![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিসি, ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি প্রায় সব রকমের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের সার্কিটবোর্ডের নাভিস্থলকে (Hub)-কে ‘‘মাদারবোর্ড’’ বলা হয় কেন ??!! কেন হে ?? কেন ‘‘ফাদারবোর্ড’’ বা অন্য কিছু বলা হয় না ??!! বুঝে নাও; যান্ত্রিক জগতেও নারীদের কি উজ্জ্বল অবস্থান, সম্মান !!!
তাদের সম্মান কমাচ্ছে কে ?? কোন্ সমাজে নারীরা মর্যাদা ও সম্মানহীনভাবে বেঁচে আছে ??!! নারী’রা-ই খুঁজে দেখুন না কেন ?? কিন্তু তা তারা খোঁজে কী ??
পুরুষদের দায়িত্ব বেশী, অধিকার কম ; কিন্তু নারীদের দায়িত্ব বহুলাংশে কম (বিশেষ করে উপার্জনের ক্ষেত্রে) হলেও অধিকারের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান পুরুষের চেয়ে অনেক অনেক বেশী !! বিশেষতঃ ইসলাম নারীকে এত এত সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে, সে ব্যাপারে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করলে জগতের নারী’রা কখনও স্বাধিকার, সম-অধিকার, সংস্কার আন্দোলনের জন্য নয় বরং ইসলামী আইন বাস্তবায়নের জন্য ঝাপিয়ে পরতো।
সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, আমাদের প্রিয় নবী, বিশ্ব নবী, সর্বশেষ নবী, রহমাতাল্লিল আ’লামীন, মানবতার দূত, জগতের শ্রেষ্ঠতম জ্ঞানী শিক্ষক, সৎ পথ প্রদর্শক, শ্রেষ্ঠতম ও উত্তম অনুকরণীয় আদর্শ (উসুয়াতুন হাসানা), মহান আল্লাহ’র হাবীব হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন; ‘‘জননীর পদতলে সন্তানের বেহেস্ত’’। প্রিয় শ্রদ্ধেয় নারীগন- মা’কে এমন সম্মানে যিনি ভূষিত করলেন; তিনি কতই না প্রজ্ঞাবান, মহান !! পিতা বা পুরুষ-কে তো এমন মর্যাদা দেয়া হলো না !!
একটা মজার বিষয় হলো, ইসলামী রীতিতে বিয়ের সময় নারীকে দেনমোহর দেয়া। এটি বিবাহিত একজন নারীকে এক প্রকার বিশাল সম্মান ও অর্ঘ প্রদান !! বিয়েতে তো নারী-পুরুষ মানসিক ও দৈহিক ; সমানভাবেই লাভবান হয়- তাহলে শুধু নারীকে কেন দেনমোহর দেয়া ! বর-কে কেন ক’নে দেনমোহর দেয় না !!??
ইসলাম নারীকে আরও আরও কত সম্মান-অধিকারি দিয়েছে !!
হযরত ’আয়িশাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি সর্বোত্তম যে স্বীয় পরিবারের নিকট উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের নিকট সর্বোত্তম। আর যখন তোমাদের যে কেউ ইন্তেকাল করে, তখন তার (নিন্দা করা) হতে বিরত থাক (তিরমিযী, দারিমী)।
আবূ হুরাইরা রদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
“মুমিনদের মাঝে ঈমানে সেই পরিপূর্ণ, তাদের মাঝে যার চরিত্র সুন্দরতম। তোমাদের মধ্যে উত্তম হলো সেই ব্যক্তি,
যে তার স্ত্রী’র কাছে উত্তম”(সুনানে তিরমিযি)। স্বামীকে সনদ দেয়ার ব্যাপারে স্ত্রীর জন্য এটি কত বড় এক অধিকার!!
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যার তিনটি কন্যাসন্তান থাকবে এবং সে তাদের কষ্ট-যাতনায় ধৈর্য ধরবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুহাম্মদ ইবন ইউনূসের বর্ণনায় এ হাদীসে অতিরিক্ত অংশ হিসেবে এসেছে) একব্যক্তি প্রশ্ন করলো, হে আল্লাহর রাসুল, যদি দু’জন হয়? উত্তরে তিনি বললেন, দু’জন হলেও। লোকটি আবার প্রশ্ন করলো, যদি একজন হয় হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, একজন হলেও (বাইহাকি, শুয়াবুল ঈমান : ৮৩১১)।
হযরত আবদুল্লাহ উমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘ওই নারী বরকতময়ী ও সৌভাগ্যবান, যার প্রথম সন্তান মেয়ে হয়। কেননা, (সন্তানদানের নেয়ামত বর্ণনা করার ক্ষেত্রে) আল্লাহ তায়ালা মেয়েকে আগে উল্লেখ করে বলেন, তিনি যাকে ইচ্ছা কন্যা সন্তান দান করেন, আর যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন’ (কানযুল উম্মাল ১৬:৬১১)।
নারীকে ইসলাম বঞ্চিত করলো কোথায় ?? ইসলাম ধর্ম-ই দুনিয়াতে নারীদের সবচেয়ে বেশী ইজ্জত, অধিকার ও মর্যাদা দিয়েছে।
আসলে সমস্যা হলো; আমরা নিজেরা কিছুতেই প্রকৃত জ্ঞানার্জন করতে বা নিজেরা পড়তে বা জা্নতে চাইনা !!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চান?