| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মন মণষা
ছিলাম সৃষ্টিশীল জগতে, বাস্তবতার টানে এখন পার্চমেন্ট কাগজের সওদাগর। একটু মুক্ত নিঃশ্বাসের জন্য তাই এখানে ওখানে ঢুঁ মারা। সাঃইঃ তারই এক চৌকাঠ।
আমার খুব আক্ষেপ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হতে পারার কারণে। এত বড় একটা ক্যাম্পাস...এতো শিক্ষার্থী...শিক্ষক...প্রাণের মেলা... কি কঠিন এক ভর্তি যুদ্ধ শেষে যখন কান ঘেঁষে ভর্তি টা মিস হয়ে গেল তখন আক্ষেপের শেষ ছিল না...অভিমানে আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেই নি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে পচেছি।...আক্ষেপ...আক্ষেপ..
কিন্তু সেই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ভাগ্নি যখন মামা সহ নিজ ক্যাম্পাসে লাঞ্ছিত হয় তখন মনটা বিষাদে ভরে যায়। স্মৃতি তুমি বেদনা...আগেও ছিলে...নতুন করে আবার হলে।
মামা সুনামধন্য ফটোগ্রাফার...স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত...মামার পিতা আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ফটোগ্রাফার ছিলেন...বাংলাদেশে ফটোগ্রাফি আন্দোলনের অন্যত্তম পথিকৃৎ, একুশে পদক প্রাপ্ত এবং বাংলাদেশের একমাত্র আলোকচিত্রাচার্য। ভাগ্নি আই বি এ থেকে বিবিএ ডিগ্রি ধারী...আরেক ভাগ্নি আমেরিকা থেকে পড়াশোনা করে এসে দেশে ফিরে একটি এনজিও তে কর্মরত...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন কে প্রশ্ন করি...এই ভীষণ বড় ক্যাম্পাসে প্রথম বর্ষে পড়ে আপনার কি মনে হয় এখন?...এই তিন জন দেশের জন্যে যত টুকু করেছেন আপনারা তার থেকে কত দূরে আছেন?...আমি বলি...যোজন যোজন...
মামা আদরের ভাগ্নিদের নিয়ে স্মৃতির ক্যাম্পাসে ঘুরতে গেছেন...প্রোক্টর সাহেব আপনার চিন্তার রুচির বলিহারি... কি ভাবে বলেন “তদন্ত করে দেখতে হবে তারা (আহত রা) হলের পরিবেশ নষ্ট করছিলেন কিনা?”...চিন্তার স্বাভাবিক রুচি বোধও কি হারিয়ে গেছে আপনার মধ্যে থেকে?
মনটা বড়ই বিষণ্ণ...খবই বিষণ্ণ... আমরা দিন দিন রিক্ত হয়ে পড়ছি...আশা-ভরসার জায়গা গুলো আজ মিলিয়ে যাচ্ছে...
...সকাতরে আজ কাঁদিছে সকলে শোন শোন পিতা
কহো কানে কানে...শোনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গল বারতা...
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪১
মঈন আলী বলেছেন: রাস্তায় বের হলে এখন থেকে ডি.এন.এ. রিপোর্ট সাথে রাখতে হবে ..
বলাযায়না .. এরপরে এই ঘটনা আমাদের সাথেও হতে পারে .. তখন পরিচয় প্রমান করতে হলে এভিডেন্স সাথে থাকা লাগবে তো ..