![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার হৃদয় আকাশ থেকে প্রতিনিয়ত ঝড়ছে কিছু জল। জলগুলো স্বচ্ছ নাকি অস্বচ্ছ?
মি. হসন্তের একান্ত সাক্ষাৎকার
।।এক।।
-শোনো, তোমার এই অ্যাশ কালারের প্যান্টটির সাথে মেরুন কালারের পাঞ্জাবি টি দারুণ মানায়। আজ এগুলোই পড়ো না?
-তোমার যা কথা। আমাকে কোনো কিছু মানায় নাকি, শুধু তুমি ছাড়া?
-ঢং ছাড়ো এখন; তারাতারি পড়ে নাও। সাড়ে সাতটায় অনুষ্ঠান শুরু করবে; সাতটার আগেই গাড়ি পাঠানোর কথা। সাড়ে ছ'টা বাজে।
-বাজুক, তাতে কী?
-তাতে কী মানে! আচ্ছা বাজুক, আমার কী?
-দাও। পাঞ্জাবি টা সোজা করে দাও।
-কখনো কি উল্টো করে দিয়েছিলাম?
আজ চ্যানেল আইতে মি. হসন্তের সাক্ষাৎকার আছে। মি. হসন্ত একজন জনপ্রিয় সাহিত্যিক; তাঁর দু'চোখ অন্ধ। তাই স্ত্রী সানজিদাই তাঁর একমাত্র সম্বল। বাসার বাইরে হর্ণ বাজলো।
-বললাম না সাতটার আগেই গাড়ি চলে আসবে।
-আমি তো প্রস্তুত।
ব্যালকনি থেকে সানজিদা একটু জোর গলায়, 'ড্রাইভার ভাই, একটু বসুন। হয়ে গেছে।'
-চুলগুলো আজ একটু চিরুনি করে দেই?
-আমি কি চুলে চিরুনি করি?
-একদিন করলে কিছু হবে?
-আচ্ছা দাও তারাতারি। মানুষ অপেক্ষা করছে।
মি. হসন্তের চুলে চিরুনি করার অভ্যাস নেই। কিন্ত বিশেষ কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার আগে সানজিদা চিরুনি করে দিতে চায়; প্রতিবারেই না বলে। এই প্রথম মি. হসন্তের চুলে চিরুনি চালাতে দিলো।
-কলম, মোবাইল, মানিব্যাগ পকেটে দিলাম। ব্যাগে ডায়েরি, বিস্কুট, পানি আর ঔষধগুলো দিলাম।
-ব্যাগটার তো প্রয়োজন নেই? একটু পরেই তো আসছি।
-তোমাকে কিছুই নেয়ার প্রয়োজন নেই, থাক!
-আচ্ছা দাও। রাগ করো কেন?
সানজিদা ওর স্বামী কে গাড়িতে উঠিয়ে দিলো।
-এই তুমিও সঙ্গে চলো না?
-আমি কখনো এগুলো তে যাই? টিভি তে দেখে নিবো। কোনো সমস্যা হলে ফোন দিও।
-আচ্ছা।
সানজিদা বাসায় ঢোকার আগে ব্যালকনির সামনে দেখলো, বিদ্যুতের একটি ছেঁড়া তার ঝুলে আছে।
।।দুই।।
সানজিদা টিভির সামনে ঝুঁপ মেরে বসে আছে। চ্যানেল আই চলছে। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা বাজলো। ভেসে উঠলো শাড়ি পরিহিত একটি মেয়ে, 'দর্শক, আপনারা এখন দেখছেন এ সপ্তাহের সাক্ষাৎকার। স্টুডিওতে আমাদের সঙ্গে আজকের অতিথি, জনপ্রিয় সাহিত্যিক মৃদুল হসন্ত। আর সঙ্গে আছি আমি শারলিন সায়ন্তি।'
সাক্ষাৎকার শুরু হলো।
শারলিন : মি. হসন্ত, আপনি কেমন আছেন?
হসন্ত : আমি সার্বক্ষণিক ভালো থাকার চেষ্টা করি। ভালো আছি এবং এখানে আসাতে একটু বেশিই ভালো আছি।
শারলিন : আপনার লেখালেখি কেমন চলছে? আসলে এই অন্ধ অবস্থায় সমস্যা হচ্ছে না? দুঃখিত! কিছু মনে করবেন না।
হসন্ত : আরে না, মনে করার কী আছে! আর লেখালেখি চলছে ভালোই। সমস্যা বলতে, নিজে লিখতে পারি না, এটুকুই। আমার স্ত্রী সানজিদা, আমি ওকে সানু করে ডাকি। আমি বলি শুধু, সানু পাশে বসে লেখে। সানুই এখন আমার চোখ, সানুই এখন আমার হাত।
শারলিন : সংসারের অনেক কাজের মাঝেই আপনাকে উনি সময় দিচ্ছেন। এতো সময় দেয়া... কীভাবে সম্ভব?
হসন্ত : আমাদের সংসারে অনেক কাজ! না, আমাদের সংসারে তেমন কোনো কাজ নেই। দুজন মানুষ। কাজ বলতে খাওয়া, ঘুম আর লেখালেখি। আর একটি কাজ হলো, সানুকে প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত স্কুলে ক্লাস নিতে হয়। এই দু'আড়াই ঘন্টা আমি বাসায় বসে-শুয়ে কাটাই। ও আমাকে বই পড়েও শোনায়।
শারলিন : শুনে খুবই ভালো লাগলো। দুজনের মাঝে এমন আন্তরিকতা সত্যিই বিরল। আচ্ছা, একটি ব্যক্তিগত তথ্য- সংসারে তৃতীয় মানুষটা কবে আসছে?
হসন্ত : আসবে না! অবাক হচ্ছেন? সত্যিই এখন পর্যন্ত এটা ভাবনায় নেই। অন্তত যতদিন অন্ধ আছি, ততদিন পর্যন্ত আসার সম্ভাবনা নেই। এটা সানুর সিদ্ধান্ত। আমি ওকে বলেছিলাম, 'কেন?'
সে বলেছিলো, 'বাচ্চাকে সামলাবো নাকি তোমাকে?'
আমি মজা করে বলেছিলাম, 'অন্য মানুষের হাত ধরে চলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে নাকি!'
মুহূর্তেই সে নিশ্চুপ হয়ে গেলো। চাপা কান্নার আওয়াজ পেয়ে, ওর মাথাটা বুকে টেনে নিয়ে সরি বললাম। ততক্ষণে চোখের জলে আমার বুক পর্যন্ত ভিজিয়েছে! এরপর থেকে কখনোই ঐ প্রসঙ্গ উঠাই নি। অথচ বিয়ের আগে যখন আমাদের সম্পর্কটা চলছিলো, তখন প্রায়ই বলতো, 'আমার কিন্তু একটি মেয়ে চাই চা-ই'। আমি বলেছিলাম, 'সৃষ্টিকর্তা দিলে অবশ্যই পাবে।' সৃষ্টিকর্তা হয়তো দিবে না!
শারলিন : আসলে উনি আপনাকে ভালোবেসেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হসন্ত : তা তো অবশ্যই। প্রকৃত ভালোবাসা সেটাই, যার জন্য মানুষ তার প্রিয় কোনো বস্তুকে ত্যাগ করতে দ্বিধা করবে না। সানু তা-ই করেছে।
শারলিন : আপনার সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে কিছু বলুন।
হসন্ত : আপনারা এ পর্যন্ত যতটুকু পেয়েছেন, আমার প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম ততোটুকুই। আর সানুর সহযোগিতায় এখনো লেখালেখি যা চলছে, তাতে আগামী বই মেলায় তিনটি বই আসছে। একটি কাব্যগ্রন্থ, একটি উপন্যাস, আর একটি জীবনী। আমার ছোট্ট জীবনের টুকরো টুকরো গল্পের সমষ্টি 'জীবন ও জল'। সানু এই বই মেলায় বইটি ছাড়তে চাই নি। ও বলে, 'তোমার জীবনের গল্প তো এখনও অনেকটা বাকি।'
তবুও ছাড়তে হচ্ছে ; আগামী বই মেলার পর আমার অন্তত একটি চোখে অস্ত্রপচারের কথা রয়েছে। সেখানে একটা আর্থিক ব্যাপার রয়েছে। আর এদিকে আমার সম্পাদিত ছোট কাগজ 'বাংলার মুখ' এর পুরো দায়িত্ব ওর কাঁধেই। আমি ওকে বলি, 'সানু, সম্পাদকের নামের জায়গা টা তুমি পাওয়ার যোগ্য।'
সে বলে, 'প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক কি মরে গেছেন?'
ও এখন সহ-সম্পাদক হিসেবে আমার পুরো দায়িত্বটাই পালন করছে।
শারলিন : আপনাকে সস্ত্রীক দেখতে খুবই ইচ্ছে হচ্ছে। ওনাকে নিয়ে আসেন নি কেন?
হসন্ত : আমার সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানেই ও যায় না। আজকেও বলেছিলাম; 'না' করেছে। কিন্তু টিভিতে আমাকে নিয়ে কোনো অনুষ্ঠান দেখতে কিংবা পত্রিকায় আমার বিষয়ে পড়তে অধিক মনোযোগী! আর আমার সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে না যাওয়ার কারণ, আমি যে ওর উপর অনেকটা নির্ভরশীল, এটা যেন কেউ না জানে।
শারলিন : কিন্তু আজ তো সবাই জেনে গেলো?
হসন্ত : হা হা হা! হ্যাঁ... তাই তো! বাসা গিয়েই 'সরি' বলতে হবে।
শারলিন : মি. হসন্ত, অনেক কিছুই জানা হয়ে গেলো, আরোও হয়তো অনেক গল্প শোনাই হয় নি। লেখালেখি, প্রেম, সংসার, অন্ধত্ব; এসবের মাঝেই বাংলা সাহিত্য জগতে এতদূর উঠে আসা। বেশ অদ্ভুত এবং বৈচিত্র্যময় আপনার জীবনের গল্পগুলো। যদি এই টুকরো টুকরো গল্পগুলো একটু সংক্ষেপে আমাদের শুনাতেন?
হসন্ত : আসলেই বেশ অদ্ভুত এবং বৈচিত্র্যময় আমার জীবন। সবার জীবনেই একটি গল্প থাকে; আমারও আছে। কাহিনীটুকুই যা তফাৎ।
সেই আশির দশকে আমার জন্ম। যখন স্কুল যাওয়া শুরু হয়, খাতা কলমের ব্যবহার শিখেছি মাত্র। তখন থেকেই লেখালেখির প্রতি ঝোঁক; আজোও তা অব্যাহত। মাধ্যমিকে এসে ব্লাকবোর্ডের লেখা পড়তে কষ্টসাধ্য হচ্ছিল; চোখের সমস্যাটা সেখানেই শুরু। এরপর উচ্চমাধ্যমিক, ভার্সিটি। ভার্সিটিতে পছন্দের বিষয় বাংলায় পড়াশুনা শুরু, বন্ধু, আড্ডা, অবিরত লেখালেখি। এরই মাঝে সহপাঠিনী সানজিদার সঙ্গে খুনসুটি, আত্মিক লেনদেন! অতঃপর প্রেম! ও সানজিদা হোসাইন থেকে হলো আমার 'সানু'; আমি মৃদুল হসন্ত ওর কাছে হলাম 'মৃদু'। এই মৃদু আর সানুর প্রেম জমে উঠলো! বন্ধু মহলেও সমাদৃত হলো আমাদের প্রেম। কখনো লেখালেখির ফাঁকে সানুকে সময় না দিতে পারলে, ফোন করে বলতো, 'কবিগুরু, আপনার সঙ্গে একটু কথা বলতে পারি?'
মাঝরাতে কখনো ফোন করে যদি শুনতো, আমি লিখছি এই রাত জেগে, তবে নিশ্চিত বকা খেতে হতো, 'তোকে রাত জেগে লিখতে হবে? এই লেখা দিয়ে কচু হবে! নিজের চেহারাটা আয়নায় দেখছিস, কী অবস্থা হয়েছে চেহারার?'
আমি নিচু গলায় বলতাম, 'কাল থেকে আর রাত জেগে লিখবো না।'
সেও তৎক্ষণাৎ নরম গলায় বলতো, 'তুমি বুঝো না? লেখা শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ো।'
কিন্ত একই ভুল বরাবরই করতাম; সেও বুঝে গিয়েছিল, একে এসব বলা বৃথা। তবুও সে প্রতিবারেই এভাবে শাসনের সুরে আমায় ভালোবাসতো! প্রিয়জনের রাগেও প্রেম মেশানো থাকে। রাত জেগে লেখাতে ওর যতটা রাগ ছিলো, আমার লেখার প্রতি ওর এর চেয়েও বেশি অনুরাগ ছিলো। আমার লেখা কোনো পত্রিকায় ছাপলে, সব বন্ধুদের না পড়িয়ে ছাড়তো না। যেবার আমার প্রথম বইটি বের হলো, ওর যেন রীতিমত ঈদ উৎসব! বই মেলার সেই মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সব ক'টা বন্ধুকে উপস্থিত করেই ছাড়লো। দিনেদিনে আমার চোখের অবনতি ঘটছিল, চশমার পাওয়ার বাড়াতে হলো। আমার চোখ নিয়ে ওর ছিলো আলাদা টেনশন। আমি আশ্বস্ত করলেও ওর দুঃচিন্তার অন্ত ছিলো না। তবে মাঝেমাঝে গ্লাস খুলে নিয়ে, কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে আমাকে ক্ষ্যাপানোর ছলে বলতো, 'কানাকবি, বলুনতো আমি কে?' আমিও হেসে বলতাম, 'মনেহচ্ছে, কানাকবির বউ!'
এরপর পড়াশুনা শেষ হলো। আমার ছোট্ট একটি জব হলো। ছাব্বিশ বছর বয়সে আমাদের বিয়েটা হলো। কিছুদিন পর, স্কুলে ওর জব হলো। শহরের ছোট্ট একটি বাসায় দুই মানুষের সংসার শুরু হলো।
লেখালেখি চলছিলো, দিনেদিনে চোখ দুটোর
অবনতি হচ্ছিল। বিয়ের এক বছরের কিছুদিন পর ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দুঃসংবাদটা পেলাম, আমি অন্ধ হতে চলেছি! চোখের সমস্যার জন্য চাকুরিটা ছেড়ে দিলাম। সে আড়ালে হয়তো চোখের জল ফেলেছিলো; আমি নিরুপায় শুধু দেখেছিলাম। সে আমার সামনে ঠিকই হাসতো, ওর কষ্টা টা আমাকে বুঝতে দিতো না। বুকে চাপা কষ্ট নিয়ে শুষ্ক ঠোঁটে সেই ব্যথিত হাসি, ওর মুখে আমার দেখা শেষ হাসি। আমি অন্ধ হলাম।
আমাদের বিয়ের আট বছর পেরিয়ে গেছে। আমার চোখে কালো সেলুলয়েড ফ্রেমের চশমাটি, ওর অনুরোধে আজোও পড়ি বৃথা। মাঝে বাংলা একাডেমি পদক সহ বেশ কিছু সম্মাননা পেয়েছি, দেশজুড়ে খ্যাতি পেয়েছি। দুজন মানুষের সংসার চলছে আগের মতোই। ওকে প্রতিদিন স্কুলে দু'ঘণ্টা সময় দিতে হয়। বাকি সময়টুকু দুজন প্রায় একসঙ্গে থাকি। ওর চোখ আমার হয়ে, ওর হাত আমার লেখালেখিটা চালিয়ে যাচ্ছে। ভাষা আমার, প্রচেষ্টা ওর। দুজন যেন একটি মানুষ। আমি হয়তো অনেক বদলে গেছি, ও আমার সেই সানুই রয়ে গেছে। আজোও আমার কোনো লেখা প্রকাশিত হলে ওর যে আনন্দ, সেই আনন্দ আমাকে নতুন করে বাঁচতে শেখায়।
শারলিন : মি. হসন্ত, অনেক গল্প শোনালেন, আরোও শুনতে ইচ্ছে হচ্ছে। কিন্তু সময় আমাদের তা দিচ্ছে না। আর একটি প্রশ্ন, আপনার জীবনের একটি ইচ্ছের কথা বলুন, যেটা আপনাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে?
হসন্ত : সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের দুজনের একটি চাওয়া রয়েছে, পৃথিবী ছেড়ে দুজনই যেন একই দিনে চলে যাই। যাতে দুজনের কেউই কষ্ট না পাই। আর আমার যে ইচ্ছেটি প্রতিনিয়ত তাড়া করে, জীবনে যেন অন্তত একটিবার... শুধু একটি মুহূর্ত ওকে দেখতে পাই।
শারলিন : আপনার ইচ্ছে পূর্ণ হোক। মি. হসন্ত, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদেরকে সময় দেয়ার জন্য।
মি. হসন্তর চোখে জল। ধরে আসা কণ্ঠে বললেন, 'আপনাকেও ধন্যবাদ!'
সাক্ষাৎকার শেষ হলো। টিভির সামনে সানু চোখের জল ধরে রাখতে পারলো না। বালিশ বুকে চেপে, বেডে শুয়ে পড়লো উপর হয়ে। হয়তো ভাবছে, যে মানুষটির নিজের চোখের জল দেখার ক্ষমতাটুকু নেই, সে মানুষটির ওকে দেখার ইচ্ছে! যতই ভাবছে, কান্নার বাঁধ যেন ভেঙে আসছে।
।।তিন।।
'সানু, সানু, এই সানু...।' গাড়ি এসে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে গেছে মি. হসন্তকে। দু'হাত সামনে বাড়িয়ে ধিরে ধিরে ব্যালকনির দিকে আগাচ্ছে, আর সানজিদাকে ডাকছে।
বুকে বালিশ চেপে শুয়ে থেকে হয়তো কিছুটা তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়েছিলো সানজিদা। হঠাৎ বাইরে থেকে ডাক থেমে গেলো, সানজিদা চমকে উঠে বাইরে গেলো। 'মৃদু... ' বলে চিৎকার করে মি. হসন্তকে জড়িয়ে ধরলো।
দু'টি নিথর দেহ জড়াজড়ি করে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে আছে, ব্যালকনির সামনে টিউবলাইটের আলোয়। বাতাসে পোঁড়া গন্ধ, হালকা ধোঁয়া উড়ছে!#
৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩০
শিস খন্দকার বলেছেন: ধন্যবাদ ও ভালোবাসা!
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:০৭
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার লাগল।
১ম ভালো লাগা রইলো।
এই প্লটে একটি অল্প-গল্প লিখেছিলাম।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১
শিস খন্দকার বলেছেন: ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইলো!
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৫
খান সাব বলেছেন: অসাধারণ