![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে আল্লাহ্র একজন খাদেম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অক্লান্ত চেষ্টা করছি, করেই যাব......
দুনিয়াতে “আল কোরান” এর পরে সবচেয়ে বিশুদ্ধ গ্রন্থ “বুখারী শরীফ”। এটা নিয়ে যদি কারো দ্বিমত থাকে তবে তার ঈমান নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। যারা এই দলে আছেন তাদের বলছি দয়া করে নিচের লেখা পড়ার দরকার নেই। (আপনাদের সময় নষ্ট করার জন্য দুঃখিত)।
সাহস নিয়ে নিচের লেখা যিনি পড়বেন তাঁকে বলছি, আমি কিছু কথা বলব যা হয়তো আপনার ভাল লাগবে না। ভাল না লাগলেও, আমাকে যে বলতেই হবে! তো চলুন এবার শুরু করা যাক।
অনেকে আছেন যারা কোরান মানেন অথচ হাদিস মানেন না! তাদের জন্য নিচের আয়াতটি দিলাম।
“রাসুল তোমাদের যা দিয়েছেন তা গ্রহন কর, যা নিষেধ করেছেন তা বর্জন কর“
(আল কোরান-সুরাঃ হাশর- আয়াতঃ ৭)
এটা আল্লাহতায়ালা নিজে বলেছেন। তাছাড়া কোরান অবতীর্ণ হয়েছে মুহাম্মদ (সাঃ) এর উপর। বেশির ভাগ লোক ধর্ম মানেন, আমল করেন হুজুরের দোহাই দিয়ে, পীরের দোহাই দিয়ে, বাপ-দাদার দোহাই দিয়ে। আপনি কি জানেন, আপনার হুজুর মিথ্যাবাদী! আপনার পীর মিথ্যাবাদী! আপনার হুজুর, আপনার পীর, আপনাকে জাহান্নামের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। প্রমাণ চান???
সালাত দিয়ে শুরু করি।
পুরুষের সালাত একরকম আর নারীর সালাত আরেক রকম। অথচ রাসুল (সাঃ) বলেছেন- “তোমরা সেই ভাবে সালাত আদায় কর, যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখ”।
আপনি রাসুল (সাঃ) কে কোথায় পাবেন? তিনি তো দুনিয়া থেকে চলে গেছেন সাড়ে চৌদ্দশ বছর আগে। এখন আপনি কি করবেন? আপনার সামনে দুইটি পথ খোলা।
১। আপনার হুজুরের কথার উপর নির্ভর করবেন।
২। বাংলা “বুখারী শরিফ” খুলে পড়ে বুঝে আমল করবেন।
রাসুল (সাঃ) মেরাজে গিয়ে দেখেন, এক শ্রেনীর লোকদের জীভ আগুনের কেঁচি দিয়ে কাটা হচ্ছে। জীব্রাইল (আঃ) কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এরা হল ভ্রান্ত হুজুর। এরা মানুষকে ধর্মের নামে মিথ্যা কথা বলতো।
আপনার চারপাশে ছড়িয়ে আছে এইসব ভ্রান্ত হুজুরের দল। সাবধান! এরা নিজেরা জাহান্নামে যাবে, আপনাকে ও নিয়ে যাবে।
অন্যদিকে চলে যাচ্ছি। সালাতে ফিরে আসি।
আপনি সালাত শুরুই করেন বিদাত দিয়ে।
আপনার হুজুর বলেছেন- নিয়ত ছাড়া সালাত হয় না। তাই ছোটবেলা থেকেই নিয়ত শিখতে শিখতে বড় হয়েছেন। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে ১০-১২ টি নিয়ত! সুরা শিখবেন কি, নিয়ত মুখস্ত করতেই আপনার সময় শেষ! আপনার হুজুর এই নিয়ত কোথায় পেয়েছেন? আপনি জানেন? জানেন না, জানবেন কি করে আপনার হুজুর ই তো জানেন না। তাকে জিজ্ঞেস করে দেখেন, উনি বলবেন-উমুক হুজুর বলেছেন। উমুক হুজুরের কাছে যান, তিনি বলবেন, তিনি শুনেছেন আরেক হুজুরের কাছে!
কান খুলে শুনে রাখুন, কোন হুজুরের দোহাই দিয়ে ইসলাম চলে না। ইসলাম চলে একজন মানুষের কথায়, তাঁর নাম মোহাম্মদ (সাঃ)। ইসলামে কোন অপূর্ণতা নেই। ইসলাম পরিপূর্ণ। রাসুল (সাঃ) আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন কোথায় কোন দোয়া পড়তে হবে, এমনকি বাথরুমে যাওয়ার দোয়াটি ও বাদ যায়নি। সেইখানে সালাতের মতো এত জরুরী একটি ইবাদতে যদি কোন নিয়ত থাকতো তবে কি তিনি তা বলে যেতেন না? প্রশ্ন থাকলো আপনার এবং আপনার হুজুরের কাছে।
সিয়াহ সিত্তাহ নামে ৬টি হাদিস গ্রন্থ আছে যার কোনটিতেই সালাতের নিয়তের কথা বলা নেই। এই নিয়ত মানুষের বানানো। মানুষের বানানো কোন কিছু ইসলামে চলবে না কারন ইসলামে নতুন কিছু সংযোজনের নাম বিদাত। আপনি বিদাত করছেন মানে হল আপনার ভবিষ্যত কোন ইবাদত কবুল হবে না, যতদিন না আপনি বিদাত থেকে বেরিয়ে আসবেন।
আমি আপনার মুসলিম ভাই। ধর্মের নামে মিথ্যে বলে নিজের পরকাল হারাতে রাজী নই। আপনাকে আমি বলিনি আমার কথা মানুন। আমি বলতে চেয়েছি, আপনি নিজে হাদিস পড়ুন, দেখুন, তারপর আমল করুন। যতটুকু আমল করবেন তা যেন শিরক আর বিদাত মিশ্রিত না হয় সে ব্যাপারে খুব ভাল করে খেয়াল রাখুন। আপনার অতীতের সব নেকি নষ্ট করার জন্য একটা শিরক ই যথেষ্ট। আর একটি বেদাতের জন্য আপনার ভবিষ্যত কোন আমল কবুল হবে না। তারমানে? তার মানে হলো আপনার সারাজীবনের সব আমল বাতিল বলে গন্য হবে যদি আপনার আমলের সাথে কোন বেদাত মিশে থাকে। সুতরাং, খুব সাবধান!
আমি আপনার জন্য আল্লাহপাকের দরবারে দোয়া করি, আপনি ও আমার জন্য দোয়া করবেন বলে আশা রাখি।
YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz
২| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
বিজন রয় বলেছেন: ওমেরা বলেছেন: আল্লাহ আমাদের বিদাতমুক্ত থাকার তৌফিক দিন । আমীন
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:১৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ধর্ম এখন মানুষকে ক্রমাগতভাবে বিভক্ত করবে; কারণ, আপনি বেশী জানেন; এটা বিরাট সমস্যা।
কিন্তু আসল ব্যাপার হলো, আপনি তেমন কিছু জানার কথা নয়।
১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, আমি একবারো বলিনি আমার কথা মানুন। আমি বলেছি সহিহ হাদিস মানুন। আশা করি বুঝাতে পেরেছি। ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের সমাজে আমরা বেশির ভাগ মানুষ শুনে মুসলমান। কেউই নিজে পড়ে মুসলমান হয়নি।
আর বাপদাদাদের না মানলে তো সমাজই নষ্ট । এই সব মুসলমানরা কবে নিজে পড়ে মুসলমান হবে আল্লাহই ভাল জানেন।
আল্লাহ সবইকে সঠিক বুঝদান করুন।
৫| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৮
কানিজ রিনা বলেছেন: ইসলাম এখন দলে দলে বিভক্ত, মসজিদের
হুজুর বা ইমাম যা বলেন সাধারন মানুষ সেই
মোতাবেক নামাজ আদাই করে। দেখা যায়
এক এক মসজিদের ইমাম এক এক রকম
নিয়ম বাতলায় এখন বলুন সাধারন মুসলিম
বিভ্রান্ত হবেনা কেন?
তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন এতকাল মানুষ
যে নিয়তে নামাজ পড়েছেন সব ইবাদত নষ্ঠ
হয়ে যাবে? আল্লাহ মালুম।
অথচ একজন অসৎ নামাজীর থেকে একজন
সৎ লোক উত্তম।
মোহাঃ সাঃ আঃ বলেছেন মুসলিম যখন দলে
বিভক্ত হয়ে পড়বে তখম তাদের উপর নালত
নেমে আসবে।
মসলিমদের দল শিয়া সুন্নি ওয়াহাবী লামাঝহাবী আরও কত নিত্য নতুন দল।
তবলীগ জামাত,মওদুদী জামাত, লাদেন জামাত।
এতসব দলের ইমাম হুজুর মসজিদে নামাজ
পড়ান সব দলের হুজুরদের নিয়ত নামাজ
বিদাত।
আপনি পীর হুজুরদের যা বলেছেন।
আজকাল প্রায়ই দেখা যায় মাদ্রাসার হুজুর
কতৃক ছাত্রী ধর্ষন, রাস্তার কতকগুল পীর
হুজুর ঘর একটা বানাইয়া নাফরমানী কার্জ
কলাপে লিপ্ত হয়ে। ইসলাম ভাঙায়ে ব্যবসা
করে। তাদের সাথে আসল পীর শিক্ষক
হুজুর কামেলী শিক্ষক কামেলী মৌলানাদের
একচেটিয়া বিচার করা কখনই ঠিকনা।
তবে অতি দুঃখের সাথে বলতে হয় এই দল
বেদল মৌলানার এক এক রকম বক্তৃতায়
সাধারন মানুষ ইসলামের উপর থেকে মহব্বত
হাড়াচ্ছে। নবী মোহাঃ সাঃ আঃ এর পরবর্তী
বংশধর সাহাবা খলিফারা শতশত বছর ধরে
সারা পৃথিবী ছড়িয়ে পড়েন ইসলাম প্রচারে।
তাদের হাতেই বায়াত গ্রহন করে আজ সারা
পৃথীবি ব্যাপী মুসলিম উম্মা।
এই ভারত উপমহাদেশে যত অলি বুজুর্গানদের
হাতে মানুষ মুসলমান হয়েছে তারাই ছিলেন
পীর আওলীয়া ওলি পীর মাশায়েখ। তাদের
অমায়ীক ইসলামীক জীবন দেখে দলে দলে
ভারত উপমাদেশের মানুষ ইসলাম গ্রহন করে।
একচেটিয়া তাদের অপমান করে কথা বলা
কখনই ঠিকনা।
ইসলামের প্রধান চার খলিফার অনুসারী কিছু
রকমফের মতবাদ অবল্বনে অভ্যস্ত।
আজ হতে তিন দশক আগেও দলবেদলের
এত বিরোধ ছিলনা। আমাদের দুর্বলতায়
আমরা তর্কে জড়াচ্ছি। আর ইহুদী নাছারা
ইসলামের মূখোশ নিয়ে আমাদের মাঝে ঢুকে
বিবাদ সৃস্টি করছে।
আজ মুসলমানদের লানত মুসলমান ডেকে
আনছে। মক্কায় হজ করতে যাওয়ার ফরজের
মধ্যে একটি ফরজ কেউ মানেনা জানেনা
তা হোল পৃথিবীর তাবদ মুসলিম একত্রিত হবে
একমতে ভাই ভাই মিলে থাকবে। কিন্তু ভাই
ভাই আজ সক্র দলে দলে বিভক্ত। দুই দলের
দুই হুজুর তর্কে গেলে হাতা হাতি হওয়ার
পর্যায় চলে যায়। এখন বলুন আমরা কোন
দলের হুজুরের কথা শুনে চলব। ধন্যবাদ
আপনাকে।
১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
শিশির৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। অনেক সুন্দর করে লিখেছেন। আপনার শেষ প্রশ্নের জবাবে বলি, কার কথা শুনবেন তা আসলে আপনাকেই ঠিক করতে হবে। এমন কারো কথা শুনতে হবে যাকে আপনি বিশ্বাস করেন। তবে আমার পরামর্শ হল, এখন হাদিসের বই বাংলায় পাওয়া যায়, কেন অন্যের কথায় নির্ভর করবেন? নিজেই দেখে নিন না!
৬| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৫
প্রতিভাবান অলস বলেছেন: পোস্টের সাথে সহমত। অনেকেই দেখি হাদীস মানেন না। তাদের জানা উচিত শরীয়ত শুধু কোরআনেই সীমাবদ্ধ নয়। শরীয়তের ভাগ চারটি যথাক্রমে কোরআন,হাদীস, ইজমা,কিয়াম
৭| ১৪ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ভাল বলেছেন। তবে, শুধু বুখারী শরীফ পড়ে আপনি হয়তো সব কিছুর সমাধান নাও পেতে পারেন। তাই ইসলামী শরীয়তের মাসআলা মাসায়েলের উতস হিসেবে কোরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস চারটিকেই মেনে নিতে হবে।
১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৮
শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, আমি বুখারীকে গুরুত্ব দিয়ে সহিহ হাদিসের আমল করার কথা বুঝাতে চেয়েছি মাত্র। সহিহ হাদিস যেখানেই পাই না কেন, আমরা মানতে বাধ্য। ধন্যবাদ আপনাকে।
৮| ১৫ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩০
অগ্নিবেশ বলেছেন: বিরাট বুঝদার।
৯| ১৫ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯
স্বতু সাঁই বলেছেন: “রাসুল তোমাদের যা দিয়েছেন তা গ্রহন কর, যা নিষেধ করেছেন তা বর্জন কর“
(আল কোরান-সুরাঃ হাশর- আয়াতঃ ৭)
অসম্পূর্ণ আয়াত ব্যক্ত না করে, সম্পূর্ণ আয়াত ব্যক্ত করুন। ১০/১২ নিয়ত মুখস্ত করতে মানুষের নাকি সারাজীবন শেষ হবে, সে অন্যকে জ্ঞান দিচ্ছে বাংলা “বুখারী শরিফ” খুলে পড়ে বুঝে আমল করবেন।
চিন্তা করা যায় কত বাটপারী ভাবনা।
আপনে কি জানতে চান সহি বুখারীতে কতো ভুল হাদিস আছে?
১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৬
শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, তর্কে যেতে চাই না। আমি পোস্টে বলেছি, যারা বুখারীর হাদিস নিয়ে সন্দেহ করে তারা যেন নিচের লেখা না পড়ে। আপনার আমার লেখা পড়া উচিৎ হয়নি।
১০| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
বুঝলাম। সহীহ হাদিসে আমলের ব্যাপারে আমাদেরও তো একই মত। কিন্তু ইসলামী শরীয়তের মাসআলা-মাসায়েলের উতস হিসেবে কোরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস চারটিকেই মেনে নেয়ার ব্যাপারে আপনার মতামত জানার ইচ্ছে ছিল।
ভাই, এখনতো মডার্ন জমানা। কত যে পন্ডিত বের হয়েছে। তাই একটু বিরক্ত করলাম। বাংলা বুখারী পড়ে এদেশে মুহাদ্দিস(!) গিজ গিজ করে। সারা জীবন হাদিস পড়ে আর হাদিসের কিতাব পড়িয়ে যা জানতে পারলাম না, দিন তিনেক ধরে বাংলা বুখারী পড়ে কাউকে তারচে' যখন বেশি জানতে দেখি তখন মাথা কুটে মরা, কিংবা জঙ্গলে রওনা দেয়া ছাড়া গত্যন্তর থাকে কই?
'মুখেন মারিতং জগত'- মানে, 'মুখে মুখে দুনিয়া উদ্ধার' টাইপের 'কুরআন মানি হাদিস মানি শ্লোগানধারী' এক শ্রেনির লোক দেখা যায়।
তাদের অবস্থা ঠিক যেন-
কাজের বেলায় ধোঁকাবাজি,
নাম ফুটিয়েছে সাঁই বাবাজি।
ভাল থাকবেন।
১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭
শিশির৫৪ বলেছেন: আপনি জানেন জেনে ভাল লাগলো। কিন্তু ভাই, সবাইতো আর জানেনা। তাছাড়া যখনি আপনি জানলেন, আপনার উপর জিম্মেদারি হয়ে গেল তা অপরকে জানানো। তাই, আপনার কাছ থেকেও জানতে চাই। তবে একটা কথা কি, সহিহ হাদিস সব সময় ই সহিহ। তা কাবা ঘরের ঈমামের মুখে বলা নাকি মুচী-মেথরের মুখে বলা তাতে কিছু এসে যায় না।
১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
শিশির৫৪ বলেছেন: আপনার একটি কথার জবাব দেয়া হয়নি। কোরান, হাদিস, ইজমা, কিয়াস। এই চারটির ব্যাপারে আমি একমত। তবে কি, কোরানেই সব দেয়া আছে, আর তাই কোরান কে মানব জাতীর জীবন বিধান বলা হয়। আমরা সাধারন মানুষ, বুজতে পারিনা বলে হাদিসের দরকার হয়। ইতিহাস পড়লেই দেখবেন, হাদিস আসলে কোরানের ব্যাখ্যা (বেশির ভাগ ক্ষেত্রে)। এরপর আসে ইজমা-কিয়াস। বলা হয়ে থাকে যা কোরান-হাদিসে নেই তা ইজমা-কিয়াস দিয়ে সমাধা করতে হবে। এই কথাটার সাথে আমি একমত নই। বরং বলা উচিৎ আমরা যদি কোন সমাস্যায় পড়ি এবং তা কোরান-হাদিসের আলোকে বুঝতে পারি না, সেক্ষেত্রে ইজমা-কিয়াসের সাহায্য নিব। আমি বিশ্বাস করি কোরান এবং হাদিসের আলোকে সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যদি না পারি সেটা আমাদের সমস্যা, আল্লাহ্র কালাম এবং রাসুলের (সাঃ) হাদিসের নয়।
১১| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বাপ-দাদার ধর্ম ছেড়ে রাসুলের (সাঃ) ধর্মে আসুন!
লেখাটির শিরোনামে আশ্চর্যবোধক চিহ্ন কেন দেয়া হল বুঝা গেলনা ।
কানিজ রিনা ও নতুন নকিবের মন্তব্যের কথাগুলি বেশ প্রনিধানযোগ্য ।
১২| ২৩ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৭
শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, রাসুলের (সাঃ) ধর্ম ই তো বাপ-দাদার ধর্ম হওয়া উচিত। কিন্তু আসলেই কি তা পালন হচ্ছে? সহিহ হাদিসের দলিল দিলেই মানুষ প্রথমে বলে, বাপ-দাদারা কি তবে ভুল করেছেন?
১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫
ইমরান আশফাক বলেছেন: কোরআন ও নবীজির সুন্নত, এই দুইটি আকড়ে ধরে থাকলে পথভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ-নিষেধ বা হালাল-হারাম জেনে নবীজির তরিকা অনুযায়ী আমল করতে হবে।
যেমন আল্লাহ পাক বলেছেন গরু, ছাগল, ভেড়া ইত্যাদি খাওয়া যাবে কারন এইগুলি হালাল। পক্ষান্তরে শুয়োর, কুকুর ইত্যাদি হারাম সুতরং এইগুলি খাওয়া যাবে না।
হালাল প্রানীগুলি নবীজির তরিকা অনুযায়ী বিসমিল্লাহ্ বলে জবাই না করলে (অর্থাৎ আল্লাহর নাম ছাড়া অন্য কোন নামে জবাই করলে) সেইগুলি আমাদের জন্য হালাল হবে না।
আবার একটা শুয়োর বা কুকুর যদি নবীজির তরিকা মত শুইয়ে দিয়ে বিসমিল্লাহ বলে জবাই করলেও সেইটি আমাদের জন্যে হালাল হবে না।
অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ নবীজির তরিকা অনুযায়ী মান্য করতে হবে। আল্লাহ নামাজ পড়ার আদেশ দিয়েছেন কিন্তু কিভাবে নামাজ পড়তে হবে সেটা নবীজি নিজে পালন করে আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছেন।
আল্লাহ আমাদের সঠিক তরিকা অনুযায়ী আমল করবার তওফিক দিন, আমিন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪
ওমেরা বলেছেন: আল্লাহ আমাদের বিদাতমুক্ত থাকার তৌফিক দিন । আমীন