শ্রাবন্তী , কবিতা ও খুনসুটি

২৩ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:১৩

সকাল বেলাঃ



রুমে ঢুকে মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেলো । টেবিলের উপর রেখে যাওয়া আবার কবিতার ডায়রিটা হা করে আছে । ডায়রির দিকে তাকিয়ে থেকেই হাঁক ছাড়লাম



-শ্রাবন্তী ! এই শ্রাবন্তী !

আস্তে করে আমার ঘরের চৌকাঠে এসে দাড়ালো ক্লাস ফাইভ পড়ুয়া শ্রাবন্তী । আমার ছোট বোন ।

-আমার ডায়রি খোলা কেন ? কথা বলছিস না কেন ? বল আমার ডায়রি খোলা কেন ?

-আর পড়ব না ভাইয়া ।

মেজাজটা তিরিক্ষি হওয়ার শেষ পর্যায় অতিক্রম করেছে । ইচ্ছে করছে চড়িয়ে গালদুটো লাল করে দিতে । হাতের কাছে না থাকায় বেচে গেল । উল্টা হাতের কাছে ডায়রিটা থাকায় সেটাই একটানে ছিড়ে ফেলে হনহন করে বাইরে বেরিয়ে এলাম । আলমগীরের দোকানে বসে বিষাক্ত ধোয়া খেতে খেতে খেয়াল করলাম ভ্রুদুটো স্বাভাবিক হয়ে আসছে । রাগ কমে আসছে ধীরে ধীরে । অপরাধী অপরাধী লাগছে ।



বিকেল বেলাঃ



কোন প্রকার শব্দ না করে শ্রাবন্তীর রুমে ঢুকলাম । পেছন থেকে চিপসের প্যাকেটটা বিনা শব্দে ওর টেবিলের উপর রাখার চেষ্টা করলাম । তারপরো একটু শব্দ হলো ।সাথে 'SORRY' একটা চিরকুট ।

তাড়াতাড়ি করে বের হয়ে আমার রুমে এসে ঢুকলাম । একটা স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এলো । হঠাত্‍ টেবিলের দিকে নজর গেলো । এগিয়ে গিয়ে দেখলাম স্কচ টেপ আর গাম দিয়ে জোড়া লাগানো আমার কবিতার ডায়রি । সাথে 'SORRY' লেখা একটা চিরকুট ।



রাত্রি বেলাঃ



পড়াশুনার পাট চুকিয়ে বিছানায় এসেছি মাত্র । হাতে ডায়রী । দরজায় শব্দ পেয়ে তাকিয়ে দেখি শ্রাবন্তী মুখচোরা হাসি নিয়ে দাড়িয়ে । আমারো হাসি পেলো । ডাকলাম !



"কবিতা শুনবি ?"

২ টি +০/-০