নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুনিয়াতে মানুষ যেমন একবারের জন্য আসে, আখিরাতেও মানুষ একবার ই যাবে। পার্থক্য হল দুনিয়ার সময়টা ক্ষণিকের আর আখিরাত, অনন্তকাল! শ্বাস বন্ধ হলে আমল বন্ধ হয়ে যাবে। সাথে করে কি নিয়ে যাবেন? ভেবে দেখেছেন কখনো? আপনার প্রতিটি কাজের হিসেব নেয়া হবে!

শিশির৫৪

নিজেকে আল্লাহ্‌র একজন খাদেম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার অক্লান্ত চেষ্টা করছি, করেই যাব......

শিশির৫৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি কি জান্নাতি না জাহান্নামী?

১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

আপনি কি জান্নাতি না জাহান্নামী? আপনি বলবেন, এটা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ বলতে পারবেনা। কথা সত‍্য। তবুও কোরান হাদিস থেকে কিছু নমুনা পাওয়া যায় যাতে অনেকখানি অনুমান করা যায়। হাতে সময় থাকলে চলুন লিটমাস টেষ্ট করা যাক।

১. আপনি কি দরিদ্র, এতিম দেখলে খেপে যান?
২. আপনি কি প্রতিশোধ নিতে পছন্দ করেন?
৩. আপনি কি পাপ কাজ করতে ভালোবাসেন?
৪. আপনি কি মানুষের উপকার করতে অপারগতা প্রকাশ করেন?
৫. কারো ক্ষতি করলে কি আপনার মনে আনন্দ হয়?
৬. ধর্মের কথা শুনলে বিরক্ত হন?
৭. অন্যের মাল আত্মসাৎ করতে ভালো লাগে?
৮. হারাম হালাল আপনার কাছে কোন গুরুত্ব বহন করে না?
৮. সারাক্ষণ মিথ্যা বলতে ভালো লাগে?
৯. ঘনঘন ওয়াদা করেন এবং সবসময়ই তা ভঙ্গ করেন?
১০. আপনি কি আমানতের খেয়ানত করেন?
১১. মানুষকে মর্মান্তিকভাবে মারতে আপনার ভালো লাগে?
১২. আপনি কি কাপড় পড়েও উলঙ্গ থাকেন? অর্থাৎ এমন ভাবে নিজেকে পরিবেশন করেন যাতে পরপুরুষ আপনার দিকে আকৃষ্ট হয়? (এটা নারীদের জন্য প্রযোজ্য) হে নারী, জাহান্নামে তোমাদের সংখ্যাই অধিক।

যদি উপরের সবগুলো পয়েন্ট আপনার সাথে মিলে যায় তবে আপনি জাহান্নামী। (সাধারণ অর্থে) বাকিটা মহান আল্লাহপাকের ইচ্ছা।

আল্লাহপাক আমাদের উপরের পয়েন্টগুলো থেকে নিরাপদ থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন।
YOU CAN VISIT MY BLOG:
https://www.shishir54.xyz



মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: ৭০ টা হুর পরী দিয়া আমার তো কাম নাই, আমি দোজকে যাবো ----

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, আল্লাহকে ভয় করুন। এই ধরনের কথা না বলাই ভাল। এমনও তো হতে পারে, আল্লাহ্‌ আপনার এই কথাটি কবুল করে নিলেন??? আল্লাহ আপনাকে মাফ করুন।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ২ ও ৬ নং তো মিলছে??
কে জান্নাতি? আর কে জাহান্নামি? সেটাতো মহান আল্লাহ পাকই ভালো জানেন। তবে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারা ভালো কিছুর প্রত্যাসা করতেই পারে।।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬

শিশির৫৪ বলেছেন: অবশ্যই তাই। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের জন্য সুসংবাদ।

৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: একমাত্র আল্লাহ ই জানেন কে জান্নাতি কে জাহান্নামী।

৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

বারিধারা ২ বলেছেন: @রাজীব, হুর পরী কি ডিম থেরাপি দেয়? নাইলে হুর পরীর ভয়ে দোজকে কেন?

৫| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি সৌভাগ্যবান, জাহান্নামে থেকেও ব্লগিং করে যাচ্ছেন!

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, আল্লাহকে ভয় করুন। জাহান্নাম কি জিনিস তা আমার-আপনার চিন্তাশক্তিতেই নেই।

৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

হাঙ্গামা বলেছেন:
রাজীব নুর বলেছেন: ৭০ টা হুর পরী দিয়া আমার তো কাম নাই, আমি দোজকে যাবো ----

আমিন আমিন আমিন

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

শিশির৫৪ বলেছেন: রাজীব ভাইয়ের কমেন্টের উত্তর যেটা দিয়েছি তা আপনার জন্যেও।

৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:১২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মহা পণ্ডিত বলেছেন আপনি জাহান্নাম থেকে ব্লগিং করছেন,
উনিও কি ওখানের বাসিন্দা !! ওনার সাথে কি জাহান্নামে আপনার দেখা হয়েছে?

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, হেদায়েত আল্লাহপাকের হাতে। উনি না দিলে কেউ হেদায়েত পায় না। নিন্দুকের নিন্দায় আমি ভয় করি না। আল্লাহ্‌পাকের দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন এদের মতো মানুষদের হেদায়েত দান করেন।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আল্লাহ সবাইকে দোজখ থেকে বাচার তৌফিক দান করুন।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

শিশির৫৪ বলেছেন: আমীন।।

৯| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

বিপরীত বাক বলেছেন: ১. অবশ্যই জান্নাতী। ময়লা অপরিস্কার থেকে দুরে থাকে তো এরাই।
২. ধার্মিক মানুষ। সিস্টেমের ব্যাপার।অবধারিতভাবেই জান্নাতী।
৩. এইটা সিস্টেমের ব্যাপার।দুই ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে মাগী চুদলে, ঘুস খাইলে, চুরি করলে, লোক ঠকালে কোন সমস্যা নাই। অল ক্লিয়ার। নামাজ পড়ে তো রে বাবা। জামাত মিস করে না। আর তারও আগে জানতে হবে , “পাপ কি?”। ইসলাম ধর্মের মতে পাপ বলতে তিনটি জিনিস কে বলা হয়। মদ্যপান, ব্যভিচার, নামাজ না পড়া। বাকি সব ক্লিয়ার । আপনি যেসবের কথা বলেছেন নামাজ রোজা হজ্জ্ব ঠিকভাবে করলে ওগুলো পাপের পর্যায়ে পড়ে না।
বাংলাদেশে বা আরও কিছু মুসলিম দেশে মোল্লা আলেমগণ, মুসলিম সমাজ, জনগণ, এই মদ্যপান, শারীরিক সম্পর্ক ও নামাজ না পড়া নিয়ে যত কথা বলে, সমালোচনা করে, বিচার করে, হইচই করে, ওয়াজ করে, মাহফিলে বক্তব্য দেয়, হিংস্রতা দেখায় তার অর্ধেকের অর্ধেকের অর্ধেকের অর্ধেকের …… অর্ধেকও যদি চুরি-বাটপারি-জালিয়াতি-লোক ঠকানো-আামানতের খেয়ানত-ঘুষ- সুবিচার- ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে বলত তাহলে আজকে আমেরিকা-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার থেকেও উন্নত ও ক্ষমতাধর থাকত মুসলিম জাতপাত টা।
মদ্যপান, ব্যভিচার, নামাজ না পড়া – শুধু এই তিনটা নিয়ে ----কি ফাটায়া বক্তব্য দিতে দিতে এই মুসলিম রা আর সবকিছুকে জায়েজ করে দিয়েছে।
৪. এরা তো অবধারিতভাবেই জান্নাতপাড়ার অভিজাত বাসিন্দা। সতর্ক থাকে। চোখ বন্ধ রাখে। ঝালেমায় জড়ায় না। যত ঝালেমা সব শুধু জাহান্নামীরাই করে।
৫. সমান-সমান। কউ কারও চাইতে কম নয়। হাজার হোক এদেশে জান্নাতী-জাহান্নামী নির্বিশেষে সবেই বাঙাল।
৬. অবশ্যই জাহান্নামী। কেননা এরা জানে এদেশে ধর্ম হচ্ছে পাপের লাইসেন্স মাত্র।
৭. এটা সিস্টেমের ব্যাপার। নামাজ-রোজা-হজ্জ্ব করলে বলা হবে আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে দেখছি কি করা যায়। অল্প একটু না হয় করেছে অভাবে পড়ে।
৮. হারাম বলতে ইসলামে মদ, আল্লাহর নামে উৎসর্গীকৃত পশুপাখি, আরও অন্যান্য কিছু খাবার দাবার ও আছে।
ঘুষের অর্থ, পরের সম্পদ আত্মসাৎ, চুরির টাকা, যৌতুকের টাকা, এগুলো তো আর হারামের পর্যায়ে পড়ে না এ দেশে।
ওই যে ৩ নং এর মত এখানেও বলতে হয় “হারাম হালাল আসলে কি?” সেইটা আগে ঠিক করুন। এগুলোর ডেফিনেশনে সমস্যা আছে ইসলামে।
৯. মিথ্যা কথা না বলা শিখলে, সঠিক ব্যবহারে দক্ষ না হলে ইসলাম ধর্মের অস্তিত্ব ই বিপন্ন হয়ে পড়বে।
১০. ঘনঘন ওয়াদা ও ভঙ্গ------ এদেশে এটা হবে, “ কওয়ার কাজ তো কইছি, তাই বলে মানতে হইব নাকি। আজাইরা।” মুসলমানদের প্রধানতম বৈশিষ্ট্য। এখন আপনি ই বলুন জান্নাতপাড়ার বাসিন্দা নাকি জাহান্নাম মহলের বিচরণকারী।
১১. আমানতের খেয়ানত। এইটা আবার কি? জো আপসে আয়েগা তো হালাল হ্যায়।আমি কিছু পাইছি তো সেটা আমার রিজিকে আছে বা ছিল। আল্লাহই দিছে। দেয়ার মালিক তো একমাত্র আল্লাহ ই। এটাও ৩ নং এর মত সিস্টেমের ব্যাপার। নামাজ-রোজা-হজ্জ্ব ঠিক তো অল ক্লিয়ার। আহা কি ধার্মিক ভালো (?) মানুষ।
১২. এটা করলে তো মেজাজ ঠান্ডা হয়। তাতে মাথা ঠান্ডা থাকে। প্রশান্তিতে হৃদয় ভরে যায়। আর প্রশান্ত হৃদয় তো ইবাদতের জন্য খুবই কার্যাকরী
১৩. এটাও সিস্টেমের ব্যাপার। পার্কে বা বাগানে বা ক্যাম্পাসে বা ট্রিপল এক্স ওয়েবসাইট গুলোতে রিয়েল ভিডিও গুলো দেখবেন হিজাবওয়ালী বা বোরখাওয়ালী গুলোর আউটস্ট্যান্ডিং পারফরম্যান্স। হিজাব বা বোরখা পড়লে তো আপনারাই বিভিন্ন পেজে দেখান ডানা মেলে জান্নাতপাড়ার দিকে উইড়্যা উইড়্যা যাচ্ছে। সেদিন একটা ফেসবুক পেজে দেখলাম, লেখা আছে বন্ধ কর হিজাব নামের ভন্ডামি। খুব মনে ধরেছিল কথাটা।

(যাহোক। উপরের সবকিছুই জীবন থেকে সংগৃহীত। বাস্তব অভিজ্ঞতালব্ধ। স্বচক্ষে দেখা আশেপাশের লোকজনকে।)

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৪

শিশির৫৪ বলেছেন: ভাই, উপরে যা যা বলেছেন সেগুলোর কারণ আমরাই। ইসলাম কখনো শুধু বাহ্যিক ইবাদত করতে বলেনা কিংবা শুধু আত্মিক ইবাদত করতেও বলে না। দুটোই লাগবে।

একদিন এক সাহাবী এসে রাসুল (সাঃ) কে বলছেন, হে আল্লাহ্‌র রাসুল, উমুক ব্যাক্তি সালাত পড়ে আবার চুরি ও করে। রাসুল (সাঃ) বললেন, যদি সে সালাত পরিপুর্নভাবে আদায় করে তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সে চুরি ছেড়ে দিবে।"

যারা সালাত আদায় করে কিন্তু হারাম কাজ ছাড়তে পারে না, বুঝতে হবে তাদের সালাত হয়নি।

১০| ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: এসব প্রশ্ন না করে যদি বলতেন- আপনি মানুষ না অমানুষ, তাহলে খুবই ভালো হইতো।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শিশির৫৪ বলেছেন: কথা তো একই হল, ভাই। যারা মানুষ তাঁরাই জান্নাতি আর যারা অমানুষ....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.