![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নভেম্বর মাসটা এমনিতেই প্রিয় সাদাফের কাছে। এই মাসেই ওর জন্মদিন। এছাড়াও অনেক ভালো-
খারাপ স্মৃতি জুড়ে আছে এ মাসেই। কলেজ বন্ধ হওয়ার সুবাদেই ফেইসবুকে বেশী থাকা পড়ে ওর।
হোমপেইজ
ঘুরতে ঘুরতেই মালিহার আইডীটা খুঁজে পেয়েছিল।
প্রফাইলটা দেখে ভালো লেগে যায় তার।
আর এই ভালোলাগা থেকেই এড দেয় মেয়েটিকে। ৮ ঘন্টা পর এক্সেপ্ট হয় রিকুয়েস্ট। একা থাকার
অভ্যাস বা নেশা অনেক আগে থেকেই আছে সাদাফের। আর এর সাথে যোগ হয়েছে নতুন এক নেশা,
তা হলো ফেইসবুক।
সারাদিন ফেইসবুকে পড়ে থাকে সে। এমন না যে চ্যাটিং করে, সে সারাদিনই চুপচাপ থাকে।
অর্থাৎ গল্প পড়ে।তবু,কিছু মানুষকে প্রথম দেখাই ভালো লেগে যায়।
আর এরকমই একজন মালিহা। তবু, সাদাফ ভাবে ব্যাপারটা আকর্ষন, তাই এড়িয়ে যায় ব্যাপারটা।
তবুও, সাত দিন পর নক দেয় মেয়েটিকে। ওপাশ থেকে রিপ্লাই ও আসে। এ রকম ছোট ছোট
মেসেজে আস্তে আস্তে ভারী হতে থাকে ওদের ইনবক্স। একটু একটু কথা প্রায় সারাদিনই হয়।
দিন বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে ওদের মেসেজের পরিমাণ। একে অপরের
সাথে অনেক
কিছুই শেয়ার করে নেয়। নিজেদের ছোট ছোট ব্যাপারে কেয়ারিং আর একটু আধটু রাগ-
অভিমানে ভালোই চলতে থাকে ওদের ভার্চুয়াল ফ্রেন্ডসীপ।
মালিহা, সাদাফের থেকে তিন বছরের ছোট। তাই নিজেদের মধ্যে খুব একটা আন্ডারস্টান্ডিং
য়ে একটু ঝামেলা আছে। তবুও এই নীল-সাদার দুনিয়াতে ওরা ওদের খুব কাছের মানুষ।
ধ্যাত !!
আরেকটা কথা তো বলাই হয় নি। সাদাফ, মালিহাকে ইমোকুমারী বলে ডাকে। কারণ,চ্যাটিংয়ের
সময় মেয়েটি অনেক রকমের ইমো দেয়। একের পর এক ইমোর সাথে মিশে থাকে হরেক রকমের
অনুভূতি,যা হয়তো কখোনোই বোধগম্য হয় না সাদাফের। আর, এ কারণেই
মালিহা,সাদাফকে এলিয়েন বলে ডাকে। মানে, সাদাফের কোন আবেগ-অনুভূতি নেই।
সত্যি বলতে গেলে, আবেগ কখনোই সাদাফকে স্পর্শ করে নি।
সবকিছুই ভালোই চলছিল যদি না তৃতীয় মানুষটি এই গল্পে আসতো। হ্যা, ভাগ্য
মাঝে মাঝে মানুষের অনুকূলে থাকে না। তেমনি ঘটেছে সাদাফের সাথেও।
মালিহার জীবনে নতুন কেউ এসেছে। দিন দিন মালিহা, সাদাফকে এভোয়েড করে চলছে। আগের
মতো কথা হয় না ইমোকুমারীর সাথে। হটাতই পাল্টে গেছে সে,
অনেক কিছুই বদলে গেছে।
হয়তো ওদের মাঝে কোন কিছুই ছিলো না আবার অনেক কিছুই ছিলো। ইমোকুমারী ও এলিয়েনের
জীবনে কিছু তো মিলতে পারে না। এরা তো আসলে দুজনের বিপরীত চরিত্ত।
সাদাফ মন খারাপ করে বসে আছে টেবিলে। এখন আর কিছুই ভালো লাগে না। কোথায় যেন
কি একটা হারিয়ে ফেলেছে সে।
মেয়েটির প্রফাইলে পিকে সুন্দর একটা কাপলের ছবি জায়গা করে নিয়েছে। হ্যা, দেখতে বেশ
ভালোই লাগছে। ওরা হয়তো ভালো আছে।
কি-বোর্ডের ওপর নোনা জলগুলো খামচি মেড়ে বসে আছে। ওরা ও হয়তো কিছু বলতে চাচ্ছে। চার
কোনের মেসেজ বক্সে পুরোনো মেসেজগুলো এখন ও তার ভালো লাগে। মাঝে মাঝে এ রকমই অনেক
কিছু হারিয়ে যায়। আর কারো কিছু করার ও থাকে না।
এখন, শুধু একটাই প্রত্যাশা -
ইমোকুমারী ভালো থাকুক ইমোকুমারের সাথে।
হয়তো একদিন এলিয়েনও খোঁজ পেয়ে যাবে এলিয়েনার।
©somewhere in net ltd.