![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অস্তিত্ববাদীরা বিশিষ্ট্যসত্তাকে সাধারণসত্তার আগে স্থান দিয়ে দর্শনের আলোচনা শুরু করেন।
‘বিশিষ্ট্যসত্তা সাধারণসত্তার পূর্বগামী’, এ কথার মধ্যদিয়ে আসলে তারা কি বুঝাতে চান?
আসলে তারা বুঝাতে চায় যে, প্রথমে মানুষ অস্তিত্ববান হয়, পরে স্বীয় অস্তিত্বের মুখোমুখি হয়, ও প্রচণ্ডতার মাধ্যমে পৃথিবীতে নিজের অস্তিত্ব প্রমান করে। মানুষ আসলে কিছুই নয়, এজন্যই অস্তিত্ববাদীদের মতে তাকে সংজ্ঞায়ন করা যায় না। সে নিজেকে যেভাবে গড়ে তোলে, তা ছাড়া সে আসলে কিছুই নয়। তাই দেখা যায়, এখানে কোন মানব প্রকৃতি নেই, কেননা এ ধারণা তৈরি করার জন্য কোন ঈশ্বরেরও অস্তিত্ব নেই।
সাধারণভাবে বলা চলে যে, মানুষ অস্তিত্ববান। সে যা হবার কল্পনা করে তা নয়, বরং সে নিজে যা হবার ইচ্ছা পোষণ করে এবং স্বীয় অস্তিত্ব লাভের পরেই যেভাবে নিজেকে গড়ে তোলার কথা ভাবে, অর্থাৎ অস্তিত্ববান হবার প্রশ্নে যেভাবে ইচ্ছা প্রকাশ করে, সে আসলে তা-ই । তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, মানুষ যেভাবে নিজেকে গড়ে তোলে , সে তাছাড়া আর কিছুই নয়।
এবং তা-ই অস্তিত্ববাদের প্রাথমিক বা মৌলিক নীতিমালা
©somewhere in net ltd.