![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নিজেকে আল্লাহ্র একজন খাদেম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অক্লান্ত চেষ্টা করছি, করেই যাব......
শিরক করলে তৌহিদ থাকে না আর বিদআত করলে ভবিষ্যৎ ইবাদত কবুল হয় না। শিরক করলে আল্লাহকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয় আর বিদআত করলে রাসুল (সাঃ) কে অপমান করা হয়।
শিরক নিয়ে একটা পোষ্ট করেছিলাম, এবার বলবো বিদআত নিয়ে। বিদআত এমন এক পাপ যা মানুষ করে সওয়াব মনে করে। আর তাই একজন সন্ত্রাসীকে হেদায়েত করা সহজ কিন্তু বিদআতি কে হেদায়েত করা সহজ নয়।
বিদ’আতের কয়েকটি সহজ পরিচয় হল বিদ’আত সুন্নতের চেয়ে অতিরিক্ত, সুন্নতের এক রূপ আর বিদ’আতের থাকে কয়েক রূপ, সুন্নাত হল আল্লাহর রাসুল (সাঃ) থেকে অনুসৃত আর বিদ’আত হল ব্যক্তি বিশেষ কর্তিক উদ্ভাবিত। আর এই বিদ’আতের ব্যপারে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) তাঁর উম্মতের জন্যে কঠোর সতর্কতা বানী উচ্চারন করেছেন। তিনি বলেনঃ
যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করল, যা করা সম্পর্কে আমাদের কোন হুকুম বা নির্দেশনা নেই তা অগ্রাহ্য। (মুসলিম)
যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনি কাজের উপর অন্য কোন কাজ আবিষ্কার করল তা হবে অগ্রাহ্য। (আবু দাউদ)
সাবধান তোমরা দ্বীনে নতুন কোন (ইবাদত) কিছু করা হতে বিরত থাকবে। কেননা, প্রত্যেক নতুন কিছু করার নামই বিদ’আত আর প্রত্যেক বিদ’আতি গোমরাহী এবং প্রত্যেক গোমরাহী হবে জাহান্নামী। (আবু দাউদ ও নাসাই)
আমাদের সমাজে সুন্নাতের নামে প্রচলিত কিছু বিদ’আতঃ
১, সম্মান করার নামে কদমবুসি করা (পা ছুয়ে সালাম করা)
২, নতুন দোকান, বাড়ি, অফিস বা গাড়ি উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কুরান খতম , মিলাদ মাহফিল বা খতমে গাউসিয়া পড়া।
৩, ছেলে বা মেয়ের পরীক্ষা, বিদেশে যাত্রার প্রাক্কালে, বিপদ থেকে রক্ষা বা আর্থিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কোন আলেম বা মৌলভী দ্বারা কুরআন খতম করানো।
৪, হাফেজ দ্বারা খতমে সাবিনা পড়ানো।
৫, রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশিত দুরুদ ছাড়া অন্য দুরুদ পড়া। যেমন—দুরুদে লাখি, দুরুদে তাজ, দুরুদে হাজারী, দুরুদে মুক্কাদাস, দুরুদে নারীয়া দুরুদে মাহী, দুরুদে মুজাদ্দেদিয়া, দুরুদে কাদেরিয়া, দুরুদে চিস্তিয়া, দুরুদে নকশ বন্দিয়া বা অন্য সকল দুরুদ যা ব্যক্তি বিশেষ কর্তৃক রচিত।
৬, রাসুলের(সাঃ) এর উপস্থিতি মনে করে দাঁড়িয়ে দুরুদ পড়া।
৭, ইসতিনজার ক্ষেত্রে ঢিলা বা টয়লেট পেপার দিয়ে পুরুষাঙ্গ হাতে ধরে এদিক ঐদিক হাটা হাটি কিংবা চল্লিশ কদম হাটা, মাটিতে জোরে জোরে পা মারা, এক উরু দিয়ে অন্য উরু তে চাপ দেয়া , যা ভদ্রতা, সভ্যতা , সুরুচি দ্বীনি মর্যাদা ও লজ্জার বিপরীত।
৮, আযানের পূর্বে সালাত ও সালাম পেশ করা।
৯, সালাত শুরু করার পূর্বের ‘ইন্নি ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়ালিল্লাযি’ এই দোয়া পাঠ করা।
১০, মুখে নিয়্যাত উচ্চারণ করে পড়া।
১১, সালাতের শেষে ইমামে নেতৃত্বে মোনাজাত আবশ্যিক মনে করা।
১২, জুমআর খুতবার সময় ইমাম কারুকার্য সম্পন্ন ও লম্বা লাঠি ব্যবহার করা।
১৩, রোজার নিয়্যাত মুখে মুখে বলা।
১৪, কোন পীর অলীর মাজার জিয়ারত করা। (কবর জিয়ারত করা যাবে)
১৫, রবিউসসানির ১১ তারিখে ফাতেহা ইয়াজদাহুম এর নামে বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী সাহেবের নামে ফাতেহা বা উরস করা।
১৬, শবে বরাত ও শবে মেরাজের বিশেষ সালাত পড়া।
১৭, নারায়ে রিসালাত ও নারায়ে গাউসিয়া স্লোগান দেয়া।
১৮, হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়ে প্রথমে বায়তুল্লাহ না গিয়ে সরাসরি মদীনা শরীফ জেয়ারত করা।
১৯,তাসবীহের ছড়া দিয়ে তাসবীহ গননা করা বিদ’আত, আঙ্গুলের গিরা দ্বারা গননা করা সুন্নাত। কেননা আঙ্গুল সমূহ হাশরের ময়দানে সাক্ষ্য দেবে (আবু দাউদ, তিরমিযি, নাসায়ি)
২০, কুরআন তিলাওয়াতের সময় কানে মুখে হাত দিয়ে চেহারা বিকৃত করে তেলাওয়াত করা এবং তেলাওয়াত শেষে ‘সদাক্বাল্লাহুল আ’যীম’ বলা।
২১, মীলাদ-কিয়াম করা
২২, জামায়াতবদ্ধ বা সম্মিলিত যিকির করা
২৩, শুধু আল্লাহ বা ইল্লাল্লাহ যিকির করা (বলতে হবে-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ)
২৪, কুলখানী, চেহলাম বা চল্লিশা এবং মৃতের উদ্দেশ্য খানা খাওয়ানো
২৫, আযান ইকামতের মধ্যে বা অন্য যেকোনো সময় রাসুল সা. এর নাম শুনলে বৃদ্ধা আঙ্গুলে চুমু দিয়ে চোখে লাগানো
২৬, কুরআন নীচে পড়ে গেলে লবণ কাফফারা দেয়া, সালাম করা,কপালে লাগানো ইত্যাদি
২৭, জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ না করা। যে কোন সালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ না করলে সালাত বাতিল হয়ে যায়
২৮, মৃত ব্যাক্তির কাজা নামাজের কাফফারা দেয়া
২৯, ৭০ হাজার বার কালিমা খতম করা বা দল বেধে লক্ষ বার কালেমা খতম করা
৩০, অজুতে ঘাড় মাসেহ করা
ইত্যাদি ইত্যাদি............আরো অসংখ্য।
বিদ’আতীদের পরিনামঃ
আল্লাহ বলেছেনঃ
"আপনি বলে দিন, আমি কি তোমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত আমলকারীদের সম্পর্কে জানিয়ে দিব? (দুনিয়াবী জীবনে) যাদের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে গেছে। অথচ তারা ভাবে যে, তারা সুন্দর আমলই করে যাচ্ছে।"
***সুরা কাহফঃ আয়াতঃ ১৮: ১০৩-১০৪।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ
"তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হতে বিরত থাক। নিঃশ্চয় প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই বিদআত ও প্রত্যেক বিদআতই গোমরাহী।"
***আহমাদ, আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাতঃ ১৬৫।
"বিদআতীর উপর আল্লাহ এবং ফেরেশতা ও সকল মানুষের লা‘নত বর্ষিত হয় এবং বিদআতীর কোন আমলই কবুল হয় না।"
***বুখারীঃ ৩১৮০।
"প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণাম জাহান্নাম।"
***নাসাঈঃ ১৫৭৮।
"বিদআতিরা হাউযে কাওছারের পানি পান করা হতে বঞ্চিত হবে।"
***মুসলিমঃ ৪২৪৩।
আল্লাহপাক আমাদের বিদআত থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন, আমীন।
YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৯
শিশির৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৪:১২
নতুন বলেছেন: কিছু কুস্ংস্কার আছে যেটা ধমের নামে মানুষ করে থাকে... কিন্তু অনেক জিনিসই আছে যেটা করা সমস্যা না।
সবই যদি বিদাত বলে ফতোয়া দিয়ে নাষেধ করতে থাকেন...তবে তো সমস্যা পরবে...
রোজার নিয়ত মুখে বলা.... এটা যদি কেউ বলে তবে ক্ষতি তো নাই??
* ইন্টারনেট ব্যবহার করাও তো বিদাত...
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৮
শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, ভুল বুঝবেন না। ফতোয়া দেবার যোগ্যতা আমার নেই। ধর্মের নামে যা লিখি তা কোরান-হাদিসের আলোকে। এখানে আমার নিজের বলার অধিকার নেই। যা বলার তা আমার রাসুল (সাঃ) বলে গেছেন। বলা ভাল আল্লাহপাক তাঁকে দিয়ে বলিয়ে নিয়েছেন। ধর্মের নামে নতুন কিছু আবিষ্কার করার নাম বিদআত। ভাল কাজ ততক্ষন পর্যন্ত ভাল যতক্ষন তা রাসুল (সাঃ) এর বলা নিয়মে করা হয়। একটা উদাহরন দেই। মাগরিবের সালাত তিন রাকাত, আপনাকে তিন রাকাত ই পড়তে হবে। আপনি যদি বলেন, আমি চার রাকাত পড়ব। বেশি সালাত পড়া ভাল। হবেনা। ইন্টারনেট ব্যবহার করা বিদআত কিনা তা বোধহয় আর বলার প্রয়োজন নেই।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৪১
জাহিদ হাসান মিঠু বলেছেন: ধর্ম নিয়ে আলোচনা করার মত কি যোগ্যতা আপনার আছে ?
আগে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করুন। তারপর কথা বলেন। ধন্যবাদ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৪
শিশির৫৪ বলেছেন: ফতোয়া দেবার যোগ্যতা আমার নেই। কিন্তু কোরান-হাদিসের আলোকে কথা বলার জন্য আলেম হবার দরকার নেই। ফতোয়া দেবার তো নয়ই। কারন কোরান-হাদিসের কথা আমার মুখেও যা, একজন হুজুরের মুখেও তা। বলার ভঙ্গী আলাদা হতে পারে, কথা কিন্তু নয়। আল্লাহ্ এবং রাসুল (সাঃ) এর কথা পরিবর্তন হবার নয়। পড়াশোনা করেই লিখি, ভাই। আপনি পড়ুন তারপর না হয় ভুল ধরবেন! আমার দেয়া যেকোন লাইন দিয়ে সার্চ করলেই সত্যতা পেয়ে যাবেন।
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:০৬
এ আর ১৫ বলেছেন: কাট মোল্লা তন্ত্র ইসলাম ধর্মটাকে কুয়ার ভিতর নিয়ে যাচ্ছে এবং নিজেরা কুয়োর ভিতর থেকে কুয়োর বাহিরের দুনিয়াটাকে দেখতে পায় না
স্বংকৃতি কোন স্থির বস্তু নহে, সদা প্রবাহমান এবং পরিবর্তনশীল । ধর্মের বাহিরে কিন্তু সকল ধর্মের মানুষকে সম্পৃক্ত করে এক ধরনের কালচার আধুনিক বিশ্বে প্রচলিত কিন্তু যথারিতী কাট অন্ধ মোল্লাদের কাছে সেটা হারাম যেমন --- পহেল বৈশাখ পালন , নববর্ষ পালন, স্বাধীণতা দিবস পালন , রবীন্দ্র বা নজরুল জয়ন্তী সব কিছু হারাম ।
তারা দাবি করে ঐ সমস্ত দিবস নাকি অন্য ধর্মের আচার অনুসরন করা হয় তাই ওগুলো হারাম ।
এবার দেখি আমরা ৯৮ % বা ১০০% ইসলামী আচার ব্যবহার করে কোন কালচার তৈরী করি তখন কাট মোল্লারা কি বলে ---অন্য ধর্মের আচার অনুসরন করা হয় তাই পহেলা বৈশাখ , বিজয় দিবস যদি হারাম হয় তাহোলে ১০০% ইসলামি আচার অনুসরন করলে কাট মোল্লারা কি বলেন দেখুন ---
১) মিলাদে ৯৮ % থেকে ১০০% ইসলামি কালচার অনুসরন করা হয় ---- এটা বিদাত
২) শবে বরাত বিদাত
সাবাস মাওলানারা সাবাস --- মুসলমানদের কুয়োর ব্যাঙ হওয়া ছাড়া আর কোন গতি নাই , ধর্ম নিরোপেক্ষ চেতনার সৃষ্ঠি কালচার হারাম এবং ১০০% ইসলামিক চেতনার কালচার হচ্ছে বিদাত ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:০৬
শিশির৫৪ বলেছেন: আপনার কমেন্টের উত্তর দিতে ইচ্ছে করে না। ভদ্রতা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান শুন্যের কোঠায়। ভাই, আমার লেখা যদি আপনার ভাল না লাগে, পড়বেন না, তবুও ভদ্রতার সীমা অতিক্রম করবেন না আশা করি।
বিদআত নিয়ে উপরে একটি কমেন্টে আলোচনা করেছি আশা করি দেখে নেবেন।
ধর্ম নিরোপেক্ষ চেতনার বুলি তুলে আপনাদের মত কিছু লোক হারাম কে হালাল করবে, এ কথা রাসুল (সাঃ) অনেক আগেই বলে গেছেন। রাসুল (সাঃ) এর চাইতে বেশি স্মার্ট হতে চাইলে দুনিয়া এবং আখেরাত দুটোই হারাতে হবে।
আমার লিখা প্রত্যেকটি পয়েন্ট নিয়ে নেটে সার্চ দিন। বিস্তারিত ব্যখ্যা পেয়ে যাবেন।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:২২
বনসাই বলেছেন: এতো বিদাত! উদাহরণের সূত্র দেয়া দরকার ছিল।
কবর আর মাজারের মধ্যে পার্থক্য কী?
নবীজী (সা) এর পরে বড় পীর সাহেব এসেছেন, তার উরস করা সুন্নত বলে কে মনে করে?
জানাজার নামাজ কি নামাজ? এটা তো দোয়া বলেই জানি। কোথায় জানাজার নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করা হয় মেহেরবাণী করে জানাবেন।
আমি দেখেছি কাবা ঘরে রমজানে পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে রেখে নামাজ আদায় করতে, একজন নয় একাধিক জনকে। টিভিতেও দেখা যায়। সেখানে কীভাবে বিদাত এলাউ করে? রসুল (সা) এর সময় তো প্রিন্টের কোরআন ছিল না।
বিদাত কী? এ বিষয়ে ইন্ডিয়া-পাকিস্থান-বাংলাদেশের ইসলামী চিন্তাবিদদের মতামত গ্রাহ্য করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এখন পৃথিবী উন্মুক্ত তথ্য প্রবাহে আছে, প্রকৃত বিদাত সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন বেশ সহজ। এ বিষয়ে বই এর অভাব নেই।
ইসলাম ধর্মকে কঠিন করে ফেলা ঠিক হবে না।
উলু ধ্বনি আমাদের দেশে সনাতনধর্মীরা দেয়, আরবে তো মুসলিমরা উলুধ্বনি দিয়ে বিশেষ অতিথিদের স্বাগত জানায়।
প্রকৃত বিদাত থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের রক্ষা করুন।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:২৯
শিশির৫৪ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনাকে। চলে যাই প্রশ্নের উত্তরে।
কবর বলতে আমরা সাধারনত যা বুঝি তা হল মড়া মানুষের থাকার যায়গা। যে মড়া মানুষ আমার কোন উপকার বা ক্ষতি, কোনটাই করতে পারে না। আর মাজার বলতে বুঝি, একজন বুজুর্গ ব্যক্তির কবর যিনি মড়ার পরেও আমার উপকার বা ক্ষতি করতে পারে। তাঁকে রাগালে আমার ক্ষতি এবং তাঁর কাছে নত হলে তিনি আমার উপকার করবেন। এটাই কবর আর মাজারের পার্থক্য।
কারো উরস করাই বিদআত। উরস করা যদি জায়েজ হত রাসুল (সাঃ) এর দুনিয়া ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সাহাবীরা কেন উরস পালন করলেন না। সাহাবীদের চলে যাওয়ার পর কেন তাদের নামে উরস হল না। যদি রাসুল (সাঃ) এর সাহাবীরা পালন করতেন তবে আমরা ও তা পালন করতাম।
জানাজার সালাত ও সালাত। সন্ত্বান জন্মের পর তার কানে আযান দেয়া হয়, সালাত পড়ানো হয় না। আবার যখন সে মারা যায় তখন সালাত পড়া হয়, আযান দেয়া হয় না। জন্মের সময়ের আযানের সালাত পড়া হয় মৃত্যুর পর। এটাই জানাযার সালাত।
কোথায় পাঠ করা হয় সেটা বড় কথা নয়। সার দুনিয়ার লোক যদি বলে সুদ হালাল তবুও সুদ হালাল হবে না। হারাম ই থাকবে কারন এটা হারাম করেছেন স্বয়ং আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুল (সাঃ)।
ক্বাবা ঘরে কিভাবে বিদআত এলাঊ করে জানতে চেয়েছেন। ইতিহাস ঘাটলে জানবেন, ৮০১ হিজরিতে কাবা শরীফের চারপাশে চার মোসাল্লা স্থাপিত হল। এরাই হল চার মাযহাব। সব দলই দাবী করে তাদের আকীদা ঠিক। আজান হয় একবার। জামাত হয় চারটা। এদের ভেতর তিন দল বুকে হাত বাঁধে আর একদল নিচে। বিরাট বিশৃঙ্খলা। ৮০১ হিজরি থেকে ১৩৪৫ হিজরি পর্যন্ত ৫৪২ বছর কাবা গৃহে এই নিকৃষ্ট বেদাত চালু ছিল।
বিদাত থেকে আল্লাহ তায়ালা আমাদের রক্ষা করুন। আমিন।।
৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
এম. হাবীব বলেছেন: পয়েন্ট গুলো সুত্র উল্লেখসহ আরও সুষ্পষ্ট হওয়া দরকার ছিল। ঢালাওভাবে উপস্থাপন করলে বিষয়গুলো ক্লিয়ার হওয়া যায় না।
মাজার যিয়ারত বিদআত আর কবর জিয়ারত করা যাবে, মানে কি?
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩১
শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, উপরের মন্তব্যগুলো যদি কষ্ট করে পড়েন, আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন আশা করি।
৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০১
কানিজ রিনা বলেছেন: হায় হায় জায়নামাজের দোয়া, রোজার নিয়ত
মুখে পড়া, হাফেজী দিয়ে কোরান খতম,
সম্মিলিত মিলাদ মাহফিল, আরও কত
বিদাত, ঢেঁকিছাটা লাল চাল খাওয়া বিদাত
মেশিনে সাতা চাল খেতে হবে। তাইনা পুড়ানতি
দিনের মানুষ সব বিদাতে ছিল সবই গুমরাহ্।
আমাদের ইসলাম দলে দলে বিভক্ত ওহাবী
লা মাজহাবী হানাফী তবলিক জামাতী
শিয়া সুন্নি আরও কত কত দল। অলরেডি
সওত্তর দল হয়ে গেছে মনে হয়।
তয় মাত্র বাহাত্তর কাতারের এক কাতার
জান্নাতে যাবে।
সব দলেই পন্ডিত আলেম আছে এক জায়গায়
আলোচনায় বসলে যুদ্ধ ক্ষেত্র তৈরি হবে।
তাই সব বেদাতীরা জাহান্নাম যাক আল্লাহ্
মালুম। তাই আল্লাহর উপরই ছেরে দিন।
আপনার আগের পোষ্ট ভালই লেগেছিল।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২২
শিশির৫৪ বলেছেন: আপু, কেমন আছেন? বাঁচতে হলে জানতে হবে। আমি যা যা উল্লেখ করেছি তা কিন্তু আমার কথা না। একটু খুজলেই পাবেন। আপনার সুবিধার জন্য নিচে একটা লেখা কপি করে দিলাম।আশা করি আপনার উপকার হবে।
প্রথম আজকের পোষ্টে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হল:
১) বিদআতের সংজ্ঞা (শাব্দিক অর্থ ও ইসলামের পরিভাষায় বিদআত কাকে বলে)
২) বিদআতের প্রকারভেদ।
৩) দ্বীনের মধ্যে বিদআতের বিধান।
৪) একটি সর্তকতা (বিদআতকে ভাল ও খারাপ বিদআত এ দুভাবে ভাগ করা প্রসঙ্গে)।
বিদআতের সংজ্ঞাঃ
বিদআত শব্দটি আরবী البدع শব্দ থেকে গৃহীত হয়েছে। এর অর্থ হল পূর্বের কোন দৃষ্টান্ত ও নমুনা ছাড়াই কোন কিছু সৃষ্টি ও উদ্ভাবন করা। যেমন আল্লাহ বলেছেন,
بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
অর্থঃ পূর্বের কোন নমুনা ব্যতীত আল্লাহ তায়া’লা আকাশ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। (সূরা বাক্বারাঃ ১১৭) তিনি আরো বলেন:
قُلْ مَا كُنْتُ بِدْعًا مِنْ الرُّسُلِ
"হে নবী! আপনি বলে দিন, আমি প্রথম রাসূল নই। (সূরা আহ্ক্বাফঃ ৯) অর্থাৎ মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে আমিই প্রথম রেসালাতের দায়িত্ব নিয়ে আসিনি বরং আমার পূর্বে আরো অনেক রাসূল আগমণ করেছেন।"
ইসলামের পরিভাষায় বিদআত বলা হয় দ্বীনের মধ্যে এমন বিষয় তৈরী করা, যা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও খোলাফায়ে রাশেদার যুগে ছিলনা বরং পরবর্তীতে উদ্ভাবন করা হয়েছে।
বিদআতের প্রকারভেদঃ
বিদআত প্রথমতঃ দু’প্রকারঃ-
(১) পার্থিব বিষয়ে বিদআত
(২) দ্বীনের ক্ষেত্রে বিদআত।
পার্থিব বিষয়ে বিদআতের অপর নাম নতুন আবিষ্কৃত বিষয়। এ প্রকার বিদআত বৈধ। কেননা দুনিয়ার সাথে সম্পর্কশীল সকল বিষয়ের ব্যাপারে মূলনীতি হল তা বৈধ। তবে শর্ত হল তাতে শরঈ কোন নিষেধ না থাকা। দ্বীনের ক্ষেত্রে বিদআত তথা নতুন কিছু উদ্ভাবন করা হারাম। কারণ দ্বীনের ব্যাপারে মূলনীতি হল তা অহীর উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ দ্বীনের সমস্ত বিধান কুরআন ও সুন্নাহ থেকে গ্রহণ করতে হবে। রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ
অর্থঃ যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে নতুন বিষয় তৈরী করবে যা তার অন-র্ভূক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত হবে। তিনি আরও বলেন,
مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ
অর্থঃ যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করবে, যে বিষয়ে আমাদের অনুমোদন নেই, তা আমলকারীর উপর প্রত্যাখ্যাত হবে।
দ্বীনের ব্যাপারে বিদআতের প্রকারভেদঃ
দ্বীনের মধ্যে বিদআত দু’প্রকার।
(১) বিশ্বাসের ক্ষেত্রে বিদআত এবং (২) আমলের ক্ষেত্রে বিদআত।
১) বিশ্বাসের ভিতরে বিদআত। যেমন যাহমীয়া, মু’তাযেলা, রাফেযী এবং অন্যান্য সকল বাতিল ফির্কার আকীদা সমূহ।
২) আমলের ক্ষেত্রে বিদআত। যেমন আল্লাহ আদেশ দেন নি, এমন বিষয়ের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা। এটা আবার কয়েক প্রকার হয়ে থাকে। যেমনঃ- (১) নতুন কোন ইবাদত আবিষ্কার করা, (২) শরীয়ত সম্মত ইবাদতের মধ্যে বৃদ্ধি করা, (৩) শরীয়ত সম্মত ইবাদত বিদআতী নিয়মে পালন করা এবং (৪) শরীয়ত সম্মত ইবাদতকে সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট করা, যা শরীয়তে নির্ধারিত নয়।
প্রথম প্রকারঃ
এমন নতুন ইবাদত আবিষ্কার করা, ইসলামী শরীয়তের মাঝে যার কোন ভিত্তি নেই। যেমন নতুন কোন নামায, রোজা এবং ঈদে মীলাদুন্ নবী ও অন্যান্য নামে বিভিন্ন ঈদের প্রচলন করা।
দ্বিতীয় প্রকারঃ
শরীয়ত সম্মত ইবাদতের মধ্যে কিছু বৃদ্ধি করা অথবা হ্রাস করা। যেমন কোন ব্যক্তি আছর কিংবা যোহরের নামায এক রাকাত বাড়িয়ে অথবা কমিয়ে আদায় করল।
তৃতীয় প্রকারঃ
শরীয়ত সম্মত ইবাদাত বিদআতী নিয়মে পালন করা। যেমন হাদীছে বর্ণিত জিকিরের বাক্যগুলি দলবদ্ধভাবে সংগীতাকারে। উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করা। কিংবা ইবাদত পালনে নফসের উপর এমন কষ্ট দেয়া, যা রাসূল (সাঃ)এর সুন্নাতের বিরোধী।
চতুর্থ প্রকারঃ
শরীয়ত সম্মত ইবাদতকে এমন সময়ের সাথে নির্দিষ্ট করে আদায় করা, যা শরীয়ত নির্ধারণ করেনি। যেমন শাবান মাসের ১৫তারিখ দিনের বেলা রোজা রাখা এবং রাতে নির্দিষ্ট নামায আদায় করা। মূলতঃ রোজা ও নামায শরীয়ত সম্মত ইবাদত। কিন্তু ইহাকে নির্দিষ্ট সময়ের সাথে খাছ করার কোন দলীল নেই। রোজা নির্দিষ্ট মাস এবং নামায নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। প্রতিটি ইবাদত তার নির্ধারিত সময়ে আদায় করতে হবে। কিন্তু শাবান মাসের ১৫তারিখে দিনের বেলা রোজা রাখা এবং সারা রাত নফল নামায আদায় করা নিশ্চিতভাবে বিদআত। কারণ এ সম্পর্কে কোন সহীহ দলীল নেই।
দ্বীনের মধ্যে বিদআতের বিধানঃ
দ্বীনের ব্যাপারে সকল প্রকার বিদআতই হারাম ও গোমরাহী। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَة
অর্থঃ তোমরা দ্বীনের মাঝে নতুন বিষয় আবিষ্কার করা থেকে বিরত থাকবে, কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয়ই বিদআত। আর প্রতিটি বিদআতের পরিণাম গোমরাহী বা ভ্রষ্টতা। রাসূল (সাঃ) বলেন,
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ
অর্থঃ যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন নতুন বিষয় তৈরী করবে, যা তার অন-র্গত নয়, তা প্রত্যাখ্যত হবে। তিনি আরও বলেন,
مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ
অর্থঃ যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করবে, যার মধ্যে আমাদের আদেশ নেই, তা আমলকারীর উপর প্রত্যাখ্যাত হবে।
উপরের হাদীছগুলোর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে, দ্বীনের মধ্যে প্রতিটি নতুন বিষয়ই বিদআত।
আর প্রতিটি বিদআতই হারাম ও গোমরাহী। তবে এ হারাম বিদআতের প্রকারভেদ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বিদআতের কিছু কিছু প্রকার প্রকাশ্য কুফরীরই নামান্তর। যেমন কবরবাসীদের নৈকট্য হানিসলের উদ্দেশ্যে কবরের চতুর্দিকে কাবা ঘরের তাওয়াফের ন্যায় তাওয়াফ করা, কবরের উদ্দেশ্যে পশু যবাই করা, নযর-মান্নত পেশ করা, কবরবাসীর কাছে দু’আ করা, তাদের কাছে আশ্রয় চাওয়া ইত্যাদি। এমন কিছু বিদআতও রয়েছে, যা শির্ক না হলেও মানুষকে শির্কের দিকে নিয়ে যায়। যেমন কবরের উপর গম্বুজ তৈরী করা, কবর উঁচু করা, পাকা করা, কবরের উপর লিখা, কবরের কাছে নামায আদায় করা, দু’আ করা ইত্যাদি। এমন কিছু বিদআতও আছে, যা শির্ক বা তার মাধ্যমও নয়, তবে সঠিক আকিদার পরিপন্থী ও বহির্ভুত। যেমন খারেজী, ক্বাদরীয়াও মুর্জিয়াদের আকিদাহ সমূহ।
ভাল থাকবেন।
৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬
এ আর ১৫ বলেছেন: আরো কিছু বিদাতের উদাহরন দেওয়া হোল --
১) মাইক দিয়ে আজান দেওয়া বিদাত
২) মাইক দিয়ে জামাত পড়ান বিদাত
৩) মসজিদে পাখা এয়ার কন্ডিশন ব্যবহার করা বিদাত
৪) মসজিদে বিদুৎ বাতি ব্যবহার করা বিদাত
৫) ওয়াজ মসফিল করা বদাত , কারন রসুল ( সা: ) সাহাবারা কখনো ওয়াজ মহফিল করেন নি
৬) টাকার বিনিময়ে ধর্ম শিক্ষা দেওয়া বিদাত
৫) টাকার বিনিময়ে নামাজের ঈমামতি করা বিদাত
কোন কিছু ১০০% ইসলামিক চেতনা দিয়ে করাটাই বিদাত , সেই হিসাবে ইসলামি ব্যাংক একটা বিদাত যেখানে ইসলামিক চেতনা ধারনা করে নতুন পন্থা উদ্ভাবন করা হয়েছে । ইসলামিক রাজনৈতিক দল গুলো বিদাত কারন তারা ইসলামিক কন্সেপ্টকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যবহার করছে যেটা নবি রসুল (সা: ) সাহাবা গণ কখনো করেন নি ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৬
শিশির৫৪ বলেছেন: না ভাই, বিদাতের সংজ্ঞা কিন্তু আলাদা। ইসলামের নামে নতুন কিছু আবিষ্কার করার নাম বিদআত।
দ্বীনের মধ্যে যখন বিদআতে প্রার্দূভাব দেখা দেয় তখন দ্বীন ধীরে ধীরে দূর্বল হতে থাকে। এক পযার্যে তা মৃত্যু বরণ করে। তাই বিষয়টির গরুত্বের কারণে এই ব্লগে ধারাবাহিকভাবে বিদ'আত সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা হবে। আলোচনায় আপনাদের কোন বিষয়ে প্রশ্ন সৃষ্টি হলে অনুগ্রহ পূর্বক প্রশ্ন করলে ইনশআল্লাহ উত্তর দেয়ার চেষ্টা করা হবে। তাহলে সবাইকে ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি। আশাকরি আপনাদেরকে সঙ্গে পাব।
প্রথম আজকের পোষ্টে যে সকল বিষয় আলোচিত হয়েছে সেগুলো হল:
১) বিদআতের সংজ্ঞা (শাব্দিক অর্থ ও ইসলামের পরিভাষায় বিদআত কাকে বলে)
২) বিদআতের প্রকারভেদ।
৩) দ্বীনের মধ্যে বিদআতের বিধান।
৪) একটি সর্তকতা (বিদআতকে ভাল ও খারাপ বিদআত এ দুভাবে ভাগ করা প্রসঙ্গে)।
বিদআতের সংজ্ঞাঃ
বিদআত শব্দটি আরবী البدع শব্দ থেকে গৃহীত হয়েছে। এর অর্থ হল পূর্বের কোন দৃষ্টান্ত ও নমুনা ছাড়াই কোন কিছু সৃষ্টি ও উদ্ভাবন করা। যেমন আল্লাহ বলেছেন,
بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
অর্থঃ পূর্বের কোন নমুনা ব্যতীত আল্লাহ তায়া’লা আকাশ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। (সূরা বাক্বারাঃ ১১৭) তিনি আরো বলেন:
قُلْ مَا كُنْتُ بِدْعًا مِنْ الرُّسُلِ
"হে নবী! আপনি বলে দিন, আমি প্রথম রাসূল নই। (সূরা আহ্ক্বাফঃ ৯) অর্থাৎ মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ হতে আমিই প্রথম রেসালাতের দায়িত্ব নিয়ে আসিনি বরং আমার পূর্বে আরো অনেক রাসূল আগমণ করেছেন।"
ইসলামের পরিভাষায় বিদআত বলা হয় দ্বীনের মধ্যে এমন বিষয় তৈরী করা, যা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও খোলাফায়ে রাশেদার যুগে ছিলনা বরং পরবর্তীতে উদ্ভাবন করা হয়েছে।
বিদআতের প্রকারভেদঃ
বিদআত প্রথমতঃ দু’প্রকারঃ-
(১) পার্থিব বিষয়ে বিদআত
(২) দ্বীনের ক্ষেত্রে বিদআত।
পার্থিব বিষয়ে বিদআতের অপর নাম নতুন আবিষ্কৃত বিষয়। এ প্রকার বিদআত বৈধ। কেননা দুনিয়ার সাথে সম্পর্কশীল সকল বিষয়ের ব্যাপারে মূলনীতি হল তা বৈধ। তবে শর্ত হল তাতে শরঈ কোন নিষেধ না থাকা। দ্বীনের ক্ষেত্রে বিদআত তথা নতুন কিছু উদ্ভাবন করা হারাম। কারণ দ্বীনের ব্যাপারে মূলনীতি হল তা অহীর উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ দ্বীনের সমস্ত বিধান কুরআন ও সুন্নাহ থেকে গ্রহণ করতে হবে। রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ
অর্থঃ যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে নতুন বিষয় তৈরী করবে যা তার অন-র্ভূক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত হবে। তিনি আরও বলেন,
مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ
অর্থঃ যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করবে, যে বিষয়ে আমাদের অনুমোদন নেই, তা আমলকারীর উপর প্রত্যাখ্যাত হবে।
দ্বীনের ব্যাপারে বিদআতের প্রকারভেদঃ
দ্বীনের মধ্যে বিদআত দু’প্রকার।
(১) বিশ্বাসের ক্ষেত্রে বিদআত এবং (২) আমলের ক্ষেত্রে বিদআত।
১) বিশ্বাসের ভিতরে বিদআত। যেমন যাহমীয়া, মু’তাযেলা, রাফেযী এবং অন্যান্য সকল বাতিল ফির্কার আকীদা সমূহ।
২) আমলের ক্ষেত্রে বিদআত। যেমন আল্লাহ আদেশ দেন নি, এমন বিষয়ের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা। এটা আবার কয়েক প্রকার হয়ে থাকে। যেমনঃ- (১) নতুন কোন ইবাদত আবিষ্কার করা, (২) শরীয়ত সম্মত ইবাদতের মধ্যে বৃদ্ধি করা, (৩) শরীয়ত সম্মত ইবাদত বিদআতী নিয়মে পালন করা এবং (৪) শরীয়ত সম্মত ইবাদতকে সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট করা, যা শরীয়তে নির্ধারিত নয়।
প্রথম প্রকারঃ
এমন নতুন ইবাদত আবিষ্কার করা, ইসলামী শরীয়তের মাঝে যার কোন ভিত্তি নেই। যেমন নতুন কোন নামায, রোজা এবং ঈদে মীলাদুন্ নবী ও অন্যান্য নামে বিভিন্ন ঈদের প্রচলন করা।
দ্বিতীয় প্রকারঃ
শরীয়ত সম্মত ইবাদতের মধ্যে কিছু বৃদ্ধি করা অথবা হ্রাস করা। যেমন কোন ব্যক্তি আছর কিংবা যোহরের নামায এক রাকাত বাড়িয়ে অথবা কমিয়ে আদায় করল।
তৃতীয় প্রকারঃ
শরীয়ত সম্মত ইবাদাত বিদআতী নিয়মে পালন করা। যেমন হাদীছে বর্ণিত জিকিরের বাক্যগুলি দলবদ্ধভাবে সংগীতাকারে। উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করা। কিংবা ইবাদত পালনে নফসের উপর এমন কষ্ট দেয়া, যা রাসূল (সাঃ)এর সুন্নাতের বিরোধী।
চতুর্থ প্রকারঃ
শরীয়ত সম্মত ইবাদতকে এমন সময়ের সাথে নির্দিষ্ট করে আদায় করা, যা শরীয়ত নির্ধারণ করেনি। যেমন শাবান মাসের ১৫তারিখ দিনের বেলা রোজা রাখা এবং রাতে নির্দিষ্ট নামায আদায় করা। মূলতঃ রোজা ও নামায শরীয়ত সম্মত ইবাদত। কিন্তু ইহাকে নির্দিষ্ট সময়ের সাথে খাছ করার কোন দলীল নেই। রোজা নির্দিষ্ট মাস এবং নামায নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। প্রতিটি ইবাদত তার নির্ধারিত সময়ে আদায় করতে হবে। কিন্তু শাবান মাসের ১৫তারিখে দিনের বেলা রোজা রাখা এবং সারা রাত নফল নামায আদায় করা নিশ্চিতভাবে বিদআত। কারণ এ সম্পর্কে কোন সহীহ দলীল নেই।
দ্বীনের মধ্যে বিদআতের বিধানঃ
দ্বীনের ব্যাপারে সকল প্রকার বিদআতই হারাম ও গোমরাহী। কেননা রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَة
অর্থঃ তোমরা দ্বীনের মাঝে নতুন বিষয় আবিষ্কার করা থেকে বিরত থাকবে, কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয়ই বিদআত। আর প্রতিটি বিদআতের পরিণাম গোমরাহী বা ভ্রষ্টতা। রাসূল (সাঃ) বলেন,
مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ
অর্থঃ যে ব্যক্তি আমাদের দ্বীনের মধ্যে এমন নতুন বিষয় তৈরী করবে, যা তার অন-র্গত নয়, তা প্রত্যাখ্যত হবে। তিনি আরও বলেন,
مَنْ عَمِلَ عَمَلًا لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ
অর্থঃ যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করবে, যার মধ্যে আমাদের আদেশ নেই, তা আমলকারীর উপর প্রত্যাখ্যাত হবে।
উপরের হাদীছগুলোর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে, দ্বীনের মধ্যে প্রতিটি নতুন বিষয়ই বিদআত।
আর প্রতিটি বিদআতই হারাম ও গোমরাহী। তবে এ হারাম বিদআতের প্রকারভেদ অনুযায়ী বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বিদআতের কিছু কিছু প্রকার প্রকাশ্য কুফরীরই নামান্তর। যেমন কবরবাসীদের নৈকট্য হানিসলের উদ্দেশ্যে কবরের চতুর্দিকে কাবা ঘরের তাওয়াফের ন্যায় তাওয়াফ করা, কবরের উদ্দেশ্যে পশু যবাই করা, নযর-মান্নত পেশ করা, কবরবাসীর কাছে দু’আ করা, তাদের কাছে আশ্রয় চাওয়া ইত্যাদি। এমন কিছু বিদআতও রয়েছে, যা শির্ক না হলেও মানুষকে শির্কের দিকে নিয়ে যায়। যেমন কবরের উপর গম্বুজ তৈরী করা, কবর উঁচু করা, পাকা করা, কবরের উপর লিখা, কবরের কাছে নামায আদায় করা, দু’আ করা ইত্যাদি। এমন কিছু বিদআতও আছে, যা শির্ক বা তার মাধ্যমও নয়, তবে সঠিক আকিদার পরিপন্থী ও বহির্ভুত। যেমন খারেজী, ক্বাদরীয়াও মুর্জিয়াদের আকিদাহ সমূহ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৬
অাব্দুল্লাহ অাল কাফি বলেছেন: সুন্দর কথা বার্তা....