নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী

আল্লাহ ছাড়া আর কোন সৃষ্টিকর্তা নেই । হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসূল ।

েশখসাদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবি খাদিজা (রা.) এর জীবনী - মুসলিম মহিলাদের জন্য আদর্শ

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৪:১৩

সম্মানিত মহিলা ব্লগার আপুরা,



আসুন উম্মুল মুমেনিন খাদীজা (রা.) এর জীবনী ভালো করে জানি এবং আলোচনা করি । এবং উনাদের মত করে নিজেদের জীবন গড়ি ।



--------------------

হযরত খাদীজা (রা.) এর পিতা খুওয়াইলিদ ইবন আসাদ ছিলেন বহু সন্তানের জনক । দ্বিতীয় সন্তান ছিলেন হযরত খাদীজা (রা.) । আবু হালা ইবন যারারাহ আত-তামীমীর সাথে প্রথমে উনার বিয়ে হয় । আবু হালার মৃত্যুর পর 'আতীক বিন আবিদ আল-মাখযুমীর সাথে উনার দ্বিতীয় বিয়ে হয় । তবে অনেকে বলেন আতীক বিন আবিদ পরে আবু হালার সাথে বিয়ে হয় ।



পিতা ও স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি অনেক সম্পদ লাভ করেন ও বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন । ইবন সা'দ উনার সম্পর্কে বলেছেন,



"খাদীজা ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত ও সম্পদশালী ব্যবসায়ী মহিলা । উনার বাণিজ্য সম্ভার সিরিয়া যেত এবং উনার একার পণ্য কুরাইশদের সকলের পণ্যের সমান হতো ।'



মহানবী (সা.) তখন পচিশ বছরের যুবক । এর মধ্যে চাচা আবু-তালিবের সাথে বা একাকী কয়েকটি বাণিজ্য সফরে গিয়ে ব্যবসায় সম্পর্কে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছেন । ব্যবসায়ে উনার সততা ও আমানতদারীর কথা মক্কার মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে । সবার কাছে তিনি তখন আল- আমিন । তার সুনামের কথা খাদীজা (রা.) এর কানেও পৈাছে ।



খাদীজা (রা.) লোক মারফত মুহাম্মদের (সা.) কাছে প্রস্তাব পাঠালেন, তিনি যদি ব্যবসায়ের দায়িত্ব নিয়ে সিরিয়া যান, অন্যদের তুলনায় খাদীজা (রা.) তাকে দ্বিগুণ মুনাফা দিবেন । মুহাম্মদ (সা.) রাজী হলেন ।



খাদীজা (রা.) এর পণ্য সামগ্রী নিয়ে উনার বিশ্বস্ত দাস মায়সারাকে সঙ্গে করে তিনি সিরিয়া চললেন । পথে এক গীর্জার পাশে একটি গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন । গীর্জার পাদ্রী এগিয়ে এলেন মায়সারা দিকে । জিজ্ঞেস করলেন : 'বিশ্রামরত লোকটি কে ? ', মায়সারা বললেন, : ' মক্কার হারামবাসী কুরাইশ গোত্রের একটি লোক ।' পাদ্রী বললেন: ' এখন এই গাছের নীচে যিনি বিশ্রাম নিচ্ছেন তিনি একজন নবী ছাড়া আর কেউ নন । '



মহানবী (সা.) সিরিয়ার বাজারে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করলেন এবং যা কেনার তা কিনলেন । তারপর মায়সারাকে সঙ্গে করে মক্কার পথে রওনা হলেন । পথে মায়সারা লক্ষ্য করলেন, মহানবী (সা.) উনার উটের উপর সওয়ার হয়ে চলেছেন, আর এক টুকরো মেঘ উনাকে প্রখর রোদ্রে ছায়া প্রদান করে যাচ্ছে । ব্যবসায়ে প্রচুর লাভ করলেন । মায়সারা তার মনিব বিবি খাদীজা (রা.) কে পাদ্রীর মন্তব্য ও অলৈাকিক ঘটনা সবিস্তারে বর্ণনা করলেন ।



হযরত খাদীজা (রা.) ছিলেন একজন বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমতি ভদ্র মহিলা । তার ধন সম্পদ, ভদ্রতা ও লৈাকিকতায় মক্কার সর্বস্তরের মানুষ মুগ্ধ ছিল । অনেক অভিজাত কুরাইশ যুবকই তাকে সহধর্মিনী হিসেবে লাভ করার প্রত্যাশী ছিল । তিনি তাদের সকলকে প্রত্যাখান করেন । মায়সারা মুখে সবকিছু শুনে খাদীজা (রা.) নিজেই মহানবী (সা.) নিকট বিয়ের পয়গাম পাঠান ।



বিয়ের সময় উনাদের উভয়ের বয়স সম্পর্কে সীরাত বিশেষজ্ঞদের মত পার্থক্য থাকলেও সর্বাধিক সঠিক মতানুযায়ী মহানবী (সা.) এর বয়স ছিল পচিশ এবং খাদীজা (রা.) এর বয়স ছিল চল্লিশ । খাদীজা (রা.) নিজেই উভয় পক্ষের খরচ বহন করেছিলেন । তিনি দুই উকিয়া সোনা ও রুপো মহানবী (সা.) এর নিকট পাঠান এবং তা দিয়ে উভয়ের পোশাক ও ওয়ালীমার বন্দোবস্ত করতে বলেন ।



চলবে ।



(যে লাইনগুলো বোল্ড করা হয়েছে সে লাইনগুলো নিয়ে দয়া করে একটু গভীর ভাবে চিন্তা করুন )



সূত্র: আসহাবে রাসূলের জীবনকথা ১। মুহাম্মদ আব্দুল মা'বুদ ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.