নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুনিয়াতে মানুষ যেমন একবারের জন্য আসে, আখিরাতেও মানুষ একবার ই যাবে। পার্থক্য হল দুনিয়ার সময়টা ক্ষণিকের আর আখিরাত, অনন্তকাল! শ্বাস বন্ধ হলে আমল বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে করে কি নিয়ে যাবেন? ভেবে দেখেছেন কখনো? আপনার প্রতিটি কাজের হিসেব নেয়া হবে!

শিশির৫৪

নিজেকে আল্লাহ্‌র একজন খাদেম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অক্লান্ত চেষ্টা করছি, করেই যাব......

শিশির৫৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সকল ইবাদত কবুল হবার শর্ত হল সালাত। সালাত নেই তো অন্যকোন ইবাদতের কোন মুল্য নেই।

২১ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০২

জামাতে আমীর ডঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব একবার মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন ইসলাম সম্পর্কে কিছু বলার জন্য। উপস্থাপক তাকে মঞ্চে ডাকার আগে দর্শকের উদ্দেশ্যে তাঁর নানা উপমা তুলে ধরছিলেন। এক পর্যায়ে উপস্থাপক বললেন, বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ......। আর যায় কোথায়! গালিব সাহেব উপস্থাপককে থামিয়ে দিয়ে বললেন, “কিসের ইসলামিক চিন্তাবিদ? ইসলামে চিন্তার কোন অবকাশ নেই। চিন্তা যা করার তা আমাদের রাসুল (সাঃ) করে গেছেন। আমাদের কাজ শুধু তাঁর কথা অনুযায়ী আমল করা।“

আসলেই তাই। আমাদের কাজ শুধু আমল করা। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে, সেই আমল যেন সৎ আমল হয়।

রমাজান এমন এক মাস, যে মাসে শুধু বরকত আর বরকত, রহমত আর রহমত! একটা নেকীর কাজ করলে অন্য মাসের চেয়ে সত্তর গুন বেশি নেকী! এ মাসে ইবলিশ শয়তানকে বেঁধে রাখা হয়। অনেকে বলেন, তাহলে মানুষ পাপ করে কিভাবে? এর উত্তরে আলেমগণ বলেন, তার সারা বছরের পাপের গতির কারনে এমনটা হয়। তাছাড়া শয়তান ইবলিশ একা নয়। তার আছে হাজার হাজার সাগরেদ। যাই হোক, চলুন সবাই শপথ করি, এই মাসে সব হারাম কাজ এবং কথা থেকে নিজেকে বিরত রাখবো। নিয়মিত সালাত আদায় করবো। সিয়াম পালন করবো। দান করবো দুহাত খুলে।

অনেকে আছেন যারা সিয়াম পালন করেন কিন্তু সালাত আদায় করেন না। তাদের জন্য বলছি। আপনার সিয়াম পালন আর মুশরিকের উপবাস থাকার মাঝে কোন তফাৎ নেই। তাই কষ্ট করে সিয়াম রাখার কোন দরকার নেই। আল্লাহতায়ালা আপনার সিয়াম চান না।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি আসরের সালাত ত্যাগ করে তার আমল নিষ্ফল হয়ে যায়।” [ বুখারী – ৫২০ ]

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“কোন ব্যক্তির মাঝে এবং শির্‌ক ও কুফরের মাঝে সংযোগ হচ্ছে সালাত বর্জন।”[ সহিহ মুসলিম ৮২]

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন:
“আমাদের ও তাদের মধ্যে চুক্তি হলো সালাতের। সুতরাং যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করল, সে কুফরি করল।”
[তিরমিযী (২৬২১)]

সালাত বর্জনকারীকে কাফেরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। তাহলে বলুন কাফেরের কোন ইবাদত কি কবুল হয়?

আর কিছু বলার প্রয়োজন মনে করছি না। আল্লাহপাক সবাইকে সালাত আদায় করার এবং পরিপুর্নভাবে সিয়াম পালন করার তৌফিক দিন। আমীন।

YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


এত ব্লগার পড়ছেন, কিন্তু মন্তব্য করছেন না কেন?

২| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: অনেকে আছেন যারা সিয়াম পালন করেন কিন্তু সালাত আদায় করেন না। তাদের জন্য বলছি। আপনার সিয়াম পালন আর মুশরিকের উপবাস থাকার মাঝে কোন তফাৎ নেই। তাই কষ্ট করে সিয়াম রাখার কোন দরকার নেই। আল্লাহতায়ালা আপনার সিয়াম চান না।

কোনটা সত্য? হুজুরা মসজিদে মসজিদে বয়ান দেয় আপনে যতটুকু এবাদত করবেন ততটুকুর সোয়াব পাইবেন, আর যেটা যেটা এবাদত করবেন না তার কোন সোয়াব পাইবেন না। তবে না পালনের জন্য আল্লাহ আপনাকে সাস্তি দিবেন। সে হিসাবে যে রোজা রাখছে সে তো রোজা রাখার জন্য সোয়াব অবশ্যই পায়। নামাজের জন্য আলাদা যে সোয়াব তা হয়তো পাবে না। কিন্তু আপনি যে কথাটা এখানে উল্লেখ করলেন রোজা না রাখতে। যে লোকটা মসজিদের হুজুরের বয়ান শুনে রোজার সোয়াবের আশায় রোজা রাখছে সেই লোকটারে আপনি রোজা রাখাকে নিরুৎসাহিত করে ঐ ব্যক্তির সোয়াব কামাই করাকে বন্ধ করতে চাইছেন। কেন?

ভাইজান, আপনাদের মতো চাপাবাজ তরিকাপন্থীদের চাপাবাজীতে মনে হয় ইসলামের আসল সত্যটা চাপা পড়ে গেছে। তাই আপনারা সকল চাপাবাজী তরিকাপন্থীরা একত্রে বসে শলা-পরামর্শ করে ঠিক করুন, কার চাপার জোর বেশী তার চাপা ভোতা করে ইসলামের উপরের চাপাটা তুইল্যা তারপর কারটা সঠিক ও সত্য ইসলাম সেইটা বয়ান করেন। প্রতিদিন আপনা গো চাপাবাজীর চাপা পড়া ইসলামের কথা শুইন্যা আমাগো কান পইচ্যা যাইতাছে। দয়া কইরা আর পচায়েন না।

২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, কোন কথা বললে দলিল দিবেন দয়া করে। আমার বলা কথা ভুল হতেই পারে, তবে যদি নিশ্চিত না হয়ে আমাকে আপনি
চাপাবাজ-তরিকাপন্থি ইত্যাদি কথা শুনাতে পারেন না। আমার কাছে দলিল চাইতে পারেন। সেটাই ভদ্রতা। আপনি হিসেব করছেন আপানার যুক্তি মতে। কিন্তু আসল কথা হল, ধর্ম আপনার যুক্তির ১ পয়সার দাম ও দেয় না। যুক্তি দিয়ে ধর্ম চলে না। ধর্ম চলে একজন মানুষের কথায় যার নাম মোহাম্মদ (সাঃ)।

রাসুল (সাঃ) বলেছেন- "কিয়ামতের দিন বান্দাকে প্রথম প্রশ্ন করা হবে তার সালাত সম্পর্কে। সালাতের হিসেব সঠিক হলে তার সকল আমল সঠিক হবে। আর সালাতের হিসেব বেঠিক হলে অন্য সব আমল বরবাদ হবে।" (সিলসিলা সহিহাহ হা/১৩৫৮)

এইবার সাহস থাকলে আমার বলা কথার উপর কথা বলেন। না জেনে মন্তব্য করা কোন ভাবেই উচিৎ নয়। হাদিসের অনুবাদ বাংলায়, সুতরাং, না বোঝার কোন কারন নেই আশা করি।

৩| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১২

স্বতু সাঁই বলেছেন: চাপাবাজী করার লাইগা লেখা লেখি করার যদি এতই সখ থাকে, একটা পোস্ট দ্যান "আসুন চাপা মারি, দেখি কার চাপায় কত জোর", একটা পোস্ট দিন, মাইরি বলছি, কেউ না আসলে আমি আসুম নে। তখন দেখা যাইবো আপনের চাপার জোর কতো। ধন্যবাদ, ঐ পোস্টের আশায় থাকলাম।

৪| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:২০

স্বতু সাঁই বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:


এত ব্লগার পড়ছেন, কিন্তু মন্তব্য করছেন না কেন?


চাঁদগাজী ভাইজান, এগো পোস্টে মন্তব্য করার মতো কিচ্ছু নাই, তাই সবাই চোখ বুলাইয়া যায় গা। সবাই হ্যাগো চাপাবাজী ধইরা ফলাইছে। কিন্তু আপনি মুরব্বী বইলা তিন তিনটা মন্তব্য কইরা ফ্যালাইলাম।

৫| ২২ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



শিশির,
হাদিসে এসেছে, মানুষের জন্য সহজ কর, কঠিন কর না।

আপনি কোথায় পেয়েছেন এইসব উদ্ভট ফতোয়া? গালিব সাহেব আর আপনার এআরইউসুফ সাহেবগন কি আপনাদের এই ধরনের উগ্রতার শিক্ষা দিয়েছেন? যদিও হাদিসে মুমিন এবং কাফিরের ভেতরে পার্থক্য কেবল সালাত বলা হয়েছে, সেটা যে নিছকই ধমকের জন্য এবং সালাতের গুরুত্ব বুঝানোর জন্যই বলা হয়েছে, তা কি আপনারা জানেন? কালিমা পড়া আল্লাহতে বিশ্বাসী একটি মানুষ নামাজ না পড়লে তাকে কাফির বলা যাবে কি না, এইসব ব্যাপারে আপনাদের কোন স্টাডি আছে? থাকবে কোত্থেকে? থাকার কথা নয়। কারন, আপনারা তো সেই মুসলিম যারা পূর্বোক্ত এবং বর্তমান সকল জামানার আলেম-উলামাদের পরিত্যাগ করে বুখারি শরীফের বাংলা অনুবাদ দেখে দেখে আমল চুরি করার ফাঁকিবাজি মতলবে ব্যস্ত। আপনারা সাহাবিদের পরিত্যাগ করেছেন। তাদের আমল আপনাদের পছন্দ হয় না। তাদের প্রতিষ্ঠিত ২০ রাকাআত তারাবীহ সালাতকে আপনাদের পথভ্রষ্ট গুরুগন পরিহার করেছেন। আপনারাও গুরুদের লেজুরবৃত্তি করে যাচ্ছেন। ওরে বাপরে বাপ! তারা সাহাবীদের চেয়েও বড়! তাদের চেয়েও জ্ঞানী! তাদের চেয়েও সহীহ আমলওয়ালা! তাদের চেয়েও বেশি বেশি সহীহ হাদিস সমঝদার! তাদের চেয়েও মহান!

শুধু তারাবীহ নয়, এরকম অসংখ্য ক্ষেত্রে আপনাদের গুরুগন সীমা লংঘন করেছেন। আপনারাও তাদের অন্ধ অনুসারী। অবশ্য আপনাদের ধারনা, আপনারা কারও অন্ধ অনুসরন করলে পাপ নেই। এই অন্ধ অনুসরনের সকল পাপ-তাপ ইতিমধ্যেই মাযহাবীদের ভেতরে ভাগ-বন্টন করা হয়ে গেছে।

ও আল্লাহ আপনি রক্ষা করুন।

আল্লাহ পাক, আপনি মাফ করুন।

৬| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই,
রাসুল (সাঃ) বলেছেন- "কিয়ামতের দিন বান্দাকে প্রথম প্রশ্ন করা হবে তার সালাত সম্পর্কে। সালাতের হিসেব সঠিক হলে তার সকল আমল সঠিক হবে। আর সালাতের হিসেব বেঠিক হলে অন্য সব আমল বরবাদ হবে।" (সিলসিলা সহিহাহ হা/১৩৫৮)

ঈমাম আবু হানিফা বলেছেন- "কেউ যদি ইচ্ছা করে সালাত পরিত্যাগ করে তবে তাকে জেল খানায় আটকে রেখে পিটিয়ে সালাত আদায় করাও।" (নিজেকে হানাফি মনে করলে আবু হানিফার কথার গুরুত্ব দিবেন আশা করি।)
ঈমাম আহমদ বিন হাম্বল সহ আরো আলেমগন বলেছেন- " কেউ যদি ইচ্ছা করে সালাত পরিত্যাগ করে তবে তাকে কুরবানী করতে হবে।"
আর স্টাডির কথা বলছেন? স্টাডি করলে আপনি আমার সাথে তর্ক না করে একমত হতেন। তবে আমি নিজে মূর্খ মানুষ। আমার
বিচার-বিবেচনায় ভুল হতেই পারে, তবে কোরান-হাদিসের কথা যখন বলি, তাতে ভুল থাকবেনা। আপনারা অনেক জ্ঞানী মানুষ, আপনাদের ভাষা আরও বেশি শালিন হবে, এই আশা রাখি।
আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফীক দান করুন।

৭| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ভাই, ক্ষমা চাই। কষ্ট পেয়েছেন হয়তো। ঠিক এই কথাটিই বলতে চেয়েছিলাম। শুধুমাত্র হাদিস দেখে আমল করা কঠিন। হাদিসের ব্যাখ্যা জানা দরকার। তা না জানলে বিপদ। কঠিন বিপদ। সমাজ সংসারে আগুন লেগে যাবে। ভাইয়ে ভাইয়ে খুনোখুনি হবে। এক ভাই আরেক ভাই ফাসাদ হবে।

আপনার উদ্দেশ্য নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরা। এর সাথে দ্বিমত নেই।

কিন্তু, ঈমানওয়ালাদের কাফের বানানো আমাদের কাজ নয়। ঈমানহীন কাফেরদের ঈমানদারে পরিনত করার চেষ্টা করা আমাদের দায়িত্ব।

দাওয়াত দেয়া ঠিক আছে। কিন্তু, মনে রাখা দরকার, 'লাছতা আলাইহিম বিমুছইতির' কাউকে ধরপাকড়ের দায়িত্ব কিন্তু আপনাকে দেয়া হয়নি।

সুতরাং, নামাজের ফজিলতের অসংখ্য হাদিস রয়েছে। আলকুরআনে অসংখ্য আয়াত রয়েছে এই রিলেটেড। সেগুলো দিয়ে মানুষকে উতসাহ উদ্দীপনার সাথে নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করা যায়।

অনেক অনেক ভাল থাকুন ভাই।

৮| ২২ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

স্বতু সাঁই বলেছেন: নেন, আমার আর রেফারেন্স দেওয়ার প্রয়োজন পড়লো না।

৯| ২২ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২১

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, ঈমানদার তো দুরের কথা, কোন কাফের কে কাফের বলার মত দুঃসাহস আমার নেই। আল্লাহ্‌ ভাল জানেন। আমি শুধু রেফারেন্স দিচ্ছি। সালাত বেহেশ্তের চাবী। আল্লাহ্‌র পায়ে মাথা না ঠেকিয়ে কি করে নিজেকে ঈমানদার ভাবা যায়? চলুন একটা হাদিস পড়ি।

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তার এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। (সহিহ বুখারীঃ হা/১৯০৩)

একটু ভাবুন, মিথ্যা বলা মহাপাপ কিন্তু তাই বলে সালাত পরিত্যাগের চেয়ে কি বেশি পাপ? সিয়াম রেখে মিথ্যা বললে আল্লাহ্‌ সেই বান্দার সিয়ামের কোন প্রয়োজন নেই বলেছেন। সেখানে সালাতের মত ইবাদত পালন না করে কি করে আশা করেন আপনার সিয়াম কবুল হবে?
যার হিসেব তাকেই দিতে হবে। আপনি সালাত আদায় করলেন কি করলেন না তাতে আমার কিছুই এসে যায় না। তবে, মুসলমান ভাই হিসেবে আমার দায়িত্ব আপনাকে জানিয়ে দেয়া। সেই কাজটি ই করার চেষ্টা করছি। ভুল বুঝবেন না।
আল্লাহ্‌ আমাদের সবাইকে বেহেশতের স্বাদ দিন, আমীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.