![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিল্প-সাহিত্যের মাঝে নিজেকে বিলীন করতে চাই।https://www.facebook.com/sabet.chowdhury.94
দিনের পর দিন কেটে যায়। যে দিনটা চলে যায় তা আর ফিরে আসে না। এটাই চিরন্তন সত্য। অস্বীকার করার জো নেই। আজ মনটা ভীষণ খারাপ, কিছুই ভাল লাগছে না। বুঝতে পারছি না কি করব? কষ্ট চেপে রাখতে পারলাম না। চোখ দু’টো কান্নায় ভারী হয়ে আসলো।
দু ফোঁটা তপ্তাশ্রুও গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ল।
স্মরণ হচ্ছে সেই মানুষটির কথা যে অনেক পূর্বেই পারি জমিয়েছে রহস্যের জগতে। মনে পড়ে, একদিন ক্ষুধার তাড়নায় কাঁদছিলাম। দাদা বললেন কি হয়েছে দাদা ভাই কাঁদছো কেন? কিছু বলার পূর্বেই কুলে তুলে নিলেন। বললেন কি খাবে? কিছুই খাবে না তা কি করে হয়! রাগ করতে নেই, রুটিটা খেয়ে নাও দাদা ভাই। মুহূর্তেই সব রাগ উধাও হয়ে গেল। ধীরে ধীরে আমার আর দাদার সম্পর্ক আরো নিবিড় হতে লাগল। এখন আবদার তার কাছেই করি। উঠতে বসতে খেতে ঘুমোতে আবদারের কোন সীমা রইল না। ফজর হলে সুমধুর কণ্ঠ ভেসে আসতো , দাদা ভাই নামাজে যাবে না? অমনিতেই ঘুম দৌড়ে পালাতো। এই যে সেদিনও নিয়ে গেলেন মসজিদে। কিন্তু………..?
হঠাৎ সংবাদ পেলাম প্রিয় দাদা আর নেই। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। দৌড়ে গেলাম হাসপাতালে। দাদা ও দাদা কথা বলো। চোখ খো্লো। প্লিজ রাগ করো না, আমি আজ কোন বায়না ধরবো না। তুমি না একদিন বললে রাগ করা ভাল না, আজ তুমিই……?
সবাই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল। কাঁন্নার শব্দে আকাশ বাতাস ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল। আত্মীয় স্বজনের সমাগম ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে লাগল। সবার কাছ থেকে দূরে বসে রইলাম। ঠিক সে সময় মনে উঁকি দিল দাদার অমূল্য একটা নছিহত। একদিন তিনি বলেছিলেন; দাদা ভাই তুমি আমার চোখের শীতলতা মনের প্রশান্তি কথা দাও নিজেকে দ্বীনের পথে বিলীন করবে। মানুষকে কষ্ট দিবে না। মানুষের উপকার না করতে পারলে অপকার করবে না। সেই অমূল্য কথাগুলো আজও কানে বাজে।
চোখ ফাঁকি দিয়ে চললে কোন পথে?
নিয়ে যাওনা প্রিয় তোমারই সাথে।
ভাগ্য পরিহাস করে ক্ষণে ক্ষণে
যাবে সবাই রবে না এই ভুবনে
_শক্তি শুধা (সাবেত চৌধুরী)
©somewhere in net ltd.