া আনাও সম্ভব।
৩) প্রাইভেট পেনশন ফান্ড গঠনের এবং বিনিয়োগের দিক নির্দেশনা দান ।
৪) যেহেতু আগামী বছর সম্ভাব্য মন্দার বছর, তাই যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন বা আত্নকর্মশীল প্রকল্পের ঊপর গুরুত্ব আরোপ।
৫) দেশের স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাখাতকে কভিড ১৯ এর দ্বিতীয় বার আক্রমণ প্রতিরোধের জন্যে সক্ষমতা অর্জনে প্রয়োজনীয় বরাদ্ধ দান। বিশেষ ভাবে বলতে গেলে ভেঙ্গে পড়া স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আমরা দেখেছি, একই ভাবে আমাদের উচ্ছ শিক্ষাব্যবস্থা যে একেবারেই ভঙ্গুর এবং যুগোপযোগী নয়, তা কভিড ১৯ আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে।
৬) কৃষি এবং পশুপালনের স্বনির্ভরতা অর্জনের পাশাপাশি রপ্তানিমুখী কৃষি ও পশুপালন নির্ভর শিল্প স্থাপনে প্রনোদনা দেয়া। এই সেক্টরে মন্দা জনিত কারণে আগামী ৩ বছর বিশ্বব্যাপী চাহিদার সম্ভাবনার সুযোগ নেয়া।
৭) বিদেশ ফেরত দক্ষ কর্মীদের জন্যে দক্ষতা অনুযায়ী আত্নকর্মসংস্থানমূলক কাজের জন্যে প্রনোদনা দেয়া।
৮) বর্তমান চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সমূহ রিভিউ করে প্রয়োজনে গতিশ্লত করা।
৯) কভিড১৯ জনিত কারনে প্রতিযোগিতা টিকতে না পেরে বন্ধ হওয়া / বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়া প্রতিষ্ঠানের জন্যে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা অর্জনে দিকনির্দেশনা দান। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানসমূহকে আর্থিক প্রণোদনা না দিয়ে বরং নন ফাইনান্সিয়াল প্রনোদনা দেয়া।
০৯ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২২
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ জনাব রজীব নূর, আপনার মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত। তাদের এই দুর্নীতিকে জারি রাখতেই উন্নয়ন বাজেট এ বরাদ্ধ দেয়। কারণ বড় উন্নয়ন বাজেট থেকেই সহজেই দুর্নীতি করার সুযোগ থাকে। যেমনঃ একটি উদাহরণ দিই, একটি ঊড়াল সেতু থেকে চাইলেই এক লেনদেনের মাধ্যমেই ১০০ কোটি থেকে হাজার কোটি টাকা দুরনীতি সম্ভব, কিন্তু সামাজিক নেটের কোন প্রজেক্ট থেকে (কৃষকদের থেকে ধান ক্রয়, বয়স্ক ভাতা, শিক্ষিত বেকার যুবকদেরকে ঋণ বা আর্থিক সুবিধা দেয়া) চাইলেই তা সহজে করা যায়না।
দিনে দিনে বাংলাদেশের মানুষ আরও বেশী আত্নকেন্দ্রিক ও ভোগবাদী হচ্ছে - এই অবস্থায় আপনার বর্ণিত দুর্নীতির নেক্সাস থেকে বের হওয়া কঠিন। তারপরও আসুন চেষ্টা করি, সচেতনতাই প্রথম শর্ত।
২| ০৯ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫০
আমি সাজিদ বলেছেন: কোনখাতেই আপনার প্রত্যাশা অনুযায়ী বাজেট হবে না।
০৯ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে। আগামী ২ বছর বিশ্বে মন্দা সময় বিরাজমান থাকবে (থাকতে পারে)। বাংলাদেশের অর্থনীতির ২টি খাত তৈরিপোষাক এবং রেমিটেন্স বিদেশ নির্ভর। দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করে শক্ত ভিতের উপর দাড় করাতে হলে অবশ্যই বিকল্প কর্মসংস্থানের উপর জোর দিতেই হবে মন্দাকালীন সময়ে।
৩| ০৯ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩
বিডিটাইমলাইন বলেছেন: বিডিটাইমলাইন২৪.কম বর্তমানে আমরা একটি কঠিন সময় পার করতেছি, বিগত দিনের বাজেটের সাথে বর্তমান বাজেট তৈরী প্রনয়ন পক্রিয়া একই ভাবে প্রয়োগ করলে কোন আশানুরূপ ফল পাওয়া যাবেনা, তাই নতুন পৃথিবীর জন্য নতুন দিক নির্দেশনা নিয়ে বাজেট তৈরী করতে হবে। ধন্যবাদ
০৯ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
সরলপাঠ বলেছেন: আগামী ২ বছর আপদকালীন সময় বিবেচনা করে কর্মসংস্থানমুখী বাজেট প্রয়োজন। উন্নয়নমুখি বাজেট এই সময়ে দেশকে সামাজিক অস্থিরতায় নিপতিত করবে।
৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো আইডিয়া
১৩ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৪
সরলপাঠ বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী!
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে- মন্ত্রী এমপি নেতা, বড় বড় সরকারি কর্মকর্তারা সবাই'ই বলছেন, দেশে প্রচুর উন্নতি হচ্ছে। অথচ আমি কোনো উন্নয়ন দেখতে পাই না। আমি দেখি রাস্তায় বের হলেই ভিক্ষুক। ফুটপাতে লোকজন রাত্রিযাপন আর বেকার। হ্যা পদ্মা সেতু হচ্ছে। মেট্রোরেল হচ্ছে। এসব দিয়ে তো আর দেশে ভিক্ষুক বা দরিদ্র মানুষ কমবে না।
প্রতি বছর দেশে হাজার হাজার কোটি টাকার বাজেট হচ্ছে। সব মন্ত্রনালয়কে কম বেশি করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এই বরাদ্দের টাকা কত পারসেন্ট দূর্নীতি হচ্ছে? তার হিসাব কি কেউ রাখছে? গত চার মাসে দুদক কয়জন দূর্নীতিবাজকে ধরেছে? এত এত নিউজ পেপার, এত এত টিভি চ্যানেল বা এত এত অনলাইন নিউজ পোর্টাল তারা দূর্নীতিবাজদের গলা টিপে ধরে না কেন? কারন নিউজ পেপার, টিভি চ্যানেল অথবা অনলাইন পোর্টাল গুলোর মালিকগনই হয়তো সবচেয়ে বড় দূর্নীতিবাজ।
রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থাকলে দূর্নীতি করতে সুবিধা হয়। যত দূর্নীতিবাজ আমাদের দেশে আছেন তারা কোনো কোনো রাজনীতিবিদের আত্মীয়, বন্ধু অথবা কাছের লোক। সরকারের সমস্ত কাজকাম মানেই দূর্নীতি। ভূমি অফিস থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ বা গ্যাস-পানি, শিক্ষাখাতসহ সব সেক্টরেই দূর্নীতি। ধর্ম মন্ত্রনালয়েও দূর্নীতি হয়। স্বাস্থ মন্ত্রনালয়ের বেহাল দশা। কাগজে কলমে বরাদ্দ, কাগজে কলমে উন্নয়ন। শিক্ষাখাতের যখন প্রশ্ন আসে- দেখা যায় কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিন্তু শিক্ষার মান একদম শুয়ে পড়েছে। যখন সড়ক নিরাপত্তার কথা আসে- তখন দেখা যায়। হায় হায় সড়কের বেহাল দশা। অথচ পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো।
যখন কোথাও আগুন লাগে, কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়। মানুষ মরে। তখন দেখা যায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিন্তু কাজের কাজ কিচ্ছু হয় নি। যখন স্বাস্থ্যখাতের কথা আসে- দেখা যায় তাদের কোনো উন্নতি হয় নি। সরকারি হাসপাতাল থেকে দালালও দূর হয়নি। হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে আছে রোগী। অথচ প্রতি বছর নিয়ম করে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। বরাদ্দের টাকা গুলো যায় কই? আর কতদিন এভাবে চলবে? চলতেই থাকবে?
যে বা যারা এই টাকা গুলো খাপ করে দেয়।
কাগজে কলমে উন্নয়ন দেখিয়ে, আসল সত্যিকারের উন্নয়ন না হয়ে হাজার হাজার কোটি নাই হয়ে যায়। টাকা গায়েবকারীরা বিদেশ গিয়ে জুয়া খেলে। নারী নিয়ে সমুদ্রের পাড়ে ঘুরে বেড়ায়। বিদেশে গাড়ি বাড়ি করে। দেশে রাজার হালে থাকে। দল বেধে সামান্য মাথা ব্যথার চিকিৎসা করাতে যায় সিঙ্গাপুর। এরাই আবার বড় বড় কথা বলে। লোকজন তাদের বাহবা দেয়। ভাগ্যহত আমরা জিম্মি সেই সব শ্রেণিদের কাছে- যারা শোষক এবং চোর।
এমন উন্নয়নের লাগাম টেনে ধরতে হবে।