নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুনিয়াতে মানুষ যেমন একবারের জন্য আসে, আখিরাতেও মানুষ একবার ই যাবে। পার্থক্য হল দুনিয়ার সময়টা ক্ষণিকের আর আখিরাত, অনন্তকাল! শ্বাস বন্ধ হলে আমল বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে করে কি নিয়ে যাবেন? ভেবে দেখেছেন কখনো? আপনার প্রতিটি কাজের হিসেব নেয়া হবে!

শিশির৫৪

নিজেকে আল্লাহ্‌র একজন খাদেম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অক্লান্ত চেষ্টা করছি, করেই যাব......

শিশির৫৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম আবু হানিফা (৮০ হিজরি-১৫০ হিজরি)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:০৯

বিখ্যাত ইমাম। যার সারাজীবন কেটেছে রাসুল (সাঃ) কে অনুসরণ করে। যিনি নিজের কোন আত্বজীবনি লিখে যাননি। তিনি যখন তাঁর ছাত্রদের শিক্ষা দিতেন তখন বার বার বলতেন, “তোমরা আমার কোন কথা লিখে নিও না। আমি আজ যা পালন করি, কাল তা পরিবর্তন করি।“ তিনি আরো বলতেন, “যখনি কোন সহিহ হাদিস পাবে, মনে রেখ, সেটাই আমার মাযহাব।

কেন তিনি এই কথা বলতেন? চলুন, সেদিকে আগাই।

আজ আমরা সভ্য। বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে অনেক কিছু। ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার কল্যানে সারা দুনিয়াতে কোরান-হাদিস যেভাবে বিস্তার লাভ করেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে কোরান-হাদিস। আজ বুখারী বাংলায়, মুসলিম বাংলায়।

আবু হানিফার সময় কিন্তু তেমন ছিল না। তাঁরা অনেক কষ্ট করতেন একটা হাদিস সংগ্রহ করতে। শত শত মাইল পায়ে হেটে যেতে হত। যখনি কোন সহিহ হাদিস পেতেন, তাঁর উপর আমল করতেন। পুরনো আমল বাতিল করতে তাঁদের একটুও কষ্ট হত না। আর এটাই একজন ইমানদারের কাজ। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কেন আবু হানিফা ঐ কথা বলতেন।

তখন আব্বাসীয় খেলাফত চলছে। আব্বাসীয় খেলাফতের প্রতিষ্ঠাতা মনসুর আব্বাসী একদিন ইমাম আবু হানিফা কে ডেকে বললেন, আপনি আমার দরবারের প্রধান বিচারপতির পদ গ্রহণ করুন। আবু হানিফা বললেন, “আপনার আইন সভায় বসে আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলের (সাঃ) আইন কে আমান্য করতে পারবো না আমি।“ ব্যস আর যায় কোথায়? জুলুম, নির্যাতন, জেল হাজত……ইত্যাদি। শেষে জেল হাজতে রুটির সাথে বিষ মিশিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়।

আবু হানিফাকে বাগে আনতে না পেরে তাঁর প্রধান শিষ্য মোঃ ইউসুফ কে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়। পরবর্তিতে ইউসুফ এই উপমহাদেশে বিভিন্ন মসজীদে ইমাম নিযুক্ত করেন যারা ইউসুফ তথা মনসুর আব্বাসীর দেয়া আইন প্রবর্তন করেন। যে কারনে আমরা প্রকৃত ইসলাম থেকে অনেক দূরে সরে এসেছি। প্রশ্ন আসতে পারে, কেন ইউসুফ নিজের নামে মাযহাব চালু না করে ইমাম আবু হানিফার নামে চালু করলেন। এর উত্তর হল, তৎকালীন সময়ে মানুষ আবু হানিফাকে ভীষণ বিশ্বাস করতো। আবু হানিফার নামে যেকোন আইন চালু করলে মানুষ তা যাচাই বাছাই না করেই আমল করতো। তাই তাঁর নামে মাঝহাব চালু করাটাই ছিল যুক্তিযুক্ত।

সময় এসেছে ইতিহাস জানার। হে মুমিন! আর চোখ বুজে থেকনা। ইতিহাস খুঁজে বের কর। মুসলিম বিশ্বকে বাঁচাও এবং নিজে বাঁচো জাহান্নামের আগুন থেকে।

আল্লাহপাক আমাদের সঠিক দ্বীনের বুঝ দিক। আমীন।

YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

মাইনুল ইসলাম আলিফ বলেছেন: ভাল লিখেছেন।এটা কোন বই থেকে পেলেন।আবু হানিফার জীবন সম্পর্কিত বইটার নাম জানালে খুশি হতাম।
ভাল থাকুন।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৬

শিশির৫৪ বলেছেন: থিসিস। ডাঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব।

২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪১

হাফিজ হুসাইন বলেছেন: সম্পুর্ণ ভুয়া তথ্য।

ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর গ্রন্থাবলী
ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এর গ্রন্থের সংখ্যা ২০ টি । এর অধিকাংশই পৃথিবীর বিভিন্ন মিউজিয়ামে ও গ্রন্থাগারে পাণ্ডুলিপি আকারে সংরক্ষিত । কয়েকটি মুদ্রিত হয়েছে । কয়েকটির একাধিক শরাহ রচিত হয়েছে । গ্রন্থ গুলোর বেশির ভাগই আকাইদ সংক্রান্ত । এগুলর নাম ও অবস্থানঃ
১) আল-ফিকাহুল আকবর
২) আল-ফিকাহুল আবসাত
৩) কিতাব আল আলিম অয়াল মুতাআল্লিম
৪) আল-অসিয়া
৫) আর-রিসালা
৬)মুসনাদ আবু হানিফা
৭) অসিয়া ইলা ইবনিহি হাম্মাদ
৮) অসিয়া ইলা তিল মিজিহি ইউসুফ ইবনে খালিদ
৯) অসিয়া ইলা তিল মিজিহি আল কাজী আবি ইউসুফ
১০) রিসালা ইলা উসমান আল বাত্তি
১১) আল কাসিদা আল কাফিয়া ( আন’নুমানিয়া)
১২)মুজাদালা লি আহাদিদ দাহ রিন
১৩) মা’রিফাতুল মাজাহিব
১৪) আল জাওয়াবিত আস সালাসা
১৫) রিসালা ফিল ফারাইয
১৬) দু’আউ আবি হানিফা
১৭) মুখাতাবাতু আবি হানিফা মা’আ জাফর ইবনে মুহাম্মদ
১৮) বা’আজ ফতোয়া আবি হানিফা
১৯) কিতাবের মাক সুদ ফিস সারফ
২০) কিতাবু মাখারিজ ফিল হিয়াল

৩| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪১

হাফিজ হুসাইন বলেছেন: এ কিতাব গুলো কে লিখল? আপনি?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

শিশির৫৪ বলেছেন: প্রথমেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি। উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল।
ভাই, ভুল আমার-ই। একটা "র" এর সমস্যা। আমি আসলে বলতে চেয়েছিলাম, আবু হানিফা নিজের কোন কিতাব লিখে যান নি। মানে হল, নিজের কোন আত্বজীবনী লিখে যাননি।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন এবং ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আল্লাহ্‌ আপনাকে ভাল রাখুক।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭

ইমরান আশফাক বলেছেন: ব্যাপারটা নিয়ে একটু যাচাই বাছাই করা জরুরী হয়ে পড়েছে। যেমন মক্কা ও মদিনায় ইকামত যে ভাবে দেওয়া হয় এবং সুরা ফাতেহা পড়ার পর সম্মিলিতভাবে উচ্চস্বরে আমিন শব্দটা যেভাবে উচ্চারন করা হয়। আমাদের মাজহাবে এইগুলি একটু অন্যভাবে করা হয় যদিও এর পিছনেও জোরালো হাদিস আছে সেটা মানি।

আমি হাদিস বিশেষজ্ঞ নই তবে কিছু কিছু ব্যাপারে খটকা লাগলে সেটা যাচাই করতে চাওয়া অপরাধ তো নয়।

০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮

শিশির৫৪ বলেছেন: অপরাধ তো নয়-ই বরং জরুরী। রাসুল (সাঃ) বলেছেন- "কারো মিথ্যাবাদী হোয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে সে দ্বীনের নামে কোন কথা যাচাই না করেই বলে।" একবার চিন্তা করুন।

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আমাদের ইসলামের ইতিহাস জানতে হবে। ধন্যবাদ লেখাটির জন্য। এসব নিয়ে আরো লিখবেন আশাকরি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.