![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক.
আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় বলা হয়েছে- ‘কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ’।
খ.
যদি সাংবাদিক প্রবীর সিকদার ইচ্ছাকৃতভাবেই (ধারা ভাষা অনুযায়ী) তার বক্তব্য ফেসবুকে লিখে থাকেন তবেতো তাকে সংবিধান মতে গ্রেপ্তার করা হতেই পারে। যদি সংবিধানের ধারা ঠিক থাকে তবে গ্রেপ্তার সঠিক । আর যদি গ্রেপ্তার ভুল হয় তবে ধারা পরিবর্তন আবশ্যক ।
খেয়াল করার মত ব্যাপার হলো, যারা প্রবীর সিকদারের মুক্তি চেয়ে আন্দোলন করছেন তারা বিভিন্ন বিশেষণে সাংবাদিককে রাঙায়িত করছেন , বিশেষ ভাবে স্থান পাচ্ছে একটি বই ‘আমার বোন শেখ হাসিনা’ (লিখেছিলেন সম্ভবত ২০০৭ এ ) এবং তিনি শহিদ পরিবারের সন্তান।
গ.
প্রতিটি বোধ সম্পন্ন মানুষই বুঝে উল্লেখিত ধারাটি মারাত্মক । একটু হাত ছাড়া হলেই এর অপপ্রয়োগ আকাশের নীল ছাড়াবে । কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে কেউ এই ধারার বিরোধীতা করছে না। বলছে না ,‘৫৭ ধারা বাতিল করো, করতে হবে।’ তাদের দাবী একটাই ‘শহিদ পরিবারের সন্তান প্রবীর সিকদারের মুক্তি চাই’ । কেনো মুক্তি দিতে হবে ? কারন হিসেবে তারা ছবি আপলোড করছেন , প্রবীর সিকদারের লেখা আওয়ামী ঘেঁষা বই,বলা হচ্ছে আওয়ামী রাজনৈতিক আদর্শের সাংবাদিক, শহিদ পরিবারের সন্তান ইত্যাদি ইত্যাদি । কাল যখন আরেক প্রবীর সিকদারকে একই কারনে গ্রেপ্তার করা হবে এবং সেই প্রবীর যদি শহিদ পরিবারের না হন বা তাঁর বোনের নাম যদি ‘শেখ হাসিনা’ না হয় তবে কি তাকে জেলেই থাকতে হবে ? সেদিন আপনারা কি বিবৃতি দেবেন ?
ঘ.
সম্ভবত এই গ্রেপ্তার এবং দুই ছাত্রলীগ কর্মীর ক্রসফায়ার বিশেষ ধরনের হুশিয়ারি । প্রবীর সিকদার সাংবাদিক, শহিদ পরিবারের সন্তান এবং প্রায় সম আদর্শের সৈনিক। সে ছাড় পায়নি । ছাত্রলীগ ছাড় পাচ্ছে না, ক্রসফায়ারে পড়ছে (চিন্তা করতে পারেন ! চিন্তা করতেও কষ্ট হয়)। সরকার দারুন চাপে, জিরো টলারেন্সতো বটেই, মাইনাসেও থাকতে পারে। সুতরাং সাবধান ........................ হুশিয়ার
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:১৯
শওকত জামিল বলেছেন: নিশ্চয়ই অপরাধীরা শাস্তি পাবে এবং পাওয়া উচিৎ । কিন্তু একই অপরাধের জন্য বিভিন্ন শাস্তির ক্যাটাগরি থাকা উচিৎ না । আরো বড় অনুচিৎ কাজ হলো, সংবিধানে ৫৭ ধারার মত ধারা রাখা যার অপপ্রয়োগ ঠেকানো অসম্ভব ।
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
বে-আইনী হচ্ছে রাজাকার পরিবারের মোসারফকে মন্ত্রী বানানো
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২২
শওকত জামিল বলেছেন: ভাল বলেছেন । তবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ যখন এই কাজ করে তখন আর কী বলার থাকে ! আর সত্যিকার অর্থে মোশাররফ সম্পর্কে আমি সত্য মিথ্যা খুব বেশি জানি না ।
৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:২৬
মোঃ ইমরান কবির রুপম বলেছেন: সহজ কথায় সবেই বলে দিলেন
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৮:২৩
শওকত জামিল বলেছেন: সহজ সরল মানুষ যে ! বেশি জানলে হয়তো বুদ্ধিজীবীদের মত প্যাঁচাতে পারতাম ।
৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৮:৩৯
এ কে এম রেজাউল করিম বলেছেন:
চাঁদগাজী বলেছেন:
বে-আইনী হচ্ছে রাজাকার পরিবারের মোসারফকে মন্ত্রী বানানো।
সহমত!!!
৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ৫৭ ধারা একটা অপরিপক্ক ধারা। এই ধারার পরিবর্তন দরকার, পুরাটা না, অল্প হইলেই চলবে।
আর ধারা যদি পরিবর্তিত না হয় তবে গ্রেফতার তো আইন অনুসারে ঠিকই আছে। তাহলে এই ব্যাপারে আন্দোলন করা আদালতের অবমাননা হয় নাকি বুঝতেছিনা। ব্যাপারটা কেবল প্রবীর শিকদারের না, ব্যাপারটা সবার জন্য। ৭১ এ ভুক্তভগী পরিবারই কেবল সুবিধা পাবে, অন্য সাধারন মানুষ পাবেনা, এটা হতে পারেনা। আইন সবার জন্য সমান হতে হবে, আর আইনে অসঙ্গতি থাকলে আন্দোলন হতে হবে তার বিরুদ্ধে। যারা এখন আন্দোলন করছে, তারা কেউ কি আগে ৫৭ ধারা নিয়ে এতো সোচ্চার ছিলো? উনি নিজেও কি ছিলেন? আমার তো মনে হয়না।
২০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
শওকত জামিল বলেছেন: ঝামেলাটাই এখানে । আজ যারা প্রবীর সিকদারের জামিনে উচ্চবাচ্য করছেন, হৈ চৈ করছেন তারা সাধারনের কথা চিন্তা করছেন না । কোন সাধারন মানুষের নিরাপত্তার জন্য ভাবছেন না । নিজেরা নিজেদের নিয়ে দারুন ব্যস্ত ....... দাবী আসলে ঐ কালো ধারা পরিবর্তনের জন্যই হওয়া উচিৎ ।
৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:২১
নিষ্কর্মা বলেছেন: আপনার শেষের কথা বদলে দিন। প্রবীর জামিন পেয়ে বেরিয়ে এসেছেন। খুব সম্ভবত এই সরকারের শাসনামলে এই প্রথম কেউ নিম্ন আদালতে জামিন পেল দেশব্যাপী নীরব কিন্তু ব্যাপক আন্দোলনের ফলে। উনি যাদের বিরুদ্ধে লিখেছেন, তারা ১৯৭১-এর পরাজিত শক্তি। শেখ পরিবারের বেয়াই হলেই সব মাফ হবে, তা তো হতে পারে না। নিশ্চয়ই ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি আর আম্লিগের ভেতরে একটা সূক্ষ পার্থক্য আছে।
২০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
শওকত জামিল বলেছেন: নাহ । আমি শেষের কথাটুকু পাল্টাবো না । আমি ছাত্রলীগের জন্য বা একজন প্রবীর সিকদারের জন্য লেখাটি লিখিনি । লিখেছি, সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে । তাদের গ্রেপ্তার করা হলে কী অবস্থা হবে , তা ভেবে । সংবিধান থেকে ৫৭ ধারা প্রত্যাহার হলেই কেবল সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে পোস্ট দেবো এবং এই পোস্ট মুছে ফেলবো । যতদিন সংবিধানে বর্তমানের ৫৭ ধারা থাকবে ততদিন আমার এই পুরো লেখাটিই প্রাসঙ্গিক । আর যে সূক্ষ পার্থক্যের কথা বললেন, সে সূক্ষ পার্থক্য আপাতত আমার জানার দরকার নেই ।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ ।
৭| ২০ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
মাথা নষ্ট সিপাহি বলেছেন: আমার তো মনে হচ্ছে এখানে যারা মন্তব্য করেচেন এবং পোষ্ট কারি সবাই এই ধারা্য় অপরাধী
২০ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:১৭
শওকত জামিল বলেছেন: নাহ । আপনার ভুল মনে হচ্ছে । আমি পোস্টকারী । আমি কাউকে আক্রমন করিনি এবং কারো মানহানি হতে পারে, এমন কোন বক্তব্যও দেইনি ।
আমি কেবল সংবিধানের ধারাটি নিয়ে সমালোচনা করছি । তবে হ্যাঁ, সংবিধানের সমালোচনা করাটাও অপারাধ । আমি সেই ধারায় অপরাধি হতে পারি, ৫৭ ধারায় না ।
৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
মাথা নষ্ট সিপাহি বলেছেন: "এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে"
এ টুকু বিবেচনা করিলে আপনি ঐ ধারা্য় অপরাধী
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ৩:৪৭
রামন বলেছেন: আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়৷ এই সাংবাদিক যদি বেআইনি কিছু করে থাকেন তবে অবশ্যই তাকে আইনের মুখামুখি হতে হবে৷ এরপর যে কাজের জন্য তিনি আইন ভঙ্গ করলেন সেটাও তলিয়ে দেখতে হবে৷ উনি যা বলছেন তা নতুন কিছু নয় , আমরা বহুদিন ধরে এই গুজব শুনে আসছি। অনেক সময় গুজবও সত্যি হয়ে যায় কাজেই সত্যকে তার আলোতে নিয়ে আসার জন্য সরকারকে অবশ্যই বিষয়টির উপর তদন্ত করতে হবে৷ আর যদি সেটি নিতান্তই গুজব হয় তবে মিথ্যা রটানোর জন্য শাস্তি তার সামনে তো উপস্থিত আছে৷