নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুনিয়াতে মানুষ যেমন একবারের জন্য আসে, আখিরাতেও মানুষ একবার ই যাবে। পার্থক্য হল দুনিয়ার সময়টা ক্ষণিকের আর আখিরাত, অনন্তকাল! শ্বাস বন্ধ হলে আমল বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে করে কি নিয়ে যাবেন? ভেবে দেখেছেন কখনো? আপনার প্রতিটি কাজের হিসেব নেয়া হবে!

শিশির৫৪

নিজেকে আল্লাহ্‌র একজন খাদেম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অক্লান্ত চেষ্টা করছি, করেই যাব......

শিশির৫৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তাকদির নিয়ে কিছু কথা

১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২১

তাকদির বা ভাগ্য নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক মত পার্থক্য আছে। দুনিয়াতে প্রধানত দুই ধরনের লোক আছে। একদল বিশ্বাস করেন, “যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ।“ অর্থাৎ আল্লাহ্‌ আমাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি আমাকে যেভাবে চালান, আমি সেভাবে চলি। পাপ করি আল্লাহ্‌ চান, তাই।
অন্যদল বিশ্বাস করেন তাকদির বা ভাগ্য বলে আসলে কিছু নেই।
এই দুই দলের আকিদা-ই ভুল। চলুন ব্যাখ্যা করি।
আল্লাহ আমাদের মাটির দেহে রুহ দিয়েছেন, তাই আমরা মানুষ। এই রুহ আসলে কি? এটা আল্লাহতায়ালার জ্ঞান, শক্তি, রহমত। এই শক্তি আল্লাহর। তিনি আপনাকে এই শক্তি দিয়েছেন দুনিয়াতে কিছু সময়ের জন্য। এটা কিন্তু আসলে আপনার শক্তি না। আল্লাহ্‌ দেখতে চেয়েছেন, এই শক্তি ব্যবহার করে দুনিয়াতে আপনি কি করেন। ভাল এবং খারাপ, দুই ধরনের শক্তি আপনাকে দেয়া আছে। আপনি কোনটা ব্যবহার করেন।
আল্লাহতায়ালা মহাজ্ঞানী। তাঁর জ্ঞান অসীম। তিনি যেহেতু আপনাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি আগে থেকেই জানেন আপনি আসলে তাঁর দেয়া শক্তির কোন অংশ ব্যবহার করবেন। তাই তিনি আগেই লিখে রেখেছেন আপনার তাকদির। অর্থাৎ আপনি কি বেহেশতে যাবেন না দোজখে তা আল্লাহতায়ালা আগে থেকেই জানেন।
আল্লাহ্‌ ফেরেশতাদের এই ক্ষমতা দেননি। তাঁরা পবিত্র। তাঁরা কোন পাপ কাজ করতে পারবে না। আল্লাহ্‌ শয়তান বানিয়েছেন। শয়তান অপবিত্র। শয়তানকে ভাল হবার ক্ষমতা দেয়া হয়নি। সে কখনো ভাল কাজ করবে না।
আপনি আল্লাহতায়ালার সবচেয়ে প্রিয়। সৃষ্টির সেরা জীব। তাই আপনার এত ক্ষমতা। একটা ছুড়ি যদি খুনীর হাতে পড়ে তবে সে তা দিয়ে মানুষ খুন করবে। আবার এটা যদি কোন ডাক্তারের হাতে পড়ে তবে সে তা দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাবে। দোষ কিন্তু ছুড়ির নয়, যার হাতে পড়ছে, তার।

এখন বলুন, আপনি কোন দলে থাকতে চান?

YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৪

ওমেরা বলেছেন: জাজাকাল্লাহ খায়ের ।

আল্লাহ আমাদের সঠিক জ্ঞান দান করুন ইসলামকে বুঝার ও মানার । আমীন ।

২| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

তাওহিদ হিমু বলেছেন: তাহলে এটা স্বীকার করতে হবে যে, আল্লাহ তা'লা মানুষকে স্বাধীনভাবে চিন্তা ও কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন, এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কারো কাজে তিনি যেচে এসে হস্তক্ষেপ করেন না। তিনি শুধু কর্মফলই দেন।

১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১৫

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, একদম সঠিক বলেছেন! আল্লাহতায়ালা তো জুলুমকারী নন, তিনি তাঁর উপর জুলুম হারাম করেছেন। তাহলে কি করে তিনি আমাদের দিয়ে পাপ করিয়ে আবার আমাদেরকেই শাস্তি দিবেন? না, তিনি তা নন। যদি আমরা শাস্তি ভোগ করি তবে তা আমাদের কারনেই করবো। আর যদি ক্ষমা পেয়ে যাই, তবে সেটা আল্লাহপাকের অসীম করুনার কারনেই হবে।

৩| ১৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

জেকলেট বলেছেন: ব্যাপারটা আরো একটু ব্যাখ্যা করলে মেন হয় এও বলা যায়, নিয়তি চুড়ান্ত কিন্তু কিন্তু বান্দা ভালো রাস্তায় নি্যতি নিবে না খারাপ রাস্তায় তা তার নিজের উপর ডিপেন্ড করে। উদাহরন হিসেবে বলা যায়: একটা নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট বুলেটে আপনার মৃত্যু লেখা, এখন আপনি ডাকাতি করতে গিয়ে ঐ গুলিতে মরবেন না জিহাদ করতে গিয়ে মরবেন তা আপনার হাতে।

৪| ১৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

তাওহিদ হিমু বলেছেন: “তিনি যাকে চান বিপদগামী করেন এবং যাকে চান সঠিক ও সোজা পথে পরিচালিত করেন” - সূরা আল আনয়াম ৩৯।
তাহলে বলুন, আবু জাহেলের বদলে কেন তিনি উমরকে হেদায়াত করলেন? আবু জাহেলকে হেদায়াত করেন নি বলেই সে ভাল হয় নি। তাহলে তার কী দোষ?

৫| ১৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৭

তাওহিদ হিমু বলেছেন: আরেকটা প্রশ্ন:
একজন সৌন্দর্য চাতুর্য ঐশ্বর্য গৌরব সবলতা বুদ্ধি সম্মান নিয়ে রাজার ঘরে জন্মে, সোনার চামচ মুখে নিয়ে বড় হয়। অন্যজন রেললাইনের পাশে ঝুপড়িতে ভিখারিনীর জরায়ুতে জন্ম নেয় পিতৃপরিচয় ছাড়া, মৌলিক অধিকার ছিটেফোঁটাও পায় না শৈশব-কৈশোরে, ডাস্টবিনের পচা খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করে, বড় হয়েও যন্ত্রণার জীবনে বেঁচে থাকে।
এখানে শেষের জন কী অপরাধ করল যে, জন্মানো মাত্রই চরম দুর্দশায় পতিত হওয়া তার তকদীরে লিখে দেওয়া হলো? সে কী অপরাধ করেছিল জন্মের আগে? কোন বিবেচনায় খোদা তাকে জন্মানো মাত্রই এমন কষ্টকর অবস্থায় ফেলে দিল? ছোট একটা মানুষকে একটু সুখ-শান্তি দিতে নারাজ কেন খোদা?

২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, আপনি কথা বলছেন আপনার জ্ঞান থেকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌র জ্ঞান আপনার চেয়ে অনেক বেশি। হয়তো আজ আপনি বুঝতে পারছেন না। একদিন হয়তো বুঝবেন। মুসা (আঃ) এবং খিজিরের হাদিসটি কি আপনি জানেন? মুসা (আঃ) এর মতো এত বড় মানুষ ও খিজিরের কাছে পরাজিত। অথচ খিজির কোন নবী কিনা তার কোন উল্লেখ পাওয়া যায় না।
তবে একটি কথা জেনে রাখুন, আল্লাহ্‌ আপনার প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করবেন না। আপনার প্রাপ্য আপনি পাবেন, সে দুনিয়াতে হোক বা আখিরাতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.