|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকা মেডিকেলের লাশ কাটা ঘরে দাঁড়িয়ে আছি। এই নিয়ে চার বার আসা হল এখানে। উদ্দেশ্য--পোষ্টমর্টেমের খুঁটিনাটি গলাধঃকরণ করা। আমাদের পায়ের কাছে পাঁচটা লাশ পড়ে আছে। সবচেয়ে ভয়াবহ লাশটা আমার পায়ের একদম কাছে। চোখ-মুখ সম্পূর্ণ থেঁতলানো। চোখের মধ্যে নয়টা কাঁটাওয়ালা একটা লোহার দন্ড ঢুকিয়ে লোকটাকে মেরে ফেলা হয়েছে। চোখ থেকে জমাট বাঁধা রক্তের বিন্দু টপটপ করে পড়ছে। আমি এবং আমার বন্ধুরা এক ধরনের আতঙ্ক মুখে ফুটিয়ে লাশ কাটা ঘরে দাঁড়িয়ে আছি। সেই আতঙ্ক যতটা না মৃত,বীভৎস্য মানুষগুলোকে দেখে,তার চেয়ে অনেক বেশি আতঙ্ক স্যার একটু পর এসেই পড়া ধরা শুরু করবেন সেই ভয়ে।
স্যার আসার পরে পড়া ধরার পর্ব শেষ করে ডোমদেরকে পোষ্টমর্টেম শুরু করতে বললেন। একটা একটা করে মানুষের পেট চিরে নাড়িভুড়ি উলটে-পালটে দেখা হচ্ছে। মাথার খুলি ফাটিয়ে মগজ বের করা হচ্ছে। প্রচন্ড গন্ধ। গন্ধে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা দায়। আমরা নাক চেপে ধরে মানুষ কাটাকুটি দেখছি। স্যাররা মাঝে মাঝে মজার কোন কথা বলছেন মৃত মানুষটির মারা যাওয়ার কারণ নিয়ে। সেই হাসির কথা শুনে আমরাও চাপা স্বরে হেসে ফেলছি। জোরে হাসা যাচ্ছেনা—কারণ এটা লাশ কাটা ঘর! মৃত মানুষদের সম্মান করতে হবেনা??!! সবাই স্যারের লেকচার তুলার চেয়ে মানুষ কাটাকুটির ছবি তুলতে ব্যস্ত। আমার নিজের ও কিছুটা আফসোস হচ্ছে মুঠোফোনটা বাসায় রেখে আসায়। আহারে! মুঠোফোন নিয়ে আসলে আমিও ভিডিও করতে পারতাম। বাসায় যেয়ে হরর মুভি দেখার চেয়ে এই ভিডিও দেখতে পারতাম! দেখতে দেখতে মানুষের স্বভাবজাত পাশবিক রক্তমাখা উল্লাসে মেতে উঠতাম!
একটু পর একটা মৃত মেয়েকে পোষ্টমর্টেম করার জন্য নিয়ে আসা হল। বেচারি আত্মহত্যা করে মারা গেছে। গলার কাছে কালশিটে দাগ। জিহবা বের হয়ে আছে। আমাদের বয়সী একটা মেয়ে। আমাদের মনে হয় মেয়েটাকে দেখে একটু মন খারাপ হল। সবাই কিছুক্ষণ নির্বাক। কিন্তু তারপরেই আমরা গুজবের মহাড়ায় মেতে উঠলাম। “আরে সুইসাইড করছে ক্যান বুঝস না? নিশ্চয়-ই কারো সাথে লটর-পটর ছিল”! কতটা যন্ত্রনা পেয়ে পেয়ে তিলে তিলে একটা মেয়ে নিজেকে নিঃশেষ করেছে তা ভাবার অবকাশ আমাদের—জীবিত মানুষদের নাই। খুব জানতে ইচ্ছা করে—আজ আমাদের সাথে এই মরে যাওয়া মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকলে সে কি আমাদের মত করেই ভাবত? সব মানুষের ভাবনা চিন্তা কি একই রকম? হতে পারে—কেউ প্রকাশ করে,কেউ করেনা! এই মেয়েটি নিশ্চয় মরে যাওয়ার আগে তার অব্যক্ত কষ্টগাঁথা গুলো কাউকে বলে যেতে পারেনি। তাই আমরা তাকে নিয়ে আজ অনুমানের খেলা খেলার সুযোগ পাই।
লাশ নিয়ে আমাদের পড়ালেখার পর্ব শেষ হলে আমরা ঐ নীল নীল জমাটবাঁধা আতঙ্কের ঘর থেকে বের হই। আমরা লাশ কাটা ঘর থেকে বের হয়েও আমাদের চোখ মুখ থেকে আতঙ্ক আর তীব্র গন্ধের ছাপ দূর করতে পারিনা। লাশ কাটা ঘরের বাইরে অনেক মানুষ দাঁড়ানো। তারা একদল ফ্যাকাশে মুখের ছেলে-মেয়ের দিকে কৌতুহল নিয়ে তাকায়। লাশ কাটা ঘর থেকে কিছুটা সামনা এগুতেই আমাদের আতঙ্ক,ভয় সব কেটে যায়। আমরা দূর থেকে চটপটিওয়ালা মামাকে দেখি। আমরা আনন্দে চিৎকার করে উঠি!—“ওই যে মামা এসেছে! চল্ চল্ ফুচকা খাই!” আমরা ফুচকা খাওয়ার জন্য দৌড় দিই। লাশ কাটা ঘরে ছিন্নভিন্ন মানুষগুলো পড়ে থাকে---একা।
আকাশে আজ মেঘ করেছে। কালো হয়ে আছে আকাশ। বৃষ্টি হবে।
বিধাতা,
মানুষকে তুমি অশ্রুর বৃষ্টিতে স্নাত করাও। মানুষকে সত্যিকার অর্থেই শ্রেষ্ঠ জীব হওয়ার সুযোগ দাও। মানুষের মধ্যে মানবিকতা জাগিয়ে তোল বারবার। তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না!
২৫২ টি 
+৬১/-০ ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৬
সরলতা বলেছেন: হাহা
২| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৩১
আদ্রিতা বলেছেন: ভালো হয়েছে। খুব ভালো
১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৭
সরলতা বলেছেন: তেংস আপু।
৩| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৩
শায়েরী বলেছেন: Valo hoyese..darun
Ektane porlam
১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৮
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ শায়েরী আপু। 
৪| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৮
কিছুক্ষণ বলেছেন: বিধাতা, মানুষকে সত্যিকার অর্থেই শ্রেষ্ঠ জীব হওয়ার সুযোগ দাও
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
সরলতা বলেছেন: লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ কিছুক্ষণ।
৫| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৪০
আকাশগঙ্গা বলেছেন: ভাল লাগল।
ভাল লাগা লেখার স্টাইলকে।বিষয় কে নয়।
কাটাকাটি,খুন,জখম,রক্তপাত আমার ভাল লাগে না।আমি একুশ বছর বয়সে লাশ দেখেছি মনে হয় দুইটা,তাও ছোটবেলায় আম্মার সাথে।বড় কালে কলেজে পড়ার সময়ে আমাদের ফ্লাটের নিচ তলায় এক ছেলে সুইসাইড করেছিল।জীবনে একমাত্র দেখা লাশ এটাই।
আমি সুন্দর জীবনের আশায় থাকি।যে কোন ধরনের বিভৎসতা ভালবাসিনা।
তাইতো মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা না দিয়ে আমি এখন বুয়েটে আছি।
মেডিক্যালে পরীক্ষা না দেয়ার কারনে আমার বড়বোণের হাজব্যান্ডের সাথে দুইবছর কথা বলা বন্ধ ছিল।
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৫
সরলতা বলেছেন: আপনি লেখার বিষয়বস্তু শুধু কাঁটাকাটি ধরে নিয়েছেন আকাশগঙ্গা ভাই। আসলে লেখার বিষয়বস্তু সেটা না। বীভৎসতা কেউ-ই ভালোবাসেনা।
ধন্যবাদ।
অঃটঃ আমি ভাবিনি আপনি আমার মত ক্যাচাল ডেকে আনা ব্লগে আবার কমেন্ট করবেন।
৬| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৩
চেনা মুখ বলেছেন: 
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২০
সরলতা বলেছেন: 
৭| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৮
নষ্টছেলে বলেছেন: তোরে মাইনাস।লাশ,কাটাকাটি,হসপিটাল এসব আমার ভয় লাগে। 
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২২
সরলতা বলেছেন: আমার ও অনেক ভয় লাগে নষ্টভাইয়া। কিন্তু এখন আর কিছু করার নেই।
শুভকামনা তোমার জন্য।
মাইনাস পেয়ে একটু মন খারাপ হল। 
৮| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৫৯
অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: দেখতে দেখতে মানুষের স্বভাবজাত পাশবিক রক্তমাখা উল্লাসে মেতে উঠতাম!
এই কথাটারই ইলাবোরেশান সবকিছুতেই ।
সবকিছুই পাশ কাটিয়ে যেয়ে আমরা আনন্দিত হই , অথচ আমরা প্রতিনিয়তই লাশকাটা শহরে হাঁটি !
অদ্ভুত !
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৩
সরলতা বলেছেন: আসলেই অদ্ভুত অন্ধ আগন্তুক ভাইয়া।
৯| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০৪
অনিক_৩৩ বলেছেন: ভালো লাগলো। জীবনের কিছু নির্মম সত্যের সুন্দর উপস্থাপন।
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৪
সরলতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা।
১০| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০৯
রাজসোহান বলেছেন: ঠিক এই টাইপের চিন্তা আমিও মাঝে মাঝে করি। অদ্ভুত ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বৃষ্টি হয় নি এখনো।
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৬
সরলতা বলেছেন: চিন্তাধারা মিলে গেল সোহান ভাইয়ের সাথে। ভাল লাগল।
যেদিন বাসায় এসে লেখাটা লিখেছিলাম সেদিন আকাশ কালো করে বৃষ্টি হয়েছিল। অনেক বৃষ্টি।
১১| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০৯
নিকোলাস বিপ্স বলেছেন: অদ্ভুত !
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩১
সরলতা বলেছেন: হুম!
১২| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:১০
সারু বলেছেন: খুব ভালো লাগলো.................
++++++
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩২
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ সারু।
১৩| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:১১
ডট কম ০০৯ বলেছেন: তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না
সুন্দর সত্য।
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫
সরলতা বলেছেন: সুন্দর,কঠিন এবং বাস্তব সত্য।
ভালো থাকুন ডট কম ০০৯।
১৪| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:১১
তন্দ্রাহারা বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো।
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ তন্দ্রাহারা।
১৫| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:১৪
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: বিধাতা,
মানুষকে তুমি অশ্রুর বৃষ্টিতে স্নাত করাও। মানুষকে সত্যিকার অর্থেই শ্রেষ্ঠ জীব হওয়ার সুযোগ দাও। মানুষের মধ্যে মানবিকতা জাগিয়ে তোল বারবার। তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না!
বিধাতা শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েই সৃষ্টি করেছেন মানুষকে, আমরাই সেই শ্রেষ্টত্ব নষ্ট করেছি, করছি।
অনেক সুন্দর লেখা।
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭
সরলতা বলেছেন: বিধাতা শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েই সৃষ্টি করেছেন মানুষকে, আমরাই সেই শ্রেষ্টত্ব নষ্ট করেছি, করছি।
সহমত সকাল ভাই।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
১৬| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩৪
ছবদার ডাক্তার বলেছেন: onek din pore blog e valo kono lekha chokhe porlo.....thanx.....apni kon medical e?.....mijan sir ba mokhles sir er cls korcn??
১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩৯
সরলতা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
ডিএমসি তে পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি ভাই। আমি ইব্রাহিম মেডিকেলে পড়ি। যেহেতু ঢাকা মেডিকেল এবং সলিমুল্লাহ মেডিকেল ছাড়া অটোপসি অন্য কোথাও হয়না তাই পোষ্টমর্টেমের জন্য আমাদেরকে ডিএমসি তে যেতে হয়।
মিজান স্যারকে নিয়ে কিছু বলার নাই। উনি লাষ্ট সেকেন্ড প্রফ পর্যন্ত আমাদের এক্সটার্নাল হয়েছেন। উনার নাম শুনলে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হই। তবে এবার শুনলাম উনি রিটায়ার করেছেন।
ভালো থাকুন।
১৭| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩৬
এম চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার প্রকাশ!
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ।
প্রোপিকের বাবুটা খুব কিউট।
১৭ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৫৯
সরলতা বলেছেন: ভাই,ঘন ঘন প্রোপিক বদলানো ভাল না। দেখেন তো কেমন লজ্জাতে পড়সি এখন?
১৮| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৬
রুমী হাসান বলেছেন: চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। আমি ২০০৫ সালে এই মেডিকেল থেকে পাস করে এখন আবার এখানে পোস্টিং এ আছি। তোমার লিখার হাত ভালো। কিন্তু ভাই তুমি এভাবে এই জিনিসগুলো Blog এ শেয়ার করতে পারো কি? আমরা ডাক্তারি পড়েছি বলে ওইগুলি আমাদের দেখতে হয় এবং অদূর ভবিষ্যতে আরো অনেক কিছুই দেখবে। কিন্তু সেগুলো প্রকাশ্যে প্রকাশ করাটা আমি যতদূর জানি Professional Infamous Conduct এর মধ্যে পরে। আমার ভুল ও হতে পারে। তবে জিনিসগুলা নিজের মধ্যে রাখাটাই আমার কাছে সমীচীন মনে হয়। শুভ কামনা রইল পরের পোস্ট এর জন্য
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৬
সরলতা বলেছেন: ভাইয়া আপনাকে ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য। আমি আসলে ঢাকা মেডিকেলে পড়িনা,ইব্রাহিম মেডিকেলে পড়ি। পোষ্টমর্টেমের জন্য ডিএমসি যেতে হয়।
আমার লেখাটা মনে হয় Professional Infamous Conduct এর আওতায় পড়ে যেতে পারে। আমি ঠিক সিউর না। তবে কি ভাইয়া,আমি কিন্তু এখানে যা দেখেছি সব বলিনি,বলা সম্ভব না। এর চেয়ে পোষ্টমর্টেম নিয়ে মানুষ অনেক বেশি জানে যেকোন থ্রিলার মুভি থেকে। আমি কোন মৃতদেহের নাম বা পরিচয় উল্লেখ করিনি।
অনেক ভাল থাকুন।
১৯| ১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৫৭
সাইফুলহাসানসিপাত বলেছেন: অনুভূতিগুলো অসম্ভব সতস্ফূর্ত ভাবে প্রকাশ করেছেন।খুব ভাল লাগল।
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ।
২০| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:০৮
মু. নূরনবী বলেছেন: অসম্ভব ভালো লাগল...... 
খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন>>>
আপনার মত যদি আমাদের সমাজের সবাই ভাবতে পারতো.....
প্রিয়তে রাখলাম.......
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬
সরলতা বলেছেন: লেখাটা কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ নূরনবী ভাই।
প্রিয়তে রাখার জন্য ধন্যবাদ।
আমি ও সমাজের বাইরে নই। একইভাবে ভাবি। তাই মৃতদেহ দেখে এসে চটপটি খাই।
ভাল থাকুন।
২১| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৪
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
কি মন্তব্য লিখবো বুঝতে পারছিনা।
এমন বাস্তবতার মুখোমুখি হইনি কোনদিন। তবে এটা নিয়ে তোমার এমন ভাবনা ভালো লাগলো।
যখন তুমি এমনি দেখবে প্রতিদিন, অথবা খুব বড় একজন প্রফেশনাল ডাক্তার হবে, তখন এসব তোমার মনে দাগ কাটবে না মোটেও, অথবা সে সময় হবে না ভাববার।
তবে তোমার কাছে আমার চাওয়া : এমনি মানবিক ভাবনা যেন থেকে যায় তোমার মাঝে আজীবন।
লেখা ভালো লেগেছে খুব।
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৮
সরলতা বলেছেন: যখন তুমি এমনি দেখবে প্রতিদিন, অথবা খুব বড় একজন প্রফেশনাল ডাক্তার হবে, তখন এসব তোমার মনে দাগ কাটবে না মোটেও, অথবা সে সময় হবে না ভাববার।
একদম ঠিক বলেছেন আঙ্কুল। মানুষ বদলে যায়। হয়তো একসময় মনেই পড়বেনা মৃতদেহ দেখে এসে মন খারাপ হলে আমি ব্লগ লিখতাম।
শুভকামনা আঙ্কুল।
২২| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৩২
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: seser ongsotuku ato chomotkar likhecho apu......
bristi chai asolei bristi hok.
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫১
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ মাহী আপু।
২৩| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: মর্গের মরা লাশ দেখার থেকেও বেশী কষ্ট পেয়েছি ঢামেকে চোখের সামনে মানুষের মৃত্যুযন্ত্রনা দেখ।অনেক বিনিদ্র রজনী মেডিকেলের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে হেটে গেছি। একসময় নিজেই অনেক কঠিন হয়ে যাই। অন্যের কষ্টে আর কষ্ট অনুভূত হয় না।
লাশ কাটার ভিডিও কি আছে? দেখতে চাই 
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০১
সরলতা বলেছেন: ঠিক বলেছেন ডেমোন ভাই,অন্যের কষ্ট আর অনুভূত হয়না। কিন্তু আপনি কি মেডিক্যালে পড়তেন? জানিনা তো!
লাশ কাটার ভিডিও ১৮ প্লাস। আপনার জন্য না!
২৪| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:২৩
ভুত. বলেছেন: তোমার লেখাটা খুব ভাল হয়েছে আপু, কিন্তু লেখাটা পড়ে কেমন যেন লাগল। এমনিতেই জ্বর আর মাথা ব্যথায় জান তেজপাতা, এখন মনে হচ্ছে ঘুমালে নিশ্চিত দুঃস্বপ্ন দেখব।
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:২৬
সরলতা বলেছেন: ঘুমাতে হবেনা ভূতনী। জেগে থাক। নাহলে চোরে এবার আইপড ও নিয়ে যাবে!
২৫| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩৫
সায়েম মুন বলেছেন: লাশকাটা ঘরের গল্প জানলাম। জানলাম মৃত মানুষদের নিয়ে জীবিতদের ভাবনা। আমরা শ্রেষ্ঠ জীবের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার মত যোগ্যতা হারাচ্ছি নিয়ত।
ভাল লিখেছেন সরলতা।
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫৬
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ সায়েম ভাই।
২৬| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪১
রিয়েল ডেমোন বলেছেন: না আমি মেডিকেলে পড়তাম না। আমার মেডিকেলের বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতাম রাত জেগে। তাছারা আমার বড় কাজিন গাইনি বিভাগের ড:। মেডিকেলের গেটের সামনের টং দোকানে বসে ভোরের প্রথম সিগারেট খাওয়া হতো
আমিযে ১৮ + হইনাই জানলাম
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:২২
সরলতা বলেছেন: আমার ব্লগে আপনি আবার সিগারেট নিয়ে আসছেন?!!
২৭| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩
জয় রাজ খান বলেছেন: আমি লাশ দেখলে অনেক ভয় লাগে। অনেক আত্মীয় স্বজনের লাশ দেখেছি! সব থেকে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল অনেকের কবরে মাটি পর্যন্ত দিতে পারিনি. এতো বেশী কান্নাকাটি করি অসুস্থ হয়ে যাই।
তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না! লেখা ভয়ানক হয়েছে :-&
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:২৮
সরলতা বলেছেন: লাশ দেখলে আমার ও অনেক ভয় লাগে ভাইয়া।
লেখা ভয়ানক হয়েছে??!!
২৮| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩
আদ্রিতা বলেছেন: আগের শিরোনাম, আগের ছবিটাই আমার ক্যানো য্যানো বেশী ভালো লেগেছিলো। একটা তেজ ছিলো। ঝাঁঝালো
১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০১
সরলতা বলেছেন: আদ্রিতা আপু,আমি আসলে শিরোনাম এবং ছবিটা নিয়ে একটু confused ছিলাম। তুমি না বললে হয়তো আর আগেরটা আবার দিতাম না।
thanks আপু। শিরোনামের ব্যাপারে কারো সাহায্য দরকার ছিল। তুমি একদম ঠিক সময়ে help করেছ। (অনেক বেশি হাসি হাসি মুখ)
২৯| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫৯
ছাইরাছ হেলাল বলেছেন:
মানবিকতা অবশ্যই জেগে উঠবে ।
১৩ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২১
সরলতা বলেছেন: মানবিকতা অবশ্যই জেগে উঠবে
সহমত হেলাল ভাই। অনেকদিন পর আমার ব্লগে।
৩০| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০০
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: লাশ কাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে...................
জীবনানন্দের কথা মনে পড়ে গেল কেন যেন ।
১৩ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরুল ভাই। আমার ও কবিতাটার কথা মনে পড়ে গেল। তাই কবিতাটা পোষ্ট করার লোভ সামলাতে পারছিনা।
আট বছর আগে একদিন
জীবনানন্দ দাশ
শোনা গেল লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ ।
বধু শূয়েছিল পাশে, শিশুটিও ছিল;
পেম ছিল, আশা ছিল - জোছনায় - তবু সে দেখিল
কোন ভূত? ঘুম কেন ভেংগে গেল তার?
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল - লাশ কাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার ।
এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি !
রক্তফেনামাখা মুখে মড়কের ইদুরের মত ঘাড় গুজি
আঁধার ঘুজির বুকে ঘুমায় এবার ;
কোনদিন জাগিবে না আর ।
‘কোনদিন জাগিবে না আর
জানিবার গাঢ় বেদনার
অবিরাম অবিরাম ভার
সহিবে না আর -’
এই কথা বলেছিল তারে,
চাঁদ ডুবে গেলে - অদ্ভুত আঁধারে
যেন তার জানালার ধারে
উটের গ্রীবার মত কোন এক নিস্তব্ধতা এসে ।
তবুও তো পেঁচা জাগে;
গলিত স্থবির ব্যাংগ আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে
কয়েক্টি প্রভাতের ইশারায় -অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে ।
টের পাই যূথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদ্দেশে
চারি দিকে মশারির ক্ষমাহীন বিরুদ্ধতা;
মশা তার অন্ধকার সঙ্ঘারামে জেগে থাকে জীবনের স্রোত ভালবেসে ।
রক্ত ক্লেদ বসা থেকে রৌদ্রে ফের উড়ে যায় মাছি ;
সোনালী রোদের ঢেইয়ে উড়ন্ত কীটের খেলা কত দেখিয়াছি ।
ঘনিষ্ট আকাশ যেন, কোন বিকীর্ণ জীবন
অধিকার করে আছ ইহাদের মন ।;
দুরন্ত শিশুর হাতে ফড়িংযের ঘন শিহরন
মরনের সাথে লড়িয়াছে ।
চাঁদ ডুবে গেলে প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বত্থের কাছে
এক গাছা দড়ি হাতে নিয়ে গিয়েছিলে তবু একা একা,
যে জীবন ফড়িংযের দোয়েলের - মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা ,
- এই জেনে ।
অশ্বথের শাখা
করেনি কি প্রতিবাদ? জোনাকীর ভিড় এসে
সোনালী ফুলের স্নিগ্ধ ঝাকে
করে নি কি মাখা মাখি ?
থুর থুরে অন্ধ পেঁচা এসে
বলে নি কি ‘ বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?
চমৎকার! —
ধরা যাক দুই একটা ইদুর এবার !’
জানায় নি কি পেঁচা এসে এ তুমুল গাঢ় সমাচার ?
জীবনের এই স্বাদ - সুপক্ক যবের ঘ্রাণ হেমন্তের বিকেলের -
তোমার অসহ্য বোধ হল;
মর্গে কি হৃদয় জুড়ালো
মর্গে - গুমোটে
থ্যাঁতা ইদুরের মত রক্তমাখা ঠোটে !
শোনো
তবুও এ মৃতের গল্প; - কোন
নারীর প্রণয়ে ব্যর্থ হয় নাই ;
বিবাহিত জীবনের সাধ
কোথাও রাখেনি কোন খাদ ।
সময়ের উদবর্তনে উঠে আসে বধু
মধু - আর মননের মধু
দিয়েছে জানিতে;
হাঢ়াভাতের গ্লানি কোন বেদনার শীতে
এ জীবন কোন দিন কেপে ওঠে নাই;
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শূয়ে আছে টেবিলের ‘পরে ।
জানি - তবু জানি
নারীর হৃদয় - প্রেম -শিশূ - গৃহ- নয় সবখানি;
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয় -
আরো এক বিপন্ন বিষ্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
ক্লান্ত ক্লান্ত করে ;
লাশ কাটা ঘরে
সেই ক্লান্তি নাই,
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শূয়ে আছে টেবিলের ‘পরে ।
তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি, আহা,
থুরথুরে অন্ধ পেঁচা অশ্বত্থের ডালে বসে এসে,
চোখ পাল্টায়ে কয়ঃ ‘ বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?
চমৎকার! —
ধরা যাক দুই একটা ইদুর এবার –!’
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব - বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।
৩১| ১৩ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:২১
শোশমিতা বলেছেন: লিখা পড়ে একটু ভয় ভয় লাগছে আপু :-&
মানুষকে তুমি অশ্রুর বৃষ্টিতে স্নাত করাও। মানুষকে সত্যিকার অর্থেই শ্রেষ্ঠ জীব হওয়ার সুযোগ দাও। মানুষের মধ্যে মানবিকতা জাগিয়ে তোল বারবার। তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না!
এই কথা গুলা অনেক সুন্দর, সত্য।
১৩ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫
সরলতা বলেছেন: ভয় আমার ও লেগেছে আপু পোষ্টমর্টেম দেখার সময়।
সবসময় ভালো থেক। শুভকামনা!
৩২| ১৩ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪১
লেডি বার্ড বলেছেন: লেখা ছবি দুইটাই অনেক ডরের হইছে। :-&
তারপরেও লেখা অনেক ভালো হইছে।
১৩ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪২
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ লেডি বার্ড।
৩৩| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৩১
দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: দারুণ!
১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৪৯
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ ডাচম্যান ভাই।
৩৪| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৩৯
ছোট ভাই বলেছেন: আপু রক্ত কথাটা শুনলেই গা একদম শিরশিরিয়ে উঠে আর লাশ তো তো অনেক দূরের কথা।
কিন্তু এসবের পরও লেখাটা খুব ভাল লাগল। বাস্তব ঘটনা যেটা আমাদের কাছে খুব সাধারণ মনে হয় তার মাঝেও যে কত অসাধারণ মর্ম লুকিয়ে আছে সেগুলো খুব সুন্দর করে করে লিখেছেন আপু।
১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৯:০৪
সরলতা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
অঃটঃ তোমার ব্লগে যেয়ে একটা গিফট দিইয়ে আসার চিন্তাভাবনা করছি। কিন্তু কি দিব বুঝতে পারছিনা।
৩৫| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৯:০১
অন্ধ তীরোন্দাজ বলেছেন: আমিও যাই মাঝে মাঝে লাশকাটা ঘরে..
১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৯:০৫
সরলতা বলেছেন: এই কমেন্ট টা পড়ে কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছিনা। আসলে জেনে খুশি হলাম--এই টাইপ মন্তব্য করা যায় কিনা সেটা চিন্তা করছি।
৩৬| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৯:১৩
ছোট ভাই বলেছেন: আপু, আপনার লেখাগুলোর থেকে সুন্দর গিফট আর কিছু হতে পারে না।
আপনি ব্লগে এরকম আরও অনেক সুন্দর সুন্দর লেখা লিখতে থাকুন। এটাই সবচে বড় গিফট।
১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৯:১৭
সরলতা বলেছেন: বাহ! তুমিই তো আমাকে এত্ত সুন্দর একটা কমেন্ট গিফট দিয়ে দিলে।
আচ্ছা দাঁড়াও,তোমার গিফট পরের মাসের জন্য পাওনা রইল।
৩৭| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৯:১৩
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: আমরা আজকাল সবকিছুতেই বড় নির্লিপ্ত। কিছুতেই কিছু আসে যায় না। লাশকাটা ঘরের লাশগুলোর মতই আমরা নির্বিকার বয়ে বেড়াই আমাদের বোধহীন দেহ।
লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে সরলতা। সরল করে কঠিন সত্য বলা।
ভাল থেকো।
১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৯:২২
সরলতা বলেছেন: আপনার কমেন্টটাও খুব ভালো লাগল আপু।
অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা আপনার জন্য।
৩৮| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৯:২২
ইনকগনিটো বলেছেন: যেখানে ৪ দিন গিয়েছ ,সেটার পাশ থেকে প্রতিদিন লেকচার ক্লাসে যেতে হয়।
কি বলবো আর ? এখানে আকাশে বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ ভাসে। আমার ভালো লাগেনা,অনুভুতিগুলো চেপে রাখি নিজের মাঝে , পালিয়ে বেড়াই প্রতি মুহূর্তে , যেন কিছু দেখিনি আমি , কিছু জানিনা আমি।
১৩ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৪০
সরলতা বলেছেন: জানি ভাইয়া,তোমাদের লেকচার হল দেখে এসেছি। অনেক সুন্দর।
সব হাসপাতাল গুলোতেই আকাশে বাতাসে মৃত্যুর গন্ধ ভাসে। প্রতিদিন মানুষের আহাজারি শুনে আমি বাড়ি ফিরি। শুধু হাসপাতালেই না,সব জায়গাতে এখন মানুষের আর্তনাদ।
ভালো থেক।
৩৯| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১০:১০
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: শুরুটাই অন্যরকম। ধরে রাখল পুরো লেখায়। মানুষের মত খুব কম প্রাণীর দর্পন নিউরন আছে । কিন্তু সে শুধু বিনোদনেই ব্যবহৃত হয়। ছবি গল্প বা সঙ্গীতে উপভোগ্য কান্না থাকে। বাড়ির পাশের ড্রেনে মরে থাকা নেশাখোরটার দেহ দেখে দ্রুত নাক চেপে ঘরে ঢুকে এসি ছেড়ে দেই।
জানিনা স্বার্থপর বিছানায় মানবিক অনুভবগুলো ঘুমিয়ে থাকলে কোনো ঈশ্বর তাকে জাগাতে পারে কিনা।
১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৫০
সরলতা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ স্বদেশ ভাই।
দর্পণ নিউরণ পড়তে যাচ্ছি।
আপনার মন্তব্য মুগ্ধ করল।
৪০| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৩৪
নীরব 009 বলেছেন: তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না!
কখনো কখনো নিজের স্বজনও কাঁদে না
ঐ ঘর থেকে বের হয়ে কিভাবে মানুষ ফুচকা চটপটি খেতে পারে 
অবশ্য ডাক্তারদের অনেক কিছুই করতে হয়।
১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৫৪
সরলতা বলেছেন: আসলেই কিভাবে যে খেতে পারি!
আমি অবশ্য ঐদিন ফুচকা খেলেও বাসায় এসে ভাত খেতে পারিনা। হালকা কিছু খাই। দেখেন তাহলে আমি কেমন মানবিক? ফুচকা খাই,কিন্তু ঢং করে ভাত খাইনা! 
ভালো থাকুন!
৪১| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৫৮
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: আপুনি, তুমুল ঝড়ের সাথে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এই কিছুক্ষণ।
তোমার লেখাটা পড়া শুরু করার আগে ভেবেছিলাম বলবো, ভয়ের গল্প আমি লিখতে পারিনা। কেন যেন মনে হয়, সেরকম কিছু লিখলে নিজের জীবনেও ঘটবে সেরকম কোন ভয়ংকর ঘটনা!! 
পড়তে পড়তে অবশ্য ধারণা পালটে গেলো।
আমরা মানুষরা কিভাবে আরেকজন মানুষকে পশুর মত হত্যা করতে পারি?? আমার মাথাতেই আসে না বিষয়টা!!! 
১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৬
সরলতা বলেছেন: হ্যাঁ আপু। খুব বাতাস। ভালো লাগছে ঝড়টা।
রাতের বেলা আজকে ঘুমাতে পারবে তো এই লেখা পড়ে?
আমার ও মাথায় আসে না আপু,মানুষ কিভাবে খুনী হতে পারে।
ভালো থেক,অনেক ভালো।
অঃট; আপু,তুমি করেই বলি তোমাকে। আমাকে কেউ তুমি করে বললে আমিও বেশিক্ষণ আপনি আপনি করতে পারিনা।
৪২| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৩৭
দূর্বাঘাস বলেছেন: কতটা যন্ত্রনা পেয়ে পেয়ে তিলে তিলে একটা মেয়ে নিজেকে নিঃশেষ করেছে তা ভাবার অবকাশ আমাদের—জীবিত মানুষদের নাই। খুব জানতে ইচ্ছা করে—আজ আমাদের সাথে এই মরে যাওয়া মেয়েটি দাঁড়িয়ে থাকলে সে কি আমাদের মত করেই ভাবত?
নিষ্ঠুর এ পৃথিবী, নিষ্ঠুর তার স...ব বাসিন্দা। কি অবলীলায় ঘটে যায়, রটে যায় শত প্রলাপ কিংবা বিলাপ। তবু নিশ্চল পড়ে থাকে এ ধরা, নাই কোন প্রতিবাদ, প্রতিরোধ। অছে শুধু প্রতিশোধ, পরের তরে কিংবা নিজের তরে!! অবগুন্ঠিত এ সমাজ, নাহি কিছু দেখিবার, দু'চোখ মেলিয়া।
ভালো থেকো সব সময়। বদলে যেও না!!! 
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:০৭
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪৩| ১৩ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৪৫
সৈয়দ রাকিব বলেছেন:
সরলতা,
লেখায় আপনি যে কোন দৃশ্যপট অনেক ভাল করে ফুটিয়ে তুলতে পারেন,আর আপনার লেখা অনেকেই পড়েন।আমিও একজন। লাশ,রক্ত, এই বিষয় গুলো এড়িয়ে কি চলা যায় ??? লেখাটা পড়ার পর থেকে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব কিছু মানুষের পরিনতি র কথা শুনে।
প্রত্যেক জীব কেই তো মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। আল্লাহ র কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন আমাদের ক্ষমা করেন আর সবাইকে স্বাভাবিক মৃত্যু দান করেন।
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১২
সরলতা বলেছেন: রাকিব ভাই,প্রথমেই ধন্যবাদ লেখাটা কষ্ট করে পড়ার জন্য।
আমি ও আসলে লাশ,রক্ত এইসব নিয়ে লিখতে চাইনি। কিন্তু পোষ্টমর্টেম ব্যাপারটা মনে হয় আমাকে বেশ যন্ত্রনা দিয়েছে। তার চেয়েও যন্ত্রনা দিয়েছে পোষ্টমর্টেম দেখে এসে উৎসবমুখর পরিবেশে ফুচকা,চটপটি,আইসক্রীম খাওয়া। নিজের নির্লিপতা দেখে নিজেই অবাক হয়েছি। নিজেকে ঠিক প্রকৃতস্থ মনে হয়নি সেই কয়টা দিন। মানুষ এভাবে মানুষকে মেরে ফেলতে পারে--না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।
মানবীয় গুনাবলী গুলো আমরা হারিয়ে ফেলছি। সেই গুনাবলীগুলো খুব দ্রুত ফিরে পাওয়া দরকার।
আমি অবশ্য-ই এরপর থেকে ভাল লেখা দেওয়ার চেষ্টা করব রাকিব ভাই। আপনার মন খারাপ করিয়ে দেওয়ার জন্য দুঃখিত।
ভালো থাকুন।
৪৪| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:০১
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: হমমমম ( কোনো ইমো নাই তাই চুপপপ আছি )
Professional Infamous Conduct মধ্যে পড়ে না কারন ঘটনার বর্ণনা নয় , বরং তার সাথে চলয়মান মানসিক বহিপ্রকাশ হিসেবে বর্ণনা করবো .................
তবে "Not Suitable" "Recommended to not Disclose "
খি খি কুর্টের ভাষায় কইলাম কুঠিন ভাষা
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৩
সরলতা বলেছেন: ভাই আমার রাষ্ট্রপ্রধান!
৪৫| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:০৬
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: তবে ভাবনা গুলো ভালো লাগলো আপু...................
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৪
সরলতা বলেছেন: থ্যাঙ্কু ভাইয়া। চেনা-জানা কারো কাছে কম্পলিমেন্ট পেতে ভালো লাগে।
৪৬| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২২
নাসরীন খান বলেছেন: কোন অপমৃত্যু না হোক পৃথিবীতে ,প্রতিদিন কখনো না কখনো প্রার্থনা করি তবু ঘটছে । পৃথিবীর মানুষগুলি কেন সভ্য হয়না ,কেন কষ্ট দেয় অন্যকে ?কেন ঝরায় রক্ত?
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪৯
সরলতা বলেছেন: কি জানি! কেন যে আমরা এরকম?
৪৭| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:২৯
কথক পলাশ বলেছেন: Co-incidence, ami thik erokom e ekta likhar jonno electricity'r opekkha korchhi.
Picchi apu, tomar likha pore chokhe pani eshe gelo.
Nochiketa'r gan 'nilanjona-3 er kotha mone porchhe.
'lash kata ghore jodi chera hoy tar buk shongopone,
dekhbe shekhane rakha, biborno ek mutho swopno jotone.'
amar likhata likbo na. Tomar cheye valo kore likhte parbona.
Ami borong onno kichhu likhi.
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৫৪
সরলতা বলেছেন: পলাশ ভাই,আপনার লেখাটাও লিখুন। আমি মোটেও ভাল করে লিখতে পারিনি। যা মনে এসেছে লিখে ফেলেছি।
নচিকেতার গানটা আমার খুব প্রিয়। নচিকেতার সব গানই আমার আসলে ভালো লাগে।
ভালো থাকুন পলাশ ভাই।
৪৮| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩২
সৈয়দ রাকিব বলেছেন:
সরলতা আপনার ই- মেইল আইডি টা কি পেতে পারি...?
[email protected]
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৫৫
সরলতা বলেছেন: আমি দুঃখিত রাকিব ভাই। ব্লগ জীবন আর ব্যক্তিগত জীবনকে আলাদা রাখতেই আমার ভাল লাগে।
আশা করি কিছু মনে করবেন না।
৪৯| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩৭
সাধারণমানুষ বলেছেন: বড়ই অদ্ভুত এই দুনিয়া ............
ভালো লাগলো লেখাটা
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৫৭
সরলতা বলেছেন: ভাল লাগল শুনে ভাল লাগল ভাই।
৫০| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১:০৯
ইষ্টিকুটুম বলেছেন: তুমি করে বলার জন্য তোমাকে ১০০টা গোলাপের শুভেচ্ছা। আমারো 'তুমি' সম্বোধনটা খুব পছন্দ। :#>
মিষ্টি মেয়ে ভালো থেকো। শুভ রাত্রী। 
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৫
সরলতা বলেছেন: শুভ দুপুর ইষ্টিকুটুম আপু!
৫১| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১:২৬
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ঢাকা মেডিকেল কলেজের ক্যান্টিনে খাইতে গিয়ে লাশকাটা ঘর দেখে ভয় পাইছিলাম কিছুটা।
মানুষ কয়দিন পরে কেবল নিজের না পাওয়াতে কষ্ট পাবে...
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৭
সরলতা বলেছেন: মানুষ কয়দিন পরে কেবল নিজের না পাওয়াতে কষ্ট পাবে...
সহমত শামীম ভাই!
৫২| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১:৩৮
ছোট ভাই বলেছেন: আমিও তুমি করে বলতে চাই সরলতা আপু। অনুমতি চাই......
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৯
সরলতা বলেছেন: খুশিমনে অনুমতি দেওয়া হল ছোট্ট ভাইয়াকে।
৫৩| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪৫
অলোক মিস্ত্রী বলেছেন: গল্পটা ভাল লাগল তবে একটু ভুল আছে, রক্ত টপটপ করে পড়া কোন তাজা লাশ ডাক্তারিতে কাটা হয়না। মানুষেররক্ত জমাট বাধতে বেশিসময় লাগেনা। ভয়াবহতা বুঝাতে এটা বলা হয়েছে কিন্তু বর্ণনা ভুল তথ্যে্্
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৩
সরলতা বলেছেন: ভাইয়া,আপনি ডক্টর কিনা জানিনা। সেটা না জেনেই বলছি--যদি ব্রেইনে হেমোরেজ হয় তাহলে অবশ্য-ই ব্রেইন থেকে রক্ত পড়ার কথা। আর লাশ তাজা-ই ছিল মোটামুটি, ১৯ ঘণ্টা পরে পোষ্টমর্টেম করা হয়েছে। তখনো মনে হয় ব্লাড ক্লট করে যায়নি। তাই আমরা নিজ চোখে রক্ত পড়তে দেখেছি।
আমার লেখায় প্রচুর ভুল থাকে স্বীকার করি,তবে মেডিকেল বিষয়ক লেখাগুলো ভুলহীন ভাবে লেখার জন্য আমি সাধ্যমত চেষ্টা করি।
ধন্যবাদ।
৫৪| ১৪ ই মে, ২০১১ ভোর ৫:২৫
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: মানুষকে তুমি অশ্রুর বৃষ্টিতে স্নাত করাও। মানুষকে সত্যিকার অর্থেই শ্রেষ্ঠ জীব হওয়ার সুযোগ দাও। মানুষের মধ্যে মানবিকতা জাগিয়ে তোল বারবার। তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না
নির্মম সত্য!আমার বেস্টফ্রেন্ড মেডিকেলে পড়ে,প্রথম প্রথম এসে বলত।এখন মনে হয় সয়ে যাচ্ছে।বলে-এখন করতে হবে,সেটাই বেশি মনে হয়,মানুষ কিংবা লাশ এরকম আর ভয় করেনা সেরকম।আসলেই কি?নাড়াচাড়া করতে করতে কি মানুষের বদলে পরীক্ষণের বস্তুই বেশি মনে হয়?
অ:ট: আমি তুমি একব্যাচ নাকি?
তোমার আমার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্য মিলে যায়
ভাল থেকো আপু।!
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৬
সরলতা বলেছেন: আপু,তোমার বন্ধুটি একদম ঠিক বলেছেন। মানুষ বা লাশকে আমরা পরীক্ষনের বস্তু-ই মনে করি। তবে অবশ্য-ই যথাযথ সম্মান বজায় রেখে। মানুষ-ই তো আমাদের পড়ালেখার মাধ্যম।
অঃটঃ আপু তুমি মনে হয় আমার চেয়ে সিনিয়র। তোমার কোন এক কমেন্টে দেখেছিলাম তুমি বুয়েট থেকে পাশ করে বের হয়ে গেছ। আর আমি মাত্র মেডিকেল থার্ড ইয়ার। আমার এইচ এস সি ২০০৮ সাল।
৫৫| ১৪ ই মে, ২০১১ ভোর ৫:২৬
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: আর হ্যাঁ ছবিটা একদম মানানসই।কেমন যেন মন খারাপ করে চুপ করে দেয়া টাইপ
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
সরলতা বলেছেন:
৫৬| ১৪ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৫২
ভুত. বলেছেন: আপু এর আগের নামটা আমার কাছে অনেক ভাল লেগেছিল।
আমি জানালার কাছে কিছু রাখব না, তাই ঘুমালেও সমস্যা নেই
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৭
সরলতা বলেছেন: হায়রে! দুই পিচ্চি কে নিয়ে আমি যে কি করি!
ভূতনী আপু, ২৮ নং কমেন্ট টা পড়ে এস কষ্ট করে।
এর পরের বার কোন নাম পছন্দ না হলে জানিও,তখন তোমার কথা রাখা হবে।
শরীর কেমন এখন? জ্বর কমেছে?
৫৭| ১৪ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:৫৫
পৃথিলা আফনান বলেছেন: আপি, বরাবরের মতই অসাধারন লাগলো লেখাটা। আর কবিতাটার জন্য স্পেশাল থ্যাংকস। আর আগের কমেন্ট গুলো মুছে দিয়ো, কেমন?? 
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫১
সরলতা বলেছেন: হ্যাঁ আপু,কমেন্ট গুলো মুছে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তোমার অনুমতির না পাওয়ায় মুছতে পারিনি। এখন মুছে দেব।
ভাল থেক।
৫৮| ১৪ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫২
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: আপনিতো আমাকে বোকা বানিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। কমেন্ট করে আবার ফিরে এসে দেখি লেখার হেডিং আর ছবিটি অন্য রকম, ভাবলাম নতুন পোষ্ট হবে, পড়া শুরু করলাম। দু'লাইন পড়েই বুঝতে পারলাম আরে লেখাতো পড়েছি একটু আগেই। রিফরেশ দিলাম ব্লগটাকে এবং আমার মাথাটাকেও। নীচে আমার কমেন্টাও। প্রথমটাই দারুন (এখনেরটা) ছিলো।
তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না!
আসলেই
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৮
সরলতা বলেছেন: হাহাহা! আসলে সকাল ভাই শিরোনাম বা ছবি দুটো নিয়েই কনফিউজড ছিলাম। আদ্রিতা আপু এসে কনফিউসন দূর করেছে।
আবার এসে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৫৯| ১৪ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:৫৯
ডেইফ বলেছেন:
কিছু লেখা থাকে যেগুলোতে কিছু বলা যায় না বা বলার থাকেনা।
তেমনই লেখা লিখলেন আপনি সরলতা।
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫০
সরলতা বলেছেন: বলে ফেলে কি ভুল হয়ে গেছে দাইফ ভাই?
শুভকামনা।
৬০| ১৪ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৩৯
ইমির বলেছেন: তোমার নাম কি জানতে পারি?গত বছর আমরাও অটপসি করতে ডিএমসি তে গিয়েছিলাম...তখন মিজান স্যার ছিল।সেইম কন্ডিশন ফেইস করেছি। একটা ডেড বডি ছিল শিক্ষক মিজানুর রহমানের। ইভ টিজিং এর প্রতিবাদ করার জন্যে উনার উপর মোটর সাইকেল তুলে দেয়া হয়েছিল। এখন ও মনে পড়ে। তুমি আই এম কত?
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯
সরলতা বলেছেন: ইমির ভাইয়া,ব্লগে তো নাম বলা যাবেনা। তবে আপনি কলেজ গেলে এবারের পহেলা বৈশাখের ওয়াল ম্যাগাজিনে একটু চোখ বুলিয়ে "মানুষ" লেখাটা যে লিখেছে তার নাম পড়ে নিলেই আমার নাম জানতে পারবেন।
আমরা এবার গিয়েছি ভাইয়া। আমি IM-8। ব্লগে সার্জা ভাই ছাড়া এই প্রথম IMC এর সিনিয়র কাউকে পেলাম। ভালো লাগল। আপনি নিশ্চয়ই IM-7?
আমাদের অটোপসির সময় অনেক বড় বাঁচা বেঁচে গেছি যে মিজান স্যার ছিলেন না। কাজল কান্তি স্যারের থেকে শুনেছি আগের বার কি ভয়াবহ অবস্থা হয়েছিল অটোপসির সময়।
সেকেন্ড প্রফের জন্য শুভকামনা রইল।
৬১| ১৪ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:৪৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ভয়ঙ্কর বিষয়।
লাশ শব্দটাই ভয় পাইয়ে দিতে যথেষ্ট, আর লাশ কাটা তো আরো ভয়াবহ রকমের ভয় আনে।
তবুও পড়লাম। শেষাংশটা অনেক সুন্দর হয়েছে।
প্রার্থনাটা দারুন।
১৪ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২০
সরলতা বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ দূর্জয় ভাই।
ভালো থাকুন।
৬২| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:২৪
অনিক বলেছেন: লেখার শিরোনাম পড়েই গা ছম্ ছম্ করছে। পড়বো কিনা ভাবছি। আমার আবার কাটাছেঁড়া দেখলে একটুতেই গা গুলিয়ে যায়।
রাজশাহী শহরে সদর হাসপাতালের উত্তর দিকে ছোট্ট একটা মাঠের কোণে ছিল লাশ কাটা ঘর। আমি জীবনেও রাতের বেলা ঐ রাস্তা দিয়ে বাড়ী ফিরতাম না। একবার রাজশাহী শহরের সোনাদিঘী মোড়ে পৌর অফিসের পেছনে এক ব্যক্তি গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস নিয়েছিল সবাই বলাবলি করছিল ফাঁসিতে ঝুলার পর লাশের জিহ্বা বের হয়ে ছিল। একথা শোনার পর আমি স্বপ্নে ও কল্পনায় কতবার যে ফাঁসিতে ঝুলা অবস্থায় মানুষ দেখেছি তার হিসেব নেই। বহুদিন পর্যন্ত ওদিকে গেলেই কেমন ভয় লাগতো। এই হলো আমার অবস্থা। ভার্সিটি ছাড়ার পর অনেকটা সাহসী হয়ে উঠেছি তবুও ততটা নয়।
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৬
সরলতা বলেছেন: পড়েন দাদা,প্লীজ। লেখাটা অত ভয়ের না।
কিন্তু আপনার কমেন্ট পড়ে এই ভরদুপুরেই ভয় ভয় লাগছে।
অঃটঃ দাদা আপনার বাড়ি কি রাজশাহী? আমার দেশের বাড়ি রাজশাহীতে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
৬৩| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:৪৫
পুবের পাহাড় বলেছেন: না! সবাই এক রকম ভাবে না।
...মানুষের বাঁচা-মরা এখনো ভাবিয়ে তুলে
আমাদের ভালবাসা এখনো গোলাপে ফোটে...
অনেক ভাল হয়েছে লেখাটা..প্লাস! আর অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:১১
সরলতা বলেছেন: সবাই এরকম ভাবে ভাবেনা--সহমত পুবের পাহাড়। তাই আমার লেখা পড়ে অনেকেই শিউরে উঠেছেন।
তবে মৌসুমী ভৌমিকের গানটাতে কিন্তু আমাদের ভালোবাসা ছিলনা--তোমাদের ভালোবাসা এখনো গোলাপে ফোটে ছিল।
আমি শুনেছি তোমরা নাকি এখনও স্বপ্ন দ্যাখো,
এখনও গল্প লেখো, গান গাও প্রাণ ভরে,
মানুষের বাঁচা মরা এখনও ভাবিয়ে তোলে,
তোমাদের ভালবাসা এখনো গোলাপে ফোটে|
আস্থা-হারানো এই মন নিয়ে আমি আজ
তোমাদের কাছে এসে দুহাত পেতেছি,
আমি দু’চোখের গহ্বরে শূণ্যতা দেখি শুধু
রাতঘুমে আমি কোনো স্বপ্ন দেখিনা,
তাই স্বপ্ন দেখবো বলে
আমি দু’চোখ পেতেছি|
কাজেই আমরা যারা স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছি,নতুন করে স্বপ্ন দেখার আশায় বুক বাঁধি। শূন্যতা আর ভালো লাগেনা।
আমার ব্লগে স্বাগতম আপনাকে।
৬৪| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:০০
খুশবু বলেছেন: অদ্ভুত ব্যাপার না !একটা মানুষ মরে যাবার সাথে সাথে তার মনের কথা,চিন্তা ভাবনা গুলোও নিয়ে চলে যায় বা বাতাসে ছেড়ে যায় ,যেটা উদ্ধার করে জানার মত উপায় নাই । এসব নিয়ে ভাবার ও সময় আমাদের নেই ।যে নিজেকে গুটায় পাটায় চলে গেলো তাকে মনে রাখে কে।
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:১৩
সরলতা বলেছেন: বাহ! খুব সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন আপু লেখাটার। অনেক ভাল লাগল।
শুভকামনা!
৬৫| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:১২
সুরঞ্জনা বলেছেন: একটা মানুষ মরে গেলেই আর মানুষ থাকেনা। লাশ হয়ে যায়। কি আশ্চর্য্য না?
আমার এক সম্পর্কিয় নাতনী লাশকাটার অনেক ছবি তুলেছিলো। তাতে একটা তরুনীর পেট কেটে ৪/৫ মাসের বাচ্চা পাওয়া গিয়েছিলো। সে ছবিও দেখেছি। দেখার সময়, বা কয়েক ঘন্টা ঘটনাটা মনকে ভিষন খারাপ করে রাখলেও পরে আর মনে ছিলোনা।
তোমার ঐ পোস্ট পড়ে আবার মনে পড়ে গেলো।
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭
সরলতা বলেছেন: আসলেই অদ্ভূত দিদি। মানুষ মরে গেলে সে একটা লাশ হয়ে যায়। সব কিছু থেকে বিচ্ছিন্ন একটা দেহ।
আপনার কমেন্টটা পড়ে খুব মন খারাপ হল দিদি।
অনেক ভালো থাকুন।
৬৬| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:১৮
অনিক বলেছেন: পড়েছি। হুমম্ আসলেও তেমন ভয়ের কিছু পেলামনা তবে হরপুন টাইপের কিছু একটা দিয়ে (সম্ভবত মাছ মারার "ফচকা") চোখে আঘাত করে মৃত্যুর বিষয়টি সত্যিই রোমহর্ষক। ভাবতেই গা শিরশির করে ওঠে।
আমার দেশের বাড়ী রাজশাহী শহরে। আমার শাশুড়ীর দেশ চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪১
সরলতা বলেছেন: বাহ! দাদা আপনি একদম ঠিক ধরেছেন। চর এলাকায় জমি দখল নিয়ে ঝামেলা হলে ঐ ঠেডা বা হরপুন বিদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়।
দাদা মুগ্ধ হলাম। আসলেই বড় লেখকেরা লেখা পড়েই অনেক কিছু অনুমান করেন,অনুমান সঠিক হয় বলাই বাহুল্য। মাছ মারার ঐ ঠেডার সাথে আমার নিজের আগে কোন পরিচয় ছিলনা। মেডিকেলে থার্ড ইয়ারে উঠে জেনেছি।
আমার জন্ম রাজশাহীতে। কিছুটা বড় হওয়া রাজশাহীতে। আমার ফুপু রাজশাহীতে থাকেন। আমার নানী-দাদী দু-বাড়ি-ই চাঁপাই নবাবগঞ্জে।
৬৭| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩৯
ইমির বলেছেন: হুম আমিও ধারণা করেছিলাম তুমি im-8 এ হবা। সার্জা ভাইয়ার সাথে আজকে গাংচিলে অনেক ক্ষণ কথা হল। কফিও খাওয়ালো আমাকে। কাজল কান্তি স্যারের ব্যাচে নাকি তুমি? স্যারের উপর যেই ঝড় গেছে গত বছর তাই উনাকে মাফ করে দিয়েছি। ব্লগে ইব্রাহিম মেডিকেলের কাউকে দেখে ভালই লাগল। এনি ওয়ে তুমি মনে হয় ব্লগে নতুন। আমি এখন খুব একটা আসিনা ব্লগে ।প্রথম দিকে অনেক ব্লগিং করতাম। হ্যাপি ব্লগিং
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪৯
সরলতা বলেছেন: হাহা! আজকে সার্জা ভাইয়া যখন গাংচিলে ছিলেন,মনে হয় সাড়ে এগারটার দিকে,আমরাও গাংচিলে ছিলাম। ওয়ার্ড শেষ করে গাংচিলে গেছিলাম নাস্তা করতে।
কাজল কান্তি স্যার আসলে আমাদের ব্যাচ টিচার না,আমাদের ব্যাচ টিচার অঊরিয়া স্যার। তবে উনি এখন ছুটিতে দেখে কাজল স্যার ক্লাস নিচ্ছেন। কাজল স্যারের কাছ থেকে আমরা গণহারে ০ পাই আইটেমে,এমনকি টার্মের প্র্যাকটিক্যালেও স্যার সবাইকে জিরো দিয়েছেন। ফরেনসিক একটা ভয়াবহ ডিপার্টমেন্ট। বি ব্যাচের ক্লাস নেন বদি স্যার। ভাইয়া বুঝতেই পারছেন--এখন পর্যন্ত বি ব্যাচের সবাইকে প্রত্যেকটা আইটেম দুইবার করে দিতে হয়েছে। 
আমি ব্লগিং করছি তিন মাস দুই সপ্তাহ। মনে হয় বেশিদিন করবনা।
ভালো থাকুন।
৬৮| ১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩
ইমির বলেছেন: আর হ্যা আমি im-7
১৪ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫০
সরলতা বলেছেন:
৬৯| ১৪ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
ডেইফ বলেছেন:
হা হা হা, নাহ, ভুল কেন হবে?
শুভকামনা আপনাকেও।
১৪ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সরলতা বলেছেন:
৭০| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৮:১৯
লিটল হামা বলেছেন: গল্প হিসেবে সাদামাঠা। শুভবোধটুকু বজায় থাকুক। শুভেচ্ছা।
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৮:২৯
সরলতা বলেছেন: অবশেষে তিন মাস ২ সপ্তাহ পর হামা ভাই আমার ব্লগে। স্বাগতম হামা ভাই।
এটা গল্প না,সত্যি।
শুভেচ্ছার জন্য ধন্যবাদ।
৭১| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৪০
আকাশগঙ্গা বলেছেন: অঃটঃ আমি ভাবিনি আপনি আমার মত ক্যাচাল ডেকে আনা ব্লগে আবার কমেন্ট করবেন।
বুঝতে পারলাম না।
আপনার সাথে কি কখনো আমার কোন ঝামেলা হয়েছিল?
আমি দ্রুতই সব কিছু ভুলে যাই!
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৫০
সরলতা বলেছেন: নাহ! তেমন কোন ঝামেলা হয়নি। তবে আপনি তো মনে করেছিলেন আমি ব্লগে ক্যাচাল ডেকে আনছি।
মনে না থাকলে ৪০ নং কমেন্টটা দেখুন
যাইহোক,আপনার লেখার হাত বেশ ভালো। আমি নিজেই আপনার পোষ্টে কমেন্ট করতাম। তবে মেয়েদের নিয়ে আপনি যে ধারণা পোষণ করেন--সেটা যদি করতেই থাকেন,তাহলে আমার ব্লগে আর কমেন্ট না করার অনুরোধ রইল। আশা করি অনুরোধ টুকু মনে থাকবে আপনার।
ধন্যবাদ।
৭২| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৪২
নষ্ট কবি বলেছেন: আট বছর আগে একদিন
জীবনানন্দ দাশ
শোনা গেল লাশকাটা ঘরে
নিয়ে গেছে তারে;
কাল রাতে - ফাল্গুনের রাতের আঁধারে
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হল তার সাধ ।
বধু শূয়েছিল পাশে, শিশুটিও ছিল;
পেম ছিল, আশা ছিল - জোছনায় - তবু সে দেখিল
কোন ভূত? ঘুম কেন ভেংগে গেল তার?
অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল - লাশ কাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার ।
এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি !
রক্তফেনামাখা মুখে মড়কের ইদুরের মত ঘাড় গুজি
আঁধার ঘুজির বুকে ঘুমায় এবার ;
কোনদিন জাগিবে না আর ।
‘কোনদিন জাগিবে না আর
জানিবার গাঢ় বেদনার
অবিরাম অবিরাম ভার
সহিবে না আর -’
এই কথা বলেছিল তারে,
চাঁদ ডুবে গেলে - অদ্ভুত আঁধারে
যেন তার জানালার ধারে
উটের গ্রীবার মত কোন এক নিস্তব্ধতা এসে ।
তবুও তো পেঁচা জাগে;
গলিত স্থবির ব্যাংগ আরো দুই মুহূর্তের ভিক্ষা মাগে
কয়েক্টি প্রভাতের ইশারায় -অনুমেয় উষ্ণ অনুরাগে ।
টের পাই যূথচারী আঁধারের গাঢ় নিরুদ্দেশে
চারি দিকে মশারির ক্ষমাহীন বিরুদ্ধতা;
মশা তার অন্ধকার সঙ্ঘারামে জেগে থাকে জীবনের স্রোত ভালবেসে ।
রক্ত ক্লেদ বসা থেকে রৌদ্রে ফের উড়ে যায় মাছি ;
সোনালী রোদের ঢেইয়ে উড়ন্ত কীটের খেলা কত দেখিয়াছি ।
ঘনিষ্ট আকাশ যেন, কোন বিকীর্ণ জীবন
অধিকার করে আছ ইহাদের মন ।;
দুরন্ত শিশুর হাতে ফড়িংযের ঘন শিহরন
মরনের সাথে লড়িয়াছে ।
চাঁদ ডুবে গেলে প্রধান আঁধারে তুমি অশ্বত্থের কাছে
এক গাছা দড়ি হাতে নিয়ে গিয়েছিলে তবু একা একা,
যে জীবন ফড়িংযের দোয়েলের - মানুষের সাথে তার হয় নাকো দেখা ,
- এই জেনে ।
অশ্বথের শাখা
করেনি কি প্রতিবাদ? জোনাকীর ভিড় এসে
সোনালী ফুলের স্নিগ্ধ ঝাকে
করে নি কি মাখা মাখি ?
থুর থুরে অন্ধ পেঁচা এসে
বলে নি কি ‘ বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?
চমৎকার! —
ধরা যাক দুই একটা ইদুর এবার !’
জানায় নি কি পেঁচা এসে এ তুমুল গাঢ় সমাচার ?
জীবনের এই স্বাদ - সুপক্ক যবের ঘ্রাণ হেমন্তের বিকেলের -
তোমার অসহ্য বোধ হল;
মর্গে কি হৃদয় জুড়ালো
মর্গে - গুমোটে
থ্যাঁতা ইদুরের মত রক্তমাখা ঠোটে !
শোনো
তবুও এ মৃতের গল্প; - কোন
নারীর প্রণয়ে ব্যর্থ হয় নাই ;
বিবাহিত জীবনের সাধ
কোথাও রাখেনি কোন খাদ ।
সময়ের উদবর্তনে উঠে আসে বধু
মধু - আর মননের মধু
দিয়েছে জানিতে;
হাঢ়াভাতের গ্লানি কোন বেদনার শীতে
এ জীবন কোন দিন কেপে ওঠে নাই;
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শূয়ে আছে টেবিলের ‘পরে ।
জানি - তবু জানি
নারীর হৃদয় - প্রেম -শিশূ - গৃহ- নয় সবখানি;
অর্থ নয়, কীর্তি নয়, স্বচ্ছলতা নয় -
আরো এক বিপন্ন বিষ্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভিতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;
ক্লান্ত ক্লান্ত করে ;
লাশ কাটা ঘরে
সেই ক্লান্তি নাই,
তাই
লাশকাটা ঘরে
চিৎ হয়ে শূয়ে আছে টেবিলের ‘পরে ।
তবু রোজ রাতে আমি চেয়ে দেখি, আহা,
থুরথুরে অন্ধ পেঁচা অশ্বত্থের ডালে বসে এসে,
চোখ পাল্টায়ে কয়ঃ ‘ বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনো জলে ভেসে?
চমৎকার! —
ধরা যাক দুই একটা ইদুর এবার –!’
হে প্রগাঢ় পিতামহী, আজো চমৎকার?
আমিও তোমার মত বুড়ো হব - বুড়ি চাঁদটারে আমি করে দেব বেনোজলে পার
আমরা দুজনে মিলে শূন্য করে চলে যাব জীবনের প্রচুর ভাঁড়ার।
১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৫৪
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ নষ্ট কবি। জীবনানন্দের কবিতাটা পোষ্ট করার জন্য।
যদিও আমি ৩০ নং কমেন্টে কবিতাটা একবার পোষ্ট করেছি।
৭৩| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৯:০১
অদৃশ্য সত্তার বাক্যালাপ বলেছেন: আমি বের হয়ে যাই নাই তো।মাঝামাঝি অবস্হায় চলে আসতে হয়েছে,সব তো এখানে বলা যাবেনা
১৫ ই মে, ২০১১ রাত ৮:২৭
সরলতা বলেছেন: আচ্ছা আপু,পরে কোন একদিন দেখা হলে জেনে নেব।
ভালো থেক।
৭৪| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ৯:৩৪
আকাশগঙ্গা বলেছেন: লেখক বলেছেন: নাহ! তেমন কোন ঝামেলা হয়নি। তবে আপনি তো মনে করেছিলেন আমি ব্লগে ক্যাচাল ডেকে আনছি।
মনে না থাকলে ৪০ নং কমেন্টটা দেখুন
যাইহোক,আপনার লেখার হাত বেশ ভালো। আমি নিজেই আপনার পোষ্টে কমেন্ট করতাম। তবে মেয়েদের নিয়ে আপনি যে ধারণা পোষণ করেন--সেটা যদি করতেই থাকেন,তাহলে আমার ব্লগে আর কমেন্ট না করার অনুরোধ রইল। আশা করি অনুরোধ টুকু মনে থাকবে আপনার।
ধন্যবাদ।
অনেক আগের লেখা।আমিতো ভুলেই গিয়েছিলাম।
মেয়েদের আমি অনেক শ্রদ্বা করি।এটা খুবি সত্য।
কিন্তু অতি সাধের দামী গাড়িও কিন্তু মাঝে মাঝে বিগড়ায়,আর আমরা তো মানুষ তাই না?
হয়তো কোন কারনে ঐ দিন আমার মন খারাপ ছিল দেখে এই ধরনের পোষ্ট দিয়েছিলাম।সেটা ভুলে গেলেই ভাল।তাই না?
ঐ লেখা বাদে আমার কোন লেখা বা কমেন্টে যদি এই ধরনের কন্টেন্ট থাকে আমাকে দেখাতে পারেন।আমি ব্লগিং করবোনা।
আমি হয়তো খুব ভাল কেউনা।কিন্তু আমায় নিয়ে কেউ খারাপ ধারনা পোষন করবে সেটা আমার চাওয়া নয়।
আশা করি আমি বুঝাতে পেরেছি।আপনি নিয়মিত আমার ব্লগে আসবেন সেই আশায় থাকলাম।
আর হ্যা আপনার স্মরন শক্তি অসাধারন।আপনিই পারবেন ভাল ডাক্তার হতে।
ধন্যবাদ।
১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০০
সরলতা বলেছেন: আচ্ছা।
৭৫| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১০:১৫
নষ্টছেলে বলেছেন: লেখা কেমন হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলিনি।আমি অপারগ হলে যা বলি তাই বললাম....অ-সা-ধা-র-ণ
১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০০
সরলতা বলেছেন: থ্যাঙ্কু নষ্ট ভাই।
৭৬| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১০:২০
ফাইরুজ বলেছেন: আমার কিন্তু পোস্ট পড়ে কেমন ভয় ভয় লাগতেছে।
১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০১
সরলতা বলেছেন: হুম!
শুভকামনা আপু!
৭৭| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৬
পুবের পাহাড় বলেছেন: হুম! আমি আমাদের বলেছি..কারণ আমিও ঐরকম না ভাবা মানুষদের একজন..বোধহয় আপনিও..
১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০২
সরলতা বলেছেন: বুঝতে পেরেছি।
নতুন লেখা দেন ভাই। বোকা মেয়েটা কি চালাক হবেনা?
৭৮| ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৩১
রাষ্ট্রপ্রধান বলেছেন: :#>
১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০২
সরলতা বলেছেন:
৭৯| ১৫ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৮
আরিশ ময়ুখ বলেছেন: গল্প হিসেবে আরো চমৎকারভাবে দাঁড়া করাতে পারতে। কিন্তু, আমি বুঝতেসি এটা গল্প না। জীবনের কথা। এই দৃশ্যগুলো আমার খুব পরিচিত। এটাই স্বাভাবিক, এমন হয়। আসলে অনেক কিছুই হয়। কিন্তু হওয়া উচিত না।
১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৫:০৪
সরলতা বলেছেন: আরিশ ভাই,গল্প হিসাবে লিখিনি। যা দেখে এসেছি,তারপর যা মনে হয়েছে সেটাই লিখেছি।
শখের বশে লিখি রে ভাই। তাই লেখালেখি কেমন হল সেটা নিয়ে আসলে ভাবিনা। হুটহাট লিখে ফেলি। পরের বার ভালো লিখতে চেষ্টা করব।
ভালো থাকুন।
৮০| ১৫ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
চানাচুর বলেছেন: খুবই ভয়াবহ পোস্ট! প্রথমটুকু পড়ে আর পড়তে পারলাম না
১৫ ই মে, ২০১১ রাত ৮:০৫
সরলতা বলেছেন:
৮১| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ৮:৩৯
রেজোওয়ানা বলেছেন: Odvut . . . Osadharon........Sorolota this is the best one. Hats off to u. . . .
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১২:০৩
সরলতা বলেছেন: আপু! এভাবে বললে খুব বিব্রত বোধ করতে থাকি আমি। কেমন লজ্জা লজ্জা লাগে। :!> :!>
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। কৃতজ্ঞতা রইল।
৮২| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৫
আরিশ ময়ুখ বলেছেন: আমি কখন বললাম, তুমি খারাপ লিখেছ? 
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১২:০৪
সরলতা বলেছেন: আরিশ ভাই,তখন মাত্র কলেজ থেকে আসছিলাম। অনেক ক্ষুধা লেগেছিল। তাই কমেন্ট টা কেমন কাঠখোট্টা হয়ে গেছে।
সরি।
৮৩| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৩
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: আমার পোষ্টটাতো মুছে দিলোম মডুরা।
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১২:১৫
সরলতা বলেছেন: ও আচ্ছা। আমি ভেবেছি আপনি-ই মুছে দিয়েছেন।
মুছে দেওয়ার মত পোষ্ট ছিলনা ওটা--আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
৮৪| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১:১৯
জাকারিয়া চৌধুরী বলেছেন: আপনার লিখার ধরন অনেক সুন্দর... keep it up...
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১:২২
সরলতা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৮৫| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪৩
ইমির বলেছেন: কাজল স্যার আমাদের পুরো ২ বছর ব্যাচ টিচার ছিলেন। তাই নতুন কিছু বলার অপেক্ষা থাকে না। তোমার লিখা পরে আমারও মর্গের কিছু স্মৃতি মনে পরে গেল। আমরাও অনেক গল্প করতাম মর্গের ভিতরে। আমি নিজে অনেক গুলা ছবি তুলেছিলাম আর এখনও আমার করা কিছু ভিডিও আছে আমার ল্যাপটপে । আমি আর আমার বন্ধুরা মর্গ থেকে বের হয়ে চটপটি আর আইসক্রিম খেতাম। আর একদিন পুরান ঢাকায় গিয়ে নান্নার কাচ্চি বিরানি খেলাম। অনেক স্মৃতি মনে মরে গেল।
১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:৫১
সরলতা বলেছেন: সেখানে গেলে মনে হয় সব imcan একটা কাজ করে--সেটা হচ্ছে খাওয়া!
আবার এসে স্মৃতিগুলো বলার জন্য ধন্যবাদ ইমির ভাইয়া।
৮৬| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ২:৩৪
ত্রিনিত্রি বলেছেন: এই পোস্ট টা মনে হয় মিস করে গিয়েছি। লেখনী ভংগী চমৎকার হয়েছে। উহু professional infamous conduct এর মাঝে পড়ে না, তবে ওই ঘরে অনেক কিছুই স্বাভাবিক যা বাহিরে বললে অমানুষের পর্যায়ে পড়ে। কিন্তু ওই ঘরের মাঝে সেটা না করলে চলে না।তাই অনেকের কাছে অমানবিক লাগতে পারে। জীবনে অনেক কিছুর ডাক্তার হতে চেয়েছি, কিন্তু ফরেন্সিক মেডিসিনের ডাক্তার কখনো হতে চাইনি, এখনো চাইনা।
পোস্ট মর্টেম রুমের সামনে পিতলে বাঁধানো একটা কথা লেখা আছে, তুমি বোধ হয় মিস করেছো। কারন ঐ লিখা দেখলে সেটা তোমার লিখায় বোধ করি একবারের জন্য হলেও আসতো।
This is the place where all laughter ceases.
this is the only place where death serves the living.
বরাবরের মতই পোস্টে প্লাস।
পুনশ্চঃ প্লিজ মাইন্ড করো না, কিন্তু ছবি ভিডিওর কথাটা শুনে অনেক মন খারাপ হলো। ফরেন্সিক প্রফ দিয়েছি যেহেতু, তাই জানি যে এসবের ছবি বই এ যা আছে, তাতেই এনাফ। কোন কারন ছাড়া মৃতদেহের ছবি বা ভিডিও করা একেবারেই অনুচিত। আমরা যখন যেতাম স্যাররা বার বার মানা করে দিতেন। তোমাদের স্যার কেন করেননি, বুঝতে পারছি না।
১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:০৬
সরলতা বলেছেন: ফরেন্সিক আমার ও কেন জানি ভাল লাগেনা। আমার আপাতত মাইক্রোটাই বেশি ভাল লাগে আপু।
আপু লেখাটা খেয়াল করেছিলাম। কিন্তু ঠিক কি লেখা ছিল,পরপর লাইন গুলো মনে ছিলনা দেখে লিখতে পারিনি। মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য থ্যাঙ্কু। professional infamous conduct এর মাঝে পড়ে না জেনে ভালো লাগল আপু। আমার ও তাই মনে হচ্ছিল,কিন্তু এখনো ডাক্তার হইনি দেখে বিশেষ জোর দিয়ে কিছু বলতে পারিনি।
পুনশ্চঃ আপু, একদম-ই মাইন্ড করিনি। আমাদের ক্লাসগুলো ডিএমসিতে ডিএমসির স্যার রা নেন,আমাদের স্যার-ম্যাডাম না। ডিএমসির যে স্যার (নাম উল্লেখ না করি) আমাদের ক্লাস নিয়েছেন,তিনিই বারবার বলেছেন ছবি তুলে নিতে। আমাদের ম্যাডাম,যিনি আমাদের সাথে ছিলেন,তিনি অবশ্য নিষেধ করছিলেন পাশে দাঁড়িয়ে যে মৃতদেহের ছবি না তুলতে। কিন্তু স্যার বারবার বলছিলেন দেখে পরে আমাদের ম্যাডাম আর নিষেধ করেননি। কারন আমাদের ম্যাডাম জুনিয়র ছিলেন। আর আপু,আমরা তো যখন দরকার হয়,তখন যেতে পারিনা মর্গে,কারণ আমাদের কলেজে মর্গ নেই। কিন্তু পরীক্ষার সময় ডিএমসি থেকে স্যাররা এক্সটার্নাল হয়ে আসেন,বিশেষত মিজান স্যার ফেইল করানোর জন্য-ই আসেন (আপু,কিছু মনে করোনা-এটা একদম সত্য কথা) দেখে তাঁদের পোষ্টমর্টেম ক্লাসের সময় বলা কথাগুলোই মেইনলি রেকর্ড করা হয়,এত দ্রুত সব কথা লেকচার খাতায় তোলা যায়না দেখে,সেটা করতে যেয়েই ভিডিও করা।
শুভকামনা!
৮৭| ১৬ ই মে, ২০১১ সকাল ৯:৪৫
রেজোওয়ানা বলেছেন: সরলাতা এক কথা বলি কিছু মনে করবেন না, লেখাটা তেমন ভাল হয়নি! একটু খাপছাড়া লেগেছে, মাঝে মাঝে ঝুলে গেছে! দৃশ্যকল্প তেমন গোছানো হয় নি, অপ্রাসঙ্গীক অনেক ঘটান চলে এসেছা যা কাটছাট করা যেত! চালিয়ে যান, একদিন নিশ্চয়ই ভাল লিখতে পারবেন
এইবার কেমন লাগলো, বলো
১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:১২
সরলতা বলেছেন: আমি তো প্রথম প্যারা পড়ে ভয়-ই পেয়ে গেছিলাম আপু।
আমি একটু পাজি মেয়ে তো,এইভাবে কেউ বললে আমার ও কমেন্ট গুছানো থাকে--
আপনার গঠনমূলক সমালোচনার জন্য ধন্যবাদ। গঠনমূলক সমালোচনা আমার খুব প্রিয় জিনিস। পরবর্তীতে লেখার সময় আরো সতর্ক হব। তবে কোথায় কোথায় অপ্রাসঙ্গিক ঘটনা চলে এসেছে জানালে খুশি হতাম। তাহলে আমার লেখাটা নিয়ে সূদুরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনার অবকাশ থাকত।
শুভকামনা।
মন মনে যা ভাবতে পারি(আসলে ভাবি না) : এইরকম একটা লেখা লেখ,তারপর সমালোচনা করতে আইস। আর আমি লেখা চালাব নাকি অফ যাব সেইটা আমার ব্যাপার। তুমি বলার কে? বেটা পন্ডিত।
------------------------------------------------------
রিভার্সের এন্সার কেমন হল আপু?
৮৮| ১৬ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৩০
বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ও আচ্ছা। আমি ভেবেছি আপনি-ই মুছে দিয়েছেন।
মুছে দেওয়ার মত পোষ্ট ছিলনা ওটা--আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
সবাই ভাববে আমিই ভয়ে মুছে দিয়েছিলাম, তাই আমি আর একটা পোস্ট দিয়েছিলাম কেন মুছে দিলেন তার জবাব চেয়ে, কিন্তু মডুরা এতো ভিতু ওটাও রাখলোনা।
পোষ্টটা মুছে দেয়া উচিত এমন কিছুতো আমি পোস্টে লিখিনি??
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার উদার মনোভাব প্রকাশের জন্য।
১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:১৫
সরলতা বলেছেন: আপনাকে ওয়েলকাম।
৮৯| ১৬ ই মে, ২০১১ সকাল ১১:৫৮
দূরদ্বীপবাসিনী_ বলেছেন: তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না!
-ঠিক তাই। লাশকাটা ঘরের দৃশ্যপট আজ কোনও ভাবান্তর ঘটায় না আমাদের মাঝে।
চমৎকার লিখেছেন!
১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:১৭
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
৯০| ১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:১১
সরল মানুষ বলেছেন: ভায়নক পোষ্ট,,. :-& :-& অবশ্য ভাল লাগছে,,,.
১৬ ই মে, ২০১১ দুপুর ২:২২
সরলতা বলেছেন: সরল ভাই,আপনার ব্লগে গেছিলাম আপনি অনেকদিন আমার ব্লগে আসেননি দেখে। কিন্তু নিজের লেখায় কমেন্ট পাওয়ার আশায় না।
লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৯১| ১৬ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
ত্রিনিত্রি বলেছেন: নাও আই ক্যান গেস কোন স্যার বলছে ছবি তুলতে। আরে মিজার স্যারের নোট ঠাঠা করে মুখস্ত করবা। টেনশন নিও না। আর কি মনে করবো, স্যার আমাদের যেই বাঁশ টা দিছিলো, সেটা এখনো ইতিহাসে বিখ্যাত হয়ে আছে।
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০১
সরলতা বলেছেন: হাহাহা! মিজান স্যার দ্যা গ্রেট!
মিজান স্যারের নোট সব নাই আপু। উনার definition গুলও ঠাঠা মুখস্থ করার চেষ্টা করছি।
৯২| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ৯:০২
ইমির বলেছেন: পিতলের ঐ লিখাটা আসলে ছিল
Let conversation cease
Let laughter flee
This is the place where
Death delights to serve the living
এটা আসলে পুরাতন মর্গের সামনে লিখা আছে। নতুনটার সামনে এরকম কিছু লিখা নেই।
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০২
সরলতা বলেছেন: ভাইয়া,এখন নতুন টার ভেতরে কথাগুলো লেখা আছে।
থ্যাঙ্কু লেখাটা দেওয়ার জন্য।
৯৩| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ৯:০৮
ইমির বলেছেন: স্যারি মন্তব্য টা ২ বার এসেছে। একটা মুছে দিও
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৩
সরলতা বলেছেন: ঠিকাছে ইমির ভাই।
৯৪| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৪৪
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: ভালো হয়েছে আপ্পু,অনেক ভালো লাগ্লো লেখা টা
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৩
সরলতা বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভাইয়া।
৯৫| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১১:২৬
ইমির বলেছেন: ও তাই ?তাহলে মনে হয় নতুন করেছে। মর্গে তো আর সচরাচর যাওয়া পড়ে না। আর যাওয়ার ইচ্ছাও নেই কোনদিন।
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৪৯
সরলতা বলেছেন: আমার এবং আমাদের ফ্রেন্ডদের ইচ্ছা আছে যাওয়ার। উদ্দেশ্য চটপটি খাওয়া। ডিএমসির চটপটিটা ভাল।
৯৬| ১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৪২
ইসরা০০৭ বলেছেন: মানুষকে তুমি অশ্রুর বৃষ্টিতে স্নাত করাও। মানুষকে সত্যিকার অর্থেই শ্রেষ্ঠ জীব হওয়ার সুযোগ দাও। মানুষের মধ্যে মানবিকতা জাগিয়ে তোল বারবার। তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না ।
অনেক ঘুচানো।ভালো লাগলো।
ভাল থেকো আপু।!
১৬ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৫৩
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ ইসরা আপু। তুমিও ভালো থেক।
৯৭| ১৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:১৬
ত্রিনিত্রি বলেছেন: কোন মর্গ যে নতুন আর কোনটা যে পুরনো সেটাই আসলে বুঝতে পারছি না। লেখা কি চেঞ্জ হল? আমার যত দূর মনে পরে দুই লাইনের লিখাটিই ছিল।
মিজার স্যারের নোট তো মনে হয় একসাথে পাওয়া যায়। আমরা অবশ্য বেশ কিছু ক্লাস পেয়েছি। শোন, তোমরা আর স্যারকে কি জানো, আমি একবার স্যারের বেত হাতে দৌড়ানি খেয়ে এক এক লাফে দুই তিনটা সিঁড়ি পার হয়ে আরেক ডিপার্টমেন্টে গিয়ে লুকাইছিলাম।স্যার তিনতলা থেকে দোতলা পর্যন্ত তাড়া করে নামছেন। হাহাহাহা, স্যার এমন মানুষ। তবে পরীক্ষার হলে স্যারকে সন্তষ্ট করা কিন্তু তেমন ব্যাপার না। ডেফিনেশন পারলেই স্যার খুশী। তবে স্যারের কিছু বেসিক ব্যাপার আছে,সেসব করা যাবে না। যেমন স্যরি বলা যাবে না, তারপর উত্তর দেয়ার আগেই ভেবে নিতে হবে, কারন স্যার স্লিপ অব টাং নিবে না। প্রথম বার যা বলবা সেটাই তোমার উত্তর, আবার পরে ঠিক করে বল্লেও কাজ হয় না। মাত্র ২ মার্কের জন্য আমার অনার্স মিস হয়েছিল ফরেন্সিকে, তাই স্যারের অনেক অত্যাচার সহ্য করলেও স্যারের উপর আমার তেমন রাগ নাই।
১৭ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৩২
সরলতা বলেছেন: আপু,নতুন আর একটা মর্গ করেছে। পাশেই।
মিজান স্যারের নোট মনে হয় আর লাগবেনা। স্যার রিটায়ার করেছেন। এবার নাও আসতে পারেন।
স্যার কি কি পছন্দ করেননা সে ব্যাপারে আমাদের ডিটেইলস ক্লাস হয়। তবে হাজার হলেও অন্য কলেজের স্যার। চেনা এত ইজি না। উনার সামনে গেলেই ষ্টুডেন্টরা ঘাবড়ে যায়। আর স্যার আমাদের অনেক রেগুলার ভাইয়া-আপুকে কারণ ছাড়া জাষ্ট সিম্পল ভুলের জন্য ফেল করিয়েছেন। একটা এন্সার ভুল দেওয়ার কারণে আর কোন কোশ্চিন-ই করেননি। প্রফের সময় তো আর এত ভুল হীন উত্তর করা যায়না।
স্যারকে দেখার আমার তীব্র ধরনের একটা ইচ্ছা আছে।
৯৮| ১৭ ই মে, ২০১১ রাত ২:৩৪
আমি মিসির আলি বলেছেন: লাশ কাটা ঘরে ঘুমাইতে মুঞ্চায়।।।।।।।।
১৭ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৫৭
সরলতা বলেছেন: আপনাকেই এইসব মানায়! মিসির আলি বলে কথা! 
আমার ব্লগে স্বাগতম চাচা।
৯৯| ১৭ ই মে, ২০১১ সকাল ৮:৪০
জুন বলেছেন:
যদিও পোস্টমর্টেম শুনতে ভয়ংকর, তবুও ভবিষ্যতে অনেক মানুষের জীবন বাঁচাতে এর প্রয়োজনও অস্বীকার করা যায় না ।
ভালোলাগলো আপনার গল্প সরলতা।
১৭ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০২
সরলতা বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগুতম জুন আপু।
অনেক ধন্যবাদ গল্প ভালো লাগার জন্য। যদিও লেখাটা গল্প না। সত্যি।
১০০| ১৭ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:০৪
নীরজন বলেছেন: মানুষগুলো আর মানুষ নেই রে আপু............
আমি নিজেই তো আর মানুষ নেই.................ঠান্ড-গরম, ন্যায়-অন্যায় কিংবা সুখ-দুঃখের কোন অনুভুতি নেই......
১৭ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৩
সরলতা বলেছেন: সহমত আপু। পশু-পাখিরা আমাদের চেয়ে অনেক ঐক্যবদ্ধ।
আমার ব্লগে স্বাগতম।
১০১| ১৭ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১০
অচিন রুপকথা বলেছেন: এতো সুন্দর করে কিভাবে লেখেন আপু???
১৭ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৪
সরলতা বলেছেন: আপু,আমি মোটেও ভালো লিখিনা। যা মনে আসে লিখি ফেলি। এভাবে বললে খুব বিব্রত লাগে। :#>
ভালো থাকুন।
১০২| ১৭ ই মে, ২০১১ রাত ৯:১৩
ইমির বলেছেন: মিজান স্যার রিটায়ার্ড করেছে। এখন আর উনার নোট পরার দরকার নাই।
১৭ ই মে, ২০১১ রাত ১১:০৫
সরলতা বলেছেন: জানি ভাইয়া। তবে কাজল স্যার কিন্তু আমাদেরকে বলেছেন উনি আবার আসতে পারেন।
১০৩| ১৮ ই মে, ২০১১ দুপুর ১২:২৯
পটল বলেছেন:
সেই লাশ কাটা ঘর
নিশ্বাসের মৃত কোষগুলো খায় লুটোপুটি
প্রাণগুলোর শিরায় কষ্ট প্রচন্ড
আছে বলতে না পরা কথাও
কোষগুলোও স্তব্ধ হয়ে দেখে
- সাদা গাউনের কয়েক প্রাণ
কয়েকটি উৎসুক দৃষ্টি কিংবা
ছুড়ে দেয়া হেলাফেলার কিছু বাক্য
১৮ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ পটল কবি।
১০৪| ২০ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:৪৮
স্বপ্নশহর বলেছেন: আল্লাহ্ বাচিয়েছেন ডাক্তার হইনাই লাশ দেখলে ফিট হয়ে যেতাম
২০ শে মে, ২০১১ সকাল ১০:৫১
সরলতা বলেছেন: হাহাহা! আপনার সহজ-সরল কমেন্টটা পড়ে অনেক হাসলাম।
খুব ভালো লাগল স্বপ্নশহর ভাই।
অনেক ভালো থাকুন।
১০৫| ২০ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৫২
বিনয়ের অবতার বলেছেন: এককালে মিজান স্যার এর সবচে ফেভারিট স্টুডেন্ট ছিলাম!ফা্র্স্ট টা্র্মে পেয়েছিলাম ৫,সেকেন্ড টা্র্মে ১০ আর থা্র্ড টা্র্মেতো চেয়ারে বসতে
পারিনি,তার আগেই ৫ দিয়ে বিদায় করে দিয়েছিল
এনিওয়ে,লেখাটা ভাল লাগছে.....।
২০ শে মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৩০
সরলতা বলেছেন: হাহাহা! মারাত্মক ফেভারিট ষ্টুডেন্ট তো আপনি ভাইয়া!
লেখা ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অনেকদিন পর ব্লগে আসলেন।
১০৬| ২২ শে মে, ২০১১ রাত ১:১৫
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: সরলতা, আমার বন্ধু আমাকে একবার পোস্টমর্টেম ভিডিও দেখিয়েছিল (ও ডাক্তার)
আমি থ্রোট এর অংশ কাটতে শুরু করার পর আর দেখতে পারিনি । তুমি ডাক্তারি পড়ছ শুনে খুশি হলাম । শোনা কখনো কখনো বড় কিছু বা ভাল কিছু অর্জন করতে হলে কিছু জিনিস বিসর্জন দিতে হয় । যেমন ডাক্তার হতে তোমায় আবেগ বিসর্জন দিতে হবে । একটু মন খারাপ করবে না । যখন তুমি বড় হবে, দেখবে কত মানুষ তোমাকে দেখে ফেলবে স্বস্তির নি:শ্বাস । তখন তুমি আনন্দের উপলক্ষ । কজন পারে বল এরকম করতে ??
তুমি করে বললাম যেহেতু ছোট , ভাল থাক আপু
২২ শে মে, ২০১১ রাত ১:২৪
সরলতা বলেছেন: আপনার মন্তব্যে অনেক খুশি হলাম তামিম ভাই। অনেকদিন পর আপনি আমার লেখায় কমেন্ট করলেন।
মন্তব্যটা খুব সুন্দর ভাইয়া। আমার সবসময় মনে থাকবে। তুমি বলায় অনেক ভাল লাগল।
শুভকামনা তামিম ভাই।
শুভরাত্রি।
১০৭| ২২ শে মে, ২০১১ দুপুর ১:৩৯
শাহেদ খান বলেছেন:
"তোমার সৃষ্টি শুধুমাত্র নিজের স্বজন ছাড়া এখন আর কারো দুঃখে কাঁদে না।"
তানিমের সাথে সহমত।
২৩ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:১০
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১০৮| ২৩ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৫৫
মেঘ_মেঘা বলেছেন: এতো বড় কমেন্ট অংশ যে পেজ লোড শেষ হয় না আর আমি ভালো লাগলো বাটনটা চাপতে পারছি না।
আমি প্রত্যেকদিন দেখি সরলতা আমার ব্লগে যেয়ে যেয়ে ঘুরে আসছে। মনের মধ্যে কষ্ট হয় আমি আমার প্রিয় ছোট বোনটার লেখা পড়তে সময় পাচ্ছি না। সব গুলো লেখা দেখে রেখেছি কিন্তু পড়তে পারছিলাম না। আজ সময় নিয়ে এসেছি সব পড়বো। রাগ করো নি তো আপুনি?
লেখা পড়ে নিজেদের খুব নিষ্ঠুর আর বাজে মনে হচ্ছে। আমরা অনেক বেশী কঠিন আর যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছি।
২৪ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৪২
সরলতা বলেছেন: আপু একটুও রাগ করিনি। তবে একটু মন খারাপ হয়েছিল। পরিচিত আপুদের কাছ থেকে কেন জানি কমেন্ট পেতে ভালো লাগে।
তুমি কেমন আছ আপু? মন খারাপ কেটে গেছে,না?
১০৯| ২৫ শে মে, ২০১১ রাত ৩:৫১
মেঘ_মেঘা বলেছেন: মন এতো দিন খুব বেশী ভালো ছিলো আপু তাই ব্লগে আসতাম না। আজ খুব বেশী খারাপ। অনেক বেশী কেঁদেছি কারো জন্য অনেক দিন পর।
২৬ শে মে, ২০১১ রাত ১০:৫৭
সরলতা বলেছেন: জানি আপু,কতটা কষ্ট তুমি পেয়েছ।মন একদম খারাপ করে থাকবেনা। হাসি-খুশি থাকবে। অনেক বেশি হাসি-খুশি।
১১০| ২৭ শে মে, ২০১১ রাত ৯:২২
হাসান যোবায়ের বলেছেন: আরে বাহ সত্যিইতো দারুন লিখেন।
আপনার আরেক জন পাঠক বেড়ে গেল।
২৮ শে মে, ২০১১ রাত ১২:১৭
সরলতা বলেছেন: বিখ্যাত টেকি ব্লগার হাসান যোবায়ের আমার ব্লগে? ভাল লাগল।
ইন্টারে ভাল রেজাল্টের অগ্রিম শুভকামনা রইল।
১১১| ২৯ শে মে, ২০১১ রাত ১:৪৬
পটল বলেছেন: পটল কবি!! কি? 
২৯ শে মে, ২০১১ দুপুর ২:৪৯
সরলতা বলেছেন:
১১২| ৩০ শে মে, ২০১১ রাত ২:৪৮
গ্যাঁড়াকল বলেছেন: রাত আড়াইটা অনেক আগে পার হয়ে গেছে। আমার চারপাশে সবাই এখন অর্ধমৃত আর আমি একা একা বসে পড়ছি লাশ কাটা ঘরে। রাতের এই নির্জনতা, আমার এই নিসঙ্গতা তার সাথে মৃত লাশের ছবি আর জীবন্ত বর্ণনায় এক অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হয়েছে আমার মাঝে।
অনেকদিন পর ব্লগে এসে এরকম একটা লেখা পড়ে সত্যি অনেক ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাকী লেখাগুলোও ভাবছি সময় করে পড়তে নিতে হবে।
৩০ শে মে, ২০১১ বিকাল ৪:৫০
সরলতা বলেছেন: এর রাতে লেখাটা পড়তে ভয় করেনি গ্যাঁড়াকল ভাই?! আমার কিন্তু ভয় লাগত। আর লেখাটার প্রত্যেকটা শব্দ সত্য।
আপনার কালকের লেখাটা পড়েও আমার অনেক ভাল লেগেছে। লিফটের মধ্যে মাঝে মাঝে আটকে গেলে আপনার লেখাটার কথা মনে পড়বে।
ভাল থাকুন।
শুভকামনা!
১১৩| ০১ লা জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৩৪
ইহতিশাম আহমদ বলেছেন: পোস্ট মোটেম করা লাশ আমি প্রথম দেখি ফাইভ কি সিক্সে থাকতে। আব্বার এক ছাত্র সেনা বাহিনীর গাড়ির ধাক্কায় মারা গেছে। কালেজের প্রিন্সিপাল হিসেবে আব্বা তার ক্ষতি পূরণ আদায়ের জন্যে দৌড়া দৌড়ি করছিল। সন্ধ্যার দিকে যখন কলেজ হোস্টেলের মাঠে লাশটা এনে রাখা হল লাশের কপালে দেখলাম সেলাইয়ের দাগ। অনেকটা মুচিরা যেভাবে সেলাই করে। অবাক হয়েছিলাম। লাশটা দেখার পর বুঝলাম সারাদিন যে মারা গেছে বলে এত কথা শুনছিলাম মাত্র গতকালকেও তার সাথে কথা বলেছি আমি।
০১ লা জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫
সরলতা বলেছেন: হ্যাঁ,সেলাই করার সময় আমি ও খুব অবাক হয়েছিলাম। মনেই হয়না একটু আগে মানুষটাকে কাঁটাছেড়া করা হয়েছে। এমনকি আমি জানতাম ও না,মরদেহ পোষ্টমর্টেম করার পরে সেলাই করে জোড়া লাগিয়ে দেয়।
আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ইহতিশাম ভাই। আমি খুব অবাক হলাম। আপনি আজকে আমার অনেক লেখা পড়েছেন। অদ্ভূত! এতক্ষণ একজনের ব্লগে মনোযোগ দেওয়া যায়?!
ভাল থাকুন,শুভকামনা।
১১৪| ০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:২২
ইহতিশাম আহমদ বলেছেন: আপনি এক কমেন্টে বলেছিলেন অন্যদের পোস্টে কমেন্ট করার কথা। কমেন্ট আমি করি। তবে ভেবে দেখলাম কাজটা বিক্ষিপ্ত ভাবে না করে একবারে একটা ব্লগ ধরা বেটার। এপর্যন্ত তিনজন ব্লাগারের প্রথম পাতা হজম করেছি। এদের মধ্যে আপনারটা ২য়।
নতুন একটা লেখা পোস্ট করে ছিলাম গত কাল। পারলে দেখবেন। ভাল থাকবেন।
০১ লা জুন, ২০১১ রাত ৯:২৯
সরলতা বলেছেন: আপনি যে কাজটা করছেন সেটা খুব ভাল কাজ ইহতিশাম ভাই। তাহলে এই ব্লগার সম্পর্কেও একটা সম্যক ধারণা হয়।
আপনার নতুন লেখাটা আপনি এই কমেন্ট করার আগেই আমি পড়ে এসেছি। আরো আগেই আপনার ব্লগে যেতাম,তবে একটু ব্যস্ত ছিলাম আর আজকে এত ঘন ঘন কারেন্ট যাচ্ছে যে ব্লগে আসা হয়নি।
১১৫| ১২ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৩৯
েতজপাতা বলেছেন: ''আমরা ফুচকা খাওয়ার জন্য দৌড় দিই। লাশ কাটা ঘরে ছিন্নভিন্ন মানুষগুলো পড়ে থাকে---একা।'
দারুন লাগলো...
১২ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০৬
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ তেজপাতা। পুরোনো লেখা খুঁজ়ে পড়ার জন্য।
১১৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৩
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: তোমার এই পোষ্ট নিয়ে কিছু বলার ইচ্ছা ছিল। পরে হয়ত আর খেয়াল করিনি। যাই হোক, পোষ্ট নিয়ে কিছু বলব না। আড্ডার কথা শুনে মনে হল আই . এম .৬ এ আমার বেশ কয়েকজন ফ্রেন্ড আছে। তোমাদের কলেজের সামনের ক্যালিফোর্নিয়াতে অনেক যেতাম একটা সময়। আর চারুকলা, দোয়েল চত্বর, হাকিম চত্বর, কার্জন হলের পুকুর পাড়, নেসক্যাফে !! বলে শেষ করা যাবে না
এখন খুব মিস করি আড্ডা গুলো
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৪
সরলতা বলেছেন: আপনি আইএম ৬ করেষ্পণ্ডিং চয়ন ভাই? আমি ভেবেছিলাম এবার ফাইনাল প্রফ দিলেন। আপনাদের তাহলে প্রফ জানুয়ারীতে?
আই এম ৬ এর অনেক ভাইয়া,আপুকে চিনি। নাম বললে চিনতে পারব। আমি অবশ্য আই-এম-৮।
শুভকামনা!
১১৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২১
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: হুম!! কিন্তু আমি জানে বসতে পারব না
নাম তো বলাই যায়। কিন্তু ব্লগে তো নাম বলা ঠিক হবে না
এখানে মেইল দিও
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৩
সরলতা বলেছেন: আচ্ছা থাক,নামগুলো ব্লগে উহ্য-ই থাকি। মেইল করে জানতে হবে-এমনটাও না।
১১৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:২৪
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: [email protected]
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৪
সরলতা বলেছেন:
১১৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৩
ইমির বলেছেন: তোমার চলে যাব তোকে নিয়ে পোস্টটি পড়ে কিছু কথা না লিখে পারলাম না। যদিও ঐ পোস্টে তুমি কোন কমেন্ট গ্রহণ করবে না ।তাই এখানেই তোমাকে অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এনাটিমির খালার স্মরণে কিছু লিখার জন্য। বিশ্বাস কর আমি যেদিন শুনলাম সেদিনও আমি এটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তারচেয়েও বেশী অবাক হলাম যখন কলেজ অথরিটি এটা নিয়ে কোন আলোচনাই করলো না। খুবই কষ্ট পেলাম আমি। পরে আমি হালিম ভাইয়ের সাথে এটা নিয়ে কথা বলছিলাম। খালা আমাকে খুবই স্নেহ করতেন। ক্যান্টিনে যখন স্যার ম্যাডাম দের জন্যে খাবার নিয়ে যেতেন আমি সব সময়ই খালাকা জিজ্ঞাসা করতাম খালা খাবারটা কার জন্যে নিয়ে যাচ্ছেন?কে খাবে?খালা বলত আফতাব স্যার,বকর স্যার অথবা যার জন্যে নিয়ে যাচ্ছে তার নাম।
খালার জন্যে যে কেউ একটু লিখতে পারে আমার জানা ছিল না। তুমি লিখেছ বলে তোমাকে আবারও অনেক থ্যাঙ্কস।
১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৯
সরলতা বলেছেন: কেমন আছেন ইমির ভাইয়া?
খালার জন্য আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল। আরো মন খারাপ হয়েছিল কলেজ অথরিটির আচরণে। খালা আমাকেও অনেক স্নেহ করতেন। আমি হাফিজ মামার কাছে পরে খালার ফ্যামিলির খোঁজখবর নিয়েছি। খুব খারাপ লেগেছে যখন শুনলাম সামনে খালার মেয়ের বিয়ে ছিল।
আপনাকেও অনেক থ্যাঙ্কস ভাইয়া আমার ব্লগে আবার আসার জন্য।
১২০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩০
ইমির বলেছেন: এই তো ভালই আছি। তুমি কেমন আছ?ঈদ কেমন হল?
খালার মেয়ের বিয়ে এটা আমিও হালিম ভাইয়ের কাছে শুনেছি। খালার ৪ মেয়ে। ২ জনের বিয়ে হয়েছে। সম্ভবত তৃতীয় মেয়ের বিয়ের জন্যে টাকা যোগাড় করছিলেন। খালার স্বামী কিছু করেন না। খালাকেই পুরো সংসার চালাতে হত। আল্লাহ জানেন আজ তার সংসারের কি অবস্থা। আর সেই সময়ই এই রকম একটা ঘটনা ঘটল। আর কখনও খালা আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন না "কেমন আছেন?" খালা আমার আম্মুকেও চিনতেন। আর জিজ্ঞাসা করতেন আম্মু ভাল আছে কিনা?
খালার ঘটনাটা শুনার পর আমার মনে হয়েছিল লাইফটা আসলেই একটা ফালতু। কিসের জন্যে ,কেন আমরা এত ছুটা ছুটি করছি। কার পেছনে দৌড়াচ্ছি। সেই রাতে আমার ভাল ঘুমও হয়নি।
আসলে এরকম মৃত্যু মেনে নেয়া খুবই কঠিন। জানি সবাই ভুলে যাবে এই ব্যাপারটা। আইএমসি অথরিটিও নিশ্চয়ই তার পরিবারের জন্যে কিছু করবেনা। এই নিষ্ঠুর সোসাইটি খালাকে ঠিক ভাবে মূল্যায়ণ না করলেও নিশ্চয়ই স্রষ্টা তাকে তার প্রাপ্যটুকুই দিবে।
১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৬
সরলতা বলেছেন: জ্বী ভাইয়া, ঈদ ভাল হয়েছে। সিলেটে গিয়েছিলাম।
খালার জন্য দোয়া করি, আল্লাহ উনাকে জান্নাতবাসী করুন। কমেন্ট করতে গিয়েও খালার চেহারা বারবার চোখের সামনে ভাসছে।
১২১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৪
ইমির বলেছেন: সিলেটে ঈদ করেছ?তোমার দেশের বাড়ি সিলেট!!
১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩০
সরলতা বলেছেন: না ভাইয়া। সিলেট ঘুরতে গিয়েছিলাম। প্রত্যেক ঈদে কোথাও না কোথাও থেকে ঘুরে আসি। আমার দেশের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী।
১২২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭
ইমির বলেছেন: আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়েছি। আমের স্বর্গরাজ্য। তোমার নিশ্চয়ই অনেক আম খাওয়া হয়।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০১
সরলতা বলেছেন: আমাদের বাসায় আমের সময়ে প্রচুর আম আসে ভাইয়া। কিন্তু আমি খুব একটা বেশি আম খাইনা।
১২৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২২
টুকিঝা বলেছেন: সুন্দর কিন্তু কষ্টের!!!
২৯ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৪
সরলতা বলেছেন: ধন্যবাদ টুকিঝা!
১২৪| ২২ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:৫৭
লেজকাটা বান্দর বলেছেন: অটোপসি ক্লাস করতে গেলে আমার তেমন কিছু মনে হয় না, যদিও ওটা করার বয়স এখনও আমার হয় নি। মাত্র একবার হরতালের দিনে স্যারকে বলে ঐ ক্লাসটা করেছিলাম।
নাহ, যতটা ভয় পাব ভেবেছিলাম, পাই নি। যতটা খারাপ লাগবে ভেবেছিলাম, লাগে নি। মোটেও কষ্ট পাই নি পেটের উপর দিয়ে ট্রেন চলে যাওয়া মানুষটা বা দেয়াল বাইতে গিয়ে তড়িতাহত মানুষটার জন্য। আচ্ছা, আমি কি এখনও মানুষ আছি নাকি অনুভূতিহীন অন্য কিছু হয়ে গেছি?
আর এক বছর পরে আসলে আপনার সাথে আমার দেখা হয়ে যেত মর্গের সামনে।
২০ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:২৯
সরলতা বলেছেন: আমার তো আপনার কথা শুনে ভয় ভয় লাগতেছে। আসলে আমরা সবাই এক প্রকার অনুভূতিহীন-ই বলা চলে!
হুঁ! বুঝতে পারলাম আপনি থার্ড ইয়ারে পড়েন!
১২৫| ০৩ রা মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫২
ইমির বলেছেন: আচ্ছা একটা কথা তোমার নামটা কিন্তু আমি এখনও জানি না।তোমার নাম কি বলা যাবে??
২০ শে মে, ২০১২ দুপুর ১:৩২
সরলতা বলেছেন: ভাইয়া ব্লগে কিভাবে নাম বলব বুঝতে পারছিনা!
আপনি কি ফেসবুকে আমাদের IMC resort এ আছেন? আপনার নামটা বললে আমিই আপনাকে খুঁজে নিতে পারতাম।
১২৬| ২৮ শে মে, ২০১২ রাত ১১:৫০
ইমির বলেছেন: হুম IMC resort এ আছি। কিন্তু ব্লগে তো আমিও আমার নাম বলি না।কি করা যায় বলো তো?
২৯ শে মে, ২০১২ রাত ১২:১২
সরলতা বলেছেন: ইমির ভাইয়া, IMC resort এ ব্লাড ব্যাঙ্কে আপনার সিরিয়ালটা কত নাম্বারে আছে একটু দেখে বলবেন? সিরিয়ালটা রোল অনুযায়ী করা। তবে আমাদের ব্যাচে একজন ফার্ষ্ট প্রফ দেয়নি তো, তাই আমাদের সিরিয়ালটা এলোমেলো। আপনি একটু কষ্ট করে গুনে আপনার সিরিয়ালটা বলুন, আমি দেখে নিচ্ছি।
১২৭| ২৯ শে মে, ২০১২ রাত ১২:২৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: দেশী ভাই-- একদিন একটা লাশ কাটা ভিাডও দেখেছিলাম- ২ রাত ঘুমাইতে পারি নাই।
২৯ শে মে, ২০১২ দুপুর ২:১৬
সরলতা বলেছেন: স্বাভাবিক! তার মানে আপনি এখনো মানুষ-ই আছেন!
১২৮| ০১ লা জুন, ২০১২ রাত ১১:০৮
ইমির বলেছেন: এত কষ্ট করে গুণতে পারবনা। আমি তোমাকে বলি। আমার ব্লগে গিয়ে যে কোনো ব্লগে তোমার নাম লিখে আসতে পার। সরা সরি না হলেও উলটা করে লিখতে পার। অথবা আমাকে ইমেইল কর। [email protected] আমার ইমেইল এড্রেস।
১২৯| ০১ লা জুন, ২০১২ রাত ১১:১১
ইমির বলেছেন: অথবা তোমার ক্লাস রোল নং টা বল। আমি বের করে নিব তোমার নাম
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০১১ দুপুর ১:২৭
আদ্রিতা বলেছেন: এক সাথেই পোস্ট দিয়ে দিলাম। হাহা