নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রেষ্ট হওয়ার জন্য শেষ হচ্ছি।।সেই ছোট থেকেই বেড়ে চলেছি আমি তাও জানি এই বেড়ে উঠার ফলেই এক সময় নিংশ্বেষ হয়ে যাব।আকাশে চাঁদ দেখে অবাক হই না, কিভাবে জুলে আছে ঐ শূন্যে! আমি অবাক হই চাদটাকে কে এত সুন্দর নিয়মে বেধে দিয়েছে।

ব্লগার শান্ত

শ্রেষ্ট হওয়ার জন্য শেষ হচ্ছি

ব্লগার শান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

হারানোর মাঝে পাওয়া।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:১৫

নাহ! হাসানের কোন মেয়েকেই ভালোলাগেনি।
এতগুলো মেয়ে দেখালো তার মামা।তার শুধু ঐদিন গাড়ি থেকে দেখা সেই মেয়েটির কথা খুব
মনে পড়ছে।সাদা এপ্রন পড়া সাথে নীল হিজাব যা সুন্দর লাগছিলো।কিন্তু সেতো তার
সম্পর্কে কিছুই জানেনা।
মাথায় কিছুই ডুকছেনা তার।এসব ভাবতে ভাবতেই ঘুমিয়ে পড়লো সে।
সকাল ৭.৪০ ঘুম থেকে উঠে সে।
ইতি মধ্যে তার মা অনেকবার ডেকে গিয়েছে উঠার জন্য কিন্তু মহারাজ উঠছেনা দেখে বিরক্ত
হয়ে আর ডাকেনি।
তাড়াতাড়ি উঠে নাস্তা করে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো সে।।
হঠাৎ তার চোখ থমকে যায়!
আরে এইতো সেই মেয়ে।
আজ যেভাবেই হোক ওর সাথে কথা বলতেই হবে।
ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বলে।
গাড়ি থেকে নেমে সোজা চলে যায় মেয়েটির কাছে।মেয়েটির পিচন পিচন হাঁটতে থাকে সে।
-এইযে শুনছেন?
=জ্বি!আমাকে বলছেন?
-হ্যাঁ,আপনাকেই বলছি।
=জ্বি বলেন।
-আপনার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।
=জ্বি বলেন।
-এখানে রাস্তায় বলা যাবেনা,চলুন ঐ কফি সপে গিয়ে কফি খেতে খেতে বলি?
=সরি!আমি আপনাকে চিনতে পারিনাই তাই যেতে পারছিনা।
প্লিজ আপনার পরিচয়টা দিন।
-আজিব মেয়েতো আপনি!আচ্ছা আমিতো আপনাকে পার্কে যাওয়ার জন্য
বলছিনা,বলছি ঐযে দেখা যাচ্ছে ঐ কফি সপে যেতে।
=আচ্ছা চলেন।
-Thanks.
এইমামা এইখানে ২টা কফি দেন।
=SORRY!আমি খাবোনা।
-তো কি খাবেন।
=কিছুইনা।
-ও আমাকে বিশ্বাস করেন্না এইতো?আচ্ছা থাক আপনাকে কিছুই খেতে হবেনা শুধু আমার আপনার
সম্পর্কে কিছু জানার আছে।
=এইখানে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কথা না জাষ্ট সতর্ক থাকা।
হুম বলেন আপনি কি যেন জানতে চান?
-হুম..
আচ্ছা আপনার নামটাইতো জানা হয়নি।
=নাবিহা।
-ব্যাস!এইটুকুই?
=হুম..এর চেয়ে বেশি জেনে আপনার কাজ নেই এখন বলেন কি জানতে চান আমার ক্লাসের টাইম
হয়ে আসছে।
-ও আচ্ছা।
তাহলে বলেই ফেলি।
আমি হাসান।পরিবারে আমি আর মা ছাড়া আর কেউ ই নাই।বাবা ১২বছর আগে রোড
এক্সিডেন্টে মারা যান।এখন আমার মা চায় আমাকে...
..এইটুকু বলেই আনান জিজ্ঞেস করে।
-আচ্ছা আপনার কি কারো সাথে রিলেশান আছে?
=কেনো?
-না এমনি,প্লিজ বলেন্না।
=না,নাই।
-ও ভালো।ওহ যা বলছিলাম,এখন মা চায় আমাকে..
ক্রিং ক্রিং ক্রিং
সরি ১মিনিট।
হ্যালো চাচা।
What??oh my god...
আচ্ছা আচ্ছা আমি এক্ষুনি আসছি।।
-সরি নাবিহা!
আমার মা হঠাৎ করেই স্ট্রোক করেছেন এখন হসপিটালে,তাই আমাকে এখন যেতে হচ্ছে।
হাসানের চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
বিল দিয়ে গাড়িতে উঠে চলে যায় সে।
নাবিহার কাছে খারাপ লাগলো হাসানের মায়ের জন্য।নাবিহাও তার গন্তব্যে ফিরে গেলো।
হাসান এখন তার মায়ের কাছে বসে আছে হাসপাতালে।।
মায়ের হাতটি শক্ত করে ধরে কাঁদছে সে।
=এই পাগল ছেলে কাঁদছিস কেনো??আমার কিচ্ছু হয়নি।।কাঁদিসনা আয় আমার বুকে আয়।
-ছোট্ট খোকার মত মাকে জড়িয়ে ধরে অঝরে কাঁদতে কাঁদতে বলে-
মা আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবোনা মা।আমি তোমাকে হারাতে দেবোনা।
তুমি চলে গেলে আমার যে আর কেউ থাকবেনা মা।
মার ২চোখ গড়িয়ে পানি পড়ছে।
=এই বোকা ছেলে কারো মা কি চিরদিন বেঁচে থাকে??
আচ্ছা যা আমি কোথাও যাবোনা।আমার পাগল ছেলেটার কাছেই থাকবো।।
=আমার ১টা কথা রাখবি বাবা?
-কথা নয় আদেশ করো মা।
=আমার ১টা বান্ধবীর মেয়েকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে,আমি চাই ওকে আমার ঘরে বৌ করে আনতে।
-তুমি যা ভালো মনে হয় তুমি তাই করো মা।
মায়ের অসুস্থতার কারনে মাকে না করতে পারেনি।আসলে হাসান যে নাবিহা নামের সেই
মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলেছে।
আজ হাসানের বাসর...
হাসান ছাদে বসে আছে একা কি সুন্দর চাঁদের আলো চারিদিকে নাবিহাকে খুব মিস করছে সে।
হঠাৎ হাসানের ফোনে ১টা কল আসে অপরিচিত নাম্বার থেকে।
ফোন রিসিব করতেই ১নারী কন্ঠ শুনতে পায় সে।
=হ্যালো..আস্সালামু আলাইকুম।
-ওয়ালাইকুম আস্সালাম।কে বলছেন?
=আমি।
-এত প্যাচাল না করে আপনার পরিচয়টা দিনতো।
=আরে আমি ওইযে..
-সরি! আমি কোন আমি নামের কাউকে চিনিনা।
এই কথা বলে সে ফোন রেখে দেয় হাসান।এমনিতেই নাবিহাকে না পাওয়ার যন্ত্রনায় মন
ভালো নেই তার উপর কোথাকার কোন আমি...ধ্যাত।
রাত ১২.৪৩ তখনো সে ছাদে বসে নাবিহার কথা ভাবছে।
হঠাৎ তার মনে হলো আজতো তার বাসর রাত!
নাবিহাকে পায়নাই তার জন্যতো আরেকটা নিষ্পাপ মেয়েকে কষ্ট দিতে পারেনা।
আর তাছাড়া নাবিহাকেতো সে বলতেই পারেনি তার মনের কথা।
হাসান তার ঘরে ফিরে যায়।১টা অপরিচিত মেয়ে ঘোমটা দিয়ে বসে আছে তার খাটে। এখন
সে কিকরবে বুজতে পারছেনা,অচেনা ১টা মেয়ের সাথে কেমনে কি!
দরজা দিয়ে বুকে থুথু দিয়ে ১বুক সাহস নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে হাসান।
আরে একি মেয়েটাযে বিছানা থেকে নেমে হাসানের দিকেই আসছে।
হাসান সোজা মূর্তির মত দাড়িয়ে আছে..
হঠাৎ তার পায়ে কারো স্পর্শ পায়।হাসান তাড়াতাড়ি তাকে তুলে নেয়।
-আরে আপনি??
=আপনি মানে?
-না মানে তুমি?
=হ্যাঁ আমি কেন?অন্য কাউকে আশা করছিলেন?
-আরে নাহ। আমিতো এতক্ষন ছাদে বসে আপনার কথাই ভাবছিলাম।
=কি?আবার আপনি??
-না সরি তুমি।আসলে অভ্যাস নাইতো তাই।
=তার মানে আমার অভ্যাস আছে?
-থাকতেও কি?(আস্তে আস্তে)
=কি বল্লা বুজিনাই?
-কই কিছু না।
=দেখো বাইরে কি সুন্দর চাঁদের আলো।
এই চলনা ছাদে যাই।
-নাহ!
=কেন?
-আজ আর চাঁদ দেখবোনা তোমাকেই দেখবো।
আলতো করে নাবিহার কপালে ১টা চুমু এঁকে দেয় হাসান।
১নতুন শিহরণে জড়িয়ে ধরে নাবিহাকে।
-এই পাগলি মেয়ে কাঁদছো কেন?
=আমি তোমাকে ছেড়ে কোত্থাও যাবোনা।সারা জীবন এইবুকে থাকবো।
-এই পাগলি তোমায় যেতে দিলেতো যাবা,থাকো সারাজীবন বুকে থাকো..
লাইট অফ...!!
(তার পরের ঘটনা আমি নিজেও জানিনা বিয়া করিনাইতো তাই।।)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.