![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শিল্প-সাহিত্যের মাঝে নিজেকে বিলীন করতে চাই।https://www.facebook.com/sabet.chowdhury.94
সুপরিচিত একজন উঠতি বয়সের লিখিকা। খুব মজার মানুষ উনি। তার লিখনী অসাধারণ। কিন্তু তার একটা ভিন্ন ভুবন আছে, ভাবনা থেকে বিভিন্ন চরিত্র ফুটিয়ে তোলে। যা তার কাছে বাস্তব সত্যেরচে' উপরে। যেনো তার সৃষ্ট চরিত্রের মাঝে সে মিশে গেছে।
একদিন মেয়েটি লিখতে বসেছে, এরই মাঝে সে আবিষ্কার করল, তার ছোট ভাইকে, যে কিনা টাকার অভাবে পড়াশুনা বাদ দিয়ে এখন বাসে বাসে চকলেট বিক্রি করে বেড়ায়। ভাইয়ের জন্য মেয়েটির মন কাঁদে কিন্তু কিছুই করতে পারে না। কারণ, সে নিজেই মামা মামীদের সাথে থাকে। নিজ পড়াশুনার জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। মা মারা যাওয়ার পর সৎ মার অত্যাচারে ওদের এই অবস্থা। তার উপর মেয়ে মানুষ বলে কথা, এলাকার মানুষ নানান অকথ্যকথন বলছিল। যেমন কাল নাগিনী, অপয়া, অলক্ষী আরো কত কি! দিন দিন তার এসব আর ভালো লাগে না। সিদ্ধান্ত নেয়, মামা বাড়ী ছেড়ে দুচোখ যে দিকে যায় চলে যাবে। কিন্তু ছোট ভাইটিকে যে আজ কিছু দিন যাবৎ দেখছে না মেয়েটি। আহা! এ অল্প বয়সে তাকে দুনিয়ার কঠিন বাস্তবতার সম্মুক্ষিন হতে হয়েছে। না জানি কোন রোগ বাঁধিয়ে ফেলল। নাকি বাস থেকে সটকে পড়ে তার হৃদের স্পন্দন থেমে গেছে, সারাদিন আজে বাজে চিন্তা মেয়েটিকে ঘীরে ফেলল। ভাইটির চিন্তায় তার সারাদিন ঘুম হল না। হাঠাৎ মেয়েটি চোখের পাতা মিলিয়ে গেল। ঘুম থেকে উঠে দেখে জামি পাশের ঘরেই শুয়ে আছে অবুঝ বালকের মতো। তার খুশি আর ধরে না। জামিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে, ব্যাচারা জামি কিছুই বুঝতে পারে না, কি হচ্ছে তার সাথে। মীম আপুর চোখের কোণে জমে থাকা পানি তাকে ভাবিয়ে তোলে, এমন স্বচ্ছস্ফটিক জলের কারণ জানতে চায় জামি। কিন্তু মীম নিরব। সে বুঝতে পারে তার গল্পের চরিত্রটি নিয়ে ভাবনাই তাকে তাড়িত করছে। সমাজের স্কন্দে ছড়িয়ে থাকা প্রতিটি চরিত্রই সে নিজের কাছের মানুষদের সাথে মিলিয়ে ফেলে আর অঝোরে কাঁদতে থাকে তাদের দূরগতি, নাজেহাল অবস্থা দেখে। ছোটবেলায় মেয়েটির ভাই জামি বাবা মা সবাই কার এ্যাক্সিডেন্টে মারা যায়, সে দূর্ঘটনায় বেঁচে যায় মীম। কিন্তু আজও পাশের বেডে ছোট ভাই জামিকে দেখতে পায়, বাবা মার পরস্পর খুনসুটি লক্ষ্য করে হাসে। আর মনে মনে ভাবে কি ছেলে মানুষই না করছে তারা দু'জন। খাবার টেবিলে বসে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করে। ওদের বিড়াল ছানাদেরও খাওয়ায়। কিন্তু মামা মামীর কারণেই আজ মেয়েটিকে কোথাও বন্দি করে রাখা হচ্ছে। খাবার দিচ্ছে না ঠিক মতো, এখানকার পরিবেশ কতই না নোংরা। মানুষ কিভাবে থাকে। এভাবেই মীম একদিন ভাবনার জগতে হারিয়ে যায়। কিন্তু কেউ তার দু:খ বুঝেনি বরং দুনিয়ার মানুষ তাকে পাগল ভাবছে। কতোই না বিচিত্রময় আমাদের চারপাশের জগৎ। এরই মাঝে একটু আশা নিয়ে বেঁচে থাকা। মীম যেমন ভাবে জামি বেঁচে আছে, তার বাবা-মা তার পাশেই আছে। তেমন আমরা ভাবি আমাদের স্বপ্নগুলো আমাদের মাঝেই বেঁচে আছে তখন আমাদের চারপাশের পাষণ্ড জগৎ আমাদের পাগল ভাবে। স্বপ্নচারী মানুষ আমরা স্বপ্ন নিয়ে আশায় বুক বাঁধা আমাদের বাঙালিদের নিকট একটা মহা কাজ।
_শক্তি শুধা (সাবেত চৌধুরী)
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ২:২৮
শক্তি শুধা বলেছেন: শুভ হোক, একটু দেরী হয়ে গেল। মোবাইল ঝামেলার কারণে এতোদিন সামুতে আসতে পারি নাই। #এহসান সাব্বির ভাই আপনাকে নববর্ষের অসংখ্য শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৭
এহসান সাবির বলেছেন: শুভ হোক নববর্ষ ১৪২১।