![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক
কিছু ভাগ্যাহত অথবা ভাগ্যবান ছাড়া প্রত্যেকের জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে একটা অদ্ভূত অবস্থা এসে দরজায় কড়া নাড়ে। পর্যায় না বলে যেকোন সময়েই বলাটা অধিক যুক্তিযুক্ত।
অবস্থাটার নাম "হোয়াই মী স্টেজ"।
রুঢ় বাস্তবতা হল, এটা দুঃখের একটা পর্যায়। হোয়াই মী স্টেজে কোন সুখানুভূতি থাকেনা। ভেজা কাপড় নিংড়ানোর পরেও কোন বলবান হাত হয়তো মুচড়িয়ে দুফোটা পানি আবিষ্কার করতে পারে, কিন্তু হোয়াই মীতে শতচেষ্টা করেও এক রত্তির সুখানুভূতি দেখার সম্ভাবনা শূণ্য। আদতে ঐরকম প্রয়াস চালানোও পুরোপুরি অর্থহীন, কোন কোন ক্ষেত্রে হাস্যকরও বটে। এখানে বেশ কয়েকটা কাজ করা যেত পারে।
এক, ব্যাপারটাকে উপভোগ্য করার ব্যবস্থা করা।
দুই, Que sera sera=whatever will be will be.
হাস্যকর ব্যাপার হল, দ্বিতীয় উপায়টা বেছে নিতে পারার মানে হোয়াই মী কাটিয়ে উঠতে পারা। ব্যপারটা মুখে এক অন্তরে আরেক।
এই অবস্থার মুখোমুখি হতে দেখেছি তারেককে।
প্রথম উপায়টাও বেছে নিয়েছিল অল্পকিছু সময়ের জন্য। সময়টাকে উপভোগ্য করে তোলা হয়েছিল কিছু দেশীয়, ভিনদেশি উৎকট তরল এবং ধুম্রশলাকা সহযোগে।
চিত্রকর্মের শখও জেগেছিল তার তখনই।
আরে এটা কোন ব্যাপারই না, এমনটাতো হয়ই এরকম সস্তা কিছু শান্তনা বাণী আউড়িয়ে নিজেকে প্রবোধ দেয়ার চেষ্টায় লিপ্ত থাকত সারাক্ষণ। তাতে যে কোন ফল পাচ্ছিল না তা না, তবে ফলাফল হতাশাজনক। ক্লান্ত হয়ে আসারপরও ঘুমদেবী তার সাথে যোগাযোগ করার কোন চেষ্টা করছে না। তুচ্ছতাচ্ছিল্যভরে অথবা বেখেয়ালে ঘুম পাঠাতে ভুলে যায় অনেকটা সময় পর্যন্ত। কোন একটা মাধ্যমের সাহায্য নিয়ে অল্পকিছু ঘুম নিয়ে আসতে পারে সে। তবেও তাও খুব অল্পসময়ের জন্য।
ঘুমদেবী ভুলে গেলেও স্বপ্নদেবতা তাকে একমুহুর্তের জন্যও ভুলতে চাচ্ছে না। ভয়ংকর লাল রক্তাক্ত চোখে এসে হাজির হয় হঠাতই। তারেকের ঘুম ভেঙ্গে যায়। উঠেই জানালার কপাট সক্রোধে বন্ধ করে, জানালায় একপাশে গুজে রাখা পর্দাটা টেনে দেয় ভীষণ আক্রোশে। আরো নিশ্চিত হওয়ার জন্য উল্টোপাশে ফিরে শুয়ে চোখ বন্ধ করে। ঝিম মেরে পড়ে থাকে একলা ঘরটায়। তার নির্ঘুম, বন্ধ চোখের ব্যাপারটা বোধহয় টের পায় স্বপ্নদেবতা। অন্তত জানালা এবং সাদা দেয়ালে প্রবল রোদ সেটাই জানান দেয় দিনভর।
শেষবেলায় সূর্য অস্তমিত হবার পরেই জানালাটা খুলে দেয়া হয়, পর্দা সরিয়ে রেখে হতাশ চোখে অন্ধকার দেখে। অসীম পর্যন্ত, অথবা কে জানে তার চেয়েও আরও দূর বিস্তৃত কালো অন্ধকারকে তার মনে হয় একটা অন্তহীন বিশাল সমুদ্র। যেখানে কোন ঢেউ নেই, কোন সুর নেই, নেই মিষ্টি সমীরণ, লুকায়িত কোন সত্য নেই, যা কেউ কখনো আবিষ্কারের প্রয়োজনও নেই। এই সমুদ্রের কোন সম্মোহনী শক্তিও এতদিন ছিল না তবে আজকাল মনে হয় কিছুটা সম্মোহিত করার শক্তি জুটিয়েছে নচ্ছার অন্ধকারটা।
শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। তাকিয়ে থাকেও সে। ক্লান্ত চোখে ক্লান্তিহীনতার ভান করে তাকিয়ে থাকতে থাকতে একসময় শুয়ে পড়ে। ব্যস্ত ঘুমদেবীকে বার্তা পাঠায় ছোট ছোট কয়েকটা বটিকা পেটের মধ্যে চালান করে দিয়ে। ঘুমদেবী সাড়া দেয় তার পিছন পিছন হতচ্ছড়া স্বপ্নদেবতাও এসে পড়ে কোত্থেকে যেন।
তারেককে নিয়ে চলে যেতে চায় কোন তুষাররাজ্য। যেতে অনীহা প্রকাশ করলেও তাতে কোন লাভ হয় না। একপ্রকার জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। ব্যাপারটাকে আরও অসহনীয় করে তুলতেই যেন একদলা বরফকণা ছুড়ে মারে কেউ একজন।
ধড়ফড় করে উঠে বসে সে। জানালা গলে বৃষ্টির ছাট ঢুকে পড়তে দেখে অবাক হয়। নাহ, তাহলে অবাক হবার ক্ষমতা পুরোপুরি চলে যায়নি তার। অবাক চোখে বৃষ্টি দেখে। স্মৃতি হাতড়ায় কোন ফেলে আসা বৃষ্টিদিনের।
স্মৃতির প্রায় পুরো অংশজুড়েই থাকে দুটো মায়াময় চোখ। যে চোখে ঘৃণাগ্নি জ্বলতে দেখেছে সে। ভাবতেই গা গুলিয়ে উঠে আবার। জানালার কপাট বন্ধ হয়, পর্দায় ঢেকে নিশ্চিত দেয়াল তুলে দেয়া হয় বৃষ্টি আর দৃষ্টির মাঝখানে।
দুই
আজকে অবস্থার কিছুটা উন্নতি ঘটেছে বলেই মনে হয়। সন্ধ্যা হবে হবে এমন একটা সময়, ঘরে অন্ধকার প্রবেশ করার তাল গুনছে। তারেকের হাতে একটা গ্লাস, গ্লাসের মধ্যে কিছু আছে কি নেই বোঝা যাচ্ছে না। সে বসে আছে জানালার দিকে মুখ করে। তাকে দেখাচ্ছে মূর্তির মত।
-কিরে চুদির ভাই কোন খোজ খবর নাই ক্যান?
গলা শুনেই চমকে পিছনে তাকাল তারেক। সুইচবোর্ড হাতড়ে লাইট জ্বালিয়ে আমিও চমকে উঠলাম। উস্কখুস্ক চুল, মনে হ্য় বেশ কয়েকদিন হাত দেয়া হয় নি। চোখ জমাট বাধা রক্তের মত লাল, দেখলেই ভয় ভয় লাগে।
-কিরে তুই কি অসুস্থ? তোরেতো এইডস রোগীর মত দ্যাখা যাইতাসে। কি হৈসে?
কোন জবাব পাবার আশা করি নি অবশ্য। কিছুদিন আগেই তার সাথে একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবুও সৌজন্যতা বলে কথা, একটু আধটু আন্তরিকতা যে নেই তাও বলা যাবে না। তারেক স্কুল জীবনের বন্ধু।
আমাকে দেখা মাত্রই, গ্লাসটা লুকিয়ে ফেলল। শুকনো মুখে বলল, কিছু না ভালই আছি।
কাছে গিয়ে বসতে বসতেই খেয়াল করলাম হাতের বিভিন্ন জায়গায় কাটা দাগ। সাধারন ব্লেডের, দেখেই আমার গা গুলিয়ে উঠলো। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত কষ্টগুলো হয়ত বের করে দিতে চেয়েছিল নয়ত মানসিক যন্ত্রণা দেহের মধ্য দিয়ে ভুলে থাকার চেষ্টা। অনেক ভেবেও পেলাম না, মানুষ এইসব পারে কিভাবে?
অনেকক্ষণ খুটিয়ে খুচিয়ে প্রশ্ন করার চেষ্টা করলাম, অতি অবশ্যই বৃথা চেষ্টা।
ডাক্তার দেখা, আমার পরিচিত সাইকোলজিস্ট আছে। চল?
তারেক হাসি হাসি মুখ করে বলল, হুদাই পাগলের ডাক্তার দেখামু ক্যান।
আমিও দেখলাম যুক্তিযুক্ত কথা।
-তাইলে থাক বৈসা, আর এইসব বালছাল খাওয়া ছাড়। যা দেখতাসি বাজারেতো কিছুদিন পরে আর ব্লেড খুইজা পামু না, এইগুলা এইবার বন্ধ কর। এইসবের আর ফায়দা কি।
তারেক শূণ্যচোখে জানালার দিকে তাকিয়ে বলল, Que sera sera!
আমি হাল ছেড়ে দিয়ে চলে আসি। এই সময় একটু আধটু এমন হবেই, সময় যাক ঠিক হয়ে যাবে। মনে মনে নিজেকে প্রবোধ দেই।
আসতে আসতে এইসব চিন্তা করছিলাম। ব্যাপারটা নিয়ে বান্ধবীর সাথেও আলোচনা করা হল। তারও একই মত, সময় গেলেই ঠিক হয়ে যাবে।
সেদিনই তারেকের সাথে আমার শেষ দেখা। সপ্তাহখানিক পরে তারেকের মৃত্যুর খবর পেয়েছিলাম। আত্মহত্যার কেইস। অল্পকিছুলোকের উপস্থিতিতে শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন হল।
তবে আমার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল সুইসাইড নোট। সেটা পাওয়া গেল না। পুলিশ আলামত হিসেবে গায়েব করে দিয়েছে।
তিন
ছুটির দিনগুলোর অলিখিত নিয়ম হল অস্বাভাবিক ব্যস্ততা। পরিবার ব্যবস্থাপনার কাজগুলোর পাশাপাশি প্রায়ই দুপুর বেলায় নিমন্ত্রণজনিত ব্যস্ততা এবং সামাজিকতা রক্ষা করার প্রত্যয়ে সেগুলোতে উপস্থিত হওয়াটা প্রায়ই বাধ্যতামূলক হয়ে দাড়ায়। অনীহাস্বত্তেও হাসি হাসি মুখ করে সেগুলোতে পরিবারের সদস্যসমেত উপস্থিত হতে হয়। পরিচিত, অর্ধপরিচিত অথবা নিতান্তই অপরিচিতদের সাথে কুশল বিনিময় করে তবেই সামাজিকতা রক্ষা করতে হয়। শেষপর্বে থাকে উচ্চফ্যাটযুক্ত কিছু অখাদ্য গলাধকরণ প্রক্রিয়া। তারপর বিদায়ক্ষণ যখন উপস্থিত হয় তখন কোন আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা ঘটে না। বরং এরকম দমবন্ধ পরিবেশ থেকে মুক্তির যেন চাপা একটা আনন্দ থাকে সবার মধ্যে। তবে আমি আনন্দিত হই না বরং বিকেলবেলার ঘুমের সময়টা পেরিয়ে যাওয়ায় এবং অখাদ্য ভক্ষণ পরবর্তী সময়টাতে শরীরে ভর করে অবসন্ন একটা ভাব।
-ঘরে বাজার নাই। ছুটি পাইসো যাও বাজারে যাও।
প্রাতঃরাশ পূর্বে দৈনিক পত্রিকা হাতে নিয়া বসতেই তাগাদা দিল আমার স্ত্রী রুনু। আমি মোটেও ভ্রুক্ষেপ না করে দৈনিক পত্রিকায় মনঃসংযোগের চেষ্টা চালিয়ে গেলাম।
-কি হৈল? এমনে বৈয়া থাকবা নাকি। যাওনা। দুপুরে আবার সীমির মামাত বোনের বিয়া, ঐখানে যাইতে হইবতো।
কিছুক্ষণ পরপরই এমন তাগাদা পেয়ে পেয়ে বিরক্তির মাত্রা বাড়ছিল, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না, শুধু বিরক্তি। সব স্ত্রীলোকদেরই কি অনর্গল বকে যাওয়ার এমন অদ্ভূত ক্ষমতা থাকে? হয়তো থাকে না নয়তো কে জানে থাকতেও পারে।
-বালের বাজার।
হয়তো প্রত্যহিক ব্যস্ততা নয়তো সীমির চাচাত মামাত বোনের বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার উত্তেজনায় আমার কথায় কর্নপাত করলো না। ব্যাগ হাতে ধরিয়ে দিল।
বেরিয়েই বুঝলাম ছোট্ট একটা ভুল করেছি। সেলফোনটা ফেলে এসেছি। রুনুর ইদানিং বদ অভ্যাস হয়েছে। আমার ফোন নিয়ে বসে বসে গেমস খেলে। সেদিন ইশিতা কে? জিজ্ঞেস করলো।
আমার কলিগ, এতটুকু বলেই দায়িত্ব শেষ করেছি। তারপরে অবশ্য আরও প্রশ্নের সম্মুখীন হব ভেবেছিলাম। ভাগ্য ভাল তা আর হয় নি। ইশিতা কখনোই আমাকে কল করে না, শুধু মেসেজ। মেসেজগুলো কী রুনু পড়েছে? পড়লেও কিছু বুঝতে পারারতো কথা না। অথবা বুঝেও না বুঝার ভান করে আছে। কে জানে।
চার
দুপুরবেলায় প্রচন্ড রোদের সমুদ্র পারি দিয়ে যখন কমিউনিটি সেন্টার নামক একটা বন্দীশালায় পৌছলাম ততক্ষণে দুপুর অনেক গড়িয়েছে। পরিচিত বেশ কয়েকজনকে দেখা গেল তারমধ্যে একজন হলে তারেকের হারিয়ে যাওযা প্রেমিকা। তারেক, বছর পাঁচেক আগে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। কি এক ভয়ানক মানসিক যন্ত্রণাই বেচারা পোহিয়েছিল মৃত্যুর আগে।
মেয়েটার সাথে হাসিমুখে কুশল বিনিময়পর্ব শেষ হবার পরে আমার ভিতরে খচখচানি শুরু হল। আরও কিছু জটলায় কয়েক পর্ব কুশল বিনিময়ের পরেও খচখচানি বন্ধ হল না। বরং মনে হচ্ছে বেড়েই চলেছিল। রুনু মেয়েদের দলে বেশ ব্যস্ত হয় পড়লো আর আমি এক কোণে দেখে বসে থাকলাম। তারেকের মৃত্যুতে প্রকৃতপক্ষে খুব একটা কষ্টের অনুভূতি যে হয়েছিল তা না। বরং তার মৃত্যুর পরে আমার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে যা ছিল তার নাম সুইসাইড নোট। এমনটা কেন হয়েছিল তার একটা যুতসই কারণ বের করা উচিত। পরিসংখ্যান কখনোই পুরোপুরি সত্য হয় না আবার সম্পূর্ণ মিথ্যাও হয় না। পরিসংখ্যান হলো সত্যের কাছাকাছি এবং একইসঙ্গে মিথ্যার কাছাকাছি একটা বিষয়। সত্যও না আবার মিথ্যাও না। একটা পরিসংখ্যানের ফলাফলে দেখে গিয়েছে নতুন নতুন প্রেমে পড়া যুগলদের মধ্যে চারপাশের ঘটে যাওয়া নিরীহ অথবা ভয়ংকর ঘটনাবলীর প্রভাব থাকে সাধারণ মাত্রার চেয়ে কম। যদি এই পরিসংখ্যান সত্য হয় তবে তারেকের মৃত্যু খুব একটা দুঃখের কারণ না হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত। তবে এই যুক্তি বড্ড বেশি ঠুনকো মনে হল। ভাবতে হবে, ব্যাপারটা নিয়ে আরও ঠান্ডা মাথায় ভাবতে হবে।
পাঁচ
প্রাত্যহিক ব্যস্ততার নিয়মের ফেসে গিয়ে তারেক বিষয়ক সব ভাবনা চিন্তা ঐ বাকীর খাতাতেই তোলা রইল। আঠারই সেপ্টেম্বরের আসতে আর মাত্র দুদিন বাকী। আমার আর রুনুর বিবাহবার্ষিকী। ভাবছিলাম চমকপ্রদ কিছু একটা করে রুনুকে চমকে দিব। কিন্তু যুতসই কোন পরিকল্পনাই করতে পারছিলাম না। কথায় কথায় ইশিতাকে জানিয়েছিলাম। আর তখনই সে সন্ধান দেয় একজন শখের শিল্পীর। যে কিনা নতুন আঙ্গিকে মনোমুগ্ধকর সব শোপিস বানাতে সিদ্ধহস্ত। তাজমহল টাইপের কিছু একটা বানিয়ে উপহার হিসাবে চালিয়ে দেয়ার উপদেশ দেয় ইশিতা। ব্যাপারটা যদিও আমার কাছে তেমন কৌতূহলোদ্দীপক মনে হলো না তবুও রাজি হয়ে গেলাম। দেখিনা ব্যাপারটা কেমন হয়? আঠার তারিখ সন্ধ্যা, বিকালে অল্প বৃষ্টির কারণে আজকের সন্ধ্যাটা একটু বেশিই ভৌতিক। অন্ধকার নেমে গেছে দ্রুতই। ফ্ল্যাটের দরজায় হাত রাখতেই দরজা খুলে গেল। দরজাতো বন্ধ থাকার কথা এই সময়।ঘরের পরিবেশটাই হঠাত করে কেন জানি গুমোট ঠেকল। নাকি আবহাওয়ার প্রভাব ঠিক বুঝা যাচ্ছে না। বেডরুমের বাতি নেভানো। হঠাত করেই আমার মনে হলো দরজা খুলেই হয়তো ভয়ংকর কোন দৃশ্য দেখতে পাব। হয়তো দেখা যাবে তেমন কিছুই না, কোন কারণে ক্লান্ত তাই বাতি নিভিয়ে রুনু শুয়ে আছে। এমনিতেও সারাদিন ঘরে বসে থাকলে সব ক্লান্তি ভর করে এই সন্ধ্যাবেলায়ই। প্রায়ই রুনু সন্ধ্যায় বাতি নিভিয়ে অন্ধকার ঘরে শুয়ে থাকে। আজকে হয়তোবা একটু বেশিই পরিশ্রম করেছে। ড্রয়িং রুমের টি টেবিলের উপর একটা বড় প্যাকেট। প্যাকেটের ভিতর কি আছে আমি জানি। প্যাকেট থেকে তাজমহল টাইপের একটা আদল বেরিয়ে এল। দেখতে খুব একটা খারাপ হয় নি। বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার পর আমি নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম। একটা হালকা নীল আলো পুরো শোপিস থেকে, এই আলোর বোধহয় সম্মোহনী শক্তি আছে। তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে।
রুনু ব্যাপারটা দেখে কেমন আনন্দিত হবে ভাবতেই ভালো লাগছে।
বেডরুমে ঢুকে যা দেখলাম তার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। বিষ্ময়ের ঘোর ঠিক কবে কেটেছিল আজ আর মনে নেই। আঠার তারিখের কথা মনে পড়লেই চোখের সামনে ভেসে আসে ফ্লোরে কাত হয়ে পড়ে থাকা একটা চেয়ার আর ঠিক তার একটু উপরেই শূন্যে ভেসে থাকা এক জোড়া পা।
ছয়
বাইরে থেকে কারাগারের পরিবেশ যতটা দমবন্ধ আর গুমোট মনে হয় আদতে ততটা নয়। বরং অনেকাংশেই সুশৃঙ্খল। ঘুম থেকে উঠবার পরই বিভিন্নমেয়াদে শাস্তিপ্রাপ্ত সবাই যার যার কাজে লেগে পড়ে। এখানে ভিতরেই তারা গড়ে তুলেছে নিজস্ব পৃথিবী। তবে ভয়ংকর একাকীত্বে গ্রাস করে রাখে আমাকে। তারেক বিষয়ে ভাবনার জন্য এক সময় কোন ফুরসত্ই ছিল না। এখন পর্যাপ্ত সময় কিন্তু আমি কিছুই ভাবছি না। চব্বিশ ঘন্টা একটা প্রায় অন্ধকার উত্কযট গন্ধময় কারাকক্ষে থেকে থেকে ভাববার ক্ষমতাই হয়তো নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
একমাস অন্তর অন্তর নিরাপত্তাবেষ্টিত হয়ে হাজির হতে হয় আদালত প্রাঙ্গণে। তখন আত্মীয়দের কেউ কেউ হাজির হয় এক পলক দেখতে অথবা দুয়েকটা কথা বলতে। আমি অর্থহীন চোখে তাকিয়ে শুনে যাই।
তীব্র মানষিক যন্ত্রণা দিয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করতে গলদঘর্ম আইনজীবিকে দেখি।
কাঠগড়া বিষয়ক যেসব ফ্যান্টাসি সিনেমার পর্দায় দেখে দেখে আমরা অভ্যস্ত তেমন কিছুই এখানে হয় না। ম্যাজিস্ট্রেট অথবা বিচারকের দিকে তাকিয়ে শুধু দু'একটা বাক্য বিড়বিড় করে বলতে হয়। সেই বাক্যও আবার উকিলের শিখিয়ে দেয়া।
আমার চিত্কাকর করে বলতে ইচ্ছে হয়, আমিই হন্তারক, শাস্তি কার্যকর করে মুক্তি দাও দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে। হৃদযন্ত্র প্রদত্ত শাস্তি ভোগ করতে করতে আমি ক্লান্ত!
কোন একটা কারণে এই শব্দগুলো ঠিকঠাক কারো শ্রবণকম্পাংকে পৌছে দিতে পারি না। দলা পাকিয়ে আটকে থাকে গলার নিচে।
আর আমার চোখ খুজে বেড়ায় রুনুর সুইসাইড নোট।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৯
মাক্স বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ!
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাস সুন্দর লেখা
শুভকামনা +
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
মাক্স বলেছেন: থ্যাংকস!
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:০২
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভালা লাগছে - লেখাটা বেশ ইনজয় করছি!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:০৬
মাক্স বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকবেন!
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুখপাঠ্য। ভাললেগেছে। ১ম ভাল লাগা +
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২২
মাক্স বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই।
ভালো থাকবেন!
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
শাওণ_পাগলা বলেছেন: গল্পের শুরুর অংশ থেকেই বুঝতে পারছিলাম এই গল্প ভালো লাগবে। ভালোও লাগলো। প্লাস বাটনে অনেক গুলা ক্লিক করলাম, কাজ করলো না।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
মাক্স বলেছেন: প্লাস বাটন কোন বিষয় না, ভাল্লাগসে এইটাই বড় কথা।
ভালো থাকবেন!
৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
শাওণ_পাগলা বলেছেন: গল্পের শুরুর অংশ থেকেই বুঝতে পারছিলাম এই গল্প ভালো লাগবে। ভালো লাগলোও। প্লাস বাটনে অনেক গুলা ক্লিক করলাম, কাজ করলো না।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬
মাক্স বলেছেন: ঐ
৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৩৬
বর্ণহীণ বলেছেন: শিরোনাম দেখে ভয় পেয়েছিলাম!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
মাক্স বলেছেন: ভয় দূর হইসে?
৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৪
তারছেড়া লিমন বলেছেন: অর্ধেক পড়লাম এখন পর্যন্ত কতি পারছিনা দেখি বাকি টায় কি হয়....তবে চম্র লেখা বস ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
মাক্স বলেছেন: পুরাটা পইরা কইয়া যাইয়েন!
৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯
সুমন কর বলেছেন: ভালো লাগল।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৫
মাক্স বলেছেন: থ্যাংকস সুমন কর!
১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২১
শান্তির দেবদূত বলেছেন: ভয়ংকর সুন্দর!
গল্প পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, শিরনাম "রুনুর সুইসাইড নোট" আর সুইসাইড করেছে তারেক। তার সুইসাইড নোটও গায়েব! আমার বিয়ের অনুষ্ঠানে তারেখের প্রাক্তন প্রেমিকার উপস্থিতি দেখে মনে হয়েছিল এইবার হয়ত রহস্যের ঝট খুলবে! কিসে কি? জট আরও পাঁকিয়ে গেল!!
রুনুর সুইসাইডের কারন কি ইশিতা?
অনেক ভাল লিখেছেন! প্রায় ৫/৬ দিন ধরে একটা সাই-ফাই গল্প লেখার চেষ্টা করছি, সম্পূর্ণ প্লট এ টু জেড মাথায় আছে কিন্তু লিখতে পারছি না। কারন হল এই ধরনের লেখা! ব্লগে এত এত ভাল গল্প আসছে যে পড়েই আর লেখার টাইম পাচ্ছি না। একটার লিংক ধরে আরেকটা চমৎকার গল্প পেয়ে যাচ্ছি! গ্রেট , চালিয়ে যান। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪৮
মাক্স বলেছেন: প্লট মাথায় নিয়া ঘুরলেই হবে? লিখে ফেলেন, সাই ফাই পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
রুনুর সুইসাইডের কারণ হয়তো খুব তুচ্ছ, নিজের মত একটা ভেবে নেয়া ছাড়া কোন গত্যন্তর নেই।
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
ভালো থাকুন!
১১| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: তীব্র মানসিক যন্ত্রণা দিয়ে রুনুর স্বামী তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছিলো ব্যাপারটা কী অপ্রত্যাশিত নয় ! মনে হল হঠাৎ করে খবরটা পড়লাম কারণ তাদের দাম্পত্য কলহের কোনও ইঙ্গিত ছিল না, ছুটির দিনে বাজার করা নিয়ে হালকা পাতলা বিরক্তি দেখানো ছাড়া আর কিছুই তেমন দেখলাম না।
ভালো লেগেছে পড়ে
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১০
মাক্স বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়েই খেয়াল করলাম আমার কাছেও কেমন জানি হঠাৎ করেই খবর টা পেলাম মনে হচ্ছে। লিখার সময়তো এমন হয় নাই।
পড়ে ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হয়েছি।
ভালো থাকুন!
১২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৭
নুসরাতসুলতানা বলেছেন: বাস্তবেও অনেক মৃত্যুর ক্ষেত্রে এমন হয় -- ভুলবুঝা। রুনু'র মৃত্যুর কারন খুজতে দু'বার পড়েছি গল্পটা । পরে নজরে এলো--- ' আর আমার চোখ খুজে বেড়ায় রুনুর সুইসাইড নোট ' - --কথাটা। গল্পের নায়কের মত পাঠকও মৃত্যুর কারন খুজতে সুইসাইডাল নোট খুঁজবে। গল্পে +++++++ ।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১২
মাক্স বলেছেন: দুই বার পড়েছেন জেনে সম্মানিত বোধ করছি।
ভালো থাকুন নুসরাতসুলতানা!
১৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৩
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের নায়ক হয়ত ইচ্ছেকৃতভাবে রুনুকে কোন মানসিক যন্ত্রণা দেয়নি, কিন্তু রুনু কষ্ট পেয়েছিল । ধরেই নেয়া যায় রুনু অন্তর্মুখি স্বভাবের মেয়ে ছিল, যে তার স্বামীকে পুরোপুরি বিশ্বাস করত । কিন্তু ফোনের ম্যাসেজ তার সমস্ত বিশ্বাস ভেঙ্গে দেয় । অভিমানি রুনু বিষয়টির সত্যাসত্য না জেনেই.. বোকা মেয়ে!
আর এই প্রকাশ না করা অভিমান সারা জীবন তাড়া করে ফিরবে তার স্বামীকে ।
আর আমার চোখ খুজে বেড়ায় রুনুর সুইসাইড নোট।
অসাধারণ একটা গল্প পড়লাম । যেমন প্লট তেমন বর্ণনা ।
বাকরুদ্ধ মুগ্ধপাঠ!
++
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
মাক্স বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়লেই আমার ঠোটের কনে একটা হাসি চলে আসে। আপনার প্রত্যেকটা কমেন্টই উৎসাহমূলক।
ভালো থাকবেন প্রিয় মামুন ভাই!
১৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৯
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: পড়লাম মাক্স ভাই। ভালো লাগলো। ঘোরলাগা বাস্তবতায় আমিও খুঁজছি রুনুর সুইসাইড নোট !!
অনেকদিন পর আপনার গল্প পড়লাম। ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৪
মাক্স বলেছেন: অনেক অনেক দিন পড়ে আপনার মন্তব্য পেলাম।
সময় করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: দারুন একটি প্লট। বর্ণনাও শৈল্পিক এবং একই সাথে সাবলীল। গল্পের(গল্পকথকের) যে বিষয়টি ভাল লেগেছে সবচেয়ে তা হলো সবলীল বর্ণনা।
গল্পের কথায় আসি প্রথমে তারেক এবং পরে রুনুর অস্বাভাবিক মৃত্যু নয় বরং সুইসাইড নোটটিই শেষ পর্যন্ত আকর্ষনের বিষয় হয়ে দাড়ায়। রুনুর জন্য মায়া হয়। বেচরী।
৩য় প্লাস।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০
মাক্স বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: প্লাস বাটন বৈঈমানী করতেসে :/ পরে আইসা দিতেছি।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
মাক্স বলেছেন: ওকে!
১৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: ভয়ানক লিখেছেন !
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৫
মাক্স বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ স্বপ্নবাজ অভি।
ভালো থাকবেন!
১৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৫
কয়েস সামী বলেছেন: বেশ প্যাচ করে লিখেছেন। সাসপেন্স ধরে রাখার চেষ্টা। তারেকের সাথে তুলনা করে গল্প কথকের নিজের কাহিনী বলার ভঙ্গিটা ভাল লাগল।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
মাক্স বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ কয়েস সামী।
আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
১৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩২
একজন আরমান বলেছেন:
দুর্দান্ত গল্প।
রুনুর মৃত্যুর কারণ সম্ভবত এসএমএস !
Que sera sera কোন ল্যাঙ্গুয়েজ?
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৯
মাক্স বলেছেন: সম্ভবত স্প্যানিশ, আমি লাইনটা পাইসি ম্যারি এন্ড ম্যাক্স সিনেমা থেকে।
২০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
চমৎকার লিখেছেন।
পাঠে মুগ্ধ!!
ভাললাগা রইলো +++++
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
মাক্স বলেছেন: মুগ্ধ করতে পেরেছি জেনে আনন্দিত হলাম।
ভালো থাকবেন!
২১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৫
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: ইদানিং আমি কোন পোস্টে প্লাস এবং প্রিয়তে নিতে পারি না। সামু আমাকে শাস্তি দিল নাকি???
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
মাক্স বলেছেন: আমারেও একই শাস্তি দিসে, এইবার কান্দাকাটি বন্ধ করেন।
২২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪০
তানিয়া হাসান খান বলেছেন: বেশ ভাল লাগল তো! ........।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২২
মাক্স বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ভালো থাকুন!
২৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৮
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শুরু টা দারুণ লেগেছে ।
বাক্যবিন্যাস চমকপ্রদ । মাক্সিয় ভঙ্গিতে বলা ,
ভাল লেগেছে গল্প ।
প্রচলিত সামাজিক পরিবেশের প্রতি ব্যঙ্গটা লক্ষণীয় ।
।
আর হ্যা ,
সুইসাইড নোট টা খুবই দরকার ছিল !
ভাল থাকবেন মাক্স , আসছি পরের গল্পে ।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
মাক্স বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাহমুদ!
ভালো থাকবেন!
২৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৯
সাদরিল বলেছেন: ভাল লাগলো
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪২
মাক্স বলেছেন: ধন্যবাদ সাদরিল।
ভালো থাকুন!
২৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২৬
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মেয়েদের এই এক সমস্যা। কেউ কেউ খুব বেশি বুঝে ফেলে এবং সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে একা একাই। তৈরি করে নেয় তার জীবন সঙ্গীর কল্পিত আরেকটা জীবন আর তাতেই পুড়ে পুড়ে ক্ষয় হতে থাকে তারা। না পারে স্বামীটার সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে খোলাখুলী আলাপ করতে না পারে নিজের মনের কু-যুক্তিগুলো খণ্ডাতে। ফলাফল তীব্র মানসিক অবসাদে পরাস্ত হয়ে মৃত্যুর অন্ধকারে আত্মগোপন। কিন্তু একটিবার মন খুলে যদি আলাপ করতে পারতো তাহলে হয়তো নিজেকে মানসিক রোগী হয়ে মৃত্যু বেছে নিতে হয় না।
গল্পের শুরুটা কেমন ছাড়া ছাড়া লাগছিল। তারপরেই আস্তে আস্তে কাহিনী আকৃতি পেয়েছে। ভালো লেগেছে বলতেই হবে।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৯
মাক্স বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হয়েছি।
পাঠ এবং সুন্দর মন্তব্যের জনয় অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন!
২৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: রুনুর জন্য মনটা বেশ খারাপই লাগলো।গল্পের শেষ পর্যন্ত একধরনের সাসপেন্স ছিল।শুভকামনা রইল
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:১৭
মাক্স বলেছেন: আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকুন।
২৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:০৮
আম্মানসুরা বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে। অনুসরণে নিলাম।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২২
মাক্স বলেছেন: ধন্যবাদ আম্মানসুরা।
ভালো থাকুন!
২৮| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৮:৩৪
তাসজিদ বলেছেন: কঠিন, কঠিন লেখা।
ভয়ানক ডিপ লেখা।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৩
মাক্স বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!
২৯| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
হেডস্যার বলেছেন:
দারুন হইছে। +
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৪
মাক্স বলেছেন: থ্যাংকস হেডস্যার!
৩০| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০
আমিনুর রহমান বলেছেন:
তোমার গল্প পড়া মানেই হলে একটা ঘোরের মধ্যে ঢুকে যাওয়া। বরাবরের মতই সুপাঠ্য। রুনু'র সুইসাইড নোট খুঁজে বেড়িয়েছি পুরো গল্পে।
তোমার মৃত্যু ও সুইসাইড বিষয়ক কতগুলো গল্প হলো !!!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৬
মাক্স বলেছেন: হিসাব করি নাই, সব গল্পেই দুই একজন কইরা মরতাসে
৩১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: চমৎকার।
গল্পের বর্ণনা অসাধারণ। বেশ সুন্দর সুন্দর শব্দ চুজ করেছেন। মুগ্ধপাঠ!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২৮
মাক্স বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন!
৩২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
টুম্পা মনি বলেছেন: ঝিম ধরানো লেখা। চমৎকার ভাবাবেগ। অজস্র ভালো লাগা।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩০
মাক্স বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ভালো থাকুন!
৩৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: খুব চমৎকার লিখেছেন মাক্স! মুগ্ধ করল আপনার লেখনী!
প্রথম প্রশ্ন হল তারেক আসলে কেন সুইসাইড করল? পরিস্কার করে কিছু বলা হয়নি, তার ভয়াবহ মানসিক যন্ত্রণার বর্ননা আছে, এমন কিছু তার সাথে হয়েছে যেটার ক্ষেত্রে আসলে সবাই ভাববে 'এইটা কেন আমার সাথেই হল?'। এরকম অনেক কিছুই হতে পারে,যেমন বাস এক্সিডেন্টে আমি আমার দুই পা হারালাম। তারেকের সাথে ঠিক কী হয়েছিল এইটা লেখক আমাদের স্পষ্ট করে বলেননি, কিছু আভাস থেকে কল্পনা করা যায় তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে গিয়েছিল? প্রেমিকা আরেকজনকে ভালোবেসে চলে যায়? তারেক এইটা সহ্য করতে পারেনি? তারেকের আত্মহত্যা তার প্রেমিকাকে তেমন একটা বোধহয় টলাতে পারেনি, কারণ লেখক কমিউনিটি সেন্টারে ভাবছেন- 'একটা পরিসংখ্যানের ফলাফলে দেখে গিয়েছে নতুন নতুন প্রেমে পড়া যুগলদের মধ্যে চারপাশের ঘটে যাওয়া নিরীহ অথবা ভয়ংকর ঘটনাবলীর প্রভাব থাকে সাধারণ মাত্রার চেয়ে কম '
ঠিক এই প্যাটার্নেই কী রুনুর ঘটনা ঘটলো না? লেখকের ঈশিতার সাথে পরকীয়া, সংসারে অবহেলার যৌথ আক্রমণে রুনু ভেঙ্গে পড়লো?
আমিও ওদের সুইসাইড নোটটা খুঁজছি মাক্স! ওদের নোট দুটো পাশাপাশি রেখে দেখতে চাই, আমি কী এমন কোনো দৈব সংযোগ দেখব নাকি সবই কবির কল্পনা?
কয়েকদিন আগে আমার খুব প্রিয় লেখক প্রোফেসর শঙ্কুর একটা গল্প পড়লাম - 'শেকড়- নীতি', এইখানেও সম্পর্কের টুইস্ট খুব চমৎকারভাবে এসেছে, আপনার এই গল্পটা পড়ে আমার অনার গল্পের কথাটাও মনে পড়ল।
গল্প প্রিয়তে মাক্স! এরকম আরও কিছু গল্পের প্রত্যাশায় থাকলাম!
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৬
মাক্স বলেছেন: আপনি যেভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন সেটা ভাবতেই আমার খুব ভালো লাগছে।
প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে সম্মানিত বোধ করছি।
ভালো থাকবেন কবি!
৩৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
অনির্বাণ প্রহর বলেছেন: ঘোর গল্প।
অসাধারণ লেখা।
অনেক ভাল লাগলো।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৮
মাক্স বলেছেন: ধন্যবাদ অনির্বাণ প্রহর !
ভালো থাকবেন।
৩৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: মৃত্যুসাক্ষীর যাপিত জীবন মৃতদের চেয়ে খুব আলাদা নয় হয়তো। এটাই মনে এলো গল্পটা পড়ে। মুগ্ধ করার মতো বর্ণনাশৈলী।
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
মাক্স বলেছেন: থ্যাংকস হামা ভাই!
শুভরাত্রি!
৩৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: আমার চিত্কাকর করে বলতে ইচ্ছে হয়, আমিই হন্তারক, শাস্তি কার্যকর করে মুক্তি দাও দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে। হৃদযন্ত্র প্রদত্ত শাস্তি ভোগ করতে করতে আমি ক্লান্ত!
কোন একটা কারণে এই শব্দগুলো ঠিকঠাক কারো শ্রবণকম্পাংকে পৌছে দিতে পারি না। দলা পাকিয়ে আটকে থাকে গলার নিচে।
আর আমার চোখ খুজে বেড়ায় রুনুর সুইসাইড নোট।
++++
৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪১
মাক্স বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
ভালো থাকবেন!
৩৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিনুর রহমান বলেছেন:
তোমার গল্প পড়া মানেই হলে একটা ঘোরের মধ্যে ঢুকে যাওয়া।
এরপর আর কিছু বলার থাকেনা। ++++++++++++++ রইল।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৫
মাক্স বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকবেন!
৩৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার এবং চমৎকার একটা গল্প। অসাধারন হৈসে মাক্স! ভালো লাগল।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩১
মাক্স বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকুন!
৩৯| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫২
খাটাস বলেছেন: আপনার লেখা যে কারনেই হোক, আগে পড়ার সৌভাগ্য হয় নি। বার বার হোম পেজে রুনুর সুইসাইড নোট দেখে পড়তে ঢুকেছিলাম। বেশ বড় গল্প হউয়ায় সময় নিয়ে পরে পড়ব ভেবেছিলাম। এখন পড়ে মনে হচ্ছে, এত সুন্দর গল্প টা পড়তে অনেক দেড়ি হয়ে গেল। আপনার লেখায় ম্যাগনেটিক একটা ধাঁচ আছে, যা পাঠক কে আকৃষ্ট করে ঘোরের মাঝে রেখে দেয়, কিন্তু সাথে লেখার পুরো মেসেজ টা ও বুঝিয়ে দেয়। আর কিছু বললাম না।
++++ অনেক শুভ কামনা। ভাল থাকবেন মিস্টার ম্যাগনেট ম্যাক্স।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
মাক্স বলেছেন: আপনার উৎসাহমূলক মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন ভাই।
৪০| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫
অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: যেটা বলতে যাচ্ছিলাম , মামুন ভাই বলে দিসেন
প্রচণ্ড অভিমান আর মানসিক কষ্ট থেকে যে ভয়ানক সিদ্ধান্ত নিয়েছে রুনু , খুব কাছে থেকেও তার স্বামী আঁচ করতেও পারেনি ।
এমন সিদ্ধান্ত নিয়েও স্বাভাবিক থাকা রুনুকে বুঝতেই পারেনি সে !!
কঠিন ঘোরলাগা ।
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬
মাক্স বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন!
৪১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০০
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: তাইলে ঠিকই আছে
০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
মাক্স বলেছেন: হ
৪২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৮
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: গল্পের সাসপেন্স, বর্ণনা ভংগী, ঘটনার বিন্যাস সবকিসুই বেশি ভালো হইসে! খুব বিজ্ঞ গল্পকারের মত কমেন্ট দিলাম ভাবখানা এমন, আমি নাজানি গল্প বিষয়ে কত জানি!! হিহিহি!!
বাট প্লাস বাটনে চাপার পর চাক্কা ঘুরতাসে!!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২
মাক্স বলেছেন: প্লাস বাটনের কয়েকদিন ধরে এই এক সমস্যা
৪৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯
বটবৃক্ষ~ বলেছেন: তবে এখন আমার ভাবনা জু্ড়েও ঘুরছে রুনুর সুইসাইড নোটটি!!
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৪
মাক্স বলেছেন: সুইসাইড নোট ফোট নিয়া বেশি চিন্তা করা ঠিক না!
৪৪| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অলসের নিরলস কর্ম ভাল লাগলো ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৬
মাক্স বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ভালো থাকবেন!
৪৫| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৮
সমুদ্র কন্যা বলেছেন: গল্পটা আমার খুব ভাল লাগল। আপনার বর্ণনাশৈলী চমৎকার!
রুনু নিশ্চয়ই খুব অভিমানী একজন মেয়ে। বুক ফেটে যায় তবু মুখ ফুটে বলতে পারে না। তাই এইভাবেই নিজের কষ্টের প্রকাশ করেছে। সুইসাইড নোটটা থাকলে ভাল হতো সত্যি।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২০
মাক্স বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে আনন্দিত হয়েছি।
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ সমুদ্র কন্যা।
ভালো থাকুন।
৪৬| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
সায়েম মুন বলেছেন: আপনার ঝরঝরে বর্ণনা ভাল লেগেছে।
তবে গল্পের ছাড়াছাড়া ভাবটা চোখে পড়লো। ঠিক কি কারলে রুনু আত্মহত্যা করলো এটাও স্পষ্ট নয়। পারিবারিক কলহ বা মান অভিমান থেকে আত্মহত্যা হতে পারে। কিন্তু সেটা কিছুটা ডিটেইল হলে ভাল হতো। তারেক এর প্রেমিকা বা ইশিতা সম্পর্কিত বিষয় থেকে হয়ত সন্দেহ সৃষ্টি। সেই থেকে আগুনে পোড়া। বা আত্মহত্যা বিষয়টা ঘটতে পারে। সেটাও কিন্তু খোলাসা না। পাঠক হিসেবে কিছুটা বঞ্চিত হলাম যেন।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
মাক্স বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে গল্পটা আবার পড়লাম।
গল্পটা পড়ে কিছুটা বঞ্চিত হয়েছেন ভেবে নিজেরই খারাপ লাগছে।
আমি চেয়েছিলাম প্রিয় কেউ একজন হঠাৎ অজানা কোন গোপন অভিমানে দূরে সরে যাওয়ার ফলে একজন লোকের মানসিক অবস্থার ছবি ফুটিয়ে তুলতে। তারেকের অংশটায় যেটার একটু আধটু চেষ্টা করেছি।
যা হোক পরবর্তীতে কোন লিখায় অবশ্যই আপনার এই মন্তব্যের কথা স্মরণ রাখবো।
অনেক ভালো থাকবেন কবি!
৪৭| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫১
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: প্রথমেই বলি, বর্ণনার ভঙ্গি অনেক ভালো লেগেছে আমার।
গল্পও দারুণ লেগেছে। অনেক কিছু পাঠকের হাতে ছেড়ে দেওয়া ছিল, ইচ্ছেমত শূন্যস্থানে কল্পনাশক্তিকে বসান গেছে।
মুগ্ধপাঠ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০২
মাক্স বলেছেন: পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রোফেসর সাহেব।
ভালো থাকবেন!
৪৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২২
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: লেখার ধরন নয়, আপনার গল্পের ধরন একজন জাদুকরকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়! উনি একজনই তাই জানি আপনি বুঝতেই পারছেন কার কথা বলছি। অসাধারণ লেগেছে ভাই, অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ে খুবই ভালো লাগলো। অনেকেই তো গল্প লিখছেন, আপনার আর হামা ভাইয়ের কোন তুলনা চলে না!
প্লাস সহ প্রিয়তে (শিওর না প্লাসটা দিতে পারতেছি কিনা! মাঝে মাঝে কাজ করতেছে)
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৭
মাক্স বলেছেন: আস্তে কন মাইনসে হুনলে কি কইব
ফিলিং বিরাট লেখক
প্লাস বাটন আজকাল হেভি দিগদারি করতাসে
ভালো আছেন নিশ্চয়?
৪৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৯
দুঃস্বপ্০০৭ বলেছেন: বস আছেন কেমন ?
বরাবরের মত মুগ্ধ পাঠ ।রুনুর সুইসাইড নোট ভাল লেগেছে ।
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৬
মাক্স বলেছেন: ভালো আছি! আপনিও ভালো আছেন নিশ্চয়য়?
গল্প ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
৫০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১১
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: যাচ্ছে চলে ভ্রাতা, আপনাদেরকে আগের মতো দেখিনা বলে আসার ইচ্ছেটা কমে গেছে কিছুটা। আপানাদের সাথেই তো দিকভ্রান্তের শুরু! আপনারাই উৎসাহ দিয়ে এতোদুর এনেছেন
০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০
মাক্স বলেছেন: আবার আগের মত নিয়মিত হোন!
আরও অনেক দূর যাওয়া বাকী।
ভালো থাকবেন ভাই।
৫১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৬
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
অনেক দিন পর আপনার কাছ থেকে একটা জমজমাট ভাল গল্প পেলাম মাক্স।
রুনু স্বামীর ওপর অভিমান আর তীব্র মানসিক যন্ত্রণা থেকে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু স্বামী স্ত্রীর মাঝে কিছু মনস্তাত্ত্বিক দন্দ আর মানসিক টানাপোড়ন জুড়ে দিলে ভাল করতেন। এতে অবশ্য গল্পটা আরও অর্থবহ হত কিন্তু শেষের ধাক্কাটা জোড়াল হতনা।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
মাক্স বলেছেন: পড়েছেন দেখে আনন্দিত হলাম।
ভালো থাকবেন নাজিম ভাই!
৫২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮
শূন্য পথিক বলেছেন: দারুন লিখেছেন। ভালো লাগা...
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
মাক্স বলেছেন: থাঙ্কস!
৫৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: রুনু কি তবে ইশিতার জন্য আত্মহত্যা করল???
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
মাক্স বলেছেন: উহু। সম্ভবত একাকীত্ব!
৫৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৬
আরজু পনি বলেছেন:
অনেক সময় কষ্টের , অভিমানের কথাগুলো উগড়ে দিলে মনটা হালকা হয়ে যায় ।
যারা চেপে রাখে সমস্যা মুলত তাদেরই হয় ।
হয়তো রুনুর তেমনই অপ্রকাশিত কষ্টগুলোই রুনুকে এভাবে অভিমান নিয়ে চলে যেতে বাধ্য করেছে ।
দাম্পত্য জীবনে বিস্বস্ত থাকার প্রবণতা আমাদের বড্ড কমে যাচ্ছে ।
অনেক ভালো লাগা রইল, মাক্স ।।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
মাক্স বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন!
৫৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন:
দারুন ত
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
মাক্স বলেছেন: ঞঁ
৫৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৩
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভিজিট করে গেলাম , বেশ ভাল লিখেন
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫
মাক্স বলেছেন: ধন্যবাদ!
৫৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: ভালু আচেন
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০১
মাক্স বলেছেন: হুম ভালু য়াছি
৫৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬
ইখতামিন বলেছেন:
ঁ
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩
মাক্স বলেছেন:
৫৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: অনেক দিন পর মহান ব্লগার মাক্স । সুস্বাগতম ।
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
মাক্স বলেছেন: ধন্যবাদ!
৬০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আবারো সুন্দর আনন্দদায়ক লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
০১ লা মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪১
মাক্স বলেছেন:
৬১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: শুভ বাংলা নববর্ষ
৬২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
৬৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০১
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ১ বছর তো হয়ে গেল। নতুন গল্প কবে দিবেন?
৬৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ঈদ মুবারক
আপনেরা সব কৈ গেলেন ভ্রাতা , ফিরে আসুন প্লীজ
৬৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৭
এন এফ এস বলেছেন:
৬৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৯
বিজন রয় বলেছেন: হারিয়ে গেলেন মাক্স!! ১০ বছর কোনো খবর নেই। ফিরে আসুন।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪১
খেয়া ঘাট বলেছেন: কাঠগড়া বিষয়ক যেসব ফ্যান্টাসি সিনেমার পর্দায় দেখে দেখে আমরা অভ্যস্ত তেমন কিছুই এখানে হয় না। ম্যাজিস্ট্রেট অথবা বিচারকের দিকে তাকিয়ে শুধু দু'একটা বাক্য বিড়বিড় করে বলতে হয়। সেই বাক্যও আবার উকিলের শিখিয়ে দেয়া।
আমার চিত্কাকর করে বলতে ইচ্ছে হয়, আমিই হন্তারক, শাস্তি কার্যকর করে মুক্তি দাও দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে। হৃদযন্ত্র প্রদত্ত শাস্তি ভোগ করতে করতে আমি ক্লান্ত!
কোন একটা কারণে এই শব্দগুলো ঠিকঠাক কারো শ্রবণকম্পাংকে পৌছে দিতে পারি না। দলা পাকিয়ে আটকে থাকে গলার নিচে।
আর আমার চোখ খুজে বেড়ায় রুনুর সুইসাইড নোট।
চমৎকার লিখেছেন।