নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেখবো এবার জগতটাকে...

::::: দেখবো এবার জগতটাকে :::::

সৌম্য

আমি সাঈদ সৌম্য। ঘুরা ঘুরি করতে ভাল্লাগে আমার ব্যাক্তিগত সাইট http://www.shoummo.com/

সৌম্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

বইমেলার জার্নালঃ সাধারনের মেলা দ্যাখা

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১১

পড়াশুনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সবচেয়ে মজার উপদেশ বাণী শুনেছিলাম মিলিটারি একাডেমীতে এক কোর্সমেট এর বাবার কাছ থেকে। ভদ্রলোক আর্মি ইঞ্জিনিয়ার্সের মেজর, ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপরে অনেক পড়াশুনা করতে হয়, ভালো না করলে মেজর অবস্থাতেই আটকে যেতে হয়। উনি ছেলেকে উপদেশ দিচ্ছিলেন-“মন দিয়ে পড়াশুনা কর, নইলে আমার মতো অবস্থা হবে। পৃথিবীতে দুজন লোকের কখনো প্রমোশন হয়না। এক আমার আর দুই মাসুদ রানার”। উনি হেসে জানালেন। আমি যখন তোমাদের বয়সী ছিলাম তখন মাসুদ রানা পড়তাম। সে ছিল পাকিস্তান আর্মির মেজর। এখন আমি মেজর হইছি। ভদ্রলোক এখনো মেজর। অনেক বছর ওদের সাথে যোগাযোগ নাই। ঐছেলে চাকরীতে যদি থাকে তাহলে, মেজর এর শাপলা র্যাাঙ্ক ব্যাজ কাঁধে ঝুলানোর অনেক দিন হয়ে যাবার কথা। বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টালিজেন্সের দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা মাসুদ রানা এখনো মেজর। এখনো তরুন, এবং সমান ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গক্রমে মাসুদ রানা সম্পর্কে আরেকটা মজার ঘটনা বলি। ঘটনাটা হয়েছিল বাংলাদেশের এডভেঞ্চারগুরু বলে পরিচিত আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফার এবং ডুবুরী সদ্য প্রয়াত কাজী হামিদুর রহমানের সাথে। উনি একবার স্কুবার যন্ত্রপাতি এবং তার শিষ্যদের নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিংপুলে প্রাকটিস করছিলেন। একজন সৌম্য বয়স্ক ভদ্রলোক তাদের যন্ত্রপাতি দেখে এগিয়ে এসে খুব উতসাহের সাথে খুটিনাটি জিজ্ঞেস করছিলেন, কোনটার কি কাজ, কোনটা দিয়ে কি করে। আগ্রহী শ্রোতা দেখে হামিদ ভাইও খুব আগ্রহ নিয়ে বোঝাচ্ছিলেন। ভদ্রলোক লাস্টে জিজ্ঞেস করলেন-আপনার সাগর তলে ডুব দেবার আগ্রহ হলো কিভাবে? হামিদ ভাই নিঃসঙ্কোচে উত্তর করলেন, আগ্রহ হয়েছিল মাসুদ রানার বই পড়ে। ছোটকালে মাসুদ রানার বইতে পড়েছিলাম, মাসুদ রানা সাগর তলে ডুব দেয়, দারুন রোমাঞ্চের ব্যাপার। সেই থেকেই শখ ছিল। সেই আগ্রহী ভদ্রলোক উত্তর শুনে অনেক হাসলেন। হেসে জানালেন, উনার নাম কাজী আনোয়ার হোসেন, উনি মাসুদ রানার লেখক।
উপরের গল্প দুটো আসলো এমনি এমনি। মাসুদ রানা ক্লাসিকের পর্যায়ে চলে গেছে, তাকে নিয়ে বলার কিছু নেই। বলার আছে সেবা প্রকাশনী নিয়ে। সেবার সবচেয়ে আকর্ষনীয় জিনিস ছিল তাদের অনুবাদ সাহিত্য। বাংলাদেশের সুশীল’রা নাক উচু করে, কিন্তু সেবা না থাকলে হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড, জুলভার্ন, এইচজি ওয়েলস কারো মজাটা টের পেতাম না। পরে একই বই মুল ইংরেজীতে কিংবা কলকাতার অনুবাদ পড়েছি, কেমন ম্যাড় ম্যাড়ে লাগে। অন্যদের কি অবস্থা জানি না, অধ্যাপক কবির চৌধুরী ছাড়া কারো অনুবাদই টাচ করতে পারে নি, কলকাতার গুলো নির্দিধায় বলতে পারি অখাদ্য। প্রতিবার বইমেলায় সেবা থেকে কিশোর ক্লাসিক কিংবা অনুবাদ সিরিজের বইগুলো কিনি। গতকালকেও অনেক গুলো কিনেছি। কিন্তু লাস্ট কয়েকবছর থেকে মনে হচ্ছে সেবা পৃষ্ঠা বাঁচানোর আন্দোলনে নেমেছে। লেখক একই আছে। কিন্তু বইএর সাইজ নিতান্তই রোগা পটকা। সেবা কমদামে বই বিক্রি করে, কিন্তু কালেকশানে রাখার জন্যে দামি কাগজে আর বোর্ড বাঁধাই বই করে তাদের আরেক ব্যানার প্রজাপতি প্রকাশন। কিন্তু ইদানিং তাদের কোন উচ্চবাচ্য চোখে পড়েনা। ছোটবেলার প্রিয় বই কাজী আনোয়ার হোসেনের “রবিনহুড” এরও একই দশা। বই এর পৃষ্ঠা সঙ্খ্যা কমানো, মনে হচ্ছে, সেকারনে ওরা গল্পটাকেও কেটে ছেটে রাখছে। সেবার অনুবাদ এর মজার জিনিস ছিল ওরা সরাসরি অনুবাদ না করে রুপান্তর করে, যে কারনে জুলভার্নের এড্রিফট ইন দ্যা প্যাসিফিক হয়ে যায় সামসুদ্দিন নওয়াব (কাজী আনোয়ার হোসেনের ছদ্ম নাম, উনার ডাক নাম নওয়াব, সুত্র-কাজী মোতাহার হোসেনের আত্মজীবনী) এর নোঙ্গর ছেড়া, থ্রিলীগস আন্ডার দ্যা সী হয়ে যায় সাগর তলে। এবং ক্যাপ্টেন নিমোর চরিত্রটা অচেনা অজানা কোন ডুবো জাহাজের রহস্যময় ক্যাপ্টেন না হয়ে খুব চেনা জানা এক চরিত্র হয়ে যায়। বইমেলা থেকে মবিডিক কিনলাম, রাইডার হ্যাগার্ডের স্টেলা, মুন অফ ইজরায়েল, কুইন শেবা’র ট্রেজার। সবগুলো পড়ে মনে হচ্ছে একটা আস্ত উপন্যাসের ছোট গল্প সাইজের উপন্যাস পড়ছি। এই বইগুলোই ছোটবেলাতে পাঠ্যবইএর আড়ালে লুকিয়ে পড়ে এত মজা পেতাম। সেটা অনেকখানি অনুপস্থিত।
বইমেলায় আমার আরেকটা প্রিয় দোকান সন্দেশ। এমনি সময়েও সন্দেশের আজিজের দোকানটাতে প্রায় সময়ই ঢু মারতাম। ওদের অনুবাদের কোয়ালিটি সেবার মতো জমজমাট না হলেও কলকাতার রদ্দিমার্কা অনুবাদের চেয়ে হাজার গুনে ভালো। ছাপার কোয়ালিটি, কাগজের মান বাঁধাই তুলনামুলক ভালো। ইদানিং সন্দেশে ঢু মারতে ভয় লাগে, ওদের দামের কারনে। হোয়াইট মুঘলস আমার খুব প্রিয় বই। বইটা সংগ্রহে রাখা দরকার। দাম দেখি সাড়ে আটশ টাকা। ওদের অন্যবইগুলো যেগুলো আগে থেকে সংগ্রহে আছে, সেগুলোতে চোখ বুলালাম, কয়েকবছরে দাম মনে হয় লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এটা ব্যাবসায়ীক ব্যাপার কিছু বলার উপায় নেই। উইলিয়াম ড্যালরিম্পল বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হচ্ছেন বোঝা যায়। কিছুদিন আগে প্রথম আলোর সাহিত্য পাতাতেও তার উপরে অনেক কাজ কর্ম স্বাক্ষাতকার দেখেছি। উইলিয়াম ড্যালরিম্পলের অনেক গুলো বই ছোখে পড়লো, বিশেষ করে দিল্লীতে আত্মজীবনী টাইপ একটা লেখা, টাকা শেষ হয়ে যাওয়া কিনতে পারলাম না। নেক্সট দিন বই মেলায় কিনবো। প্রিয় সাইফাই লেখক আসিমভের আজাজিল এর বঙ্গানুবাদ চোখে পড়লো। মুল বইটা পিডিএফ এ চুরী করে পড়েছিলাম গতবছর। বাংলাতে না পড়লে শান্তি হয় না। একটাই কপি অবশিষ্ট আছে দোকানে, তাও ছেড়া ভেড়া। সেলাই এর সুতো খসে পড়ছে। দোকানদার জানালো ওদের কাছে আর কোন কপি অবশিষ্ট নেই, এমনকি আজিজে বা বাংলাবাজারের অফিসেও নেই। কেনা হলো না।
আমার কবিতা পড়ার অভ্যাস কম। মুল কারন বুঝিনা, আর আধুনিক কবিতা ব্রেনের উপর দিয়ে পিছলে চলে যায় নিয়মিত করে কবিতা কেনা হয় সেটা জসীমুদ্দিনের। শুধু কবিতা কেন, কাব্যউপন্যাস সোজন বাদিয়ার ঘাট আমার সবচেয়ে প্রিয় বইগুলোর একটা, ছোট গল্প, উপন্যাস- জসীমউদ্দিনের তুলনা জসীমউদ্দিনই। আলাদা ভাষারীতি, সহজ সরল মিষ্টি কাহিনী ভালো লাগতে বাধ্য। আর যে কারনেই জসীমউদ্দিনের উপন্যাস অবলম্বনে বানানো বেদের মেয়ে জোছনা এখনও বাংলাভাষার সবচেয়ে ব্যাবসাসফল সিনেমা। জসীমউদ্দিনের বই শুধু একটা দোকানে পাওয়া যায়, পলাশ প্রকাশনী। জসীমউদ্দিনের উত্তরাধিকারীদের কোম্পানী। তাদের ব্যাবসাবুদ্ধী সম্পর্কে আমার দ্বীধা আছে। নিম্ন মানের কাগজ, নিম্নমানের বাধাই আর প্রিন্ট, এবং প্রাগৈতিহাসিক অলঙ্করনে ছাপানো বইগুলো কিনতে হয় শুধু জসীমুদ্দিনের কারনে। বইগুলোর আয়ুও হয় অল্প কবছর, ছিড়ে যায়, পাতা হারিয়ে যায়, আবার কেনা লাগে সংগ্রহে রাখতে। কি সমস্যা দাম বেশী করে একটু ভালো বাধাইতে ভালো কাগজে ছাপালে, যে দাম ওরা রাখে, ঐদামেই পাঠকদের কাছে ভালো কোয়ালিটির বই দিতে পারে। পল্লীকবি আমাদের জাতীয় সম্পদ, যদিও তাঁর বই এর স্বত্ব তার উত্তরাধিকারদের পলাশ প্রকাশনীর কাছে। তারা কেন এখনও খুচরা আলাদা আলাদা বই বিক্রি করতে উতসাহী কারনটা মাথায় ঢোকেনা। জসীমউদ্দিনের কাব্য সমগ্র, উপন্যাস সমগ্র বা জসীমউদ্দিন রচনাবলীর জন্যে আমরা আরো কত বছর অপেক্ষা করবো জানি না। নিঃসন্দেহে জসীমুদ্দিন রচনাবলী মার্কেটে এলে হটকেকের মত বিক্রি হবে। রবীন্দ্ররচনাবলীর কথা বাদ দেই, দুই তিন বছর আগে সত্যজিত সমগ্র (নালন্দা), কিংবা সৈয়দ মুজতবা আলী রচনাবলী বের হয়েছিল, বই মেলার আটাশ দিনেই তাদের সব কপি বিক্রি হয়ে গেছে বলে শুনেছিলাম।
বই মেলায় এবার আরেকটা মজার জিনিস দেখলাম, বাংলা বইএর প্রচ্ছদ আর অলঙ্করন শিল্পে বিশাল একটা পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। যেটা পজেটিভ, নেগেটিভ ব্যাপার বই এর বাধাই (ছাপা নয়, বাইন্ডিং) এর ব্যাপক অবনতি হচ্ছে। বেশীর ভাগ মানুষই বই পড়ে শুয়ে শুয়ে, প্রকাশক’রা মাথায় রাখতে পারেন। ট্যাব কিংবা বুক রিডার দ্রুত মার্কেট দখল করেছে, কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশে বই ব্যাবসায় খুব বেশী প্রভাব ফেলেছে মনে হয় না। কারন আমাদের আছে ফেব্রুয়ারী মাসের গৌরবের আটাশ দিন।
শেষ কথা ঢাকায় মেলা জিনিসটা খুব জনপ্রিয়, হাড়িপাতিলের মেলা (বানিজ্য মেলা), কম্পিউটার মেলা কিছুদিন আগে টয়লেট মেলাও হয়েছিল। অবাক হয়ে বিশ টাকা টিকেট করে ঢুকে দেখলাম কমোড আর পানির ট্যাপের মেলা, সেটাতেও লোকে লোকারণ্য। কিন্তু শুধু বই মেলার সময়ই বলে মহান গ্রন্থমেলা, পরিবার বন্ধুবান্ধব জমাট আড্ডা আর নতুন বইএর আনন্দ। হরতাল অবরোধ হলে ৩১ দিনের বানিজ্য মেলার সময় বাড়ে, একবারও দেখলাম না, আটাশদিনের বইমেলার সময় বাড়ে।
ওহ আরেকটা জিনিস মনে পড়লো, বইমেলায় ঘাড় বাঁকিয়ে সেলফি তোলার দৃশ্য অনেক বাড়ছে। আগে চোখে পড়ে নাই এই দৃশ্য।


মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: বেশ জমিয়ে লিখতে পারেন আপনি| ভাল লাগল| সেবার বই আমিও কিছু পড়েছি| কাজির মাসুদ রানা সিরিজের অনেকগুলাই পড়েছি| কিন্তু রবিনহুডের মত একটাও ভাল লাগেনি| লোকে যাই বলুক সেবা আমাদের সাহিত্যে অনেক অবদান রেখেছে| একটা বিষয়ে খটকা লাগল| শামসুদ্দিন নওয়াব কি কাজির ছদ্ম নাম| আমার একটু খটকা লাগছে|

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:৩২

সৌম্য বলেছেন: জ্বী কাজী আনোয়ার হোসেনের ডাক নাম নওয়াব, সেখান থেকেই ছদ্ম নাম শামসুদ্দিন নওয়াব, এছাড়া বিদ্যুৎ মিত্র ছদ্ম নামেও কিছু বই লিখেছিলেন।
যা হোক, কাজী আনোয়ার হোসেনকে সবাই "কাজী দা" বলে সম্বোধন করে, কাজী কাজী করে সম্বোধন করতে এই প্রথম দেখলাম। যদি রবিন হুড ভালো লেগে থাকে তাহলে ওনার কিছু মৌলিক লেখা যেমন ইশকুল বাড়ি এগুলো পড়ে দেখতে পারেন।

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:০৯

লাশকাটা ডোম বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন ভ্রাতা :) দ্বিতীয় প্লাস

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৭

সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ ডোম ভাই। আপনার প্রোফাইল ছবি দেখে টেবিল থেকে পড়ে যাইতে লাগছিলাম।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ২:৪২

মহান অতন্দ্র বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে লাইনগুলো পড়লাম।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ মহান অতন্দ্র। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়েছেন, তাই বানান ভুল আর সেন্টেন্সের ভুলের কারণে ক্ষমা চেয়ে নিলাম।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৫

বৃতি বলেছেন: বইমেলার জার্ণাল ভাল লাগলো :)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:২৯

সৌম্য বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

সাজিদ ঢাকা বলেছেন: অর্ধেক পড়লাম সৌম্য ভাই আবারএসে পড়ে যাবো :)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

সৌম্য বলেছেন: কেমন আছেন ভাই : :D

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: বই মেলা জার্নাল ভালো লাগলো।

সেবা প্রকাশনীর ব্যাপারে সহমত। বাতিঘর প্রকাশনী থেকে মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের অনুবাদগুলো বের হবার আগে থ্রিলারগুলোর (যেমনঃ ফরসাইথের ডে অব দ্য জ্যাকল, আইকন, আভেঞ্জার ইত্যাদি সহ আরো অনেক......) ভালো অনুবাদ কিন্তু পাইনি। মাসুদ রানার আদলে সেগুলোর রুপান্তর কিন্তু মূল প্রেক্ষাপট বা কাঠামোতে তেমন কোন পরিবর্তন আনেনি, বরং দারুণ উপভোগ্য ছিলো। তারপর কিশোর ক্লাসিকগুলোর মাঝে আলেকজান্ডার দ্যুমা'র থ্রি মাস্কেটিয়ার্স, ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক.......... হাতে খড়ি কিন্তু সেবা দিয়েই। সেবা প্রকাশনী হয়ত সাহিত্য প্রচারের ব্রত নেয় নি, কিন্তু বাংলাদেশে প্রচুর পাঠক তৈরী করে দিয়েছে। এখনও মাঝে মাঝে ওয়েস্টার্ন পড়তে দারুণ মজা লাগে :)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

সৌম্য বলেছেন: সেবার তুলনা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। বাংলাদেশে এমন কোন বাসা আছে, যেখানে কমপক্ষে একটা সেবার বই নেই?

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

তুষার কাব্য বলেছেন: দারুন লিখেছেন ভাই,বইমেলা নিয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি,বিশেষ করে শেষে যে বললেন ঢাকার মানুষ মেলা প্রিয় এর সাথে তীব্র ভাবে সহমত :) একটা কোনো উপলক্ষ পেলেই হলো সবাই ঝাপিয়ে পড়ে । এখন আবার অনেক কে সেলফি স্টিক দিয়ে সেলফি তুলতে দেখছি !আরো কত কি যে দেখব !
আপনার পোস্টে মনে হয় এটাই আমার প্রথম মন্তব্য !তবে আপনার ভ্রমন পোস্ট পড়েছি অনেকগুলো ।

ভালো থাকুন অনেক ।

৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:২২

আরজু পনি বলেছেন:

অনেকদিন পর সৌম্যর ব্লগে...

আপনার শেয়ার করা কথাগুলো যেনো সামনেই বললেন ।

পাঠকের সুবিধার্থে ব্লগারদের বই নিয়ে পোস্টটাতে আপনার পোস্টের লিঙ্কটা যুক্ত করে দিলাম ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল ।।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:২৮

শায়মা বলেছেন: ওহ আরেকটা জিনিস মনে পড়লো, বইমেলায় ঘাড় বাঁকিয়ে সেলফি তোলার দৃশ্য অনেক বাড়ছে। আগে চোখে পড়ে নাই এই দৃশ্য।



হা হা


এটা খুবই হাস্যকর অভ্যাস!!!!!!! :P

১০| ২০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা বই মেলা ।।
খুব মিস করি আপনার লেখা পড়ে কিছুক্ষন ঘুরলাম ...

১১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: হরতাল অবরোধ হলে ৩১ দিনের বানিজ্য মেলার সময় বাড়ে, একবারও দেখলাম না, আটাশদিনের বইমেলার সময় বাড়ে।

আপনার কথার সাথে সহমত।

১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

Anik07 বলেছেন: আপনি সব সময়ই আপনার বন ভ্রমণ ব্লগগুলোতে impression দেয়ার চেষ্টা করেন যে বাংলাদেশে চিতাবাঘ নেই। আপনার ধারণা বেশ ভুল। পৃথিবীর সব প্রাণী কি আপনি দেখতে পারেন? অন্য রা দেখেছে।

আপনি যদি এখনও এ ধারনা রাখেন যে চিতাবাঘ বিলুপ্ত তাহলে এই দেখেনআপনি সব সময়ই আপনার বন ভ্রমণ ব্লগগুলোতে impression দেয়ার চেষ্টা করেন যে বাংলাদেশে চিতাবাঘ নেই। আপনার ধারণা বেশ ভুল। পৃথিবীর সব প্রাণী কি আপনি দেখতে পারেন? অন্য রা দেখেছে।

আপনি যদি এখনও এ ধারনা রাখেন যে চিতাবাঘ বিলুপ্ত তাহলে এই দেখেন: ছবি টা 2015 এ EcoGuardian Program নাম এ এক Camera Trap Project এ তোলা। এরিয়া সাঙ্গু বনে : ছবি টা 2015 এ EcoGuardian Program নাম এ এক Camera Trap Project এ তোলা। এরিয়া সাঙ্গু বনে

০৬ ই মে, ২০১৬ রাত ১১:৩২

সৌম্য বলেছেন: দারুন ছবি। দারুন আবিষ্কার।
আমি ব্লগ লিখিনা অনেক দিন। আর সত্যি বলতে কি আমি এধরনের কথা লিখেছি বলে মনে পড়েনা। আমি লামচিতার আক্রমনে মরা গরু পেয়েছি কালেঙ্গায়। একাধিকবার লামচিতার পায়ের ছাপও পেয়েছি। মদকে একবার পেয়েছি চিতাবাঘের চামড়া। চিকনকালার জঙ্গলে মুরং রা ওটাকে মেরেছিল।

১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

শায়মা বলেছেন: সৌম্যভাইয়া
কতদিন পরে দেখলাম।

এখন আর আগের মত ভ্রমনে যাওনা ভাইয়া?

পোস্ট তো আর লেখোই না সেসব নিয়ে। জানিও না তাই।

নিশ্চয় অনেক অনেক ভালো আছো।

১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০০

শেরজা তপন বলেছেন: কি হে ভাই এভাবে হারিয়ে গেলেন কেন? সমাচার জানাইয়েন

১৫| ২৪ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:১৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি আর লিখছেন না কেন? আপনার লেখা অনেক চমৎকার এবং পরিমার্জিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.