![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে আল্লাহ্র একজন খাদেম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অক্লান্ত চেষ্টা করছি, করেই যাব......
রাসুল (সাঃ) শুধু মুসলমানের জন্য নয়, পুরো মানবজাতীর জন্য রহমতস্বরূপ। তিনি মানুষের মডেল। কেয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ পৃথিবীতে এসেছে এবং আসবে, তিনি তাঁদের সবার নেতা। নবী-রাসুলদের সর্দার। তাঁর উপর নাযিল হয়েছে পবিত্র কোরান। আল্লাহতায়ালা কোরানে এই রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করতে বলেছেন। আর রাসুল (সাঃ) বলেছেন- তোমরা ততক্ষন পর্যন্ত পুর্ন মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষন না তোমরা নিজেদের চেয়ে আমাকে বেশি ভালবাসবে।
আমরা আল্লাহতায়ালার জন্য যত ইবাদত করি তার সব ইবাদত রাসুলের (সাঃ) শেখানো। তিনি না শেখালে আমরা জানতাম না, কি করে আল্লাহর ইবাদত করতে হয়। তিনি যেইভাবে বলেছেন, আপনি-আমি সেইভাবে করতে বাধ্য। বেশিও করতে পারব না, কমও না।
ধরুন, আপনি আল্লাহতায়ালাকে খুশি করতে ফজরের দুই রাকাতের যায়গায় তিন রাকাত সালাত আদায় করলেন, এবার বলুন আপনার সালাত কি কবুল হবে? ধরুন, আপনি বাথরুমে যাওয়ার দোয়া না পড়ে সুরা বাকারা পড়ে বাথরুমে ঢুকলেন। বলুন, আপনার সওয়াব হবে, না পাপ? আল্লাহ্ কোরান পড়লে অক্ষর প্রতি দশ নেকি দিবেন বলেছেন। তাই বলে কি সবখানে কোরান পড়া জায়েজ? এ থেকে কি বুঝা যায়? আপনি রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য করতে বাধ্য। তাঁর আনুগত্য ছাড়া আপনার কোন ইবাদত কবুল হবে না। আপনি এখানে যুক্তি দিতে পারবেন না। ধর্ম যুক্তি দিয়ে চলেনা। ধর্ম চলে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের (সাঃ) আনুগত্যের উপর। কথা হচ্ছিল রাসুলের (সাঃ) আনুগত্য নিয়ে, এখানে আল্লাহর নাম কেন আসলো? এই কারনে যে, রাসুল (সাঃ) আসলে আল্লাহর নির্দেশই পালন করেছেন এবং আল্লাহপাকের হুকুম ছাড়া তিনি কিছুই করেননি। ইসলাম রাসুলের (সাঃ) বানানো ধর্ম নয়, ইসলাম আল্লাহ্ প্রেরিত ধর্ম।
দুনিয়া মুমিনের জন্য কারাগার। এক গ্লাস পানি খেতে আপনাকে পাঁচটি সুন্নত মানতে হবে। ১। ডান হাতে গ্লাস ধরা ২। বিসমিল্লাহ্ বলা ৩। বসে পানি পান করা ৪। দুই বা ততোধিক শ্বাসে পানি পান করা ৫। পানি পান শেষে আলহামদুলিল্লাহ্ বলা।
হিসাব খুব স্পষ্ট। আপনি দুনিয়াতে বন্দি জীবনযাপন করবেন, আখেরাতে আপনি মুক্ত। অন্যদিকে, আপনি দুনিয়াতে মুক্ত থাকবেন মানে যা খুশি তাই করবেন, আখেরাতে আপনি জাহান্নামে বন্দি।
আমি অনেককেই দেখেছি, রাসুলের (সাঃ) প্রতি অতিরিক্ত ভালবাসা দেখাতে গিয়ে তাঁর নামে অপবাদ দিয়ে বসেন। কেউ বলেন, তিনি গায়েব জানতেন, কেউ বলেন তিনি সব প্রানীর কথা বুঝতে পারতেন, কেউ বলেন তিনি নুরের তৈরি, কেউ বলেন তাঁকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ্ দুনিয়া সৃষ্টি করতেন না। অথচ তারাই রাসুলের (সাঃ) এর সুন্নত পালন করতে অপারগ! রাসুল (সাঃ) বলেছেন, কেউ যদি আমার নামে কোন কথা বলেন যা আমার নয়, তবে তার থাকার জায়গা জাহান্নাম। তাই এইসব আলগা ভালবাসা দেখানোর আগে জাহান্নামে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন, নয়তো এইসব অপবাদ দেয়া থেকে বিরত থাকবেন। মনে রাখবেন, তিনি আমাদের মতই মানুষ, তবে তাঁর মর্যাদা ভিন্ন। তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন-“ আমার একটি কথা জানা থাকলে তা অন্যকে বলে দাও। বনীঈস্রাইলের কাহিনী বল তাতে দোষ নেই। কেউ যদি আমার নামে কোন কথা বলে, সেই কথা যদি আমার না হয় তবে তার থাকার জায়গা জাহান্নাম।“ এই শেষের লাইনটায় আপনি আটকে গেছেন! জাহান্নামে যাওয়ার জন্য আপনি এত ব্যস্ত কেন? নইলে, নানা জায়গা থেকে শুনা হাদিস যাচাই বাছাই না করে বলে বেড়ান কেন? অমুক হুজুর বলেছে, তমুক হুজুর বলেছে......। এইসব কথা বলে বিচারের মাঠে পার পাবেন না। সুতরাং, সাবধান!
আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করুন, আমীন।
YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz
২| ২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১
শিশির৫৪ বলেছেন: হা হা হা হা। ভাই, ব্লগার শিশির৫৪ এর কোন কথা বিশ্বাস করবেন না। তবে, যদি তা কোরান-হাদিসের (আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের) কথা হয়, তবে কি করবেন? সেটা আপনার বিবেচনা!
৩| ২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
""অমুক হুজুর বলেছে, তমুক হুজুর বলেছে......। এইসব কথা বলে বিচারের মাঠে পার পাবেন না। সুতরাং, সাবধান! "
-ব্লগে হাজার হাজার ব্লগার "হাদিস" ব্যাখ্যা করে চলেছেন; এসব ব্লগারেরা যখন হাদিস ব্যতিত অন্য বিষয়ে লিখেন, দেখা যায় যে উনারা খুব একটা দক্ষ নন; উনারা হাদিসে এত দক্ষ কিভাবে?
২০ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
শিশির৫৪ বলেছেন: ভাইরে, সহিহ হাদিস নিজেই নিজের পরিচয়, দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা মানুষ, রাসুল (সাঃ) এর মুখের বাণী। সেটা কাবা শরীফের ঈমাম বলুক আর আমার মত মূর্খ বলুক, তাতে হাদিসের কিছু এসে যায় না।
৪| ২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:০২
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: মুসলমানের সন্তান হয়ে বহু ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড বহু মানুষ নির্দিধায় করে আসছে। আজো লক্ষ লক্ষ মুসলিম ইসলামের ভূল ব্যাখ্যা করে বা ভূলের সাথে সঠিকটা মিশেয়ে স্বাভাবিক ভাবে অপরাধ করে চলছে। কত মানুষকে দেখলাম মিথ্যা বলতে ও সমাজে অটোমেটিক দুর্নিতী করতে আবার নামাজ পড়তে, রোজাও রাখতে,মসজিদে ইট,বালি,সিমেন্ট,রড ও টাইলস দান করতে। ছোট বেলায় দেখেছি ভীক্ষা করতে করতে একজন ভাল হুজুর হয়ে গিয়ে ছিল। সে সমাজের মধ্যে (সাঃ) এর কথা বলে বহু ভূলভাল সাধারন মানুষদের বলে বা বুঝিয়ে বেড়াত। সে বলত মর আর বাচো রোজা তোমার থাকা লাগবেই। এর ফলে বেশকিছু মানুষ চরম ক্ষতিগ্রস্ত হত। আবার বলত হ্বজ অবশ্যই করতে হবে। ফলে এক ভ্যানওয়ালা না খেয়ে প্রায় রোগগ্রস্ত হয়ে মারা যাবার মত হল। কারন সে হ্বজ করতে যাওয়ার টাকা জোগাড় করার জন্য,অত্যন্ত কষ্ট করে সংসার চালানোর পাশাপাশি হ্বজের টাকা জমাত। এখন দেখি সে শুকিয়ে প্রায় পাগল মত হয়ে গেছে। যাহোক এরকম বহু মানুষ আছে যাদের সংসার চলছেনা্। চারটা ছেলেমেয়ে তারা কেউ প্রতিষ্টিত হয়নি অথচ তিন লক্ষ টাকার সম্পদ বিক্রি করে পিতা বা মাতা হ্বজ করে এসেছেন। এদিকে সন্তানরা মৌলিক চাহিদা পুরনের লক্ষে দেশের মধ্যে অন্যায় ও দুর্নিতী করে বা বিভিন্ন অসৎ উপায় অবলম্বন করে বড় হ্ওয়ার চেষ্টা করছে। হয়ত লাখ খানেক টাকা পুজি পেলে কোন সন্তান ব্যাবসায় খাটিয়ে কোনরকমে মাথা তুলে দাড়াতে পারে। কোন সন্তান লাখ খানেক টাকা পুজি নিয়ে নতুন ব্যাবসা শুরু করে দাড়াতে পারে,যেন জীবন বাচাতে গিয়ে তারা অসৎ পন্থা অবলম্বনের পথে যেতে বাধ্য না হয়।
তারপর আরো সে ভূল বলত যে, সন্তান হওয়া বন্দ করা যাবেনা। ফলে আমি দেখেছি বহু মানুষ ৬,৭,৮,৯,১০,১১ টা পর্যন্ত সন্তানের মালিক হয়ে বসে আছে। নিজ জানেনা বিধায় সন্তানদের ডিসিপিলিন শেখাতে পারছেনা আবার অর্থাভাবে জীবন অতিষ্ট হয়ে সেই সব সন্তানেরা বাধ্য হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অন্যায়,মিথ্যা,জঘন্য পাপ,অকৃতজ্ঞ,অপদার্থ,অলৌকীকতায় বিশ্বাসী ও অকৃতজ্ঞ বেইমান হসিাবে সমাজে চির্হিত হয়ে চলতে। আরো সে ভূল বলে যে,ধর্ম রিচার্জ করে প্লেন,রেডিও,কম্পিউটার,স্যাটেলাইট,মেডিসিন আবিস্কার সবই এসেছে। এবং তার এই ভূলভাল কথা মানতে গিয়ে মানুষ সকল অসৎ কর্মকান্ড করতে বাধ্য হচ্ছে ও ভূলের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে।
২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৫
শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে। ধর্মের নামে যারা মিথ্যা বলে, তাদের জন্য অপেক্ষা করছে আগুনের কেঁচি। যা দিয়ে তাদের জিব্বা কাটা হবে। তাছাড়া এক শ্রেনীর আলেম কে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে ধর্মের নামে মিথ্যা ছড়ানোর জন্য।
৫| ২১ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:২৫
কানিজ রিনা বলেছেন: লামাজহাবী ওয়াহাবী হানাফী শীয়া সুন্নি
সালাফী। কত রকম দলের ইসলামীক চিন্তাবিদ
বক্তারা নানান রকম হাদীসের বর্ননায় সাধারন
মানুষ বিভ্রান্ত। হযরত মোহাঃ সাঃ আঃ এর
ইন্তেকালের পর তার বংশধর যারা নিপাত
করেছিল আজ সেইসব অনুসারীরা সক্রিয়।
হযরত মোহাঃ সাঃ বলেছিলেন আমার বংশধর
যারা ভালবাসবেনা তারা মুলমান না।
মুসলমান যখন দলে বিভক্ত হয়ে যাবে তখন
তাদের উপর লানত নেমে আসবে।
আজ মনেহয় আমরা সেই যুগে পৌছে গেছি।
মুসলমান দেশ গুল নিজেরা হানাহানিতে ব্যস্ত।
জালিমদের হাত ধরে।
২১ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩
শিশির৫৪ বলেছেন: আপু, আপনি চাইলেও দুনিয়ার সব মুসলমান কে এক করতে পারবেন না। আপনাকে একটা দল বেছে নিতেই হবে। আর সেটাই হবে "সিরাতুল মুস্তাকিম"। যা আমরা সুরা ফাতেহা তে পড়ি। এখন আপনি কোন দলে থাকবেন? একটু সহজ করে দেই। রাসুল (সাঃ) এখন দুনিয়াতে নেই, থাকলে তাঁর কাছ থেকে জেনে নেয়া যেত কোন দলে আমরা থাকবো। যেহেতু উনি নেই, এখন আমাদের উচিত কোরান এবং হাদিস অনুসরণ করা। হাদিসের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে বুখারী শরীফ, এরপর মুসলিম শরীফ। এই দুটি হাদিসে কোন জাল-যঈফ হাদিস নেই, এ বিষয়ে সকল আলেমগন একমত। সুতরাং এইদুটি পড়ুন এবং আমল করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
"অমুক হুজুর বলেছে, তমুক হুজুর বলেছে......। এইসব কথা বলে বিচারের মাঠে পার পাবেন না। সুতরাং, সাবধান! "
-ব্লগার শিশির৫৮ যা বলেছে, এইসব কথা বলে বিচারের মাঠে পার পাওয়া যাবে কিনা?