নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_-_ " সত্যটাই বলুন , কেননা সত্যের মাঝেই প্রশান্তী "

মোঃ সোহানুর রহমান

।। আসসালামুআলাইকুম ।।\nসকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি । \n\\\\

মোঃ সোহানুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসন্ন সিটি নির্বাচনে নারী কাউন্সিলরদের প্রতীক নিয়ে বিতর্ক কতোটুকু গ্রহনযোগ্য ? এখানেও তাঁরা টানলেন বৈষম্যের কথা ।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:০৩

শিক্ষিত ব্যক্তিরাও মাঝে মাঝে মূর্খের মতো আচরণ কেন করে বুঝি না । যার প্রমাণ দিলেন আসন্ন সিটি নির্বাচনের মহিলা কাউন্সিলররা । তাঁরা এবার বৈষম্যের কথা তুলে তাঁদেরকে দেয়া ভোটের মার্কা বা প্রতীক নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন । তাঁরা কী মার্কা ধুয়ে পানি খাবেন ? নির্বাচন কমিশন নারীদের ঘরোয়া জিনিসপত্র সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের প্রতীক হিসেবে বেছে নিয়েছেন । এতে দোষেরতো কিছু দেখি না ! নারীদের ভেন্টিব্যাগ , পেশার কুকার , সেলাই মেশিন আরো নানান ঘরোয়া জিনিসপত্রের প্রতিক দেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার । এতে বাড়াবাড়িরতো কোন প্রশ্ন আসে না । এই প্রতীকগুলো কি নতুন ? কখনই নয় , এগুলো সেই আদি থেকেই চলে আসছে । আসলে তাঁরা এখানে বৈষম্যের কি দেখলেন ? তাহলে কি এই প্রতীকগুলো কি পুরুষদের দিলে তাঁরা মহা খুশি হতেন ? আমারতো মনে হয় তাই ।

পুরুষদের অপমান করলে এখনকার নারীরা বেশ গর্ববোধ মনে করেন । বর্তমানের নরীরা পুরুষদের হাতের মুষ্টির মধ্যে বহন করতে চান । পুরুষদের তাঁরা পুতুল বানাতে চান । তাছাড়া আমাদের দেশের সরকার নারীদের যে অবাধ স্বাধীনতা এবং চাকরী ক্ষেত্রে নারীদের কোটার যে অগ্রাধিকার দিয়েছেন এতে এ কথা বলাটা স্বাভাবিক যে বাংলাদেশের পুরুষ আর ক শতাব্দী পর ঘরের পুতুল হয়ে যাবে । তাঁরা হাতে চুরি পরে ঘরে কাজ করবে আর নারীরা প্যান্ট শার্ট পরে চাকরীতে যাবে । একটি বিষয় বর্তমানে লক্ষ্যনীয় যে চাকরীর ক্ষেত্রে প্রচন্ড বৈষম্যে ভুগছেন বর্তমান পুরুষরা । এ কথা বলা দরকার যে বর্তমান সমাজ নারী শাসিত সমাজ । কেননা বাংলাদেশের স্পীকার , প্রধানমন্ত্রী , বিরোধী নেত্রী সকলেই নারী । তাহলে এতো সুযোগ সুবিধা পাওয়ার পরও নারী রা কেন এতো বৈষম্যের কথা বলেন আমি বুঝি না । বাংলাদেশে ঐ সকল নারীদের ধন্যবাদ দিতে চাই যারা রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় শালিনতা বজায় রেখে চলেন । যার দরুন বাংলাদেশে এখনও ধর্ষনকারী পশুদের সংখ্যা অতোটা বিস্তার লাভ করে নি । যাই হোক আসল কথায় আসি , আসন্ন সিটি নির্বাচনে মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের নির্বাচনী প্রতীক নিয়ে যে মন্তব্য বা বৈষম্যের কথা তুলেছেন সেটিকে অবান্তর বলেই আমি মনে করছি । কেননা এখানে প্রার্থীকে মানুষের মন জয় করতে হবে । মার্কা কোন বড় ব্যাপার নয় । এটা নিয়ে তর্ক করার কোন প্রশ্নই আসে না ।
কবির কথায় ,
" নামের বড়াই করো নাকো , নাম দিয়ে কি হয় ?
নামের মাঝে নেইতো কারো আসল পরিচয় " ।
প্রাথীদের বলতে চাই প্রতীককে কোন বৈষম্য হিসেবে দেখবেন না । আপনাদের উচিত ভোটারদের মন জয় করা । তাঁদেরকে ভালো ভালো কাজের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়া । সকলে যেন আপনাকে বিশ্বাস করে তার ব্যবস্থা করা । এসকল ছোট খাঁটো বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাটাই ভালো । কেননা এতে করে ভোটের উপর প্রভাব পড়তে পারে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.