নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ক খ গ

শামসুদ্দীন হাবিব

আমি অতি সাধারন একজন মানুষ,নিজকে নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা নাই।পেশায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার,একসময় নাটকে ক্যামেরার পেছনে কাজ করেছি।টুকটাক লেখালেখি করি।হাসতে ভালোবাসি,ভালোবাসি হাসাতে।এই তো।

শামসুদ্দীন হাবিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপেক্ষা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৩১


শীতের রাত,থাই গ্লাস ভেঙ্গে ঠান্ডা ঢুকে পড়তে চাইছে রুমের ভেতর।গত বিশ বছরের মধ্যে এমন শীত ঢাকায় অনুভব করা যায় নাই।মেয়েটা জানালায় দাঁড়িয়ে মেইন রোডের দিকে তাকিয়ে আছে,অভিজাত এলাকা বলে ঢাকার পরিচিত জ্যাম নাই,সাঁই সাঁই শব্দে আলোর বৃত্ত বাম থেকে ডানে মিলিয়ে যাচ্ছে।রুমটা বদ্ধ বলে মেয়েটার নিঃশ্বাস জলীয় বাস্প হয়ে থাই গ্লাসে বিন্দু বিন্দু জলের ফোঁটা তৈরী করছে।জীবনে প্রথমবারের মত ফাইভ ষ্টার হোটেলে ঢোকার অভিজ্ঞতাকে সে স্মরণীয় করে রাখতে চাইছে তাই রুমের ভেতরের প্রতিটা জিনিস সে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছে।হালকা সোনালী আলোয় শরীর ডুবে আছে মেয়েটার একদম মনে হচ্ছে হলিউডি মুভির রঙের মত।হলিউডি মুভির রঙ দেখলে মেয়েটার মাথাই নষ্ট হয়ে যায়।একেকবার মনে হয় জন্মটা ভুল যায়গায় হয়ে গেছে।মেয়েটার রুপ এবং শারীরীক সৌন্দর্য্যের যে মেলবন্ধন তা খুবই কম হয়,মনে হয় সৃষ্টিকর্তা নিজেও তার এমন সৃষ্টিতে বিমোহিত হবেন।পাতলা শরীরের সাথে মাথাভর্তি রেশমী চুল,আই শ্যাডো থেকে শুরু করে মাশকারা সবকিছুই নিপুন ভাবে লাগান হয়েছে।মেয়েটার চোখ দেখলে মনে হবে সাগরের নীলাভ পানি স্থির হয়ে আছে,যেকোন সময় অস্থির হয়ে ঢেউ আছড়ে পড়বে।কাঁচা হলুদের সাথে চুন মেশালে যে রঙের ছটা বেড় হয় মেয়েটার গায়ের রঙ তেমনি।মেয়েটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের,চলাফেরা উচ্চবিত্তের মত।
মেয়েটা বেশ খানিকক্ষণ থাই গ্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে,তারপর রুমের ভেতর রাখা গোছালো সোফায় শরীর এলিয়ে দিতে চায়,কি মনে করে জড়োসড়ো হয়ে হয়ে বসে গা এলিয়ে দেয় না।রুম হীটার জ্বালানো তারপরেও শীত করতে চাইছে।মেয়েটার পরনে পাতলা ফতুয়া এবং ফেড জিন্স।এসব পোশাকের সাথে ওড়না বেমানান।আর কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে তাকে?অপেক্ষার প্রহর শেষ হলে যে লোকটা তার কাছে আসবে সে দেখতে কেমন?তার বয়সই বা কেমন?নানা প্রশ্ন মাথায় আসে।তার পলকা শরীরটা নিয়ে খেলবে সে,নতুন কেনা খেলনার মত উল্টিয়ে পালটিয়ে দেখবে,হয়ত ওয়াইনে ছোঁয়ান ঠোঁট তার গোলাপী আভা খেলা করতে থাকা ঠোঁট অবধী নেমে আসবে।কানের কাছে গরম নিঃশ্বাস আর হৃদপিন্ডের দমক টের পাওয়া যাবে।আঠের বছর ধরে লুকিয়ে রাখা নিজেকে উজার করে দিতে হবে।প্রথম রজঃস্বলা কিশোরী অবস্থায় যেমন ভয় পেয়েছিল এখন তেমন ভয় লাগছে তখন মায়ের কাছে ছুটে গিয়েছিল এখন কারও কাছে মেয়েটা যেতে পারছে না।হয়ত প্রথম সঙ্গমের রক্ত ধবধবে সাদা বিছানায় আলপনা তুলবে,লোকটা ভারজিন মেয়ের স্বাদ পেয়ে ক্রুর হাসি হাসবে,নিজেকে কিভাবে নিজের কাছে লুকাবে মেয়েটা।
লোকটা বি এস টি আইয়ের সহকারী পরিচালক,প্রচুর ক্ষমতা তার।লোকটা মেয়েটার সঙ্গ পেয়ে খুশী হলে কুদরত এনার্জী ড্রিঙ্কস পাবে অনুমোদন আর মেয়েটা হবে ড্রিংকসের টপ মডেল।এতটুকুই জানে মেয়েটা।
টী টেবিলে কতগুলো শীতকালীন ফল রাখা,কমলা মেয়েটার খুব প্রীয় কিন্তু এখন খেতে ইচ্ছে করছে না।শীতের মাঝেও এখন তার বগলের নীচে ঘাম হচ্ছে।মেয়েটা বডি স্প্রে বেড় করে বেশ কয়েকবার শরীরে স্প্রে করে।তীব্র গন্ধ সারা ঘরময় ছড়িয়ে পড়ে,রুম হীটারের সাথে মিশে পোড়া গন্ধের তৈরি করে।মেয়েটার অপেক্ষা কতক্ষণ চলবে কে জানে।
মেয়েটা এবার দক্ষিণের থাই গ্লাসে দাঁড়ায়,এখান থেকে পার্কিং লটটা ষ্পষ্ট দেখা যায়।রং বে রঙ্গয়ের বাহারি সব কার।মেয়েটা যখন অনেক বড় মডেল হবে,অনেক টাকার মালিক হবে তখন কফি কালারের টয়োটা এফ প্রিমিও কিনবে।এর চেয়ে বেশী সে আশা করতে পারে নাই।জলীল ভাই যে গাড়িতে করে তাকে এখানে রেখে গেছে সেটা বেশী ভাল না,এসি ছাড়লে কেমন বিদঘুটে গন্ধ বেড় হয়।মেয়েটার আর একটা শখ আছে ঢাকা শহরে তার নিজের ফ্ল্যাট হবে,ফ্ল্যাটের ইন্টেরিওর ডেকোরেশন হবে অনেকটা এই হোটেলের রুমের মত।সারা ঘরময় থাকবে হলিউডি মুভীর মত হালকা সোনালি রঙ এ পরিপুর্ন,যেখানেই সে হাঁটবে হলিউডের ছোঁয়া পাবে।
রাত গভীর হচ্ছে,ঢাকা শহর আরো জেগে উঠছে যেন,অন্তত হোটেল র‍্যাডিসন এর সামনে তাকালে তাই মনে হয়।লোকটা আর কত দেরী করবে?কিছু কিছু অপেক্ষা অনেক মধুর হয়।এটা কি মধুর অপেক্ষা?না তা হবে কেন? তবে লোকটা যত দেরী করে আসে ততই ভাল,তার সতীত্ব আরও কিছুক্ষন রক্ষা পাবে তাহলে।
মেয়েটা নিজেকে নিয়ে অনেক আশাবাদী।সে নিজে জানে সে অনেক রুপবতি একজন মেয়ে।মেয়েটা আরও অনেক কিছুই জানে না।যেটা জানে না সেটা তার জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারন হবে।মেয়েটার মধ্যে এমন কোন চিন্তা কখনও আসে নাই।
কার পার্কিং লট ছাড়িয়ে সবুজে ঘেড়া লন,সেখানে গাছের গায়ে নানা ধরনের বাতি জ্বলছে ,গাছের ডালে ডালে ফানুশ ঝোলান।নিজেকে টেনশন মুক্ত রাখতে মানুষ স্বভাবতই প্রকৃতির দিকে মুখ ফেরায়।
মেয়েটা পায়ে হালকা শীত অনুভব করছে,সে দেখেছে যখন বেশী টেনশন হয় তখন তার পায়ে শীত লাগে।
ভ্যানিটি ব্যাগের ভেতরে রাখা পাতলা বার্মিজ চাদড় পায়ে জড়ায় মেয়েটা।চাদড়টা বেশ উষ্ণ,এটা তার জন্মদিনের গিফট।আঠেরতম জন্মদিনে বাবা সিলোফেন পেপারে মোড়ানো এই চাদড়টা মেয়েটাকে গিফট করেছিল।
মেয়েটা কোনমতেই তার পরিবারের কথা মনে করতে চাইছিল না,এটা মনকে নরম করে দেয় কার্যত মূল কাজ থেকে মনকে ঘুড়িয়ে দেয়।মেয়েটা এই মুহুর্তে ওদের কথা ভাববে না,ওদের জন্য সময় রাখা থাক।
কিছুটা তন্দ্রা পাচ্ছে মেয়েটার,ধবধবে সাদা বিছানায় শুয়ে ওটার পরিপাটভাব নষ্ট করতে চাচ্ছে না।সাদা বেলীফুলের বনের ভেতর দাঁড়িয়ে আছে যেন সে।বেডের পাশে একটা রকিং চেয়ার পাতা,ওটাতে বসে দোল খাওয়া যেতে পারে।মেয়েটা কখনো রকিং চেয়ারে বসে নাই।প্রথম ধাক্কায় মনে হল সে পড়ে যাবে।পড়ে ব্যাপারটা ঠিক হলেও মনের ভেতর সবসময় খচখচ করতে থাকে এই বুঝি চেয়ার উল্টিয়ে গেল।অনভ্যস্ত হলে যা হয় আর কি।
মেয়েটা কি মনে করে ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে সেলফোনটা বেড় করে।ফোনটা সাইলেন্ট করা ছিল।ও মাই গড! এত্তগুলান কল এসেছিল? মেয়েটা নিজের মনেই বলে।
অন্তত বিশবারের মত কল করেছে জলীল ভাই।কি যে হবে আজ!
এই মুহুর্তে দড়জায় কড়া নাড়ার আওয়াজ পাওয়া গেল।
মেয়েটা নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে যতদুর সম্ভব শান্তভাবে দড়জা খুলল।
এক্সকিউজ মি ম্যাম,এনি প্রোবলেম?
না তো।
জলীল স্যার আপনার খোঁজ নিতে বললেন।
লোকটার মুখে একধরনের মেকি হাসি,যার অর্থ তুমি কি কাজে এসেছ তা সম্পর্কে আমি অবগত।
ধন্যবাদ খোঁজ নেওয়ার জন্য,আপনি এখন আসতে পারেন।
জলীল ভাই খুব টেনশন করছিল,মেয়েটা ফোনে কথা বলেই তা বুঝতে পারল।
শোন ওনার যেতে একটু দেরি হতে পারে,জরুরী মিটিং এ আছেন।তুমি বোর হচ্ছ না তো?
মেয়েটা কাঁপা গলায় বলল না তো জলীল ভাই।
তোমার ডিনার রুমে পাঠাচ্ছি,রাত তো অনেক হয়েছে।
আমি রাতে কিছু খাব না জলীল ভাই,খেলেই ঘুম পেয়ে যাবে।মেয়েটার মধ্যে এখনও শিশুসুলভ স্বভাব স্পষ্ট।
মেয়েটা পায়চারী করছে,ওর তুলতুলে পা জাবড় কাটানোর মত দলাই মলাই করে মেঝেতে রাখা কার্পেটের ওপর সুড়সুড়ি খেলছে।ঢেড়সের মত ছড়ানো আঙ্গুলগুলো দিয়ে চুলে বিলি কাটছে।এতক্ষণে মেয়েটা খুব নিঃসঙ্গ বোধ করছিল,জলীল ভাইয়ের ফোন তাকে খানিকটা স্বাভাবিক করে এনেছে।রুমটার উত্তর দিকের দেয়ালে বিশাল এল ই ডি টেলিভিষন।মেয়েটার একবার ইচ্ছা করল টিভি ছেড়ে খানিকটা সময় কাটাবে কি ভেবে সেটা করল না।এই বোকা বাক্সটা তার মাথা খেয়েছে।
হঠাত করে দক্ষিনের গ্লাসে চোখ পড়ায় মেয়েটার মুখ হা হয়ে যায়।এত সুন্দর দৃশ্য বোধকরি সে জীবনে এই প্রথমবার দেখছে।আটতালার এই রুমের গ্লাস ভেদ করে সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে মেঘের মত কুয়াশা আকাশ থেকে নেমে আসছে,ধোঁয়ার মত কুন্ডলী পাকিয়ে পার্কিং লটের পাশে লনে এসে হুটোপুটি খাচ্ছে।জীবন এত সুন্দর কেন?এই প্রথম জীবনটাকে তার কাছে অর্থপুর্ণ মনে হচ্ছে।এও মনে হচ্ছে যে কাজের জন্য সে এসেছে এটা কোনমতেই ঠিক হয়নি।এখন সে ফিরে যেতেও পারবে না।

লোকটা এল কুয়াশাগুলোর মত ঝড়ের বেগে।মধ্যবয়েসী লোকটার মাথায় চুল কম,দেখতে বেশ প্রানবন্ত।ওভারকোটে ঢাকা লোকটাকে দেখে পশ্চিমাদের মত মনে হচ্ছে,শুধু মাথায় একটা হ্যাট থাকলেই হত।
মেয়েটা সোফার এককোণে গুটিশুটি হয়ে বসে আছে,এখন তার ভীষন কান্না পাচ্ছে।
এই মেয়ে এভাবে বসে আছ কেন?মুখ তোল,এদিকে এস।
কথাগুলো মেয়েটার কানে শেলের মত লাগে।
ও মাই গড! তুমি তো দেখি একদমই বাচ্চা মেয়ে।জলীল এটা কি করল?
মধ্যরাত, লনের কুয়াশাগুলো মিলিয়ে যাচ্ছে,খুব দ্রুত।
এই লোকটার কাছে মেয়েটার সব লজ্জা বিসর্জন দিতে হবে!মেয়েটা একটু ফুঁপিয়ে উঠল যেন।
এই মেয়ে ডু ইউ নো?ইউ আর দ্যা মোস্ট প্রিটিয়েষ্ট গার্লস ইন দিস ওয়ার্ল্ড।
মেয়েটা সেটা জানে।
হোয়াই ইউ আর লুকিং সো ডিপ্রেসড?
তুমি বিশাল মডেল হবে!লোকে তোমাকে এক পলক দেখার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে,অটোগ্রাফের জন্য লাইন পড়ে যাবে! তাই না?
হাও ফাকিং বিউটিফুল!
মেয়েটা নিজের মধ্যে শামুকের মত গুটিয়ে যাচ্ছে।সে কি করে এত বড় সদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল?
লোকটা ওভারকোট খুলে ফেলে,পকেট থেকে ক্যান বেড় করে গলায় দুই তিন পেগ ঢেলে দেয়।ওভারকোট হ্যাঙ্গারে রাখতে রাখতে বলে।
দেয়ার আর টু ক্যাটাগরিজ পিপল ইন দিস ওয়ার্ল্ড,ইউ নো প্রিটিয়েষ্ট গার্ল?
একদল জীবন বেচে দেয়,আর এক দল কেনে।তুমি কোন দলে থাকতে চাও হানি?
মেয়েটার দম বন্ধ হয়ে আসছে,হলিউডি মুভিতে ভালোবাসার মানুষদের হানি ডাকা হয়।গলায় কিছু একটা আটকে গেছে মনে হয়।পায়ে শীত লাগছে,খুব।বার্মিজ চাদরটা নিয়ে পা জড়িয়ে ফেলে মেয়েটা।
লোকটা কিছুক্ষণের জন্য কথা বন্ধ করে রকিং চেয়ারে গা এলিয়ে দেয়,হয়ত একটু তন্দ্রাও আসে।মেয়েটা সেই একইভাবে বার্মীজ চাদড়ে নিজের পা ঢেকে রাখে।পায়ে ঠান্ডা লাগলেও আবার তার বগল ঘামছে।আইশ্যাডো আর মাশকারার কি অবস্থা মেয়েটা এখন সেটা নয়ে ভাবছে না।লোকটা আবার কখন জাগবে সেটা নিয়ে সে চিন্তিত।
লোকটার সেলফোনে রিং আসলে ধড়মড় করে ওঠে।
মেয়েটার কাছে লোকটাকে পাগল বলে মনে হয়,এটা একটা বাড়তি ভয়ের কারন।এ ধরনের লোকেরা কখন কি করে বোঝা যায় না,খারাপ খুব বেশী খারাপ হবে কি?মেয়েটা এখন ধীরে ধীরে অনুভুতি হারাচ্ছে।

লোকটা কথা বলছে তার স্ত্রীর সাথে।
আমি আগেই বলেছি আজ আসতে পারব না,তুমি বসে আছ কেন?ঘুমিয়ে যাও।
আমি র‍্যাডিসনে।
বিদেশী ক্লায়েন্ট আছে।
ডিনার এখানেই করে নেব,রাখছি।
হেই হানি তুমি কাঁদছ কেন?কাঁদবে না বলছি যারা কান্না করে আই হেট দেম।তুমি যে লাইনে এসেছ এখানে কান্নার কোন দাম নেই।
টেক,একটু স্কচ খাও দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে।
মেয়েটা হাত বাড়ায় না। নিঃশব্দে জানালার দিকে তাকিয়ে থাকে।
লোকটা আরও কিছুক্ষণ নেশা করতে চায়।
প্লীজ আপনি আর ড্রিঙ্কস করবেন না।
হা হা হা ইউ টেল মি নট টু ড্রিঙ্ক।ওকে ফাইন আই ডাম্পড দেম,নাও প্লীজ গীভ মী কম্পানী।
লোকটা মেয়েটার দিকে এগিয়ে যায়,মেয়েটা অনুভূতিহীন হয়ে পড়েছে একটা কথাও তার মুখ থেকে বেড় হচ্ছে না।
শেষ রাত,আর কিছুক্ষন পর আযান হবে।লোকটা বেহুঁশ হয়ে ঘুমুচ্ছে।মেয়েটা সারা রাত অবধী বসে রইল সোফার ওপর।পায়ে এখনও বার্মীজ চাদড় জড়ানো।তার অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না।


শামসুদ্দীন হাবিব
মাওনা(১১.০৮.২০১৪)











মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.