নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুনিয়াতে মানুষ যেমন একবারের জন্য আসে, আখিরাতেও মানুষ একবার ই যাবে। পার্থক্য হল দুনিয়ার সময়টা ক্ষণিকের আর আখিরাত, অনন্তকাল! শ্বাস বন্ধ হলে আমল বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে করে কি নিয়ে যাবেন? ভেবে দেখেছেন কখনো? আপনার প্রতিটি কাজের হিসেব নেয়া হবে!

শিশির৫৪

নিজেকে আল্লাহ্‌র একজন খাদেম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অক্লান্ত চেষ্টা করছি, করেই যাব......

শিশির৫৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুর্তি নিয়ে কিছু কথা। নিজেকে কি মুসলিম ভাবেন?

২৪ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

অনেক অনেকদিন আগে রাত জেগে একজন যুবক আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতো, এই আকাশ, চাঁদ, তাঁরা, সুর্য, দিন, রাত, চারিদিকের এতসব, কে সৃষ্টি করেছেন? কার কথায় এগুলো চলে? চারিদিকে তখন মুর্তি পুজার ধুম। সবাই মুর্তি কে তাদের রব মানত। এই যুবক সবাইকে নিষেধ করতো মুর্তি পুজা করতে। এজন্য তাঁকে অনেক লাঞ্ছনা সইতে হয়েছে। এমনকি তাঁর বাবা তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তবুও সে থেমে থাকেনি। একদিন এলাকার সবাই মিলে মেলা দেখতে গেল। যুবকটি গেল না। সে একটা কুড়াল নিয়ে উপাসনালয়ের সব মুর্তি ভেঙ্গে ফেললো শুধু বড়টা ছাড়া। সেই বড় মুর্তিটির গলায় কুড়ালটি ঝুলিয়ে রাখলো।
মেলা থেকে ফিরে সবাই দেখলো সব মুর্তি ভাঙ্গা! সবাই বুঝে ফেললো, কার কাজ এটি। ডাকা হল সেই যুবককে। জানতে চাওয়া হল, কে এই কাজ করেছে? যুবকটি বলল, অই যে কুড়াল ঘাড়ে করে দাড়িয়ে আছে, ওকেই জিজ্ঞেস করুন! ও দেখেছে কে ভেঙেছে। সবাই হতবাক। তাদের নেতা বলল, মুর্তি কি কখনো কথা বলতে পারে? যুবকটি বলল, মুর্তি যদি কথা বলতে না পারে, তার সাথী মুর্তিদের বাঁচানোর ক্ষমতা যার নাই, তার পুজা কর কেন???
সবাই মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগলো। কারো মুখে কোন কথা নেই।
এই যুবকটি কে ছিলেন, জানেন? তিনি ছিলেন, মুসলিম জাতীর পিতা ইব্রাহিম (আঃ)। এরপর থেকে তাঁর নাম হয়ে গেল, “মুর্তি ভাঙ্গা ইব্রাহিম।“

এরপর কেটে গেল অনেক অনেক দিন, মাস, বছর, যুগ। সেই মুর্তি ভাঙ্গা ইব্রাহিমের (আঃ) হাতে তৈরি করা আল্লাহ্‌র ঘর কাবা শরীফ।

শিরক অনেক বড় পাপ। এই পাপ তওবা না করলে কখনো ক্ষমা হবার নয়। ইবলিশ শয়তান খুব ভাল করেই জানে, মুসলমানের জন্য জাহান্নামের পথ তৈরি করতে ধর্ম নেতা এবং রাজনৈতিক নেতা দরকার। মানুষ এদের খুব মান্য করে।
তখন মক্কায় ছিলেন “আহমেদ বিন লোবাই” নামে অনেক বড় এক ধর্মিয় নেতা। মক্কার লোক সবাই তার কথা শুনত। তিনে গেলেন সিরিয়ায়। গিয়ে দেখলেন, সেখানকার লোক “হোবল” নামে এক মুর্তির পুজা করে। তাদের ধারনা, এই কারনে সেখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। তিনি অনেক অর্থ খরচ করে সেই মুর্তি নিয়ে মক্কায় ফিরলেন। মক্কার লোককে বোঝালেন, এই হোবলের উসিলায় বৃষ্টি চাওয়া হলে আল্লাহ্‌ খুব খুশি হবেন আর প্রচুর বৃষ্টিপাত দিবেন। এতবড় একজন ধর্মনেতা কি কখনো মিথ্যা বলতে পারে? সবাই তার কথা মেনে নিলেন, কারন মক্কা মরুভুমীর দেশ। বৃষ্টি খুব দরকার ছিল, সেসময়ে, এসময়েও।

সেই থেকে শুরু। যখন বিশ্বনবী, রাসুলগণের নেতা, রাহমাতাল্লিল আলামিন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) মক্কা বিজয় করেন তখন কাবাঘরে ছিল ৩৬০ টি মুর্তি। তিনি লাঠি নিয়ে একা কাবাঘরে ঢুকলেন। পিটিয়ে সব মুর্তি ভেঙ্গে ফেললেন। মুখে বললেন, “এসেছে সত্য, চলে গেছে মিথ্যা।“
বাপ ভেঙ্গে গেছেন মুর্তি, বাপ কা বেটা! ছেলেও কম না।
সেই বাবার ছেলে হয়ে আমরা কি করে মুর্তির পক্ষ নিয়ে কথা বলি? ধিক আমাদের উপর! আমরা ইব্রাহিমের (আঃ) কুলাঙ্গার সন্তান!

সুলতানা কামাল, তুমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের মুখে নিজে থুথু ছিটাও! নয়তো লক্ষ-কোটি ইব্রাহিমের (আঃ) সন্তান তোমাকে ছাড়বে না!

YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: দেখুন,যেই টপিক টা তুলেছেন তা এখন ঠান্ডা।এটিকে এখানেই শেষ করা ভালো হবে।
আর পোষ্ট সম্পর্কে কিছু বলতে হলে বলবো:আপনি কেবল ইব্রাহীম আঃ এর প্রসঙ শেষে এক লাইন জোরালো বক্তব্য দিলেন।আশা ছিলো,আপনি নিজ থেকে কিছু বলবেন। :(

২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, মুসলমানদের শিকড় নবী-রাসুলগণ। সুলতানা কামাল প্রসঙ্গক্রমে এসেছে। আমি বুঝাতে চেয়েছি, মুসলমানদের সবসময় ই মুর্তি থেকে সাবধান থাকতে হবে। মুর্তি, শয়তানের অনেক বড় একটি অস্ত্র মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে। সৃষ্টির আদি থেকে এই শিরকের বীজ চলে আসছে। এর সাথে আপোস নয়।

২| ২৪ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৪

এ আর ১৫ বলেছেন: এবার আসা যাক মুর্ত ভাঙ্গার প্রসঙ্গে --- ইসলামের ইতিহাসে কোন ধরনের পরিস্থিতিতে মুর্তি ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেছিল এবং এর থেকে কি ধারনা আমরা পাই -----
=======যাই হোক, প্রতিমা ভাংচুর করা মোল্লারা নিজেদের কুকর্ম জায়েজ করতে দুইটা উদাহরণ ব্যবহার করে। প্রথমটা হচ্ছে নবীজির মক্কা বিজয়ের ঘটনা। দ্বিতীয়টি, কুরআনে বর্ণিত হজরত ইব্রাহিমের ঘটনা - যেখানে তিনি প্রতিমা ভেঙ্গে বলেছিলেন "যে নিজেকেই নিজে রক্ষা করতে পারেনা, তার উপাসনা করবো কেন?"
প্রথম কথা হচ্ছে, ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর কাছে বিশেষ একজন নবী। তাঁকে দিয়ে তিনি এমন সব পরীক্ষা নিয়েছেন যা অন্য কাউকে দিয়ে নেননি। অন্য কোন নবী বা রাসুলের কিন্তু প্রতিমা ভাঙ্গার রেকর্ড নেই।
মূর্তি ভাঙ্গা যদি তাঁর সুন্নত হয়ে থাকে, তবে আমাদের নবীজি সেটা বহু আগেই পালন করতেন। কারন ইব্রাহিম (আঃ) কৈশোরে এই কাজ করেছিলেন, এবং কৈশোর কিংবা যৌবন বা নব্যুয়াতি লাভের পরেও তেরোটি দীর্ঘ বছর কাবা ঘরের এক্সেস আমাদের নবীজির (সঃ) পরিবারের হাতেই ছিল। তিনি কেবল বলেছিলেন, "তোমরা মূর্তি পূজা করোনা।"
বলেননি, "ঘরে ঘরে ঢুকে অন্যের পূজার মূর্তি ভেঙ্গে ফেল।"
তাহলে তিনি কাবা ঘর জয় করার পর মূর্তি ভাঙ্গলেন কেন?
বিষয়টা খুবই গভীর, তবে বুঝা খুবই সহজ।
কাবা ঘর প্রথম থেকেই মুসলিমদের জন্য "মসজিদ" ছিল, সেই ইব্রাহিমের (আঃ) সময় থেকেই। মুশরিকরা এর দখল নিয়ে একে দেবদেবীর মূর্তিতে ভরে ফেলে। কাজেই এটি পুনরুদ্ধারের পর সব মূর্তি ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এর মানে হচ্ছে, তুমি কেবল তখনই দেব দেবীর মূর্তি ভাঙ্গতে পারবে, যখন কেউ কোন মসজিদ দখল করে সেটাকে মন্দির বানাবে, এবং তুমি আবার সেটাকে পুনরুদ্ধার করে মসজিদ বানাবে।
যুক্তির স্বপক্ষে প্রমান লাগবে? খলিফা আবু বকর, উমার, উসমান, আলীর (রাঃ) সময়ে একের পর এক বিধর্মী সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল, কিন্তু একটিও মন্দির ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। উমারের (রাঃ) সময়েতো মুসলিম সাম্রাজ্য পাকিস্তান পর্যন্ত এসে ঠেকেছিল, পার্সি অঞ্চলে জোরাস্ট্রিয়ান মন্দির ছিল, হিন্দুদের মন্দিরও ছিল, গির্জা আর সিনেগগতো ছিলই। একটিও উপাসনালয় ভাঙ্গার রেকর্ড নেই। উমারতো (রাঃ) জেরুসালেমের ইহুদি-খ্রিষ্টানদের বলেইছিলেন, "আমাদের উপাসনায় তোমরা বাঁধা দিওনা, তোমাদের উপাসনায় কেউ বাঁধা দিলে আমাকে এসে বলবে, আমি ন্যায় বিচার করবো।"
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জেরুসালেমের অর্থডক্স খ্রিষ্টানরা বরং ইহুদিদের উপাসনায় বাঁধা দিত; এক শাখার খ্রিষ্টান আবার আরেক শাখার খ্রিষ্টানকেও উপাসনা করতে দিত না। উমারই (রাঃ) ওদের প্রথম অধিকার দেন প্রকাশ্যে নিজ নিজ ধর্মচর্চার।

২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, আপনি ভুল বুঝছেন আমাকে। আমি কখনোই বলিনি অন্য ধর্মের পুজার মুর্তি ভেঙ্গে ফেলতে। এটাকে ইসলাম কখনোই সাপোর্ট করে না। মুর্তি থাকবে মন্দিরে, বাহিরে কেন? যে দেশে হিন্দু ধর্মের লোক সংখ্যাগরিষ্ঠ সেদেশে রাস্তায় রাস্তায় মুর্তি থাকতে পারে, কিন্তু ৯০% মুসলমানের দেশে ঈদ্গাহের পাশে মুর্তি থাকতে পারেনা।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

এ আর ১৫ বলেছেন: Please visit this link for new vision

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: আর কখনো দমিত হয়ো না কাফের ও মুনাফিকদের কাছে, পরোয়া করো না তাদের পীড়নের এবং ভরসা করো আল্লাহর প্রতি। আল্লাহই যথেষ্ট এজন্য যে, মানুষ তাঁর হাতে তার যাবতীয় বিষয় সোপর্দ করে দেবে। - সূরা আল আহযাব (৪৮)

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১

কানিজ রিনা বলেছেন: মক্কা বিজয় কেন হয়েছিল যখন মক্কার
আশে পাশে সকল মুশরীক আল্লাহ্ একত্ব্য
বাদ বিশ্বাস আনল ওই সকল মানুষের
সর্ব সম্মতিতে সকল মুসলিম একসাথে মক্কার
ভিতরের মুর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। আর
মক্কার ঘর আদম আঃ শুরু করেছিলেন এবং
তখন থেকেই ঘর মসজিদ ছিল। আদম আঃ
ছিলেন প্রথম নবূী তিনি ছিলেন মুসলিম।
ধন্যবাদ।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

এ আর ১৫ বলেছেন:  কিন্তু ৯০% মুসলমানের দেশে ঈদ্গাহের পাশে মুর্তি থাকতে পারেনা

Answer. ........ Kindly click here for the answer

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৩

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, রাসুল (সাঃ) তাঁর সেনাপতি খালেদ বিন ওয়ালেদ (রাঃ) কে পাঠালেন একটা মুর্তি ভাঙ্গার জন্য। খালেদ (রাঃ) গিয়ে তলোয়ারের এক কোপে মুর্তি ভেঙ্গে রাসুলের (সাঃ) কাছে আসলেন। রাসুল (সাঃ) বললেন, খালেদ, তুমি মুর্তি ভাঙ্গনি। খালেদ (রাঃ) আবার দৌড়ে গেলেন। গিয়ে এবার উপর থেকে নিচে তলোয়ার চালালেন। দেখতে পেলেন, সেখান থেকে কুচকুচে কালো একটি নারী মুর্তি বেড়িয়ে এল। অন্য সাহাবীরা ভয় পেয়ে গেলেন। কিন্তু খালেদ (রাঃ) সেই নারী মুর্তিকেও দুই ভাগ করে ফেললেন। রাসুলের (সাঃ) কাছে এলে তিনি বললেন, এইবার ঠিক আছে। নিশ্চয়ই প্রত্যেক মুর্তির ভেতর একটি করে জীন-শয়তান থাকে তারা মানুষের অলক্ষে মুর্তি পুজার দিকে ধাবিত করে।
ভাই, উপরের হাদিস টা আপনি সিয়াহ সিত্তাহর ভেতর পাবেন। জিজ্ঞেস করবেন না কোন হাদিসে। একটু পড়াশুনা করুন। আপনার ভুল ভেঙ্গে যাবে। দয়া করে ধর্মের ব্যাপারে নিজের যুক্তি দিবেন না। যুক্তি যদি ভুল হয় তবে তা হাশরের ময়দানে আপনার জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।
আল্লাহ্‌ আপনাকে এবং আমাকে মাফ করুন। আমীন।

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৭

বিষাদ সময় বলেছেন: ভাই আসলে যে মূর্তির উদ্দেশ্য নিয়ে আপনার এই লেখা সেটা সরানোর বিপক্ষে আমার অবস্থান না্। কিন্তু সেটা নিয়ে যে মাতামাতি চলছে আমি সেটার বিপক্ষে। যে মুর্তি নিয়ে এত হইচই সে মুর্তিকে কেউ পুজা করতো না বা সে মুর্তির উদ্দেশ্যে কে ভক্তি ভরে তাকাতোও না।কিন্তু যে সব মুর্তিকে মানুষ পুজা করে বা ভক্তি করে সে সব মুর্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সাহস এখনও আপনারা সঞ্চয় করতে পারেননি, সেখানে আপনারা আপোষকামী। আর এই যে এখানে বললেন মুর্তির দেওয়ার কোন ক্ষমতা নেই তাহলে তাকে কেন আরাধনা করবে। বর্তমানে যারা মূর্তির পূজা করে তারা কেউই কিন্তু বলেনা যে তারা সেই মুর্তিকে পুজা করে, তারা পুজা করে দেব দেবীর, মুর্তি গুলো তাদের মুর্ত সিম্বল মাত্র এর মাধ্যমে তারা তাদের একাগ্রতাকে বাড়ানোর চেষ্টা করে।

নিজেকে কি মুসলিম ভাবেন?
আপনি আমরা নিজেদেরকে মুসলমান ভাবি কিনা প্রশ্ন করেছেন- আপনি কি নিজেকে মুসলমান ভাবেন? যদি ভাবেন তাহলে কতাগুলো প্রশ্ন করি-
১) শহীদ মিনারে বা স্মুতি সৌধে ফুল দেয়া নাজায়েজ।
২) মানুষের মুর্তিতে ফুল দেয়া নাজায়েজ।
৩) ৯০% মুসলমানের দেশে সুদ প্রথা চালু থাকা নাজায়েজ।
৪) বাদ্যযন্ত্র সহ গান শুনা নাজায়েজ।
৫) নামাজ কাজা করে সারাদিন ক্রিকেট খেলা নাজায়েজ।
৬) ব্লগে বসে প্রেমের কবিতা, গল্প লেখা নাজায়েজ।
ভাই এ গুলোর ব্যাপারেও কি আপনি একই রকম সোচ্চার থাকেন না নিজের আস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাওয়ার ভয়ে এসব ক্ষেত্রে আপোষকামী হন।
সর্বপরি কথা আগে বলা হতো ছবি তুলা নাজায়েজ, এখনও আলেমরা বলেন খুব প্রয়োজন ছাড়া ছবি তুলা না জায়েজ। তাহলে কেন শুধু শুধু ব্লগে আপনার দ্বিমাত্রিক মুর্তি (ছবি) টা দিয়ে রেখেছেন এতে কি আপনার পাপ হচ্ছে না। ভুল কিছু বলে থাকলে শুধরে দেবেন। ধন্যবাদ।

২৪ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:১৪

শিশির৫৪ বলেছেন: বিষাদ সময়, ভাই, খুব ভাল লাগল আপনার মন্তব্য পড়ে। বলার জন্য বলছি না, মন থেকেই বলছি। গঠনমুলক মন্তব্য সবসময় আমায় অনুপ্রানিত করে। সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে নিজের ভুল শুধরে নিতে। যত নিজের ভুল শুধরে নিতে পারি, তত মনে হয় পরিপুর্ন মানুষ হওয়ার পথে একধাপ করে এগিয়ে যাচ্ছি।
যাক, এবার মুল কথায় আসি। আপনার সবগুলো পয়েন্টের সাথে আমি একমত। চেষ্টা করি আপোস না করতে। কতটুকু পারি তা আল্লাহ্‌ ভাল জানেন। শেষে আমার ছবির ব্যাপারে যে কথাটা বলেছেন, তার সাথে একমত হতে পারছি না। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি যতটুকু বুঝি, পর্দা নারীর উপর জায়েজ, পুরুষের উপর নয়। ইউটিউবে খুঁজলে অনেক আলেমের ছবি-ভিডিও পাবেন। এটা জায়েজ না হলে তারা তা রাখতে দিতেন না। প্রযুক্তির কল্যানে আমরা আজ জাকির নায়েকের মত বিজ্ঞ আলেম পেয়েছি। তাঁর ছবি-ভিডিও দেখে আমরা অনুপ্রানিত হই।
যদি আমার কোন ভুল/পাপ হয় ছবি দিয়ে, দয়া করে সহিহ দলিল দিয়ে বাধিত করবেন। আমি আমার ছবি সরিয়ে ফেলব। আর আমার জন্য দোয়া করবেন, এই সৎ সাহস যেন আমরণ থাকে, যেখানেই কোন সহিহ দলিল পাই, নিজের ভুল যেন শুধরে নিতে পারি। আমীন।

৮| ২৫ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:০৬

এ আর ১৫ বলেছেন: You hadith isn't acceptable ... There was only one incident in our Rosul's ( SM) life of breaking Idol when they occupied Kaba sharif . Kindly read sura saba verse 13 .
According to you music is nazawez ....
kindly read the following. .....
Music in Islam

Flowering Shahid minar or someone' picture or statue .... nothing wrong with Islam as it isn't worshipping of any entity . If it is worshipping then that is nazawez .
If you follow these hadith then following thing are farz for you .... not only statue all of the following you have to follow ....


১) মুর্তি পুজা করা হারাম সুতরাং মুর্তি পুজা না করেও মুর্তি দেখা বা রাস্তা ঘাটে থাকা হারাম এবং শেরেকি ।
২) সুর্য পুজা করা হারাম (সুর্যদেব ) -- সুতরাং দিনের বেলা ঘর থেকে বেড় হওয়া হারাম , সুর্যালোকের নিচে যাওয়া হারাম ও শেরেকি ।
৩) চন্দ্র পুজা করা হারাম (চ্ন্দ্রদেবী) --- সুতরাং চাদের আলোয় যাওয়া হারাম , রোজা ঈদের চাদ দেখা হারাম ও শেরেকি ।
৪)গাছ পুজা হারাম সুতরাং গাছ লাগানো বা গাছ দেখা হারাম ও শেরেকি ।
৫)আগ্নি পুজা হারাম সুতরাং আগুন দিয়ে রান্না করা ,মোমবাতি হারিকেন জ্বালানো হারাম ও শেরেকি ।
৬)গরু পুজা হারাম সুতরাং গরু পোষা , গরুর মাংস খাওয়া এবং গরুর দুধ খাওয়া হারাম ও শেরেকি । 
৭) শিব লিঙ্গ পুজা করা হারাম সুতরাং পুরুষের দেহে লিঙ্গ থাকা হারাম ও শেরেকি !!!
সুতরাং ৩০০ বৎসর পরে লিখা হাদিস মানতে গেলে কি হয় দেখতে পাচ্ছেন । আল্লাহ সব জানেন তাই তিনি কোরানের আয়াতে বোলেছেন মুর্তি বা অন্য কোন এনটিটিকে পুজা করা হারাম । পুজা বিহিন ভাস্কর্য বা মুর্তি বা অন্য কোন এনটিটিকে হারাম বলেন নি ।

৯| ২৫ শে জুন, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি বোধ হয় আল্লাহ মানি কোরান মানিনা কিন্তু হাদিস মানি সম্প্রদায়ের মানুষ তাই কোরানের চেয়ে হাদিস বেশি গুরুত্তপুর্ন আপনার কাছে। কোরানে বহু আয়াতে মূর্তি বা অন্য কিছুকে বার বার মানা করা হয়েছে পুজা না করতে কিন্তু পূজা বিহীন আইডলকে হারাম করেন নি যার প্রমাণ সুরা সাবার আয়াত ১৩। পুজা বিহীন মুর্তি যদি হারাম হয় হাদিস অনুযায়ি ( কোরান অনুযায়ি নহে) তাহলে পুজা বিহীন চন্দ্র সুর্য তারা আগুন গরু পুরুষাংগ সব কিছুই হারাম ও শেরেকি হয়। কোরান যে আল্লাহর বাণী সেটার প্রমাণ,,,, কোরান যে কোন ধরনের আইডল পুজা হারাম করলেও পুজা বিহীন আইডলকে হারাম করেনি কারন আল্লাহ যানে সেটা করলে পুজা বিহীন মুর্তি সহ চন্দ্র সুর্য তারা আগুন গরু পুরুষাংগ সব কিছু কেই হারাম শেরেকি করতে হবে। হাদিস যে মানুষের বানানো এবং ৩০০ বছর পরে লিখা এইটাই তার প্রমাণ।।। তবে আপনার প্রীতিত হাদিস কারন আপনি আল্লাহ মানেন কোরান মানেন না কিন্তু ৩০০ বছর পর লিখা হাদিস মানেন!!!!

২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

শিশির৫৪ বলেছেন: আলোচনা জমে উঠেছে! ভাই, আমার একটা কথার উত্তর দিন তো। কোরান আপনি কিভাবে পেয়েছেন? এটা কার উপর নাজিল হয়েছে? কোরান এমন একজন মানুষের উপর নাজিল হয়েছে, যিনি অক্ষরজ্ঞানহীন ছিলেন। আল্লাহ্‌ তাঁকে জীব্রাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে কোরান শিক্ষা দেন। আমরা কোরান পেয়েছি রাসুল (সাঃ) এর মুখের কথায়, লিখিত নয়। তো যেই রাসুলের (সাঃ) কথার উপর কোরানের বানী, সেই রাসুলের (সাঃ) মুখের কথাই কিন্তু হাদিস। হাদিস লিখতে রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছিলেন সেই সময়, কারন তখন কোরান নাজিল হচ্ছিল। রাসুল (সাঃ) ভয় করেছিলেন, মানুষ কোরান এবং হাদিস কে মিলিয়ে ফেলবে। যা কিনা পুর্বের রাসুলগণের উম্মতদের বেলায় হয়েছে। আর তাই কোরান ছাড়া বাকী সব আসমানী কিতাব আজ বিকৃত।
এবার আসুন কোরানের একটি কথায়। সেখানে আছে, মরা প্রানী এবং রক্ত খাওয়া হারাম। তাহলে আপনি কি মাছ এবং কলিজা খাওয়া ছেড়ে দিবেন, নাকি নাজায়েজ বলবেন? রাসুল (সাঃ) এর জবান দিয়ে হক কথা ছাড়া কিছুই বের হয় না। তিনি আল্লাহ্‌ র আদেশ ছাড়া কিছুই করতেন না। তিনি হালাল করে গেছেন মাছ এবং কলিজা। তাই আপনি আমি খেয়ে বেঁচে আছি।
আপনাকে অনুরোধ করব, দয়া করে ইস্লামের ইতিহাস পড়ুন, কোরান-হাদিসের ইতিহাস পড়ুন। হাদিস পরোক্ষভাবে আল্লাহ্‌ তায়ালার বানী। এই কথাটা মানতে শিখুন। আপনার ভুল ভেঙ্গে যাবে, ইনশাআল্লাহ্‌। ভাল থাকবেন।
আপনার জন্য দুইটি লিঙ্ক- আশা করি সব প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=w345K5e5-z0
https://www.youtube.com/watch?v=wc5BQl70i7w

১০| ২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৪

বিষাদ সময় বলেছেন: খুব ভাল লাগলো আপনার প্রতি মন্তব্যটি পড়ে। সত্যি ভাল লাগলো। সহনশীল, ধৈর্যশীল, বিনয়ী, সত্যের উপর দৃড় থাকার কথা ধার্মিকদের। যদি তাঁরা সেরকম হতেন তবে দুনিয়াটার চেহারাটা অনেক সুন্দর হতো। কিন্তু বাস্তবে এর বিপরীতটাই দেখি। আপনার বিনয়ী স্বভাব অত্যন্ত ভাল লেগেছে। আল্লাহ যেন আপনাকে ধৈর্য, বিনয় এবং সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখেন সেই দোয়া করি।

আমি কম জানা মানুষ, তর্কের জন্য নয় আলোচনার জন্য একটি বিষয় উপস্থাপন করছি। হাদীস বা কোরআনের কোন আয়াত কোন বিজ্ঞ আলেম এন্টারপ্রেট করে না দিলে আমার মত অজ্ঞ ব্যক্তির পক্ষে সেটার প্রকৃত অর্থ বুঝা অসম্ভব। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কার এন্টারপ্রেটেশনটা গ্রহন করবো? একই কোরআন হাদিস পড়ে কেউ তালেবান, আলকায়দা বা আই, এস এর সাথে জড়ায় কেউ সুফি দরবেশ হয়, কেউ হয় তবলিগি আবার কেউ হয় জামাতী, প্রত্যেক দলেই আমার বা আপনার চাইতে অনেক বিজ্ঞ আলেম রয়েছেন। যে জাকির নায়েককে আপনি আলেম বলছেন সেই জাকির নায়েককেই দেওবন্দ আকিদার আলেমরা কঠোর সমালোচনা করেন। আপনি হয়তো যুক্তি দিয়ে একদল কে সহীহ, বলবেন আপর দলকে ভ্রান্ত বলবেন। তবে অপর দলেও কিন্তু যুক্তির অভাব নেই।

আসলে আমার মনে হয় আমাদের মুসলিমদের এখন অভাব একজন হায়েস্ট লিগ্যাল অথিরিটির। যেমন ক্যাথলিক খ্রীস্টানদের পপ, অনেক আগে আমাদের ছিলেন খলিফায়ে রাশেদিনরা। এখন আমরা মুসলিমরা সবাই স্বাধীন, কোন দেশ, কোন অঞ্চল বা বৃহৎ কোন মুসলিম জনগোষ্টির মধ্যে এই ঐক্যমত নাই যে কোরআন ও হাদীসের ক্ষেত্রে ঐ আলেমের এন্টারপ্রেটেশনই শেষ কথা। এটা হল আমাদের একটি বড় দুর্বলতা। যা আমাদের মুসলিম সমাজকে বহুধা বিভক্ত করে ফেলছে।

এবার আসি ছবি প্রসঙ্গে। আলেমদের ছবি আছে, ভিডিও আছে আপনার মতে এগুলো জায়েজ । আপনার নিশ্চয় জানা আছে এই উপমহাদেশের আলেমরাই একসময় ফতুয়া দিয়েছেন ইংরেজী শিক্ষা নাজায়েজ, নারী শিক্ষা নাজায়েজ, ছবি তোলা নাজায়েজ। যুগের পরিবর্তন এর সাথে সাথে তো নাজায়েজ জিনিস জায়েজ হয়ে যাওয়ার কথা না। না হয় আপনার কথাই মেনে নিচ্ছি, ছবি জায়েজ। এখন আপনার ছবি দেখে যদি আমি আপনার একটা ভাস্কর্য বানাই তাহলে কি সেটা নাজায়েজ হয়ে যাবে? হলে, কেন? এটাকি শুধু দ্বিমাত্রিকতা আর ত্রিমাত্রিকতার জন্য?
পরিশেষে আল্লাহ আপনার সার্বিক মঙ্গল করুন সেই কামনা করছি। ধন্যবাদ।

২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:০৪

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, কোরান-হাদিস ব্যাখ্যা করে না দিলে সাধারন মানুষ বুঝবে না, এই কথাটির সাথে আমি একমত নই। কোরানের ৫০% কথা আপনি বাংলা পড়তে পারলে বুঝবেন। (% একটু এদিক ওদিক হতে পারে, ক্ষমা করবেন, সম্পুর্ন নিজের মতামত)। বাকীটা বোঝার জন্য আপনাকে হাদিসের শরণাপন্ন হতে হবে। নিজের বিবেক খাটাতে পারবেন না। খাটালেই ভুল পথে যাবার সম্ভাবনা। ধরুন, হাদিস থেকে ৩০% ব্যাখ্যা পেলেন। বাকী থাকলো ২০%। এইবার আপনি যান, বড় বড় আলেমদের দিকে। তাদের কি মত ছিল। বেশিরভাগ আলেম যেদিকে যাবে, আপনি সেদিকেই থাকবেন, হিসেব খুব সোজা। তবে ৫% হয়তো আলেম-ওলামাদের মধ্যে বিতর্ক থাকবেই। সেগুলো সুকৌশলে এড়িয়ে চলুন। আপনার-আমার জীবনে সেগুলোর তেমন প্রয়োজন নেই আসলে।
অনেক সহিহ হাদিসে এসেছে, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ফরয। পারলে সুন্নত, নফল পড়। কিন্তু সুন্নত বা নফল কে কিন্তু ফরয করা হয়নি। আমাদের সমস্যা হল, আমরা নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত না পড়ে তারাবী কয় রাকাত তা নিয়ে মারামারি করি!
এবার আসি মুর্তি প্রসঙ্গে। নিচের ভিডিও টি দেখবেন দয়া করে।
https://www.youtube.com/watch?v=_FQ0mSDWqO8

আল্লাহ্‌ আপনাকে খুব ভালো রাখুক। আমীন।

১১| ২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২১

কানিজ রিনা বলেছেন: শিশির৮৩ আপনি বলেছেন পর্দা নারীর জন্য
পুরুষের জন্য না। আপনি পর্দা বিষয়ে
কোরআন থেকে বেশী বেশী পড়া শুনা
করুন। আর পুরুষের পর্দা বিষয়ে বড় বড়
আলেমদের কাছে জিজ্ঞাসা করুন।
কোরআনে কয়বার পুরুষের আর কয়বার
নারীর পর্দার কথা বলা আছে।
পুরুষের চোখের পর্দা অত্যান্ত কঠিন করে
দেওয়া আছে। নারীর দৈহিক পর্দা অতি সহজ
কিন্তু পুরুষের চোখের পর্দা খুবই কঠিন
তাইনা? তাই এত কঠিন পর্দা পুরুষরা কেমনে
করবে তাই আলেমরা ভেবে চিন্তে এই হাদীস
এড়িয়ে যেয়ে শুধু নারী পর্দা করলেই চলবে।
কয়টা আলেমকে বলতে শুনেছেন পুরুষের
চোখের পর্দা বিষয়ে কঠিন করে বলতে?
কারন আলেমরা তো পুরুষ জাতভাই এত
কঠিন পর্দা কিভাবে করবে?

অথচ চীনদেশে বিধর্মী পুরুষরা কোনও নারীর
দিকে মাথা উচু করে তাকায় না। এদেশে
অনেক চীন জাপান করিয়ার মানুষ আছে
তাদের দিকে একটু খেয়াল করলেই বুঝতে
পারবেন। ওরা কারা ওরা চোখের পর্দায় এত
আদর্শ হোল কিকরে?
তাইত নবী মোহাঃ সাঃ বলেছিলেন জ্ঞান
অর্জন করতে সূদুঢ় চীনে যাও।
তবে থেমিস মূর্তী নিয়ে সরকারের সীদ্ধান্তে
শ্রদ্ধা রেখেছি।
মানুষের চেহারা যেমন নানান রকম মেধাও
তেমন নানা রকম। তাই মতামত একজনের
একরকম। আপনি যদি বলেন আমি সাদা
চালের ভাত খাই সেইটা ঠিক ওপর লাল
চালের ভাত খায় সেইটা ঠিকনা।

আপনি যদি সীয়াম রাখেন আমি রোজা রাখি
মাত্রী ভাষা গত দুইটাই ঠিক কিন্তু আপনি
যদি বলেন সীয়ামই ঠিক তাহলে মনে করেন
চাপীয়ে দিচ্ছেন।
আর নবী সাঃ আঃ কারো উপর কিছু চাপীয়ে
দেননাই।
আমরা ৯০% মুসলিম দেশে উগ্র মুসলিম
আছে ১০% যা ভারতেও উগ্র হিন্দু আছে
যাদের দারা ভারতের মুসলমান নীপিরিত।
আর প্রায়ই দেখি হিন্দুদের মন্দীর ভাঙার
খবর। ভারতেও মসজিদ ভাঙার কিছু আলামত প্রায়ই পাওয়া যায়। আসলে
উগ্ররা কোনও মুসলিম না এরা মার্দাঙ্গা
পছন্দ করে। যা কখন কোরআন হাদীসে
নাই।
একজন সত্যিকার কোরআন হাদীসের জ্ঞানী
ইমানদার সকল মুর্তী বা জড় পদার্থর ভিতর
বসে নামাজ আদাই করলেও তার নামাজ
হবে। কারন তিনি আত্বিক নামাজ আদাই
করেন তার আত্ব্যা থাকে আল্লাহর দিকে।

কিন্তু যাদের ইমানী দুর্বল সে ঘরে ছবিও
সড়িয়ে রাখবে তাতে তার জন্য মঙ্গল।
মুসলিম মুর্তীর কাছে মাথা নত করবেনা।
এটাই নিয়ম। তাই বলে দেশে অন্য ধর্মের
মুর্তী থাকতে পারবে না। এরা অশিক্ষিত গোড়া
উগ্র মসলিম। যারা কোরআন হাদীসের জ্ঞানে
আলোকীত না।
ধন্যবাদ তোমাকে আরও জ্ঞান অর্জন করো
এই কামনা আমি তোমার মায়ের মতো।

২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৭

শিশির৫৪ বলেছেন: আন্টি দোয়া করবেন। আমি মুর্খ মানুষ। জ্ঞান আরোহন করছি মাত্র। আপনার জন্য একটি লিঙ্কঃ
https://www.youtube.com/watch?v=_FQ0mSDWqO8

দেখে মতামত জানাবেন আশা করি।

১২| ২৫ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: এই পোস্টদাতা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে।

ঈদ মোবারক।

১৩| ২৫ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৮

এ আর ১৫ বলেছেন:  আমরা কোরান পেয়েছি রাসুল (সাঃ) এর মুখের কথায়, লিখিত নয় .......
after that that verse had written and memoried by hafez but in case of Hadith nothing written or memoried. Yes meat dead animal is haram except fish .
So your these arguments don't prove hadith are authentic like Quran . Quran never ban any Idol without worshipping but hadith says which is against Quran
. If non worshipping statue is haram according to fabricated hadith then sun moon fire cow male sex organ all are haram because those entities are worshipped by human being.

১৪| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩০

শিশির৫৪ বলেছেন: Tell me one thing. How did you get the way of salat? You have to go to hadith for that. Quaran only says that perform your salat. But how to perform, hadith gives you the answer. This is just one example. If you want, there are lots of examples. Find those on your own way.

১৫| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৪৬

হানিফঢাকা বলেছেন: Tell me one thing. How did you get the way of salat? You have to go to hadith for that. Quaran only says that perform your salat. But how to perform, hadith gives you the answer - .Really? Show me a single hadith that describes every aspects of salat. Can you?

How do you learn Salat? By reading hadith? or by from your parents? Can you show me any person you know who learn salat by reading hadith? your father? or your forefather? Hadith and Traditions are not the same thing.

By the way what do you mean by Salat? what is the exact translation of Salat in your language?

১৬| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:০৫

এ আর ১৫ বলেছেন: এই বার তো মনে হচ্ছে নামাজের প্রশ্ন করে নিজের বিপদ ডেকে আনলেন ---- নামাজ গত ১৪০০ বৎসর ধরে দিনে ৫ বার করে পালন করা হয় এবং নামাজ পড়া শিক্ষিত অশিক্ষিত সহ সবাই জানে কিন্তু হাদিস কিন্তু এ টু জেড সবাই জানেনা এবং আমরা আজ যে ভাবে সিয়াসত্তায় সমস্ত হাদিস একত্রে পাই সেটা ৫০০ বৎসর আগে অতি সহজে কেউ পেত না । সুতরাং হাদিস জিনিসটা নামাজের মত প্রতিদিন ৫ বার করে পড়ার বিষয় কখনো ছিলা না বা এখনো নেই । ৩০০ বৎসর পর হাদিস লিখা হয় কিন্তু নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন ৩০০ বৎসর পর বানানো হয় নি, নামাজ ডে ওয়ান থেকে মুসলমান শিক্ষিত অশিক্ষিত সবাই পড়া জানে .।

------------ এবার বলুন যে জিনিস প্রতি দিন ৫ বার করে ১৪০০ বৎসর ধরে চর্চা হচ্ছে, তাহোলে এ্ই নামাজ পড়ার মুদ্রাগত পদ্ধতি গত এত হের ফের হোল কি করে , কেউ নামাজে সুরা ফাতেহার পরে মনে মনে আমিন বলে কেউ জামাতে উচ্চসরে আমিন বলে, কি কারনে কে্উ নাভির উপর হাত বাধে কেউ বুকের উপর হাত বাধে ??? কেন শিয়াদের নামাজ পড়া সম্পুর্ন ভিন্ন ? কি কারনে মাহাজাবে মাহাজাবে নামাজ পড়া ভিন্ন ??? কেউ ঈদের নামাজ অতিরিক্ত ৬ কেউ অতিরিক্ত ১২ তকবির সহ পড়ে । কোন মাহাজাবের মতে ঈদের নামাজ সুন্নত, কোন মাহাজাবের মতে ঈদের নামাজ ওয়াজিব । কারো মতে তারাবি নামাজ ৮ রাকাত কারো মতে ২০ রাকাত ? কি কারনে এমন হোল ??

------ তারমানে ১৪০০ বৎসর প্রতিদিন চর্চা হওয়ার পর প্রত্যেক মানুষ জানার পর কেন এই পার্থক্য ????? তাহোলে হাদিস যেটা ৩০০ বৎসর পর লিখা হয়েছে এবং তার আরো ৫০০ বৎসর পর বর্তমান পুস্তক আকারে বাহির হয়েছে সেগুলো যে অথেনটিক সেটা কি ভাবে দাবি করেন ???? নামাজের বিভিন্নতা দিয়ে তো প্রমাণ হচ্ছে ৩০০ বৎসর পর লিখা হাদিসের কোয়ালিটি । আজ আমরা যে বুখারি বা মুসলিম বা তিরমিজি ইত্যাদি হাদিস গ্রন্থ গুলো পাই সেগুলা কম্পাইল হয়েছে ঐ ঈমামদের মৃর্তুর ৫০০ বৎসর পরে । ঈমাম বুখারীর হাদিস সংগ্রহের মূল পান্ডুলিপি অনেক আগে হারিয়ে গেছে । তার মনে ইসলাম আসার প্রথম ৮০০ বৎসর একজন মানুষের পক্ষে অতি সহজে হাদিস জানা সম্ভব ছিল না ।

২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:১৩

শিশির৫৪ বলেছেন: আপনাকে ২টা লিঙ্ক দিয়েছিলাম। দেখেছেন? দেখে থাকলে আর মনে হয় প্রশ্নগুলো করতেন না। কোরানের পর সবচেয়ে সহিহ হাদিস বুখারী-মুসলিম। কিভাবে হাদিসগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে তা জানলে আপনার মনে আর কোন সন্দেহ থাকতো না। দুনিয়ার সব আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত। আপনি কেন একমত নন তা বুঝতে পারছি না।

১৭| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:০৬

শিশির৫৪ বলেছেন: Your father, grand father got the way of salat from where? Open bukhari sharif you will get your answer. Rasul (sm) bring the 5 wakt salat from Allah when he went to miraj. I think you know that very well. What is hadith? In Islamic terminology, according to Juan Campo, the term hadith refers to reports of statements or actions of Muhammad, or of his tacit approval or criticism of something said or done in his presence.

১৮| ২৬ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

এ আর ১৫ বলেছেন: what is opinion about comment 15 of HanifDhaka..?

আপনাকে ২টা লিঙ্ক দিয়েছিলাম। দেখেছেন? দেখে থাকলে আর মনে হয় প্রশ্নগুলো করতেন না। কোরানের পর সবচেয়ে সহিহ হাদিস বুখারী-মুসলিম। কিভাবে হাদিসগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে তা জানলে আপনার মনে আর কোন সন্দেহ থাকতো না। দুনিয়ার সব আলেমগণ এ ব্যাপারে একমত। আপনি কেন একমত নন তা বুঝতে পারছি না।

Answer ........ Kindly visit the following link then read the comment no 4 on that blog . You can see numbers of references has given in that comment no 4 then you can see the answer.
Please read comment 4 in this link for answer. Thanks

১৯| ২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

হানিফঢাকা বলেছেন: Open bukhari sharif you will get your answer. - বুখারি আছে আমার কাছে। রেফারেন্স দেন। রেফারেন্স জানা আছে? না জানলে নিজে একটা বানান। বুখারির কোথায় লেখা আছে কিভাবে সম্পূর্ণ সালাত আদায় করতে হবে? এই বই পড়েন বা ঐ বই পড়েন এই সব ফাউল কথা বইলা লাভ নাই। সালাত আমারা জেনারেশন ধরে দেখে আসছি। যে কোন ভাল মোল্লা আপনাকে বেল দিবে হাদিস এবং সুন্নাহ এর মধ্যে পার্থক্য কি? কেউ হাদিস পড়ে সালাত শিখে নাই। এই প্র্যাকটিস মানুষ দেখে শিখেছে এবং জেনারেশন ধরে চলে আসছে। নিজের দিকে তাকিয়ে দেখে বুঝেন না?

আচ্ছা ধরে নিলাম আপনি হাদিস পড়ে সালাত শিখেছেন বা শিখতে বলছেন। সালাত সম্পর্কিত যতগুলি হাদিস আছে আপনি সব গুলি মেনে সালাত আদায় করতে পারবেন? আপনি দূরে থাক দুনিয়ার কেউ পারবে না। সুন্নীদের থেকে শিয়াদের সালাত আলাদা। আবার সুন্নী এবং শিয়াদের মধ্যে যে উপদল গুলি আছে তাঁদের মধ্যেও সালাতের পার্থক্য আছে। সবার কাছেই আপানর কথিত হাদিসের দলিল আছে। আপনি যেইটা ফলো করেন, সেইটা বাদে বাকি গুলি মিথ্যা?

আপনি আরও বলেছেন, Rasul (sm) bring the 5 wakt salat from Allah when he went to miraj. - এর অর্থ কি আপনার কথিত মিরাজের আগে সালাত ছিল না? এর আগে কেউ সালাত আদায় করে নাই? ফালতু কথা কেন বলেন?



২০| ২৭ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:২৫

শিশির৫৪ বলেছেন: বুখারী শরীফে সালাতের উপর একটা অধ্যায়-ই আছে। সেখানে যান, সব পাবেন। রেফারেন্সের দরকার নাই। তারপরেও হাদিস নাম্বার বলছি, পারলে দেখে নিবেন।

সহিহ বুখারী- হাদিস নং- (৩৪৯ থেকে ৫১০) সর্বমোট ১৭২ টা হাদিস আছে সালাতের উপরে।

আর হ্যা, সালাত আমি পরিবার থেকেই শিখেছি কিন্তু পরে সহিহ হাদিসের সাথে মিলিয়ে দেখেছি। যেখানে যেখানে ভুল ছিল তা সংশোধন করে নিয়েছি। প্রত্যেক মুসলমানের তাই কর্তব্য বলে আমি মনে করি। যদি বিশ্বাস করেন, বুখারী-মুসলিম শরীফে কোন ভুল নেই তাহলে আলোচনায় আসুন, নইলে অযথা তর্ক করে লাভ নেই। নিরাপদ দুরত্বে থাকুন।

২১| ২৭ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এমন অনেক হাদীস আছে যা পড়লেই বোঝা যায় এগুলি ঠিক নয়। আর কোরআনের অনেক আয়াত আছে যা অনুধাবন করলে বোঝা যায় হাদীস রাসুল (সাঃ) এর লিখা নিষেধ ছিলো। আপনি চায়লে আপনাকে আমি কিছু হেল্প করতে পারবো।



দু একটি হাদীস বলি দেখুনঃ



হাদীস ১।

আব্দুল্লাহ্ এবনে ওমর বর্ণনা করেন: রাছুল (সাঃ) মরা লাশগুলোর প্রতি উঁকি দিয়ে বলতে লাগলেন-। ঐ সময় হযরত ওমর (রাঃ) বললেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আপনি মৃত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলছেন? যাদের কোনো শ্রবণশক্তি নেই। নবী উত্তর দিলেন, তারা তোমাদের মতোই শ্রবণ করে কিন্তু উত্তর দেওয়ার শক্তি নেই।

[হাদিছ সূত্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ প্রকাশ, আ. হক; পৃ: ৩৫১; হামিদিয়া লাইব্রেরী



কোরআন

সূরা নমল ২৭:৮০ আয়াত

إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاء إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ

অর্থঃ নিশ্চয়ই তুমি মৃতদেরকে শুনাতে পারবে না– অন্ধ, বধিরকেও নয়। সূরা রূম ৩০:৫২ আয়াতঃ

فَإِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاء إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ

অর্থঃ অতএব, আপনি মৃতদেরকে শোনাতে পারবেন না এবং বধিরকেও আহবান শোনাতে পারবেন না।



হাদীস ২।

আনাছ ইবনে মালিক ও কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তারা বলেন, নবি (সাঃ) দিনে বা রাতে পর্যায়ক্রমে (মধ্যবর্তি ফরজ গোসল ছাড়া) ১১ জন বিবির সঙ্গে সঙ্গম করতেন। (৯ জন বিবাহ সুত্রে ও ২ জন শররিয়তী স্বত্বাধিকার সুত্রের) কাতাদা বলেন, আমি আনাছকে (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলাম, হযরতের কি এতই শক্তি ছিল? তিনি বললেন,আমাদের মধ্যে এই কথা প্রসিদ্ধ ছিল যে, রাছুলাল্লাহর ৩০ জন পুরুষের শক্তি আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত ছিলেন। [দ্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক, হাদিছ নং-১৯০,পৃ: ১৪৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী]



আমার প্রশ্ন রাসুল (সাঃ) ১১ জন বিবির সঙ্গে সঙ্গম করতেন আর এটা কি সে সাহাবাদের সামনে এসে বলতেন? আসলেকি বলতে পারে? নাকি সাহাবাদের সেই দৃষ্টতা ছিলো যে, রাসুল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করতে পারে। এমন পেট বানানো হাদীস গুলি রাসুল (সাঃ) মত পবিত্র মহান মানুষটিকে খাটো করেছে। আসলে ভাবতে হবে কোরআন আর হাদীস কি? কোরআন সোষ্টার আর হাদীস সৃষ্টির। কোরআন স্বা পামাণে নিজেই অটুট আর হাদীস নিজের প্রামাণে শত শত কেতাব আর উপমা দিয়ে বোঝাতে আজ শত শত বছর ধরে লড়ছে।



হাদীস ৩।

আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমাদের কেউ ঋতুবতী

হলে এবং সেই অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সঙ্গে মিশামিশি

করতে চাইলে তাকে ঋতুর প্রাবল্যের সময় ঋতুর কটিবেশ পরার

নির্দেশ দিতেন। তারপর তিনি তাঁর সঙ্গে মিশামিশি করতেন।

আয়শা বলেন, তোমাদের মধ্যে কে নবির (সাঃ) মতো নিজের

কামপ্রবৃত্তি দমন করতে সমর্থ? [দ্র: বোখারী, ১ম খ. ৭ম সংস্করণ,

আধুনিক প্রকাশনী; হাদিছ নং-২৯১,পৃ: ১৫৯]



মা আয়েশা বললেন ঋতুবতী সময় কটিবেশ পড়ে মেলা মেশা করতেন। তাহলে কোরআন কি বলে দেখি।



কোরআন

সূরা বাকারা ২:২২২আয়াতঃ

وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ

অর্থঃ আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।



রাসুল (সাঃ) এর পরিবার সম্বন্ধে অশ্লীল ও মানহানিকর হাদীস

(ক) আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ)-এর কোনো

এক বিবি রক্তপ্রদর রোগ নিয়ে তাঁর সঙ্গে এতেকাফ করেছিলেন।

তিনি (রাসুল) প্রবাহিত রক্ত ও হলুদ রং দেখতেন। আর তাঁর দেহের

নিচে একটি পাত্র রাখতেন। এ অবস্থায়ই তিনি নামায পড়তেন। [ দ্র:

বোখারী, ১ম খ. ৭ম সংস্করণ, আধুনিক প্রকাশনী, হাদিছ নং-

২৯৯,প: ১৬২]



(খ)

হোযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি একদিন রাসুল (সাঃ)

সঙ্গে চলছিলাম। তিনি মহল্লার আবর্জনা ফেলবার স্থানের নিকটে

এসে একটি দেয়ালমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলেন। আমি দূরে সরে

যাচ্ছিলাম, তিনি আমাকে ইসারা করে ডাকলেন; আমি নিকটে হাযির

হয়ে তাঁর (পিঠে পিঠ দিয়ে বিপরীতমুখী) দাঁড়িয়ে রইলাম।

(সম্মুখদিকের পর্দা ছিল দেওয়াল এবং পিছন দিকে হোযায়ফাকে দাঁড়

করে রাসুল (সাঃ) পর্দার ব্যবস্থা করলেন; দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার দরুন

কাপড় একটু বেশি উঠবে।)

[দ্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিস নং-১৬৪, পৃ: ৩৮,

হামিদিয়া লাইব্রেরী; বোখারী ১ম খ. ৭ম সংস্করণ, আধুনিক প্রকাশনী,

হাদিছ নং-২১৮-২২০, পৃ: ১ ৩১।]



হাদীসটি সম্বন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করার দরকার আছেকি নাকি আমরা ভেবে দেখবো। এটি পালন করা যায় কি না! যদি বিবেকে বাধে তবে বাকিটা নিজের মর্জি।



(গ)

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, লোকেরা

বলে, যখন তুমি পেশাব-পায়খানায় বসবে, তখন তুমি কিবলার

দিকে কিংবা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করবে না। আমি

একদিন আমাদের ঘরের ছাদে উঠে দেখলাম রাসুল্লাহ (সাঃ) দু’টি

ইটের ওপর বসে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পায়খানা-

পেশাবের জন্য বসে আছেন। [ দ্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ,

আ. হক; হাদিছ নং-১১৫, পৃ: ১২৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী।]





(ঘ)আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমাদের কারুর নিকট

একটার বেশি কাপড় থাকত না। কারুর মাসিক ঋতু হ’লে এবং

কাপড়ে রক্ত লাগলে সে থু থু দিয়ে তা ভিজিয়ে নক দিয়ে রগড়াত।

[দ্র: বোখারী, ১ম খ, ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-২১৮,পৃ:

১৫৩; বোখারী ১ম খ. ৭ম সংস্করণ, আধুনিক প্রকাশনী হাদিছ নং-

৩০১,পৃ: ১৬২]

(ঙ) আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, একজন স্ত্রীলোক তাকে

বলল, আমাদের কেউ পাক হওয়ার পর ঋতুকালীন নামায কাযা

আদায় করবে কি? তিনি বললেন, তুমি হারুরার অধিবাসিনী?

আমরা রাসুল (সাঃ) সঙ্গে থাকাকালে ঋতুবতী হতাম। কিন্তু তিনি

আমাদেরকে নামায কাযা করার হুকুম দিতেন না। অথবা আয়শা

বলেন, আমরা তা কাযা করতাম না। [দ্র: বোখারী, ১ম খ. ৭ম

সংস্করণ, আধুনিক প্রকাশনী হাদিছ নং-৩১০, পৃ: ১৬৬]



এমন অনেক হাদীস আছে যা মানহানিকর, কোরআন বিরুদ্ধ তার পরেও মানুষের জ্ঞান ফিরছে না। মানুষ বড় তর্কপ্রিয়।



যারা আল্লাহ ও রাসুলদরে প্রত্যাখ্যান করে এবং তাঁদরে মধ্যে র্পাথক্য সৃষ্টি করে প্রকৃত পক্ষে ইহারাই কাফরি এবং ইহাদরে জন্য কঠনি লাঞ্চনাদায়ক শান্তি রয়ছে [৪: ১৫০, ১৫১]



কোনর্ ধম গ্রন্থই স্বয়ং আল্লাহ, ফরস্তেো এমনকি অধকিাংশ নবীগণও নজি হাতে লিখেননী; লখিছেনে সাধারণ মানুষ, আর মানুষ কোনক্রমইে ভুলের র্উদ্ধে নয় বা হতে পারে না।

আমরা যারা হাদীসকে বশ্বিাস করি বিষেশ করে বোখারী শরীফকে সহীহ বলে দাবী করি তারা কি জানি হাদীস কভিাবে সংগ্রহ হয়েছে? হাদীস কেবলী অনুমানের উপর বশ্বিাস করে রচিত হয়েছে। অবশ্য আল্লাহ কোরআনে বলেছেন অনুমানরে উপর ভিত্তি করে কোন কথা বলা বড় অপরাধ। অনুমান গুনাহ্ র কাজ এই অনুমান সম্বন্ধে সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলনে

وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ

র্অথঃ বস্তুতঃ তাদরে অধকিাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানরে উপর চলে অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যরে বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জাননে, তারা যা কিছু কর।

কেবল রাসুল (সাঃ) মূখে থেকে শুনে সঙ্গে সঙ্গে সাহাবাদরে দ্বারা বভিন্নি পাথর,ফলক,গাছের বাকল বা চামড়ায় লিখিত আকারে যে গ্রন্থটি লিপিবদ্ধ হয়েছে সেটি হলো পবত্রি কোরআন। হাদীস রাসুলরে মূখে থেকে শুনে কোন সময়'ই লিপিবদ্ধ হয় নাই। ইতিহাস তা বলে না। বরং রাসুল (সাঃ)এর মৃত্যুর বহু বছর পর তা মানুষরে মূখে থেকে শুনে সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে।

তাহলে এবার আপনারাই বলনে কিসের ভিত্তিতে আমরা হাদীসকে সহীহ বলছি? সময় থাকতে আমাদরে জান্তে হবে প্রকৃত ইতিহাস। আর তা না হলে সোয়াবের চায়তে গুনাহ্ বাড়তে থাকবে জীবনরে প্রতিক্ষনে । আল্লাহ্ আমাদরে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন---আমিন

২২| ২৭ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

এ আর ১৫ বলেছেন: চিন্তাশীল মুসলিম ভাইদের প্রতি প্রশ্নঃ বুখারী/মুসলিম শরীফের হাদীস কতটা নির্ভরযোগ্য? আসুন যাচাই করি।

২৩| ২৭ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩

এ আর ১৫ বলেছেন: রজমের পক্ষে বিখ্যাত হাদিস ---
এবারে একটা বিখ্যাত হাদিস দেখা যাক। সহি বোখারি হাদিস ১২৩৭, ১২৩৮, ১২৩৯, এবং মিশকাত ২৬-এর ১ (“মুসলিম জুরিসপ্র“ডেন্স অ্যাণ্ড দ্য কোরাণিক ল’ অফ μμাইম্স্” থেকে) হাদিস থেকে আমরা দেখি :

মায়াজ নামের সাহাবি নবীজীকে বলল তাকে পবিত্র করতে।
নবীজী তাকে হাঁকিয়ে দিলেন এই বলে − দূর হও, অনুতাপ কর ও ক্ষমা চাও।
মায়াজ ফিরে গিয়ে আবার ফিরে এসে একই কথা বলল। নবীজী একই কথা বললেন।
তিনবার এটা ঘটার পর নবীজী জিজ্ঞেস করলেন − ব্যাপার কি। মায়াজ বলল সে
ব্যভিচার করেছে।
তারপর নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন, মায়াজ কি পাগল ? নেশা করেছে ? লোকেরা বলল, না।
নবীজী জিজ্ঞাসা করলেন − মায়াজ কি বিবাহিত ? লোকেরা বলল, হ্যাঁ।
তখন নবীজী তাকে পাথর মেরে হত্যা করতে নির্দেশ দিলেন।
এ-হাদিস সত্যি হলে নবীজী অন্তত তিনবার তাকে অনুতাপ-ক্ষমার দিকে ঠেলেছেন, শাস্তি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করেছেন, শেষে একান্ত বাধ্য হয়েই রজম ঘোষণা করেছেন। শারিয়ার আইনে এই সুনড়বত মেনে কোন ‘অপরাধী’-কে তিনবার ফিরিয়ে দেয়ার নিয়ম নেই। পাগলামি বা নেশার কথা জিজ্ঞেস করাও নেই। আমরা জানি মানুষ ভ্রান্তিময়, অপরাধ এক হলেও সব অপরাধী এক হয় না। একই অপরাধ কেউ করে অভাবে, কেউ করে স্বভাবে, খাসলতে। একই অপরাধ কেউ করে উত্তেজনার গরম মাথায়, কেউ করে পরিকল্পনা করে ঠাণ্ডা মাথায়। সে-জন্যই একই অপরাধের সর্বদা একই শাস্তি হতে পারে না। অথচ শারিয়ার হুদুদে ঠিক তাই’ই হয়, হঠাৎ-অপরাধ ও খাসলতের অপরাধে বিচারককে একই শাস্তি দিতে হয়, তাঁর হাত-পা বাঁধা থাকে।

লোকেরা মায়াজকে পাথর মারা শুরু করতেই ব্যথার চোটে হতভাগার মনে হল যে পবিত্র হয়ে এখনই পটল তোলার চেয়ে তওবা টওবা করে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। লেজ তুলে সে দিল দৌড়। কিন্তু লোকেরা ওকে ধরে মেরে ফেলল। এঘটনা শুনে নবীজী কি বললেন ? কি করলেন ? মৃদুকণ্ঠে উচ্চারিত হল তাঁর লিখিত আইন ভাঙ্গা অলিখিত আইন − “লোকটাকে তোমরা যেতে দিলে না কেন ?” − মিশকাত ২৬-এর ১, সহি ইবনে মাজাহ ৪র্থ খণ্ড হাদিস ২৫৫৪ ও সহি সুনান আবু দাউদ হাদিস ৪৪০৫ ও ৪৪০৬ . এই হলেন রহমতুলিল আল্ আমিন, এই হল ভ্রান্তিময় অনুতপ্ত মানুষের প্রতি তাঁর অগাধ দরদ, অসীম ক্ষমা। তাঁ র গভীর অন্তদৃর্ িষ্ট শুধ ু শাস্তির দিকেই নয়, ক্ষমার দিকেও। স্বভাব-অপরাধীর খাসলত আর ভালো মানুষের হঠাৎ পা পিছলে যাবার মধ্যেকার বিরাট ফারাকটা জানেন বিশ্বনবী।

উপরের এই হাদিসটার বর্ণনা অনুযায়ি ঐ ব্যভিচারী অনুতপ্ত হয়েছেন সেই সাথে তোওবা করে সংশোধন করতে চেয়েছেন কিন্তু তারপর ও তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হয়েছে । কিন্তু এখন দেখি কোরান কি বলে ---
সুরা নিসা, আয়াত ১৬ : “তোমাদের মধ্য হইতে যেই দুইজন সেই কুকর্মে লিপ্ত হয়, তাহাদিগকে শাস্তি প্রদান কর। অতঃপর যদি উভয়ে তওবা করে এবং নিজেদের সংশোধন করে, তবে তাহাদের হইতে হাত গুটাইয়া নাও।”

যদি ঐ লোক তওবা করার পর এবং নিজেকে সংশোধন করার অভিপ্রায় করার পর তাকে যদি হত্যা করা হয় তবে সেটা হবে কোরান লংঘন এবং রসুল (সা: ) এর পক্ষে কোরান লংঘন করার প্রশ্নই আসে না ( নাউযুবিল্লাহ) --- সুতরাং এই হাদিসটি কোরান বিরুধী -
ব্যভিচারীদের শাস্তি প্রদানের কথা কোরানে বলা হয়েছে রজমের মাধ্যমে হত্যা করার কথা কোরানে নেই কিন্তু সহি হাদিসে হত্যা করার কথা আছে ।
কোথায় পাথর, কোথায় মৃত্যুদণ্ড ? মেরে ফেলার পর তার লাশ কি তওবা করবে নাকি, নিজেকে সংশোধন করবে নাকি ? এর চেয়েও কঠিন প্রমাণ আছে কোরাণে : সুরা নিসা, আয়াত ২৫ − দাসী-স্ত্রী পরকীয়া করলে তাকে “স্বাধীন-নারীদের অর্ধেক শাস্তি” দিতে হবে। এ-আয়াতের ব্যাখ্যায় শারিয়াপন্থীরা বলেন স্বাধীন নারী মানে স্ত্রী নয়, অন্য অবিবাহিতা নারী যাকে একশ’ চাবুক মারার বিধান আছে। কিন্তু চাবুক মারার আয়াত আছে তো সব ব্যভিচারীর বেলায়। আয়াতটা পড়ে দেখুন, স্পষ্ট বোঝা যায় দাসী নয় এমন নারীকে বিয়ে করা স্ত্রীর কথাই বলা হচ্ছে। তাকে মৃত্যুদণ্ড দিলে দাসী-স্ত্রীর কি শাস্তি হবে ? মৃত্যুদণ্ডের তো অর্ধেক হয় না।
সুরা আন-নূর, আয়াত ২৬ ও ৩ : “দুশ্চরিত্রা নারীরা দুশ্চরিত্র পুরুষদের জন্য ও দুশ্চরিত্র পুরুষরা দুশ্চরিত্রা নারীদের জন্য … ব্যভিচারী পুরুষ কেবল ব্যভিচারিণী নারী বা মুশরিকা নারীকেই বিবাহ করে এবং ব্যভিচারিণীকে কেবল ব্যভিচারী বা মুশরিক পুরুষই বিবাহ করে।”

অর্থাৎ ব্যভিচারী পুরুষ-নারীকে মৃত্যুদণ্ড দিলে তাদের লাশের সাথে লাশের বিয়ে দিতে হয়। সেটা সম্ভব নয়। কোরাণ একেবারে নীরব হলেও নাহয় কথা ছিল, যে কোন আইন বানাবার সুযোগ ছিল। কিন্তু কোরাণে তো ব্যভিচারীদের বিয়ের কথা বলা আছে।

২৪| ২৭ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২৪

এ আর ১৫ বলেছেন: শিশির৫৪ ----
নিচে ইসলাম অবমাননা কারি , বিদ্রুপকারিদের হত্যা করার সহি হাদিস সমুহ দেওয়া হোল যে গুলোর উপর আপনার ঈমান অসিম !!!!
==========
আনসারুল ইসলামের অনলাইনে ওদের প্রচারিত বই “উন্মুক্ত তরবারী” তে তারা বুখারী শরীফের ৪০৩৯ নাম্বার হাদীসের উদাহরণ দিয়েছে এবং সেই হাদিস থেকে স্পস্ট দেখিয়েছে যে ইহুদী “আবু রা’ফে” কে হত্যা করবার জন্য স্বয়ং নবী মুহম্মদ কিভাবে আব্দুল্লাহ ইবনে আতিককে নেতা বানিয়ে একটি স্লিপার সেল বানিয়ে পাঠিয়েছিলো। কারন নাকি নবী (সা) সম্পর্কে কটু মন্তব্য করে ছিলেন আবু রা' ফে' তাই ।
আনসার আল ইসলামের ওই বইতে বর্ণনা করা হয়েছে তারা কিভাবে নবীর (সা) নির্দেশে ইবনে খাতাল, কা’ব ইবনে আশরাফ,আবু আফাক, একজন অন্ধ সাহাবী কর্তৃক নিজ দাসীকে হত্যা করা এই ভাবে সব মিলিয়ে প্রায় ৫/৬টা হত্যা কান্ডের ঘটনা উল্লেখ করেছে যেখানে কেউ নবীজি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য বা সমালোচনা কিংবা অশভোন কথা বললেই তাকে হত্যা করা হোতো।

আবার উন্মুক্ত তরবারী গ্রন্থে হাদীস গ্রন্থ আবু দাউদের ৪৩৬৩ নং হাদীসে মহানবীর একজন অন্ধ সাহাবা তার দাসীকে যে মেরে ফেলেছে সেটির বর্ণনা আছে। সেই দাসীর অপরাধ ছিলো যে তিনি নবীকে নিয়ে ব্যঙ্গ করত। এই ব্যাঙ্গ করার কারনে সেই সাহাবা মহিলাটিকে মেরে ফেলে। মেরে ফেলবার পর নবী অত্যন্ত খুশি হয় এই ঘটনায় এবং সেই হত্যার শিকার মহিলার রক্ত মূল্যহীন এমনটাই ঘোষনা করে। এ ছাড়াও এই গ্রন্থ থেকে বুখারী হাদীস ১৮৪৬ বর্ণনা করেছে নবী সম্পর্কে বিদ্রুপাত্নক গান গাইবার অপরাধে খুন করা হয়েছে ইবনে খাতাল কে। সেই ইবনে খাতাল কাবার গিলাফ ধরে বাঁচার প্রাণ পন চেষ্টা করলেও মহানবী তাকে ঐ অবস্থায় খুন করতে নির্দেশ দেন। =======

বিদ্রুপকারিদের জন্য আল্লাহর কোরানের বাণী সমুহ
এই হাদিস গুলির মেরিট আমরা বিচার কোরবো কোরানের আয়াত দিয়ে । আদৌ কি শুধু বিদ্রুপ করার জন্য রসুল (সা) এর পক্ষে এই ধরনের হ্ত্যা কান্ডের নির্দেশ দেওয়া সম্ভব ?? দেখুন সুরা হিজরে আয়াত ৯৫ তে আল্লাহ কি বোলছেন -- বিদ্রুপকারীদের জন্য আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট"----- সুতরাং এই আয়াত স্পষ্ঠ করে বলেছে বিদ্রুপকারীদের আল্লাহ নিজে শাস্তি দিবেন ।
তাহোলে ঐ হাদিস গুলো যদি সত্য হয় তাহোলে সেটা সরাসরি কোরান লংঘন হয়ে যাবে এবং এটা কখনোই সম্ভব নয় । আরো তিনটি কোরানের আয়াত দেখুন ---
সুরা মোজ্জামেল ( ৭৩--১0 ) কাফেররা যা বলে, তজ্জন্যে আপনি সবর করুন এবং সুন্দরভাবে তাদেরকে পরিহার করে চলুন।

সুরা নিসা আয়াত ১৪0- আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তা’ আলার আয়াতসমূহের প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রুপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সাথে বসবে না, যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মত হয়ে যাবে। আল্লাহ দোযখের মাঝে মুনাফেক ও কাফেরদেরকে একই জায়গায় সমবেত করবেন।

সুরা ক্কাফ (৫০-- ৩৯) অতএব, তারা যা কিছু বলে, তজ্জন্যে আপনি ছবর করুন এবং, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে আপনার পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা করুন। --

সুতরাং হাদিস গুলোর সাথে কোরানের আয়াত কোন ভাবেই মিলে না । আনসার আল ইসলাম উপরের হাদিস গুলোর উপর ভিত্তি করে ছোট ছোট স্লিপার শেল গঠন করে হত্যা কান্ড চালাচ্ছে । বিভিন্ন সুত্র থেকে জানা যায় কিছু লোককে স্লিপার শেল গঠন করে হত্যা করা হয়েছিল সে গুলো ছিল গুপ্তচর বৃত্তি, বিদ্রোহে মদদ দেওয়া , সরযন্ত্র করা ইত্যাদি কারন, যদি শুধু ব্যঙ্গ বিদ্রুপের কারনে কাউকে হত্য করা হয়ে থাকে উপরের হাদিস গুলোর বর্ণনা অনুসারে তাহোলে সেটা সরাসরি কোরানের লংঘন হয়ে যায় ।

২৫| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৯

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, অনেক জ্ঞান অর্জন করলাম আপনার লেখা থেকে। আমার মনে হয়েছে, আপনি হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন অথবা হাদিসগুলো বা কোরানের আয়াতগুলো অসম্পুর্ন। কিভাবে বুঝবেন সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
হাদিস নিয়ে অনেক গবেষনা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্নিত একটি হাদিসের বই পাওয়া যায়, যা কিনা পবর্তিতে আবু দাউদের একটি সংকলিত গ্রন্থের সাথে মিলিয়ে দেখা যায় তা হুবুহু এক। একটি অক্ষর ও পরিবর্তন হয়নি। এ থেকেই বুঝা যায়, তখনকার আরবদের তুখোড় স্মরনশক্তির কথা। মুল কথায় ফিরি, বুখারী-মুস্লিমে কোন কোন মান্দন্ডের উপর হাদিস যাচাই বাছাই করা হয়েছে তা পড়ে নেবেন।
বিশ্বের সব বড় আলেম ও একমত একটি বিষয়ে যে, বুখারী-মুস্লিম দুনিয়ার সবচেয়ে বিশুদ্ধ গ্রন্থ। আপনি নিশ্চয়ই তাদের চেয়ে নিজেকে জ্ঞানী মনে করেন না?

২৬| ২৮ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৬

এ আর ১৫ বলেছেন: আমার মনে হয়েছে, আপনি হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করেছেন অথবা হাদিসগুলো বা কোরানের আয়াতগুলো অসম্পুর্ন।

আমি এখানে হাদিসের কপি এন্ড পেষ্ট করেছি রেফারেন্স নাম্বার সহ কোন ব্যাখাতে যায় নি । হাদিসের ভিতরে যা লিখা আছে সেটা কোট করেছি এবং কোরানের আয়াত রেফারেন্স নাম্বার সহ দিয়েছি , কোথাও যদি অসম্পুর্নতা থাকে সেটা না দেখিয়ে ডালাও ভাবে কোন মন্তব্য করা কি ঠিক ???

হাদিস নিয়ে অনেক গবেষনা হয়েছে। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্নিত একটি হাদিসের বই পাওয়া যায়, যা কিনা পবর্তিতে আবু দাউদের একটি সংকলিত গ্রন্থের সাথে মিলিয়ে দেখা যায় তা হুবুহু এক।
আমার মন্তব্য ( ২২ নং ) এ যে লিংকটা দিয়েছি সেই লিংকে আবু হুরায়রা (রা: ) বিষয়ে সহি হাদিসের রেফারেন্স সহ আলোচনা হয়েছে । সেটা যদি পড়তেন তাহোলে এমন মন্তব্য পরতে পারতেন না ।

এ থেকেই বুঝা যায়, তখনকার আরবদের তুখোড় স্মরনশক্তির কথা

এমন কথার কোন ভিত্তি নেই , কোন জাতির এককালে তুখোড় স্মরণশক্তি ছিল এখন তা নেই । আপনার দেওয়া ভিডিও তে দাবি করা হয়েছে আরবরা অশিক্ষিত ছিল কিছু লিখে রাখতে পারতো না বা কাউন্ট করতে পারত না তাই সারভাইভ করার জন্য তারা মনে রাখার চেষ্ঠা করতো এবং সেই কারনে তাই স্মরণশক্তি প্রক্ষর ছিল :) :) :) তাহোলে সে ফরমুলা অনুযায়ি আমাদের দেশ সহ গরিব অশিক্ষিত মানুষের তুখর স্মরণশক্তি থাকার কথা !!!! :) :) :) :) :)
মুল কথায় ফিরি, বুখারী-মুস্লিমে কোন কোন মান্দন্ডের উপর হাদিস যাচাই বাছাই করা হয়েছে তা পড়ে নেবেন।

জী এ বিষয়ে না জানার কোন কারন নেই, -----
১) আগা গোড়া প্রতিটি সাক্ষিই জ্ঞানী, খাঁটি সত্যবাদী, সৎ চরিত্র, মোত্তাকীম পরহেজগার শালিনতা ও ভদ্রতা সম্পন্ন স্বভাবের হইতে হইবে। কোন ব্যক্তি জীবনে মাত্র একবার হাদিছ সংক্রান্ত ব্যাপারে মিথ্যা উক্তির জন্য ধরা পড়িলে এ ব্যক্তির শুধু মিথ্যা হাদিছই নহে, বরং তাহার সারা জীবনের সমস্ত হাদিছই অগ্রাহ্য হইবে। তওবা করিলেও তাহার বর্ণিত হাদিছ গ্রহণযোগ্য হইবে না। উহা ছাড়া অন্য কোন বিষয় ও মিথ্যাবাদী বলিয়া পরিচিত হইলে বা শরিয়ত বিরোধী আকিদা বা কার্যকলাপে লিপ্ত প্রমাণিত হইলে বা অসৎ প্রকৃতির লম্পট ও নীচ স্বভাবের লোক হইলে তাহার বর্ণিত হাদিছ গ্রহণীয় হইবে না।

২) প্রত্যেক সাক্ষি তার স্মরণ শক্তি সম্বন্ধে অতিশয় পাকাপোক্ত সুদক্ষ ও সুদৃঢ় সংরক্ষক বলিয়া পরিচিত হইতে হইবে। এবং ইহাও প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক যে, প্রতিটি সাক্ষি তাহার পূর্ববর্তী সাক্ষ্যদাতা অর্থাৎ ওস্তাদের নিকট হইতে হাদিছখানা পূর্ণ মনোযোগের সহিত শ্রবণ করতঃ সবিশেষ মনোযোগের সহিত মূখস্ত করিয়া বা লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন। এই বিশেষ প্রমাণ এরূপ হইবে যে, উক্ত সাক্ষি যে যে হাদিছ আজীবন শত শতবার বর্ণনা করিয়া আসিতেছেন। কোন সময়ই তার বর্ণনার মধ্যে এরূপ গরমিল দেখা যাইবে, তখন হইতে আর ঐরূপ সাক্ষির বর্ণনার কোন হাদিছ সঠিক প্রমাণিত বলিয়া গণ্য হইবে না।


তারা অনেক ফিল্টার ব্যবহার করেছিলেন হাদিস যাচাই বাছাই করার জন্য কিন্তু সিয়া সত্তার কোন ঈমাম সত্য মিথ্যার মান দন্ড হিসাবে কোরানকে ব্যবহার করেন নাই । কোরান কে বলা হয় ফুরকান বা সত্য মিত্যা নির্নয় কারি কিন্তু ওনারা কেহই কোরান দিয়ে হাদিসের মান দন্ড নিরুপন করেন নি , উদাহরন --- আমার কমেন্ট নং -- ২১,২৩ এবং ২৪ ।

বিশ্বের সব বড় আলেম ও একমত একটি বিষয়ে যে, বুখারী-মুস্লিম দুনিয়ার সবচেয়ে বিশুদ্ধ গ্রন্থ। আপনি নিশ্চয়ই তাদের চেয়ে নিজেকে জ্ঞানী মনে করেন না?
যদি কোন হাদিস কোরানের সাথে না মিলে সে হাদিস পরিত্যাগ যোগ্য । যারা দাবি করে বুখারী মিসলিম হাদিস সব চেয়ে শুদ্ধ তারা জীবনে ঐ হাদিস গুলো কে কোরানের কষ্ঠি পাথর দিয়ে যাচাই করে নাই এবং যারা প্রমাণ করেছে ঐ হাদিস গুলোর অনেক কিছুই কোরান বিরুধী তারা জ্ঞানী এবং মহা গবেষক । আমি নিজেকে জ্ঞানী মনে করি না তবে জ্ঞানী লোকের গবেষনার উপাত্ত প্রদান করে থাকি ।

১) ইসলাম ধর্মের এত ফেকরা ফেতনার জন্য দায়ি কে --- ৩০০ বৎসর পর লিখা কোরান বিরুধী হাদিস
২) কোরানের অপব্যাখা কি দিয়ে করা হয় ---- ৩০০ বৎসর পরে লিখা কোরান বিরুধী হাদিস দিয়ে
৩) তালেবান, জামাত , আই এস আই জংগি মতবাদের রুপকার কি ----৩০০ বৎসর পরে লিখা কোরান বিরুধী হাদিস

এই কারনে রসুল (সা: ) হাদিস লিখতে মানা করে ছিলেন । হাদিস গুলো লিখা হয় ৩০০ বৎসর পরে এবং সেই হাদিস গুলো বর্তমান পুস্তক আকারে বাহির হয় আরো ৫০০ বৎসর পরে তার মানে ৮০০ বৎসর হাদিসরে চর্চা ছাড়া ইসলাম ধর্ম চলেছিল এবং তখন ইসলাম ধর্মে ফেরকাবাজি ফেতনাবাজি বহু গুন কম ছিল । হাদিস গ্রন্থ মুসলমানদের কাছে সহজ লভ্য হওয়ার পর ফেরকাবাজি ফেতনাবাজি বেড়ে যায় বহু গুনে ।

**** আপনার ভিডিওতে দেওয়া তথ্য হতে জানতে পারলাম আল্লাহ তাওরাত যাবুর ও ইনজিল এই তিন আসমানি কিতাব নাকি সরাসরি পুষ্তক আকারে নাজিল করেছিলেন ???? এই তথ্যের উৎসটা কি জানত পারি , কোরানের কোন আয়াতে সেটা উল্লেখ আছে ? দয়া করে জানাবেন কি ?? ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.