![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি সাধারন একজন মানুষ,নিজকে নিয়ে খুব বেশি প্রত্যাশা নাই।পেশায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার,একসময় নাটকে ক্যামেরার পেছনে কাজ করেছি।টুকটাক লেখালেখি করি।হাসতে ভালোবাসি,ভালোবাসি হাসাতে।এই তো।
লোকটা সকাল সকাল ঘুমাতে চেয়েছিল,পারল না।লোকটা মন্ত্রী অনেক চেলা চামুন্ডা তাকে ঘিরে ছিল।মন্ত্রী সাহেব মফঃস্বলে এসেছে্ন,আগামিকাল তাকে কেন্দ্র করে একটা জনসভা আছে।আগামিকাল আসলেই হত,কি মনে করে একদিন আগে এসে এলাকার সরকারি বাংলোতে উঠেছেন।নেতারা খাতিরের কমতি রাখে নাই,অন্তত দশ রকমের মৌসুমী ফল,দেশি মাছ,মুরগীর মাংস,কচি খাসী থেকে শুরু করে অন্নপুর্না মিষ্টান্ন ভান্ডার থেকে সব পদের মিষ্টান্ন।সাথে বিদেশী মদের আয়োজনও আছে। মফঃস্বলে বিদেশী মদের ব্যাবস্থা কি করে হল?মন্ত্রী সাহেব প্রীত হলেন।তাকে কেন্দ্র করে এমন আয়োজন হবে এটা স্বাভাবিক ।এরা মনে হয় একটু বেশী করে ফেলেছে।
বাইরে মাইকে ঘোষনা হচ্ছে,ভাইসব ভাইসব আমাদের প্রাণপ্রীয় মন্ত্রী মহোদয়ের আগমন উপলক্ষে আগামীকাল ঐতিহাসিক বালুচর মাঠে এক বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়েছে,উক্ত জনসভায় আপনারা….লোকটার গলা ভালো,একে নিয়ে ভালো কাজে লাগানো যায়।
রাতে নেতার দল এল দেখা করতে,দুই একজন নেতা ছাড়া সবাইকে চিনেও না চেনার ভান করলেন মন্ত্রী সাহেব,সবাইকে পরিচয় করাতে গিয়ে রাত বেশী হয়ে গেল।শালার মানূষ কিচ্ছু বোঝে না যে কারনে সে চিনতে চাইল না সেটাই তাকে ঘিরে ধরল,স্যার আপনি আমাকে চিনতে পারলেন না?আমি চাটমোহর কলেজের ভি পি ছিলাম,সেবার যখন দলের দুই পক্ষের মারামারির ভেতর পড়লেন আমিই আপনাকে কোলে করে আমার বাড়িতে লুকিয়ে রেখে বাঁচিয়েছিলাম।এই লোক এখন মন্ত্রিত্ব বহাল থাকা পর্যন্ত জ্বালাবে ।
আরও অনেক উটকো ঝামেলা আসল।
জনসভার শুরুতে মন্ত্রীসাহেবকে সোনার তৈরী দলের প্রতীক উপহার দেওয়া হবে,সেটাও দেখাতে এনেছে।দেখেই মন্ত্রীসাহেব ক্ষেপে গেলেন।
আমি কি পুঁচকে মন্ত্রী?
কেন স্যার?
প্রতীক এত ছোট কেন?সোনার কি অভাব পড়েছে দেশে?কোটি কোটি টাকার কাজ দিয়েছি তোদের এত টাকা কামাইলি!সব গেল কই?
আজ রাতের মধ্যে এইটার যা সাইজ আছে তার চার ডবল করবি,জনসভার পেছনে থাকা জনগনও যেন ষ্পষ্ট দেখতে পায়।
আর জনসভায় লোকজন কেমন হবে?পয়সা ঠিক যায়গায় ঢালা হয়েছে তো?টাকা কিন্তু কম দেই নাই!জনসভায় লোক কম হলে পাছায় লাত্থি দিয়ে দল থেকে বেড় করে দেব।
চেষ্টা করছি স্যার।
চেষ্টার গুষ্ঠী কিলাই,তুমি এখন বিদায় হও।
সবশেষে এল দলের পাবনা জেলার সভাপতি।
কিরে তুই?চেহারার এমন হাল হয়েছে কেন?খালি ধান্দা করিস আর বসে বসে খাস,না কি?
আমার খাদ্য কই?
সাথেই আনছি ভাই,বলে ব্রিফকেস এগিয়ে দিল।
মন্ত্রীর পিএস সাথেই ছিল,হাত বাড়িয়ে ব্রিফকেস নিল,ওজন এত কম ক্যান?
ভাই কম নাই,পুরা পঞ্চাশ আছে।পরের কাজটা দিয়েন আরও বাড়ায়া দেব।
মন্ত্রী সাহেব ব্রিফকেস খুলে কড়কড়ে টাকার গন্ধ নিলেন।আমার দিল খুশ হয়েছে।সবুর তুমি বাইরে যাও,এখন আমি মদ খাব,আয় ভাই এক সাথে মদ খাই।
সভাপতি এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি,বাধ্য হয়ে করতে হল।ভাই আমার বহুত কাজ বাকি,প্যান্ডেল খাটানো ঠিকঠাক হয়েছে কিনা দেখতে হবে,মঞ্চের কাজ এখনও শেষ হয়নি।
দিল্লীর বাদশাহদের পানশালায় পান করার সৌভাগ্য সবার হত না,বাদশাহ যাদের আমন্ত্রণ করতেন শুধু তারাই বাদশাহর সাথে পান করতে পারত, আমিও এটা অনুসরন করি তুমি এতবড় সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করলে?
ভাই বেয়াদবি নেবেন না,আমার অনেক কাজ বাকি।
ঠিক আছে বিদায়।
মন্ত্রী সাহেব বোতলের মুখ খুললেন।পাশে আইস কিউব রাখাই ছিল।মন্ত্রীসাহেব আবার আইস মেশানো ছাড়া মদ খান না।স্কচের মজাই আলাদা, মন্ত্রী ধীরে ধীরে নেশায় ডুবতে থাকলেন।পাশে কেউ নাই।এরা একটা বড় ভুল করে ফেলেছে,কচি মেয়ের ব্যবস্থা করে নাই।স্কচের সাথে কচি মেয়ে ব্যাপারটা বেশ হত।
মন্ত্রীর মাথায় সুরের মত বাজতে থাকে স্কচের সাথে কচি মেয়ে,স্কচের সাথে কচি মেয়ে,বাহ বেশ তো।এটা নিয়ে একটা কবিতা লেখা যেতে পারে।
স্কচের সাথে কচি মেয়ে…..
আনন্দ দেবে নেচে গেয়ে...
পরের লাইন মেলাতে পারছেন না মন্ত্রী সাহেব।
এভাবে বেশ খানিকক্ষণ গেল।মন্ত্রী সাহেব কবিতার পরের পদ মেলাতে না পেরে আরও দুই পেগ গলায় ঢাললেন।এবার মাথা বেশ পরিষ্কার লাগছে।
মফঃস্বলের বাংলো হলেও মন্দ না,সব রকমের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা আছে।এসি থেকে শুরু করে গীজার সবই আছে।বাংলোর সামনে আবার একটা ফুলের বাগান,সেখান থেকে হাস্নাহেনা ফুলের গন্ধ নাকে লাগছে।হাস্নাহেনার গন্ধ খুব তীব্র,এই ফুলের গন্ধে সাপ আসে।মন্ত্রী সাহেব এটা জানেন।নির্জন রাতে সাপ আসলে তার অবস্থা খুব খারাপ হবে,কার্বলিক এসিডের ব্যবস্থা আছে কি না কে জানে।সবুরকে ডাকতে ইচ্ছে করছে না।হারামজাদাটাও নিশ্চয়ই এতক্ষণে মদ খেয়ে বিভোর হয়ে আছে।সবুরের কনভিন্সিং পাওয়ার ভালো,কিভাবে জানি সবাইকে ম্যানেজ করে ফেলে।যে প্রজেক্ট থেকে দুই কোটি আসার কথা সেখান থেকে কমসে কম আড়াই কোটি নিয়ে আসবে।
এমন কাজের লোক সচরাচর জোটে না।
আপাতত সাপের প্রসংগ ভুলে যান মন্ত্রী সাহেব।কালকের জনসভায় বক্তৃতায় কি বলা হবে সেটা লেখা হয়েছে কি?না হলেও কোন অসুবিধা নাই এ দেশের লোক প্রতিশ্রুতি খেতে খুব ভালোবাসে।তার ঝুলিতে প্রতিশ্রুতির কোন অভাব নাই।
মাথার ঝিমুনি কেটে যাচ্ছে,মন্ত্রী সাহেব আরও দুই পেগ গলায় ঢাললেন,বিদেশী মদের মজাই আলাদা ধীরে ধীরে নেশায় ডুবিয়ে দেয় কিন্তু উন্মত্ততা আনে না।
মন্ত্রী সাহেবের চোখে ঢুলুনী আসছে,চোখ কি লাল হয়েছে?
বেডের পাশে রাখা ড্রেসিং টেবিলের দিকে এগিয়ে গেলেন।প্লাই উডের ড্রেসিং টেবিলে ঝকঝকে বেলজিয়াম গ্লাস লাগানো।
চোখ বেশ লাল হয়েছে,মনে হচ্ছে রক্ত বেড় হবে।মন্ত্রী সাহেব খানিকটা ভয় পেলেন।আঙ্গুল দিয়ে পরীক্ষা করলেন আসলেই তার চোখ দিয়ে রক্ত বেড় হচ্ছে কি না!নাহ ভয় নাই।ভয় কেটে গেলে মন্ত্রী সাহেব নিজের পেছন দিকটায় কিসের সূড়সূড়ি অনুভব করলেন।মন্ত্রী সাহেব ভাবলেন হয়ত চুলকানীর কারনে এরকম হয়েছে।হাত বাড়িয়ে চুলকাতে গিয়ে বিষম খেলেন।সাপের লেজের মত কিছু একটা তার পশ্চাদ্দেশ দিয়ে পাজামার সেলাই ফুঁড়ে বেড় হয়েছে।টিকটিকির লেজের মত ক্রমেই বড় হচ্ছে সেটা। এই অবস্থায় ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক ,মন্ত্রী সাহেব প্রাণপণে চেষ্টা করছেন লেজটার বড় হওয়া থামাতে।একবার হেচকা টান দিয়ে ছিড়ে ফেলার চেষ্টাও করলেন,কাজ হল না বরং অমানুষিক ব্যাথায় চীৎকার করে উঠলেন।
লেজটা বড় হতে হতে ছাদ পর্যন্ত গিয়ে ঠেকল।লেজটাকে নিয়ন্ত্রণ করার কোন উপায়ই পাচ্ছেন না মন্ত্রী সাহেব।চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নাই তার।লেজটা এবার ফ্যানের দিকে এগিয়ে গেল।মন্ত্রী সাহেব শেষ বারের মত লেজটা ধরে টানাটানি করে এর গতিবিধি পরিবর্তন করার চেষ্টা করলেন,এবার লেজটা বেশ ক্ষেপে গেল মনে হয় ,নিজে থেকেই ফ্যনটা বন্ধ করে হ্যাচকা টানে মন্ত্রী সাহেবকে ঝুলিয়ে ফেলল,ব্যাপারটা ঘটল এক নিমেষে।মন্ত্রী সাহেবের নেশার ঘোর কেটে যাচ্ছে।নিজের উপর সব রকমের নিয়ন্ত্রণ তিনি হারিয়ে ফেলেছেন।হাঁচড় পাঁচড় করে কিছু একটা ধরার চেষ্টা করছেন।তেমন কিছু পাওয়া গেল না।এখন চিৎকার করে মানুষ ডাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই মন্ত্রী সাহেবের কাছে।উল্টো হয়ে চীৎকার করা খুব সহজ কাজ না,নিজের শরীরের সব জোড় দিয়ে তিনি চীৎকার করে উঠলেন,আশ্চর্য! গলা থেকে কোন আওয়াজই বেড় হল না।বরং মনে হল তার জিভে টান ধরেছে,নিজে থেকে মুখ হা হয়ে গেলে সাপের জিভের মত তার জিভ বেড় হয়ে,লকলক করতে থাকে।মন্ত্রী সাহেব এবার আল্লাহ খোদার নাম নিলেন,কাজ হল না।বরং দৈবভাবে খিক খিক করে হাসার শব্দ শোনা গেল।মন্ত্রী সাহেবের লেজের গোড়ায় প্রচন্ড ব্যাথা শুরু হয়েছে,এভাবে আর কিছুক্ষণ থাকলে মৃত্যু ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না তার।
মন্ত্রী সাহেবের দু গাল বেয়ে লোল চুইয়ে পড়তে শুরু করেছে।লেজকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে ঘুড়ছেন তিনি।হঠাত তার চোখ পড়ল ড্রেসিং টেবিলের বেলজিয়াম গ্লাসে,এবার চুড়ান্ত অবাক হলেন মন্ত্রী সাহেব।সমস্ত শরীর নীল বর্ণ ধারণ করেছে,চোখগুলো নির্দিষ্ট যায়গা থেকে কপালে উঠে গেছে,কানগুলো ঘোড়ার কানের মত হয়ে নিজে নিজে নড়াচড়া করেছে,পেটটা ফুলে তিনগুন হয়েছে,পাছার মাংস শুকিয়ে গেছে,নাক লম্বা হয়ে ইঁদুরের নাকের মত হয়ে গেছে।সব কিছু ঠিক থাকলে মাথায় একটা শিং গজাত,কিন্তু শিং গজায়নি বরং সেই স্থানে বেশ ক্ষানিকটা গর্ত হয়ে গেছে।সবমিলিয়ে মন্ত্রীসাহেব একটা জীবন্ত দানবে পরিনত হয়েছেন।
মন্ত্রী সাহেব এবার ডুকরিয়ে উঠলেন,গলা থেকে ঘোত ঘোত একটা আওয়াজ ছাড়া আর কিচ্ছু বেড় হল না।
সকালে মন্ত্রীসাহবকে এই অবস্থায় আবিষ্কার করল সবুর,মন্ত্রী সাহেবের কোন সাড়া না পেয়ে সবুর রুমের দড়জা ভেঙ্গে মন্ত্রী সাহেবকে উদ্ধার করে।
কেউ কিছু বোঝার আগেই সবুর বলল,ও মাই গড স্যার আপনের এ কি অবস্থা?
মন্ত্রী সাহেব অবাক হলেন,আমার আবার কি অবস্থা?আমি তো ঠিকই আছি!
স্যার,আপনি কি কিছুই বুঝতে পারছেন না?
মন্ত্রী সাহেব এবার চীৎকার করে উঠলেন খামোশ,আমি ঠিক আছি।জনসভার কি অবস্থা?কয়টা বাজে?
স্যার এইভাবে আপনাকে জনসমক্ষে নেওয়া ঠিক হবে না,জনসভা শেষে আপনাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য হেলিকপ্টার আগে থেকেই এসে বসে আছে,আমি আপনাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব,কেউ টের পাবে না।
এই সবুর এই আমার সাথে ফাইজলামী কর!আমার কি হয়েছে?কিচ্ছু হয় নাই,আমার ক্ষুধা পেয়েছে,খাবারের ব্যাবস্থা কর।
সবুর বাইরে বেড় হয়ে যেতে থাকলে,মন্ত্রী সাহেব তাক থামাল।
এই গাধার বাচ্চা কই যাও তুমি?
স্যার আপনার জন্য খাবার আনতে।
মাতাল কোথাকার,আমার খাদ্য তো ব্রিফকেসেই আছে।
মন্ত্রীসাহেবের কথা বুঝতে সময় লাগে সবুরের,মন্ত্রী সাহেব ধৈর্যহারা হয়ে নিজেই ব্রিফকেস খুলে কড়কড়ে টাকা কচকচ করে খেতে থাকেন।
সবুরের চোখ বড় বড় হয়ে যায়,হচ্ছে কি এটা!
এর মধ্যে আরও কয়েকজন নেতা এসে দেখল,নীল বর্ণের লেজ ওয়ালা বিশাল দানব কচকচ করে টাকা গিলছে।
সবাই ভয় পাওয়ার চেয়ে অবাক হয় বেশী।এক রাতের মধ্যে মন্ত্রীসাহেব কি থেকে কিসে রুপান্তরিত হয়েছেন!
সবার মধ্যে ফিসফিসানী,এই অবস্থায় মন্ত্রীসাহবকে লোকজনের সামনে নেওয়া যাবে না।
এই কথা কানে যেতেই,মন্ত্রী সাহেব হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন,এই কে বলল যে আমাকে লোকজনের সামনে যেতে দেবে না।হারামজাদাকে চাবকে পিঠের ছাল তুলে নেব।আমার সাথে ষড়যন্ত্র!হ্যাঁ।
এই তোরা কি সবাই বিপক্ষ দলে যোগ দিয়েছিস নাকি?সবগুলোকে প্যাঁদানী দিলে ঠিক হয়ে যাবি।
ওদিকে জনসভা জমে উঠেছে,পাতি নেতারা মাইক গরম করে ফেলছে।মাঠ বেশ করে সাজানো হয়েছে,চারিদিকে ফেষ্টুন, ব্যানার,বেলুনের ছড়াছড়ি।মন্ত্রী সাহেবের বসার মঞ্চের চারিদিক ফুলে পরিবেষ্টিত।ইয়া বড় কাঠের চেয়ার পাতা হয়েছে মন্ত্রী সাহেবের জন্য।সকাল দশটার মধ্যে মাঠ উপচিয়ে লোকজনের চাপ পাশের রাস্তায়,বাড়ির ছাদ,গাছের ডাল পর্যন্ত পৌছেছে।গনগনে রোদের মধ্যেও সবার মাঝে উত্তেজনা মন্ত্রী সাহবকে দেখতে হবে।সবাই জেনে গেছে মন্ত্রী সাহেব দানবে পরিনত হয়েছে।
কিছুক্ষন বাদেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটল।দানব মন্ত্রী তার চেলা চামুন্ডা পরিবেষ্টিত অবস্থায় মঞ্চে উঠলেন।কেউ একজন মাইকে ঘোষনা দিল এবার আপনাদের সামনে বক্তৃতা দিবেন আমাদের প্রাণপ্রীয় মন্ত্রীমহোদয়।মন্ত্রী হাত তুলে লোকটাকে থামিয়ে দিল।চারিদিকে একবার তাকিয়ে লাফ দিয়ে নেমে আসলেন জনসভার একবারে মাঝামাঝি।লোকজন ভয় পেল না।একজন তার লেজ ধরে টানতে শুরু করল,কেউ বা কান মোচড়াতে থাকল,আর একজন লাফ দিয়ে উঠে পড়ল মন্ত্রীর পিঠে।মন্ত্রী এদেরকে নিয়ে নাচতে শুরু করলেন।টিভি মিডিয়ার লোকজন লাইভ দেখাতে থাকল মন্ত্রী মহোদয়ের এই কির্তী।সারা দেশের মানুষ একসাথে বলতে লাগল।
লেজ ধরে দেও টান
মন্ত্রী হবে খান খান।
*****
©somewhere in net ltd.