![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
'তুমার দুইডা পায়ে ধরি, আমারে ছাইরা দেও।'
'ছাইরা দিমু? হ, তোরে তালাক দিয়া ছাইরা দিমু।'
'আর মাইরো না, আমি মইরা যামু।'
'আমি কি তোরে সাধে মারি? বাপের বাড়ি থিকা টাহা আনলেই তো সব মিইট্টা যায়।'
'তোমারে আর কত টাহা দিবো আমার বাপে? কাম কাজ না কইরা পরের টাহার পর এতো লোভ ক্যান তোমার?'
এই কথায় খোঁচা লাগে মিজানের, রাগে কাঁপতে কাঁপতে আরো কয়েকটা লাথি মারে। আরো কিছুক্ষণ নির্যাতন করার পর রাগ একটু কমলে দরজাটা খুলে বাইরে বেরিয়ে আসে। গজর গজর করতে করতে কোথায় চলে যায়।
রাশিদার এই দুঃখ, এই নির্যাতন, এই অবহেলা দেখার মত কেউ নেই। ঘরের মধ্যে পরে থাকে মেয়েটা।
দেখতে পারে শুধু একজন, সে হল দরজা।
প্রায়শই এই ঘটনাটি ঘটে, এবং তাকে এর সাক্ষি হতে হয়। তাকে চেয়ে চেয়ে দেখতে হয় এই অবোলা নারীটির দুর্ভোগ। যখন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে দরজা গলে পালিয়ে যেতে চায়, তখন মিজানের কাছে রাশিদার অপরাধ আরো একটি বেড়ে যায়। প্রবল ক্রোধে আছড়ে পরে মেয়েটির ওপরে। তখন দরজা চায় তার দুয়ার খুলে দিতে, ভয়ার্ত মুখটি যেন আগুনের সংস্পর্শে না আসে। কিন্তু বিফল চেষ্টা। তার দুয়ার দুটি যে শেকল দিয়ে বাঁধা।
তাই বদ্ধ দরজার ওপারের কথা, কারো কানে পৌঁছায় না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৮
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: ব্লগে স্বগতম
শুভব্লগিং।