![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজের বিবেক কে প্রতারিত করে অন্যকে খুশি করারজন্য কথা বলা ও লেখা একটি প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। সবার সাথে প্রবঞ্চনা করা গেলেও নিজের সাথেকখনো প্রবঞ্চনা করা যায় না।
বেকার সমস্যা ও বাংলাদেশ: বর্তমান বাংলাদেশে বেকার সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, কমনওয়েলথসহ একাধিক সংস্থার সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী গত এক দশকে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে ১.৬ শতাংশ, যেখানে কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধির হার ২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার (আইএলও) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বেকার। এই বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষিত বেকারের হারই বেশি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সূত্র মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি।
বেকারত্বের কারণ: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশে বেকার সমস্যা সৃষ্টির পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানাবিধ কারণ রয়েছে। যেহেটু কথা হচ্ছে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারদের নিয়ে তাই গ্রাজুয়েট বেকারদের সংখ্যা বৃদ্ধির ন্যেপথ্যের কারণ বিশ্লেষণ করা যাক ।
ক্রটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা : ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থা আজও পরিবর্তিত হয় নি। তারা মূলত কেরানি তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও প্রচলিত আছে। শিক্ষিত লোক বাড়ছে অথচ কর্মমুখী শিক্ষিত লোক বাড়ছে না। ফলে শিক্ষিত বেকার সৃষ্টি হচ্ছে। এটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেকার সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ।
কারিগরি জ্ঞানের অভাব : বাংলাদেশে বিদেশি প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও কারিগরি জ্ঞানের অভাবে সে অনুপাতে দক্ষ শ্রমিক যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে, অদক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে থাকে। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও সেই উচ্চশিক্ষার সনদ ধারী শিক্ষার্থিদের মাঝে রয়েছে যথেষ্ট কারিগরি শিক্ষার অভাব । শিক্ষা জিবনে তারা যা শিখে বা পড়ে আসে তার অধিকাংশই কাজে লাগে না তার কর্মক্ষেত্রে ।
উপরোক্ত কারণ ছাড়াও আরও নানা কারণ রয়েছে যার কারণে দেশে গ্রাজুয়েট বেকারদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
কর্মমুখি শিক্ষার কথা নামে থাকলেও আসলে তার বাস্তব রুপ বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে তেমন একটা পরিলক্ষিত নয় ।বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠনাগুলোতে নিয়মিত চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে । কোম্পানি যে ধরনের কর্মি খুজছে তার জন্যে হাজার হাজার এপ্লিকেশন জমা পড়লেও তারা যোগ্য প্রার্থিকে খুজে পাচ্ছে না । কারণ আবেদনকারী সকলের হয়ত আবেদন করার জন্যে উচ্চশিক্ষার সনদটাই রয়েছে শুধু তা ছাড়া তাদের তেমন দক্ষতা বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠনগুলোতে কি কাজ করতে হয় বা কিভাবে করতে হয় তার কোন অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান নেই । বাংলাদেশের পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থি পাশ করে বের হচ্ছে কিন্তু গ্রাজুয়েশন শেষে মিলছে না চাকুরি । আর চাকরি পেলেও দেখা যায় সে যে সাব্জেক্টে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করছে চাকরির সাথে সেই সাব্জেক্ট এর কোন সম্পর্কই নেই । CSE তে পড়া ইঞ্জিনিয়াররা করছে মার্কেটিং এর জব আর BBA কমপ্লিট করে করছে গার্মেন্টস এর জব ।
আর বাংলাদেশের এই বেকার সমস্যার অন্যতম মুখ্য কারণ হিসাবে আমি উচ্চ শিক্ষার শিক্ষা প্রদান পদ্ধতিকে দায়ী করব । একজন মানুষের গ্রাজুয়েশন শেষ হয়ে গেল অথচ তার ওয়ার্কিং ফিল্ড সম্পর্কে কোন ধারনা নেই বা সে যদি নাই জানে চাকরিতে গিয়ে তাকে কিভাবে কাজ করতে হবে তাহলে উচ্চশিক্ষার সনদ ধারি সেই শিক্ষার্থির বেকার থাকাটাই স্বাভাবিক ।
বাংলাদেশে মোট বিশ্ববিদ্যালয় এর সংখ্যা ১৪৩ যার মধ্যে ৪০ টি পবলিক আর ১০৩ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে । আর এই প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রদান পদ্ধতি প্রায় কাছাকাছি । বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজন মত ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড লেখা পড়া হয় বলে আমার জানা নেই । যা হয় তার আসলে বাস্তব ওয়ার্ক ফিল্ডের সাথে তেমন কোন মিল নেই । তবে সম্প্রতি CUST নামে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচারণা চোখে পড়ল দেখলাম তারা এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে । একটা বিষয় আমার ভালো লেগেছে তা হল তাদের স্লোগান “Industry Driven University” যা বাস্তবে রুপ দিতে পারলে গ্রাজুয়েট বেকারদের সংখ্যা অনেক কমবে । সম্ভবত এটিই বাংলাদেশের প্রথন কারগরি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ।তাদের প্রপেক্টাস এ দেখলাম CSE আর BBA প্রোগ্রামের কোর্স আউটলাইনে ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড সিলেবাস । যা বাস্তবে হবে কি না জানি না, তবে কথার সাথে কাজের মিল থাকলে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে । আসলে সরকারের পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা প্রদান পদ্ধতি সিরিয়াসলি আমলে নেয়া উচিৎ । বাংলাদেশে নিয়মিত হাড়ে বেড়ে চলেছে প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা যা অধিকাংশই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে খুলে বসেছে এই সকল প্রতিষ্ঠান । চকচকা ঝকঝকা ক্যাম্পাস দেখে অনেকেই গর্বের সাথে ভর্তি হয় প্রাইভেট ইউনিভার্সিতিতে কিন্তু গ্রাজুয়েশন শেষে অধিকাংশের ভাগ্যে মেলে না উপযুক্ত চাকরি । ক্যাম্পাসের Yo Yo লাইফের মধ্যদিয়ে সে যেই স্বপ্ন দেখেছিলো বাস্তবে শিক্ষা জীবন শেষে তার সামনে একরাশ হতাশা ছাড়া আর কিছুই থাকে না । অনেক ওয়েল ড্রেসড হয়ে থাকা CSE তে সেই ছেলে বা মেয়েটিকেই যৎসামান্য সেলারির বিনিময়ে করতে হয় মার্কেটিং এর জব । এমন হাজার উদাহরন দেয়া যায় যে, চাকরি করছে যেই সেক্টরে তার সাথে সে যে সাব্জেক্টে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে তার কোন সম্পর্কই নেই । আর অধিকাংশ ভালো চাকরির একটি প্রাইমারি ডিমান্ড হচ্ছে অভিজ্ঞতা ।
চাকরিতে সবাই যদি অভিজ্ঞতা চায় তাহলে ফ্রেশারদের অভিজ্ঞতা হবে কিভাবে ? তারা কোথা থেকে জব ফিল্ডের অভিজ্ঞতা পাবে? একজন শিক্ষার্থি তার শিক্ষা জিবনে যে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জন করে বাসবে তা কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা শিখিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আসলে কার ?? দায়িত্ব নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে । বাবা মায়ের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে আমরা যে শিক্ষা অর্জন করছি তা আমাকে কতটুকু উপার্জনক্ষম করে তুলছে ? উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমরা আসলেই কি দেশের উৎপাদনে অংশগ্রহন করতে পারব তা ভাবতে হবে ! ট্রেন্ড এর স্রোতে গা ভাসিয়ে লাখ লাখ টাকা অপচয় করে আমি যে শিক্ষা অর্জন করছি তা কি আমাকে শুধুই একটা সার্টিফিকেট দিবে নাকি আমাকে আমার ভবিষ্যৎ জিবনের জন্যে প্রস্তুত করে তুলবে ?
বেকার সমস্যা ও বাংলাদেশ: বর্তমান বাংলাদেশে বেকার সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, কমনওয়েলথসহ একাধিক সংস্থার সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী গত এক দশকে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে ১.৬ শতাংশ, যেখানে কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধির হার ২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার (আইএলও) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বেকার। এই বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষিত বেকারের হারই বেশি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর সূত্র মতে, বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি।
বেকারত্বের কারণ: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশে বেকার সমস্যা সৃষ্টির পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানাবিধ কারণ রয়েছে। যেহেটু কথা হচ্ছে বাংলাদেশে শিক্ষিত বেকারদের নিয়ে তাই গ্রাজুয়েট বেকারদের সংখ্যা বৃদ্ধির ন্যেপথ্যের কারণ বিশ্লেষণ করা যাক ।
ক্রটিপূর্ণ শিক্ষা ব্যবস্থা : ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের শিক্ষা ব্যবস্থা আজও পরিবর্তিত হয় নি। তারা মূলত কেরানি তৈরির শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিল। সেই শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও প্রচলিত আছে। শিক্ষিত লোক বাড়ছে অথচ কর্মমুখী শিক্ষিত লোক বাড়ছে না। ফলে শিক্ষিত বেকার সৃষ্টি হচ্ছে। এটি বর্তমান প্রেক্ষাপটে বেকার সমস্যার অন্যতম প্রধান কারণ।
কারিগরি জ্ঞানের অভাব : বাংলাদেশে বিদেশি প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বৃদ্ধি পেলেও কারিগরি জ্ঞানের অভাবে সে অনুপাতে দক্ষ শ্রমিক যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে, অদক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে থাকে। বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার হার বৃদ্ধি পেলেও সেই উচ্চশিক্ষার সনদ ধারী শিক্ষার্থিদের মাঝে রয়েছে যথেষ্ট কারিগরি শিক্ষার অভাব । শিক্ষা জিবনে তারা যা শিখে বা পড়ে আসে তার অধিকাংশই কাজে লাগে না তার কর্মক্ষেত্রে ।
উপরোক্ত কারণ ছাড়াও আরও নানা কারণ রয়েছে যার কারণে দেশে গ্রাজুয়েট বেকারদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
কর্মমুখি শিক্ষার কথা নামে থাকলেও আসলে তার বাস্তব রুপ বাংলাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে তেমন একটা পরিলক্ষিত নয় ।বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রি বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠনাগুলোতে নিয়মিত চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে । কোম্পানি যে ধরনের কর্মি খুজছে তার জন্যে হাজার হাজার এপ্লিকেশন জমা পড়লেও তারা যোগ্য প্রার্থিকে খুজে পাচ্ছে না । কারণ আবেদনকারী সকলের হয়ত আবেদন করার জন্যে উচ্চশিক্ষার সনদটাই রয়েছে শুধু তা ছাড়া তাদের তেমন দক্ষতা বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠনগুলোতে কি কাজ করতে হয় বা কিভাবে করতে হয় তার কোন অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান নেই । বাংলাদেশের পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলো থেকে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থি পাশ করে বের হচ্ছে কিন্তু গ্রাজুয়েশন শেষে মিলছে না চাকুরি । আর চাকরি পেলেও দেখা যায় সে যে সাব্জেক্টে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করছে চাকরির সাথে সেই সাব্জেক্ট এর কোন সম্পর্কই নেই । CSE তে পড়া ইঞ্জিনিয়াররা করছে মার্কেটিং এর জব আর BBA কমপ্লিট করে করছে গার্মেন্টস এর জব ।
আর বাংলাদেশের এই বেকার সমস্যার অন্যতম মুখ্য কারণ হিসাবে আমি উচ্চ শিক্ষার শিক্ষা প্রদান পদ্ধতিকে দায়ী করব । একজন মানুষের গ্রাজুয়েশন শেষ হয়ে গেল অথচ তার ওয়ার্কিং ফিল্ড সম্পর্কে কোন ধারনা নেই বা সে যদি নাই জানে চাকরিতে গিয়ে তাকে কিভাবে কাজ করতে হবে তাহলে উচ্চশিক্ষার সনদ ধারি সেই শিক্ষার্থির বেকার থাকাটাই স্বাভাবিক ।
বাংলাদেশে মোট বিশ্ববিদ্যালয় এর সংখ্যা ১৪৩ যার মধ্যে ৪০ টি পবলিক আর ১০৩ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে । আর এই প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রদান পদ্ধতি প্রায় কাছাকাছি । বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজন মত ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড লেখা পড়া হয় বলে আমার জানা নেই । যা হয় তার আসলে বাস্তব ওয়ার্ক ফিল্ডের সাথে তেমন কোন মিল নেই । তবে সম্প্রতি CUST নামে একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচারণা চোখে পড়ল দেখলাম তারা এই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছে । একটা বিষয় আমার ভালো লেগেছে তা হল তাদের স্লোগান “Industry Driven University” যা বাস্তবে রুপ দিতে পারলে গ্রাজুয়েট বেকারদের সংখ্যা অনেক কমবে । সম্ভবত এটিই বাংলাদেশের প্রথন কারগরি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ।তাদের প্রপেক্টাস এ দেখলাম CSE আর BBA প্রোগ্রামের কোর্স আউটলাইনে ইন্ডাস্ট্রি ওরিয়েন্টেড সিলেবাস । যা বাস্তবে হবে কি না জানি না, তবে কথার সাথে কাজের মিল থাকলে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ হবে । আসলে সরকারের পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা প্রদান পদ্ধতি সিরিয়াসলি আমলে নেয়া উচিৎ । বাংলাদেশে নিয়মিত হাড়ে বেড়ে চলেছে প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা যা অধিকাংশই বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে খুলে বসেছে এই সকল প্রতিষ্ঠান । চকচকা ঝকঝকা ক্যাম্পাস দেখে অনেকেই গর্বের সাথে ভর্তি হয় প্রাইভেট ইউনিভার্সিতিতে কিন্তু গ্রাজুয়েশন শেষে অধিকাংশের ভাগ্যে মেলে না উপযুক্ত চাকরি । ক্যাম্পাসের Yo Yo লাইফের মধ্যদিয়ে সে যেই স্বপ্ন দেখেছিলো বাস্তবে শিক্ষা জীবন শেষে তার সামনে একরাশ হতাশা ছাড়া আর কিছুই থাকে না । অনেক ওয়েল ড্রেসড হয়ে থাকা CSE তে সেই ছেলে বা মেয়েটিকেই যৎসামান্য সেলারির বিনিময়ে করতে হয় মার্কেটিং এর জব । এমন হাজার উদাহরন দেয়া যায় যে, চাকরি করছে যেই সেক্টরে তার সাথে সে যে সাব্জেক্টে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে তার কোন সম্পর্কই নেই । আর অধিকাংশ ভালো চাকরির একটি প্রাইমারি ডিমান্ড হচ্ছে অভিজ্ঞতা ।
চাকরিতে সবাই যদি অভিজ্ঞতা চায় তাহলে ফ্রেশারদের অভিজ্ঞতা হবে কিভাবে ? তারা কোথা থেকে জব ফিল্ডের অভিজ্ঞতা পাবে? একজন শিক্ষার্থি তার শিক্ষা জিবনে যে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জন করে বাসবে তা কিভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা শিখিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আসলে কার ?? দায়িত্ব নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে । বাবা মায়ের কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে আমরা যে শিক্ষা অর্জন করছি তা আমাকে কতটুকু উপার্জনক্ষম করে তুলছে ? উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আমরা আসলেই কি দেশের উৎপাদনে অংশগ্রহন করতে পারব তা ভাবতে হবে ! ট্রেন্ড এর স্রোতে গা ভাসিয়ে লাখ লাখ টাকা অপচয় করে আমি যে শিক্ষা অর্জন করছি তা কি আমাকে শুধুই একটা সার্টিফিকেট দিবে নাকি আমাকে আমার ভবিষ্যৎ জিবনের জন্যে প্রস্তুত করে তুলবে ?
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৩২
শামীম ক্ষ্যাপা বলেছেন: সবকিছু থাকা সত্ত্বেও সময় উপযোগি মানুষই সৃষ্টি করতে পারছিনা আমরা তার অন্যতম প্রধান কারন হচ্ছে এই মূনাফাধর্মী অর্থ ব্যবস্থায় শিক্ষাকে পণ্য করে করা হচ্ছে বানিজ্য । আর বানিজ্য করলেও তাতে পণ্যের মানের কোন নিশ্চয়তা নেই !!! আর সনদধারী শিক্ষিতদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শ্রেনী বৈষম্য ব্যপকভাবে পরিলক্ষিত । শুধু চাকরীর বাজারে নয় সমাজেও যেমন কোন সাব্জেক্ট , কোন প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি ।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সময়ের ডাক শুনে শিক্ষাব্যবস্থাতে পরিবর্তন না আনলে বেকার সমস্যা মহামারী আকার ধারণ করবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজার ধরে/ ধরার জন্য দেশে কলকারখানা গড়ে তোলার ব্যপারেও সরকারের এগিয়ে আসা উচিত। তাহলে দেশও আগাবে, বেকারত্বের সমস্যা থেকেও জাতি মুক্তি পাবো।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২২
শামীম ক্ষ্যাপা বলেছেন: ঠিক বলেছেন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা্য পরিবর্তন এর বিষয়টিকে অনেক গুরুত্ত্বের সাথে আমলে নিতে হবে অন্যথায় অনেক পিছিয়ে পরে থাকতে হবে আমাদের ।
৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রাজুয়েট বেকার থাকার প্রধান কারন হচ্ছে ক্ষমতাবান মামা চাচা না থাকা।
৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজে কি করেন?
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৯
শামীম ক্ষ্যাপা বলেছেন: আসলে আমি নিজে কি করি এখানে এই প্রশ্নের প্রাসঙ্গিকতা খুজে পাচ্ছি না । যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন ।
৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৪
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি নিজে কি করেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৪
রাফা বলেছেন: সহজ সরল বাংলায় বললে আমরা যুগ এবং সময় উপযোগি মানুষই সৃষ্টি করতে পারছিনা।সেটার প্রতিফলন‘তো সমাজে প্রকট আকার ধারন করবেই।অধিকাংশ মানুষ শিক্ষার ক্ষেত্রে একই দিকে ধাবিত হোচ্ছে।এর প্রধান কারন আমরা অন্যান্য শিক্ষায় শিক্ষিতদের অব মুল্যায়ন করি।সমাজে তাদেরকে গুরুত্বহীন দৃষ্টিতে দেখা হয়।মনে করি তারা তাদের বিষয় ব্যাতিত অন্য কোন খেত্রে ভুমিকা রাখার মত যোগ্যতা রাখেনা।
সোজা কথায় বললে সর্বক্ষেত্রেই আমরা একটি বিশেষ শ্রেনি ও শিক্ষায় শিক্ষিতদের একটু বেশিই মুল্য দিয়ে বাকিদের পুরোপুরি অবমুল্যায়ন করি।অর্থাত সমাজ,রাষ্ট্র ও ব্যাক্তি জিবনে প্রতিটি মানুষের ভুমিকা অপরিহার্য ।এটা শুধু কাগজে কলমে লিপিবদ্ধ করে রাখার বিষয় নয় ।সমাজে এর প্রতিফলন দেখার বিকল্প নেই।
আমার দ্বষ্টিকোন এটাই বলে।ভালো লিখেছেন।
ধন্যবাদ,শা.আহমেদ।