![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারন আদম
মাত্র ৬২ জনের হাতে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশী সম্পদ রিপোর্টটি অতি সমপ্রতি অক্সফাম কতৃক গবেষনার মাধ্যমে প্রাপ্ত (বিস্তারিত জানতে : Click This Link অনেকেই তথ্যটিতে বেশ অবাক হলেও ব্যাপারটি নতুন নয় । সৃষ্টির আদি কাল থেকেই চলছে এ বৈষম্য । সকল বৈষম্যের মত অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে অনেক লেখালেখি তর্কবির্তক হয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই । সব যুগে ও কালেও সদর্পে এ বৈষম্য চলেছে । কখনো সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় আনুকুল্যে কখনো মনীষিগন বৈষম্য সমর্থন করে তত্ত্ব প্রদান করেছেন যেমন এরিষ্টটল দাস প্রথার সমর্থক ছিলেন এবং তিনি এ বিষয়ে তত্ত্ব প্রদান করেছেন । দাস বা ক্রিতদাস মালিক সমপর্কও অর্থনৈতিক এবং প্রভু মালিক সমপর্ক এবং দাসদের সাথে অমানবিক আচরন আমরা বিভিন্ন বইয়ে বা বিভিন্ন মুভিতে দেখেছি ব্যাপারটি যে কোনো বিবেকবান মানুষের কাছে অকল্পনীয় কষ্টের। যদিও প্রাচীন কালের সংস্কৃতিতে দাস প্রথা খুবই সাধারন ব্যাপার ছিল । মধ্যযুগ যেহেতু জোড় যার মূল্লক তার রিতী স্বাভাবিক ভাবে প্রচলিত ছিল তাই যার সম্পদ ছিল সে সহজেই গরীব অসহায়ের উপর চাইলেই অত্যাচার করতে পারত । তবে যে রাষ্ট্রের উচিত ছিল সাধারন গরীব সহ সকল নাগরিকের নিরাপত্ত্বা বিধান করা সে রাষ্ট্রও অনেক ক্ষেত্রে ব্যার্থ ছিল কারন সে সময় সৈরাচারী কায়দায় দেশ পরিচালিত হত যেহেতু গনতন্ত্র ছিলনা, তাই মানুষের ব্যাক্তি স্বাধীনতা ছিলনা সমস্ত ক্ষমতা রাজার ও তার কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ বন্টন করা হতো । ইসলামী সভ্যতার যুগেও বৈষম্য বিরাজমান ছিল যদিও মুহাম্মদ (সাঃ) থেকে প্রথম চার খলিফা পর্যন্ত যাকাত সঠিক ভাবে আদায়ের মাধ্যমে বৈষম্য অনেকটা কমে এসেছিল বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুসিত অন্চ্ঞলে । তবে তারপর থেকে অস্তে অস্তে তা হ্রাসপায় । ইুউরোপের ইতিহাস পযালোচনা করলে দেখা যায় প্রাচীনযুগ থেকে শুরু করে মধ্যযুগ সামন্তযুগ তারপর শিল্পোবিপ্লবত্তর আধুনিক যুগ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে এবং অতি সমপ্রতি কাল পর্যন্ত তাদের সম্পদ কুক্ষিগত আছে কতিপয় ব্যাক্তির হাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আন্দোলন বিপ্লব রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয় তবে বিশ্বের সকল বড় বড় বিপ্লবের পেছনে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে কাজ করছে অর্থনৈতিক বৈষম্য । বিশ্বের ধনবৈষম্যের ক্ষেত্রে আনেক মনীষি সমাজ বিজ্ঞানীগন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের কথা বলেছেন ।কার্লর্মাক্সের কথাতো অনেক শিক্ষিত লোকই জানেন । সে যাই হোক হাজার বছরের লালিত এ বৈষম্য রাতারাতি দূর হবেনা ব্যাপারটি সহজে অনুমেয়, কিন্তু বর্তমানের মানুষ অনেক সভ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রভূত উন্নতি হচ্ছে মানুষের চিন্তা চেতনা মূল্যবোধ রুচি অভ্যাসের উন্নত হচ্ছে ।সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় অনেক কিছুর পরিবর্তন এবং উন্নত হচ্ছে ।কিন্তু সকল সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের সুবিধা সিংহভাগেই ভোগ করছেন কিছু বিশেষ শ্রেনীর মানুষ, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে দরিদ্র মানুষগুলো উন্নয়নের এ ছোয়া থেকে বন্চিত হচ্ছে এত কিছু পরিবর্তনের পরেও দারিদ্রতা হ্রাসের হার বাড়েনি পরিবর্তন উন্নয়ন সব কিছু জনকল্যানের জন্য তবে সকল জনগনের জন্য একটা বিশেষ শ্রেনীর জন্য নয় । দারিদ্রতার হার কমার বদলে অনেক বেড়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ সহ উন্নত দেশগুলো দারিদ্রতার কমার কথা বললেও যে হারে দারিদ্রতা কমছে তা উচ্চবিত্ত বাড়ার হারের চেয়ে কম । আমাদের সমাজে ধন বৈষম্য এখনও অনেক প্রকট । জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে আমাদের সমাজে আয় ও ধনবৈষম্য আরো বেড়ে যাবে । এর জন্য রাষ্ট্রকে সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে ।
২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮
শাহরিয়ার ইসলাম খান বলেছেন: জনাব চাঁদগাজী সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা ছাড়াও বৈভষম্য কমানো সম্ভব ।
৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
"শাহরিয়ার ইসলাম খান বলেছেন: জনাব চাঁদগাজী সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা ছাড়াও বৈভষম্য কমানো সম্ভব । "
-সেই রকম কিছু জানলে লিখুন, ৬০০ কোটী মানুষ অপেক্ষা করছে।
৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:১৩
তাসাইয়ু বলেছেন: আপনি তথ্য ভুল লিখেছেন-রাসুলের(সাঃ) পরবর্তী ১ম ৩ খলিফা রাসুলের(সাঃ) নির্বাচিত কোন প্রতিনিধি/আমির/খলিফা/উলিল আমর ছিলেন না। তাই ১ম ৩ খলিফার আমল থেকেই বিচ্যুতি শুরু হয়।হযরত আলী(আঃ) যিনি রাসুলের(সাঃ) নির্বাচিত ১ম ইমাম ছিলেন,উনি সেই বিচ্যুতি অপসারনের প্রানপন চেষ্ট করেছিলেন মাত্র প্রায় ৫ বছর।আরো জানুনঃ
প্রথম ৩ খলিফার ২৫ বছর সময়ের শাসনকালে,গনঅভ্যুথ্যানের ফলে উসমানের ক্ষমতাচ্যুতি ও হত্যাকান্ডের পুর্ব পর্যন্ত,মহানবী(সাঃ)এর সাহাবীগন ও ইসলামের অন্যান্য প্রজন্ম চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে জীবনপাত করছিল।অতঃপর জনগন ইমাম আলী(আঃ)এর প্রতি ফিরে আসে এবং তাঁকে তাদের পরবর্তি খলিফা নিযুক্ত করে(“আল-হাদিছ-ই-উম্মুল মু’মেনিন আয়শা” অধ্যায়-আলা আহদ আল সাহরাইন/১১৫)
ইমাম আলী(আঃ) এমন সময়ে খেলাফতে অধিষ্টিত হলেন যখন মুসলমানেরা পুর্ববর্তি খলিফাদের আমলের ২৫ বছরে তাদের নিজেদের স্টাইলে জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল।ঐ সময়ে বিরাজিত পরিবেশ সম্পর্কে ইমাম আলী(আঃ)নিজে যে বর্ননা দিয়েছেন তা হলো নিম্নরুপ(মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াকুব কুলাইনীর গ্রন্থ “রাওজাতুল কাফী”৮/৬১-৬৩তে বিস্তারিত দেখা যেতে পারে)ঃ
“আমার পুর্ববর্তি খলিফাগন এমন কাজ করেছিলেন যাতে তারা সচেতনভাবেই রাসুলুল্লাহর(সাঃ) নির্দেশের বিপরীতে চলে গিয়েছিলেন।তাঁর প্রতি করা আনুগত্যের শপথ তারা ভঙ্গ করেছিল এবং তাঁর সুন্নতের পরিবর্তন করেছিল।এখন আমি যদি ঐ সকল বিষয়গুলোকে পরিত্যাগ করার জন্য চাপ প্রয়োগ করি এবং রাসুল(সাঃ)এর সময় যা ছিল সেইভাবে ঐ বিষয়গুলোকে পুর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনি,তাহলে আমার বাহিনীর লোকেরা আমাকে নিঃসঙ্গ অসহায় অবস্থায় ফেলে আমা হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।খুব বেশী হলে এক ক্ষুদ্র সংখ্যক অনুসারী আমার পক্ষে থাকবে;যারা আল-কুরান ও সুন্নাহর ভিত্তিতে আমার ইমামতকে স্বীকার করে”।
“আমি যদি নিম্ন বর্নিত ব্যাবস্থাগুলো গ্রহন করি তার ফলাফল কি হবে তা কি তোমরা ভাবতে পারো?ঃ
১/রাসুল(সাঃ) যেখানে মাকামে ইব্রাহিমকে স্থাপন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন যদি আমি তা সেখানে পুনঃস্থাপন করি।
২/নবী কন্যা ফাতেমা(আঃ)এর সন্তানদেরকে আমি আমি যদি ফিদাকের সম্পত্তি ফিরিয়ে দেই।
৩/মহানবী(সাঃ)এর সময় ওজন ও পরিমাপ যেমন প্রতিস্টিত ছিল,যদি সেই অবস্থায় তা প্রতিস্টিত করি।
৪/যেসব ভুমি মহানবী(সাঃ)যাদেরকে দিয়ে গিয়েছিলেন যদি সেগুলো তাদের কাছে ফিরিয়ে দেই।
৫/যদি খলিফাদের জারীকৃ্ত নিষ্টুর আইন বাতিল করি।
৬/যদি যাকাত ব্যাবস্থাকে তার প্রকৃ্ত ভিত্তির উপর পুনর্বিন্যাস্ত করি।
৭/যদি অজু গোসল ও নামাযের নিয়ম-নীতি সংশোধন করি।
৮/যে সকল মহিলাদের অন্যায়ভাবে তাদের স্বামীদের থেকে পৃ্থক করে অন্যদের নিকট দেওয়া হয়েছে,যদি তাদেরকে তাদের আসল স্বামীদের নিকট ফিরিয়ে দেই।
৯/বায়তুলমালের অর্থ যেভাবে ধনিকদের প্রদান করতঃশুধুমাত্র তাদের হাতে উহা পুঞ্জিভুত না করে মহানবী(সাঃ)এর সময়কালে যেমন ছিল তেমনিভাবে উহা পাওয়ার উপযুক্ত ব্যাক্তিদের মাঝে সমভাবে বন্টন করি(হযরত উমর রাষ্টিয় কোষাগার হতে অর্থ বন্টনের ক্ষেত্রে সমাজে শ্রেনী বিভাজন চালু করেছিল।সেই সময়ে একটি তালিকা করা হয়েছিল এবং এই অনুযায়ি একদল পাচ্ছিল প্রতি বছর ৫০০০ দিরহাম,অন্য একদল ৪০০০ দিরহাম এবং অন্যান্যরা ৩০০০,২০০০,১০০০ এবং ৫০০ শত থেকে ২০০শত দিরহাম।এইভাবে সমাজে ধনী ও দরিদ্র শ্রেনী সৃষ্টি করা হয়)।
১০/যদি ভুমি কর বাতিল করি(হযরত উমর ইরাকের ভুমি কর আরোপ করেছিল ইরানের সাসানিদ রাজন্যদের ভুমি রাজস্ব আইন অনুসারে এবং মিশরে রোমান রাজন্যদের ভুমি রাজস্ব আইন অনুসারে)।
১১/যদি দাম্পত্য সম্পর্ক সংক্রান্ত ব্যাপারে সকল মুসলমানকে সমান ঘোষনা করি(হযরত উমর আরবীয় কন্যাদের সাথে অনারবদের বিবাহ নিষিদ্ব করেছিলেন)।
১২/যদি আল্লাহর আইন অনুসারে খুমস(সম্পদের এক পঞ্চমাংশ) আদায় করি(সুরা আনফাল-৪১)(৩ খলিফা মহানবী(সাঃ) ওফাতের পর খুমস হতে আহলে বায়াতের প্রাপ্য অংশ বাদ দিয়ে দিয়েছিল)।
১৩/যদি মসজিদে নববীকে এর সুচনালগ্নের কাঠামোতে,যে কাঠামোতে রাসুল(সা)এর সময়কালে প্রতিষ্টিত ছিল,পুনঃপ্রতিষ্টিত করি।মহানবী(সাঃ)ওফাতের পর মসজিদের যে প্রবেশ পথ গুলো বন্দ্ব করে দেয়া হয়েছিল তা আবার খুলে দেই,এবং তাঁর ওফাতের পর যে প্রবেশ পথগুলো খোলা হয়েছিল তা আবার বন্দ্ব করে দেই।
১৪/যদি ওজুতে চামড়ার মোজার উপর মাসেহ করা নিষিধ্ব করি(‘খুফ’ হচ্ছে পশুর চামড়ার তৈরী মোজা।সুন্নী মুসলমানগন,তাদের পুর্ববর্তীদের মত,ওজুর জন্য নগ্ন পা ধোয়া বাধ্যতামুলক মনে করে,কিন্তু ‘খুফ’ দ্বারা পা আবৃত থাকলে উহা মাসেহ করা যথেষ্ট মনে করে(এব্যাপারে বুখারি শরিফে মিথ্যা হাদিস রয়েছে)।
১৫/ “নাবিয” এবং খেজুরের মদপানের উপর দন্ড এবং বিশেষ শাস্তির বিধান চালু করি(নাবিয হচ্ছে একধরনের হাল্কা মদ,যা সাধারনত বিয়ার জাতীয় যব/বার্লি হতে তৈ্রি করা হয়)।
১৬/যদি নারী এবং হজ্বের ক্ষেত্রে মহানবী(সাঃ)এর সময়কালে যেমন ছিল,সেই মোতাবেক মু’তার বিধান আইনসিদ্ব করি(খলিফা উমর ২ ধরনের মুতাকে অবৈ্ধ ঘোষনা করেন।হজ্বের মুতা(হজ্বে তামাত্তু) ও নারীর মুতা।একইভাবে নিদিষ্ট কন্যাদের বিবাহ,কুরানের ঘোষনা ও সুন্নী পন্ডিতগনের বননা অনুযায়ী যা সুস্পষ্টভাবেই ইসলামি বিধানের অন্তর্ভুক্ত)।
১৭/যদি মৃত ব্যাক্তির জানাযার নামাযে ৫বার তাকবির বলি(আবু হোরায়রার সুত্রে সুন্নীগন মৃতের জানাজা নামাযে ৪বার তাকবির পড়ে থাকে,সুত্রঃইবনে রুশদ আন্দালুসীর “বিদায়া ওয়াল মুজতাহিদ”১//২৪০)।
১৮/যদি নামাযের শুরুর সময় শব্দ করে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ তেলাওয়াত করা বাধ্যতামুলক করি(সুন্নিদের একটি গ্রুপ তেলাওয়াতের সময় সুরা ফাতিহা ও অন্য সুরা হতে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ বাদ দেয়।স্পষ্টতই তারা এই ব্যাপারে মুয়াবিয়াকে অনুসরন করে থাকে,সুত্রঃআল-ফাতিহার তাফসীর, ‘তাফদীরে আল-কাশশাফ’১/২৪-২৫)।
১৯/যদি মহানবী(সাঃ)এর সময়কালে তালাকের যে রীতি প্রচলিত ছিল,সেই রীতি কঠোরভাবে অনুসরনের নির্দেশ দেই(তালাক ২ বার……..সুরা বাকারাহঃ২২৯,সুন্নিদের মতে তালাক দেওয়ার জন্য এক বৈঠকে ৩ তালাক উচ্চারন করলে তা বৈ্ধ,এবং এর যথাযথ সাক্ষী না থাকলে তা দ্রুত অনুসমর্থন করাতে হবে,সুত্রঃ’বিদায়াহ ওয়াল মুজতাহিদ ১/৮০-৮৪)।
২০/যদি বিভিন্ন জাতির যুধ্ববন্দীদের প্রতি আচরনের ব্যাপারে আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল(সাঃ)এর নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরনের নির্দেশ দেই।
“ এক কথায় আমি যদি লোকদেরকে আল্লাহতায়ালা এবং রাসুল(সাঃ)এর নির্দেশ অনুসরন করানোর জন্য প্রচেষ্টা গ্রহন করি,তাহলে তারা আমায় ত্যাগ করবে এবং এদিক-সেদিক চলে যাবে”।
“আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি,যখন রমযানের মাসে ওয়াযিব(ফরয) নামায ছাড়া অন্য কোন নামায জামাতের সাথে না আদায় করার জন্য আমি লোকদেরকে নির্দেশ দিলাম এবং বুঝিয়ে বললাম যে মুস্তাহাব নামায জামাতের সাথে আদায় করা বিদায়াত,আমার সেনাবাহিনীর একটি দল,যারা আমার পক্ষে একদা যুধ্ব করেছিল,হৈচৈ শুরু করে দিল,বলেঃ’আহ!উমরের সুন্নাত’।‘হে মুসলমানেরা।আলী উমরের সুন্নাত পালটে দিতে চায় ও রমযান মাসে মুস্তাহাব নামায বন্ধ করে দেওয়ার বাসনা করে।তারা এমন গোলমাল শুরু করে দিল যে আমি ভীত হলাম-তারা কিনা বিদ্রোহ করে বসে”।
“হায়!”,ইমাম আলী(আঃ) বলতে থাকেন, “আহ এমন যন্ত্রনা আমি এই লোকদের হাতে ভোগ করলাম,যারা অত্যন্ত প্রবল ভাবে আমার বিরোধিতা করে;যারা তাদেরকে কেবলমাত্র জাহান্নামের দিকেই চালিত করেছিল তারা তাদের সেই ভ্রান্ত নেতাদের আনুগত্য করে”।
রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ১ম ইমাম আলী(আঃ) ১ম ৩ খলিফাদের রীতি-পদ্বতির বিপরীতে বিশেষ করে হাদিস সংক্রান্ত বিষয়ে মহানবী(সাঃ)এর পথ অনুসরন করে সম্মুখে অগ্রসর হওয়ার জন্য একটি কার্যক্রম গ্রহন করেছিলেন।তিনি ১ম ৩ খলিফা কত্বৃক চালুকৃ্ত বিদয়াত ( নতুন রীতি পদ্বতি)ধ্বংশ করার জন্য
এক বিরামহীন যুদ্ব শুরু করেছিলেন(তিনি সকল কাহিনী কথকদের উপর,যারা উমর ও উসমানের নির্দেশ মোতাবেক জুময়ার দিনে মসজিদসমুহে খোতবা দিত,নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন।তিনি নবীজীর হাদিস মুক্তভাবে কোন লুকানো ছাড়াই বর্ননার রীতি চালু করলেন।তাঁর পক্ষে যতটুকু সম্ভব তিনি খলিফাদের আবিস্কারসমুহের মুলোতপাটন করলেন।বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুনঃ “ মিন তারিখ আল-হাদিস&rdquo ।
যারা ইমাম আলীর(আঃ) ভুমিকা তাদের দুনিয়াবী স্বার্থের প্রতিকুল বিবেচনা করছিল কুরাইশদের সেইসব লোক তাঁর বিরুদ্বে দাঁড়িয়ে গেল।তারা “জামাল” এবং “সিফফিন” যুদ্বে প্রচুর রক্তপাতের পরিস্থিতি তৈ্রী করলো।তাঁর বিরুদ্বে তাদের শত্রুতা এমন পর্যায়ে উপনীত হলো যে প্রায় ৪ বছরের মধ্যেই তারা তাঁকে নামাজরত অবস্থায় শহীদ করে দিল।
আল্লাহ এবং রাসুলের(সাঃ) শত্রু মুয়াবিয়া তার ধুর্ত পরিকল্পিত চক্রান্তের ফলাফল হিসাবে হযরত ইমাম আলী(আঃ)এর ইন্তেকালের কিছু সময়ের মধ্যেই খেলাফতের সিংহাসনে নিজেকে আসীন করতে সক্ষম হলো।মুগীরা ইবনে শোবা’র সাথে বাক্যালাপকালে তিনি তার রাজনৈ্তিক উচ্চাভিলাসের গোপন তথ্য ফাঁস করে দেন।মুগিরা প্রশ্ন করলোঃ “হে আমিরুল মু’মিনিন,আপনার আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে আপনি সফল হয়েছেন।আজ কোন ধরনের ক্ষতির আশংকা নেই যদি আপনি আপনার এই বৃ্দ্ব বয়সে লোকদের জন্য সুবিচারের ব্যাবস্থা করেন এবং সৎ্কাজ করেন যাতে আপনার পশ্চাতে সুনাম রেখে যেতে পারেন।আল্লাহর শপথ হাশেমীদের আজ এমন কিছুই নেই যাতে ভীত হতে হবে;সুতরাং আপনার পক্ষে এটাই উত্তম হবে যদি আপনি তাদের সাথে সদয় ব্যবহার করেন এবং সম্পর্কের বাধনকে মজবুত করেন”।
মুয়াবিয়া প্রশ্নোত্তরে বললেনঃ “অসম্ভব।আবুবকর শাসক হল এবং সুবিচার প্রতিষ্টা করলো এবং সকল ধরনের দুর্ভোগ পোহালো,কিন্তু মৃত্যুর অব্যবহিত পর পরই তার আর কিছুই আবশিষ্ট রইলো না,তার নাম আজ কেবল কদাচিত উচ্চারিত হয়।তারপর এলো উমর।তার শাসনকার্যকে সফল করার জন্য তিনি সর্বোত্তমভাবে সচেষ্ট ছিলেন,এবং তার ১০ বছরের শাসনকালে তিনি অনেক সমস্যা মোকাবেলা করলেন,কিন্তু তার মৃত্যুর সাথে সাথে তার নামও মৃত্যুবরন করলো।তারপর উসমান,যে অত্যন্ত উচ্চ বংশের সন্তান,শাসন ক্ষমতায় অধিষ্টিত হলো এবং উল্লেখযোগ্য বেশকিছু কাজ সম্পাদন করলো।অন্যরা করলো তার প্রতি অন্যায় আচরন এবং তিনিও মৃত্যবরন করলেন।তার মৃত্যুর সাথে সাথে নামটিও মাটির নীচে চলে গেল।লোকেরা তার মহৎ কাজগুলো সম্পুর্নরুপে বিস্মৃত হলো।কিন্তু ঐ হাশেমীর(আল্লাহর নবীর) নাম এখনও এই দুনিয়ায় রোজ ৫বার উচ্চস্বরে উচ্চারিত হচ্ছে।এই নামের অস্ত্বিত্ব থাকাকালে কে জীবিত থাকতে পারে? হে মাতৃহীন সাথী! না,আল্লাহর শপথ,যতক্ষন না এই পৃ্থিবীর ভুমি হতে তাঁর নাম মুছে ফেলতে পারবো ততক্ষন পর্যন্ত আমার কোন শান্তি নেই”(সুত্রঃমাসুদী,”মুরুজ আল-জাহাব”৩/২৫২,দার আল-আন্দালিস প্রেস।২১২ হিজরি)।
এইভাবে মহানবী(সাঃ)এবং তাঁর আহলে বাইতের নাম নিশানা নিশ্চিনহ করার জন্য মুয়াবিয়া তার সকল ক্ষমতা,উপায়-উপকরন ব্যবহার করেছিল এবং হাদিস জাল করার নানা উপায়/কারখানা স্থাপন করেছিল।মুয়াবিয়া তার এই কাজে এতটা সফল হয়েছিল যে,আবু হোরায়রা যিনি ৫০৩০টি হাদিস জাল করেছিলেন(মুরতাজা আল-আসকারী,"আহাদিস-ই-উম্মুল মু'মেনিন আয়শা"পৃঃ-২৮৯ এবং,তেহরান ১৩৮০ হিজরী" ।আব্দুল্লাহ ইবনে উমর এই ধরনের ২০০০ হাজারেরও বেশী জাল হাদিস বর্ণনা করেছেন।উম্মুল মু’মিনিন আয়েশা ও আনাস বিন মালিক দু’জনের প্রত্যেকে ২০০০ হাজারের বেশী জাল হাদিস বর্ণনা করেছেন।এই ব্যক্তিবর্গ এবং তাদের মত অন্যরা স্বার্থান্বেষী শাসকগোষ্টীর আনুকুল্য পাওয়ার জন্য হাদিস জাল করার জন্য পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল।আল্লাহই ভাল জানেন।এই প্রচারাভিযানকালে হাদিসের নামে কত অসংখ্য কাহিনী উদ্ভাবন করা হয়েছিল।এর ফলে ইসলামী নীতিমালা-বিধান এবং আমলের বিকৃ্তি সাধিত হয়েছিল এবং সব উলট-পালট করে দিয়েছিল।এই ধারাবাহিকতায় প্রকৃ্ত ইসলাম সম্পুর্নভাবে পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল।
শাসকগোষ্টী কেবল্মাত্র এই রুপান্তরিত ইসলামকে অফিসিয়াল স্বীকৃতি প্রদান করতো।এই ইসলামের বহিরাবরন ও মানদন্ড তৈ্রী হয়েছে মুয়াবিয়ার আমলে এবং এই ধারাবাহিকতার পথ ধরে ইহাই সত্য ইসলাম বলে প্রতিপন্ন হয়েছে।ঐ বিষয়গুলো এখন এমন পর্যায়ে উপনীত হয়েছে যে,মহানবী(সাঃ)এর সত্য ইসলামকে যদি এই সকল দরবারী ইসলামে অভ্যস্ত লোকদের কাছে উপস্থাপন করা হয়,তবে প্রকৃ্ত সত্য হিসাবে তা বিশ্বাস করা কঠিন হয়া দাড়ায়।কারন তারা তাদের ইসলামকে জেনেছে সেইসব গ্রন্থ থেকে যেগুলো মিথ্যা এবং জাল হাদিস সমৃদ্ব।উদাহরন স্বরুপ আবুহোরায়রার কারখানায় উদ্ভাবিত একটি জাল হাদিস আমরা এখানে উল্লেখ করতে পারিঃ
---"একদল লোক রাসুল(সাঃ)কে জিজ্ঞাসা করলো, হে আল্লাহর নবী,হাশরের দিন আমরা কি আল্লাহকে দেখতে সক্ষম হবো?তিনি জবাব দিলেন,"পুর্নিমার রাতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে তোমরা কি আনন্দ পাওনা?""আমরা পাই" তারা উত্তর দিল।আবার তিনি বললেন,"মেঘমুক্ত আকাশে সুর্য দেখার ক্ষেত্রে তোমরা কোন অসুবিধা অনুভব কর কি?"তারা উত্তরে বললো,"না,হে আল্লাহর নবী,করিনা।"তারপর তিনি বললেন,তোমরা আল্লাহকে দেখতে পাবে ঠিক একই রকমভাবে"।শেষ বিচারের দিন আল্লাহ সকল মানুষকে একত্রিত করবেন এবং দুনিয়াতে তারা যার ইবাদাত করতো তাকে অনুসরন করার জন্য তাদেরকে নির্দেশ দিবেন।যারা সুর্য পুজা করতো তারা সুর্যকে অনুসরন করবে এবং যারা চন্দ্রকে পুজা করতো তারা চন্দ্রকে অনুসরন করবে;এবং যারা প্রেত(অশুভ আত্নার)পুজা করতো তারা তাদের দেবতার পশ্চাতে চলতে থাকবে।কেবল্মাত্র মুসলমান ও মুনাফিকেরা অবশিষ্ট থাকবে।অতপর লোকেরা পুর্বে যেরুপ আল্লাহর চিনতো তিনি তাদের সামনে ভিন্নরুপে আবির্ভুত হবেন,এবং বলবেন,"আমিই তোমাদের আল্লাহ"।তারা বলবেঃআমরা তোমা হতে আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই"।আমরা এখানে অপেক্ষা করবো যতক্ষন না আল্লাহ আমাদের সামনে উপস্থিত হন এবং আমরা তাকে চিনবো।তারপর আল্লাহ আবার তাদের সামনে সেইরুপে উপস্থিত হবেন যেরুপে লোকেরা আগে তাঁকে চিনতো।তখন লোকেরা চিৎকার করে বলবে,"নিশ্চয়ই তুমি আমাদের প্রভু" এবং তারা তাঁকে অনুসরন করবে"(সহী বুখারী,১ম খন্ড,বিষয়ঃ"ফজল আল-সুজুদ",অধ্যায় ৯ "আল-সিরাতজসর জাহান্নাম"।মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ নিশাপুরি,সহীহ খণ্ড ১,বিষয়ঃ"মারিফাহ তারিখ আল-রুইয়াহ"।)
এই হাদিসটি স্পষ্টতই আল্লাহ সম্পর্কে জ্ঞানের ভিত্তি এবং পরকাল সম্পর্কে ইসলামের মুল বিশ্বাসকে নষ্ট করে দেয়।
অন্য ১টি হাদিসে বর্নিত হয়েছে যে,শেষবিচারের দিনে মহানবী(সাঃ) আল্লাহর নিকট এইভাবে মুনাজাত করবেনঃ “হে আমার আল্লাহ আমি মুসলমানদের প্রতি রাগবশে যে বদদোয়া করেছি এর পরিবর্তে তুমি তাদের প্রতি রহম কর এবং তাদের পরিশুদ্ব করে দাও” (সুত্রঃসহি মুসলিম,বিষয়ঃমানলা আনাহু আল-নবী বা “জায়ালাল্লাহ লাহু জাকাতান ওয়া তহুরান&rdquo ।
……………………………
……….
৫| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২১
শাহরিয়ার ইসলাম খান বলেছেন: জনাব চাঁদগাজী ! সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা ছাড়াও বৈভষম্য কমানো সম্ভব ।তবে সব তত্ত্বেরই বেশ কিছু ইতিবাচক দিক রয়েছে সেটি নেয়া যেতে পারে । আমার মনেহয় ব্যাক্তিগত সমপত্ত্বির একটা সীমা থাকা উচিত যেমন কেউ র্নিিষ্ট পরিমান সম্পদের বেশী রাখতে পারবেনা কারো থাকলে তা দরিদ্র শ্রেনীর কর্মসংস্থানে ব্যায় করতে হবে । যাকাত অথবা যাকাতের মত পদ্ধতিও চালু করা যেতে পারে । মিশ্র র্অথর্নীতির সাথেসমাজতন্ত্র কোনো নিখুত মতবাদ নয় , পুজিবাদও নয় ইসলামী মতবাদও অমুসলিামদের জন্য বিব্রতকর । সাথে শুশাসন নিশ্চিত করতে হবে । দূর্নীতি করে বিত্ত্বের পাহাড় গড়া বন্ধ করতে হবে । তবে রাতারাতি সামাজিক বৈষম্যদূর করা যাবেনা এমনকি কখনো হয়তো পূরোপূরে বিলোপ করা যাবেনা কিন্তু এ বৈষম্যের মাত্রাটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। তবে এজন্য সরকারী নিতি নির্ধারকদের গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখা প্রয়োজন ।
৬| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৬
শাহরিয়ার ইসলাম খান বলেছেন: জনাব তাতাসাইয়ু আপনার র্দীঘ মন্তব্যটি ভালো লেগেছে ইসলাম সমর্পেক আপনার জ্ঞানের গভীরতায় মুগ্ধ হয়েছি আমার মনে হয় কোন সুন্নি আলেম আপনার কথাগুলোর ভালো উত্তর জানেন । আমি দিতে পারছিনা ইসলাম সমর্পেক আমার এত পরিপক্ক জ্ঞান নাই ।ধন্যবাদ আপনাকে .।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেনিন ও মাও ফেল করেছে সাময়িকভাবে; দেখুন কি করা যায়?