নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাঝে মাঝে মনে হয় জীবনটা অন্যরকম হবার কথা ছিল!

শেরজা তপন

অনেক সুখের গল্প হল-এবার কিছু কষ্টের কথা শুনি...

শেরজা তপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অন্ধ ভালবাসা ও সমর্থনের বিপরীতে মহান(!) নেতাদের প্রতিদান!!!

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪২


**শেখ হাসিনার পর আপনাদের কী হবে, তা আমার চিন্তার বিষয় না, আমাদের পরিবারেরও চিন্তার বিষয় না। আপনারা বুঝবেন।**~ সজীব ওয়াজেদ জয়
**হাতে একদম সময় ছিল না। এমনকি তার জিনিসপত্রও গোছানো যায়নি। সংবিধান যেহেতু আছে, তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী**~ বলছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। ***( মাশাল্লাহ এতক্ষনে আসল কথায় আইছে বেটায়!!! শেখের বেটি ভাগে নাই ভারতে বেড়াইতে গ্যাছে)
**বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনের জন্য, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি বিএনপির সঙ্গে কাজ করতেও রাজি।** ~ সজীব ওয়াজেদ জয়
***
মাদের আড্ডার মাল্টু ভাই এর কথা এর আগে বলেছিলাম। তিনি কট্টর হাসিনা বিরোধী, তার আশেপাশে কিছু ফেসবুকীয় অতি জ্ঞানীগুণী মানুষজন ঘুরে বেড়াত, তারা নিয়মিত ১০০ভাগ সত্য গুজব আপডেট দিত।
যেমন কেউ একজন কানে কানে বলে গেল; ভাই খালেদা জিয়াতো মারা গেছে রাত বারোটার সময়। আমি খবর পাইছি তিনটার দিকে। একদম অথেনটিক সোর্স। সরকার চুপ আছে; কিছু কইতেছে না বিপদে পড়ে যাবে বলে।
মাল্টু ভাই, ভীষন সিরিয়াস হয়ে আড্ডায় এসে চেয়ারে বসে ফস করে একটা সিগারেট ধরিয়ে মুখটা সামনে বাড়িয়ে ব্যাপক টেনশন নিয়ে ফিসফিসিয়ে সবার সাথে সেই ঘটনাটা শেয়ার করল।
ড্ডার আশিভাগ আওয়ামী সমর্থক। এখানে অলমোস্ট সবাই যার যার নিজ কাজে ব্যাস্ত, দল করে নিঃস্বার্থভাবে। দলীয় কোন কাজে ডাকলে সব ফেলে দৌড়ে যায়, নিজের পয়সায় চা-সিঙ্গারা খেয়ে আসে। অবশ্য অল্প বয়সী দু-একজন আছে বেয়াড়া টাইপের কোন বেতাল দেখলে খেপে ওঠে কিংবা যে কোন আন্দোলনে লাঠি বাঁশ নিয়ে দৌড় দেয়- বয়স্করা এদের সামলে রাখে।
বারের নির্বাচনে এরা ছিল সবচেয়ে ব্রাত্য- অবহেলিত। এমপি সাহেব জানেন যে তার কোন নেতা-কর্মী দরকার নেই। তিনি এমনিতেই জিতে যাবে গতবারেও এমন হয়েছিল, বহুকষ্টে সামলেছিলেন। এবারের কষ্টের ঘা-টা এখনো শুকায়নি।

আমি বরাবর ডাবল স্টান্ডার্ট মেইন-টেইন করি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্র পক্ষ হয়ে হাসিনাকে তুলোধুনো করেছি বলে আমি ও আমার ছোট ভাইকে নিজের মা- রাজাকার বলেছেন।

মার আড্ডার পাশেই আরেকটা আড্ডা বসে- সেটা মুলত বিএনপির ত্যাগী নেতাদের আড্ডা। এরা কখনোই নিজেদের ফোকাস করেনি সেজন্য দৌড়ের উপ্রেও থাকেনি কখনো। অবশ্য তাদের সাথে লীগের নেতাদেরও আড্ডা হয়-তুমুল তর্ক বিতর্ক হয়। সবার সাথে আমাদের ভাই বেরাদার হাই হ্যালো কুশলের সম্পর্ক!
এই আন্দোলনে প্রথমে ওরা একেবারে নিস্ক্রিয় ছিল। মাল্টু ভাই নিয়মিত গুজবের খবর আনছেন।
মিরপুরে আওয়ামী নেতারা ভীষন সক্রিয় ছিল। ঢাকায় আর কোথাও এতটা সক্রিয় ও সঙ্গবদ্ধ দেখা যায়নি। এই নিয়ে এদের আন্দোলন দমন ও নিজেদের অর্ন্তকোন্দলের খবর গুরুত্বের সাথে সব পত্রিকায় এসেছে। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি এদের এদের ছাত্র আন্দোলন বিরোধিতা থেকে বিরত রাখতে। আমি তেমন কোন সাহসী পুরুষ নই তবুও ক'জন আন্দোলনকারী ( ওরা সম্ভবত ছাত্র নয়- হাতে লাঠি মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল) যখন পিছু হটে পালিয়ে যাচ্ছে, তাদেরকে আমাদের ইয়াং গ্রুপ যখন চ্যালঞ্জ করতে গেল তখন আমি তাদের পথ আটকেছিলাম। বলেছিলাম; দরকার হলে পুলিশে খবর দাও, আমি মহল্লায় কোন গ্যাঞ্জাম চাই না। আমাদের সুন্দর সহবস্থানকে আমি বিশেষ রঙ্গে রঞ্জিত (কালার) করতে চাই না। এই নিয়ে পরে বড় এক নেতা একটু গোস্যা করেছিলেন আমার উপর।

বে সুদীর্ঘ সময় যে আড্ডা দিয়েছি, আমার পুরনো বন্ধুরা অধিকাংশ দেশের বাইরে বা নিজের জীবন জীবিকায় ব্যস্ততার জন্য এখানে আর আসতে পারে না তেমন করে, তবুও যারা আছেন কেউ বড় ভাই কেউ ছোট ভাই কেউ সমবয়েসী- কিন্তু বার মধ্যেই নুন্যতম একটা মানবতাবোধ বা বিবেক আছে।
এর মধ্যেও ফাঁকে ফোকরে কয়েকজন প্রতিরোধের ডাকে সরকারপক্ষের আন্দোলনে শরিক হয়েছিল যদিও তবে তারা লাঠি হাতে দর্শকের ভুমিকায় ছিল এটা নিশ্চিত।

এককালের কুস্তিগীর লাটু ভাই( আদি গোপালগঞ্জের মানুষ) -এর ভাষ্যঃ ভাইরে কি আর কব, এইপাশ থেকে নেতারা পাখির মত গুলি কইর‍্যা মানুষ ফেলতেছে, দেইখ্যা সে আর সহ্য হয় না। আমার সামনে একটা ইয়াং ছেলে, সুন্দর মত বয়স একদম কম ২০/২২ হবে। মোবাইলে ভিডিও করতেছিল। এক পোলা আইস্যা দিল মাথা তুইল্যা বাড়ি- ধপাস কইর‍্যা পুলাডা পইড়্যা গেল- তারপরে চাইরপাশ থেকে সাপ পিটানোর মত সপাং সপাং কর‍্যা সে কিরাম বাড়ি, ও আর দেখা যায় না। আমি দৌড়ায় গেলাম ঠেকেইতে- আমারই তো পুলাপানের বয়স, ঠেকাব কি- সবার এমন আক্রোশ শেষ মেষ আমার মাইর খাবার দশা!
একটা ছেলে গুলি খাইছে তারে রিক্সায় করে নিয়ে যাচ্ছে কয়েক বন্ধু মিল্যা- সেই রিক্সাতেই ফের গুলি কইর‍্যা তারে মাইর‍্যা ফেলল। কন এরা মানুষ??
বাচ্চা একটা মেয়ে ষোল সতের বছর বয়স প্রাণ বাচানোর ভয়ে দৌড়াইতে গিয়ে টালমাটাল হয়ে আমার সামনে রাস্তার উপর হুমড়ি খাইয়া পড়ল। পিছনে দুই পুলা বিশাল চকচকা রাম দা হাতে। আমি দৌড়ায় গিয়া মেয়েটারে টাইন্যা উঠাইলাম। ছেলে দুইটা পারলে আমারে কুপায়- বয়স্ক মানুষ দেইখ্যা মনে হয় কিছু কয় নাই। মেয়েটা যে মৃত্যুভয়ে কেমন কইর‍্যা কাঁপতেছিল ... আমি ওরে তুলে নিয়ে আজমল হাসপাতালের ভিতর বসায় দিয়ে আসলাম।
শেষ বেলাঃ লিগের নেতাদের ইচ্ছে ছিল ৫টা পর্যন্ত গোলচক্কর দখল করে রাখবে। এর মাঝে আর্মি নিরপেক্ষ ভুমিকা নিয়েছে। তারা কোনভাবেই গোলাগুলি বা খুন জখম করতে দিচ্ছে না- তারপরেও মোড়ে মোড়ে মহল্লায় মহল্লায় চলছে গণ্ডগোল। বেশীরভাগ স্থানে আওয়ামীপন্থীরা আন্দোলনকারীদের ভিন্ন ভিন্ন ট্যাগ দিয়ে দমন পীড়ন চালাচ্ছে- পুলিশ তাদের সাধ্যমত প্রটেকশন দিচ্ছে।
সাড়ে তিনটের দিকে আন্দোলনকারীরা চারপাশ থেকে পিলপিল করে আসতে লাগল- আর্মি বলল আওয়ামী কর্মীদের মাঠ ছেড়ে দিতে। তারা প্রথমে নারাজ হলেও পরে ভাব গতিক খারাপ দেখে যে যেদিকে পারে ভো দৌড়! লাটু ভাইয়ের মোবাইলে ফোন, যেইদিক দিয়ে পারেন ভাগেন!
লাটু ভাই সে এক অন্যরকম দৃশ্য ভাই- আমি স্বাধীনতার পরে এমন দেখি নাই( তখন তার বয়স ৮/৯ -যুদ্ধের সময়ের গ্রামের এই বয়সী পুলাপান অনেক পাকনা ছিল।)। সামনে বিশাল বাংলাদেশের পতাকা আর হাজার হাজার ছেলে মেয়ে বাচ্চা বাচ্চার মায়ের ধাইয়্যা আসতেছে। কই দৌড় দেব কই যাব দিশা হারা হয়ে গেছি। শুনতেছি সব গলিতে নাকি তারা ঢুইক্যা পড়ছে। আমাদের সামনে খালি পুলিশ আছে। আমার পাশের এক নেতা পালাবার আগে শেষবার তার শটগান উঠাইল, ভাব যে কয়টারে পারে গুলি কইর‍্যা তারপর পলাবে। শটগানে তাক করে ট্রিগার চাপার আগে কি বিড় বিড় করে বইল্যা নামায় ফেলল। পাশের একজন কইল, ভাই গুলি করেন না ক্যান?
উনি কইলেন, কি গুলি করব- সবই দেখি তো মেয়ে মানুষ আর বাচ্চা- পুলাপান!
পাশের সেই পাতি নেতা মরিয়া হয়ে কইল, কয়ডা ফাকা গুলি অন্তত করেন- ওরা ভয় পাক।
নেতা কিছু আর না বলে, শটগানটা তার বডিগার্ডকে দিয়ে গাড়িতে উঠে বসে দ্রুত গতিতে ভেগে গেলেন।।
আমি আমাদের সুদীর্ঘ সময়ের আড্ডার কথা বলেছিলাম- এখানে কিছু ত্যাগী নেতা কর্মী বসেন। যারা দলকে ভালবাসেন কিন্তু দলকানা নন। এদের মধ্যে মায়া দয়া ভালবাসা দেশের প্রতি মমত্ববোধ সবই আছে। হাসিনার একগুয়েমী, আমিত্ব, দ্রব্যমুল্য, দুর্নীতি, নিজের বাপকে সস্তা বাজারি করে ফেলা, সব বিষয়ে শিবির, বি এন পি, রাজাকার ট্যাগ দেয়া নিয়ে এরা সোচ্চার ছিল। এরপরেও এরা একটা দলকে ভালবেসেছিল - তারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়েছিলেন। কিন্তু সেই দলের মহান(!) ত্যাগী নেত্রী তাদের জীবনকে জলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মুখে ফেলে রেখে শুধু নিজের স্বার্থে ভেগেছেন।
(এই কাহিনীগুলো শুনেছিলাম তখন যখন শেখ হাসিনা দেশে ছিলেন। আওয়ামীলীগের কেউ সপ্নেও ভাবেনি এভাবে তাদের পতন হবে। লাটু ভাই একটু বাড়িয়ে বললেও মিথ্যে কথা বলার মানুষ নন।)

প্রথম পর্ব

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৯

আহলান বলেছেন: তার পলায়ন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। নয়তো অন্য ইতিহাস রচিত হইতো হয়তোবা ...

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: ঠিক বলেছেন-এখন যা হচ্ছে সব কিছুই চির স্মরণে রাখবার মত ইতিহাস!

২| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:০৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:






এটা কি বাংলা-বসন্ত?

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২১

শেরজা তপন বলেছেন: বসন্ত এখনো আসে নাই- গরমকাল আছে।

৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন পুলিশ বলে আমরা খারাপ ছিলাম না উপরের নির্দেশে গুলি করেছি। আওয়ামীলীগের চ্যালারাও এখন বলবে যে আমি কিছু করি নাই যত দোষ আমাদের নেত্রীর। হাসিনা ইতিমধ্যে তার কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন বলে মনে হচ্ছে। ইউটিউবে একটা কয়েক সেকেন্ডের কথোপকথন আছে। ভারতেই মনে হয় সে থাকবে। কিন্তু ভারতের জন্য সেটা একটা সমস্যা হবে। কারণ মোদী হাসিনার চোপা থামানো পারবে বলে মনে হয় না। সেই ক্ষেত্রে তাকে গৃহবন্দী করে কয়েদির মত রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক চাপের কারণে এটা সম্ভব হবে না। ফলে হাসিনার চোপা চলতে থাকবে। তবে এতে দেশের ভিতরে আওয়ামীলীগ আরও বিপদে পড়বে। জামাত, বিএনপি উঠে পড়ে লাগবে আওয়ামীলীগের উপরে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বুদ্ধিমান হলে মামলায় জর্জরিত করবে আওয়ামীলীগের নেতাদেরকে। ফলে তাই আপনার লাটু ভাইদের দৌড় শুরু হতে পারে কিছুদিনের মধ্যে। আপনি কিছুদিন লাটু ভাইদের থেকে দূরে থাকবেন। ওদের সাথে মাখামাখি এড়িয়ে চলুন।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৬

শেরজা তপন বলেছেন: শেখ হাসিনাকে এখন মহান নেত্রী বানানোর তোড়জোড় চলছে। তৃতীয় বিশ্বের এমন দেশগুলোর ক্ষমতার মোহ ভয়াবহ।
লাটু ভাই কোন আকাম করে নাই- কারো চার পয়সা খায় নাই- নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে কর্মীদের সেবা করেছে। অষ্ট্রেলিয়ায়
তার পি আর আছে।
আওয়ামীলীগ আসুক সমস্যা নেই কিন্তু শেখ পরিবারকে ঠেকাতে হবে- পরিবারতান্ত্রিক আর রাজনীতি হবে না। এখন দল হবে ত্যাগী আর তৃণমুল নেতাদের। অপরাধী সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবার হতেই হবে।

৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

রানার ব্লগ বলেছেন: জয় খোকা টা এখনো কথা বলতে শিখলো না। মাম্মা'স বাডি হয়েই থাকলো।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: ও যা বকছে সব অন্যের শিখিয়ে দেয়া বুলি- নিজেই জানে না মাইরি কি বলছে। বড়মাপের শয়তান বলদ

৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২০

কামাল১৮ বলেছেন: তাক পরাজিত করেছে আর্মী।বেড়ায় ক্ষেত খেয়েছে।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২৯

শেরজা তপন বলেছেন: এভাবে চললে কেউ না কেউ ক্ষেত তো খাবেই। আপনি কি এই ছাত্র আন্দোলন এর সফলতাকে কোনভাবে খাটো করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন?
এদের কি কোন আবদান নেই বলে মনে হয়?

৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

এম এ কাশেম বলেছেন: আর্মী শুধু স্বৈরচারী হাসিনার কথায় পাখীর মত মানুষ মারতে রাজি হয় নাই, এতেই খেল খতম।
কারন সাধারন জনগন যে ভাবে ক্ষেপেছে তাতে পালিয়ে শ্বাশুর বাড়ী না গেলে তার লাশ ও
পাওয়া যেতো না।

অবশ্য এখনও কিছু অমানুষের বাচ্চা আর জানোয়ার আছে যারা এই ছাত্র-জনতার স্বতস্ফুর্ত
গণ অভ্যুত্থানে স্বৈরচারী খুনি শেখ হাসিনার পলায়নকে মেনে নিতে পারছে না। আর এরা মানুষের
পর্যায়ে পরে না।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: এমন এই সুযোগে কিছু মানুষ লুট-পাট ডাকাতি করছে, কিছু মানুষ সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমন করছে, কিছু মানুষ ক্ষমতায় এসে গেছি মনে করে দখলের উৎসব করছে ঠিক তেমনি ওরকম কিছু মানুষও তো এদের কাতারে থাকবে এতে আর বিস্মিত হবার কি আছে। সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬

মিরোরডডল বলেছেন:





সংবিধান যেহেতু আছে, তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী**~ বলছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।

সজীব এই কথা কোথায় বলেছে? আমি দেখিনি তাই জানতে চাচ্ছি।

মা ছেলের সাথে কথা বলে পদত্যাগ করেছেন, সজীবকে এ কথা বলতে দেখেছি।

তাহলে রিজাইন করলে আবার প্রধানমন্ত্রী পদে কিভাবে থাকে!




১০ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: রয়টার্স-কে বলেছেন। আজকের সব সংবাদে পাবেন। এজন্যই প্রধান বিচারপতি থেকে প্যানেলের ৭জন বিচারপতির পদত্যাগের তড়িঘড়ি আন্দোলন হল সম্ভবত।

৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

বিষাদ সময় বলেছেন: কিন্তু সেই দলের মহান(!) ত্যাগী নেত্রী তাদের জীবনকে জলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মুখে ফেলে রেখে শুধু নিজের স্বার্থে ভেগেছেন।

গত ১৫ বছর ধরেই আওয়ামীলীগ বারুদের স্তুপের উপর বসেছিল দরকার ছিল একটা স্ফুলিঙ্গ। অনেকবারই সেই বারুদে দিয়াশালাই এর কাঠি জ্বালানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু সফল হয়নি, এবার সেটা সফলতার মুখ দেখেছে।

তার পলায়ন নিসন্দেহে লজ্জাজনক। কিন্তু এর অল্টারনেটিভ কি কি ছিল?

একটা টক শোতে গোলাম মাওলা রনি কিছু কথা বলেছেন সেটা দেখেছেন না দেখেননি জানিনা আগ্রহ থাকলে লিন্ক দেয়া যেতে পারে।
ধন্যবাদ।

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: তিনি সেনানিবাসে সেনাবাহিনীর জিম্মায় থাকতে পারতেন- কিছু নাহলে আত্মহত্যা করতে পারতেন।

মাওলা রনির বক্তব্য শুনেছি ব্রো

৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০০

ধুলো মেঘ বলেছেন:

১০ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস- শিওর তো আপনি?

১০| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:





এরপরেও এরা একটা দলকে ভালবেসেছিল - তারা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়েছিলেন। কিন্তু সেই দলের মহান(!) ত্যাগী নেত্রী তাদের জীবনকে জলন্ত অগ্নিকুণ্ডের মুখে ফেলে রেখে শুধু নিজের স্বার্থে ভেগেছেন।

এই কথাটা একটা অর্থহীন কথা।
কারণ, সেই মুহূর্তে দলের সকল কর্মীদের ব্যবস্থা করে বা সাথে নিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করা বাস্তবসম্মত না।
By this time, she would have been killed.

যে কোন মানুষ, ইভেন যারা এখন এগুলো বলছে তারাও এই পরিস্থিতিতে ঠিক এরকম আচরণই করতো।
Man!! this is called politics.


১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০২

শেরজা তপন বলেছেন: দেশের মধ্যেই তার পালিয়ে থাকবার অনেক জায়গা ছিল। টুংগিপাড়ার কথাই ধরুন! ২/৪ লাখ লোক সেখানে তাকে পাহারা দিয়ে রাখতে।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:১১

বিষাদ সময় বলেছেন: @ মিরোরডল

would have been
এই শব্দগুলো ব্যবহার এর প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়?

আপনার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য করায় দুঃখিত।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: জয়ের এই কয়েক দিনের স্টেটমেন্ট দেখে মনে হয়েছে তার চুপ থাকা দরকার, সে যত কথা বলবে তত ভুল কথা বের হবে!

২৪টির মত নাকি আয়না ঘরের (পড়ুন কন্সেন্ট্রেশন ক্যাম্প) সন্ধান মিলেছে (সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা), আমার মনে হয় জয় আর তার পরিবার ভয় পেয়ে গেছে কারন এটা পশ্চিমাদেশগুলোরতে ছড়াচ্ছে, আধুনিক যুগে এগুলো ভাবা যায় না! ততত্ত্বাবধায়ক সরকার থিতু হয়ে কাজ শুরু করলে মা ছেলে দুজনই ফেসে যাবে! তাদের দেশের পাঠানোর জন্য ভারতকে চাপ দিলে অন্য রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে, ভারত অনেকটা অস্বস্তিতে পরবে হাসিনার জন্য, আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশ সাপোর্ট পাবে চাপ সৃষ্টির জন্য! ভয়ে জয় এক এক সময় এক এক শিখানো ভূলি বকছে!

লীগ বিএনপি আর দেশের মানুষের বিশ্বাস হারিয়েছে! এই দাগ থেকে যাবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফুল ফেজে কাজ শুরু করলে অনেকে বেকায়দায় পরবে!

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: সহমত ওরা যে জায়গাগুলোতে সংস্কারের উদ্যোগ নিবে কোন রাজনৈতিক দল চায়না সেসব জায়গা বা প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার হোক, তাহলে তাদের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রন ও, বাক স্বাধীনতাহরন - মূলত রাষ্টযন্ত নিয়ন্ত্রন করে ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করে ফ্যাসিস্ট হবার সুযোগ কমে যাবে।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১:৫০

জটিল ভাই বলেছেন:
লীগের বিষয়ে আর নতুন করে কিছু বলার আছে?

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: হ্যাঁ আরো আছে ওয়েট করেন বলবে :)

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



মোটামুটি সবগুলি উইকেট তো পড়ে গেছে পদত্যাগের কারণে ।
এবার রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করা যেতে পারে।
বড্ড দেরি হয়ে যাচ্ছে ।
তাড়াতাড়ি রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবি করা হোক।

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

শেরজা তপন বলেছেন: এই উইকেট ও পড়ে যাবে সময় আসলে - অপেক্ষা করেন ...

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



অনেক অনেক কিছুই দেখতে পাবেন। তবে মনে হয়, আর কিছুই করার নেই।

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: আমি তো দারুন আশাবাদী- সবার পক্ক থেকেই অনেক কিছু করার আছে।
তৃনমুল ও ত্যাগী আওয়ামীলীগ নেতাদের নিয়ে নতুন করে দল গড়ে তোলার দারুন সম্ভাবনা যেমন আছে তেমন এই তরুন ও যুবসমাজ দিয়ে নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার আশায় আছি।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ৮:৫২

পবন সরকার বলেছেন: শেখ হাসিনা না পলালে গণভবনে ঢুকে পাবলিকে মেরে ফেলতো।

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: গোপালগঞ্জ কিংবা সেনানিবাস কিংবা অন্য কোন গোপন স্থানে যেতে পারতেন।

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:২৫

সোহানী বলেছেন: যা ঘটেছে তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। হাসিনা বা তার চেলারা কখনই ভাবেনি এরকম কিছু ঘটতে পারে। কারন এতো বছর যেভাবে দনম করেছলি এবারও ভেবেছিল সেভাবে কাজে দিবে। কিন্তু তাদের সব চিন্তা ভাবনাকে গুড়িয়ে দিলো এ তরুণ সমাজ।

কি সাহস তাদের, কি একাত্বতা............. এদেরকে নিয়ে ইতিহাস সারা বিশ্বে উদাহরন হয়ে থাকবে।

প্রথম আন্দেলনের শুরুতেই আমি প্রটেস্ট এর ডাক দিয়েছিলাম। আমি যে শহরে থাকি তা খুব ছোট, বাংলাদেশী কমিউনিটি খুব কম। কিন্তু অবাক হলাম মাত্র দেড়দিনের সে আহবানে শ'য়ের উপর মানুষ জমায়েত হয়েছিল। দূর-দুরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছিল। এক জনের পর একজন কথা বলেই চলছিল, কাউকেই থামানো যাচ্ছিল না। যে আগুন তাদের মাঝে দেখেছি তা অবিশ্বাস্য। এরা সবাই বলতে গেলে ধনী পরিবারের সন্তান। তাদের মাঝে এরকম কিছু দেখে আমার বিশ্বাস আরো গাঢ় হয়েছিল, একদিন এ তরুনরা জয়ী হবেই হবে।

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৩

শেরজা তপন বলেছেন: চমৎকার এক অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় আমরা। ভাল থাকবেন

১৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:২১

শায়মা বলেছেন: জয়ের এই বক্তব্য দেখে আমি কনফিউসড হয়ে গেছিলাম। আসলেও কি পদত্যাগের পরে প্রধানমন্ত্রী থাকা যায়!

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: কাল ভয়ঙ্কর এক ঘটনা ঘটার কথা ছিল সম্ভবত কিন্তু ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে নীল নকশা বাস্তবায়ন হয় নি।
বড় বাঁচা বেঁচে গেল দেশ- আগের দিন জয়ের কথাতেই প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত ছিল।

১৯| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ ভোর ৬:৫৫

আলামিন১০৪ বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায়

১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৬

শেরজা তপন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভ্রাতা অপেক্ষা করুন ...

২০| ১১ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কিছু কিছু নির্লজ্জ এখনো আওয়ামী নিপীড়নে সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করছে। এদেরকেও চিহ্নিত করা দরকার।

১২ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:১৬

শেরজা তপন বলেছেন: আমিও আছি নাকি এই পক্ষে? :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.