নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের দলে ..

একজন স্বপ্নবাজ তরুন ......

শওকত জামিল

একজন তরুন ....

শওকত জামিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘প্রকাশ্যে চুমু’ প্রসঙ্গে .........................

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৪:০৪


পরিচয় পর্ব:


বাংলার স্মার্টফোনওয়ালা তরুন তরুনীরা তিনভাগে বিভক্ত। এক: প্রকাশ্যে চুমুর বিরুদ্ধে । দুই: তৃতীয় পক্ষ । তিন: দিন তারিখ ঠিকঠাক করে প্রকাশ্যে চুমুর পক্ষে। একটু এলোমেলো মনে হলো ? এর কারন আছে,একটি অনর্থক শব্দও বলিনি । অন্তত বাংলাদেশের হিসেবে (আমার অনুমান, বিশ্বেরও, সঠিক পরিসংখ্যান জানি না) সংখ্যাগোরিষ্ঠ মতামত প্রকাশ্যে চুমুর বিপক্ষে। যদি বিশ্বাস না হয় আপনার আশেপাশে এখন জিজ্ঞেস করা শুরু করুন । কী লজ্জায় জিজ্ঞেস করতে পারবেন না ? তাহলে প্রকাশে চুমু দেওয়ার সাহস কোথা থেকে পেলেন ? আশা করি , আপনি জিজ্ঞেস করতে পারবেন এবং আপনি যদি বারে বা পাগলাগারদে না থাকেন তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার সংখ্যাতত্ত্ব সঠিক প্রমাণিত হবে। এবার দ্বিতীয়: তৃতীয় মতের লোক। এরা সংখ্যায় মাঝারি। এই বিশেষ ইস্যুতে আমি এদের একজন। বিশ্বাস করেন, এই চুমু জনিত ঘটনা রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আলোচনা হলেও আমি শুনবো না, প্রথম আলোর শিরোনামে এলেও আমি পড়বো না, কোন যবক যুবতীর জুতা স্যান্ডেল হারানোর সংবাদও আমাকে টানবে না। বলতে পারেন, তবে এই যে লিখছেন ! এটা লেখা না, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দর্শকের আসন নেয়া। শুধু আমি না, বাংলাদেশের অনেক মানুষ নিয়েই আমাদের নীরব দর্শক পক্ষ্য। সংখ্যায় এরা দ্বিতীয় অবস্থানেই থাকবে (অনুমান)। শেষেক্তো সংখ্যালঘিষ্ঠরা আশা প্রকাশ করছে, তারা দিনক্ষণ ঠিক করে খোলা রাস্তায় চুমু খাবে এবং দেবে । যতদূর জানি, রাষ্ট্র এখনো জন্মনিবন্ধন জরুরী কি না বা বালক বালিকারা রাজপথে চুমুর মিছিল বের করার আগে পিতামাতাদের অনুমতি লাগবে কি না, কিছু বলেনি। আশা করা যায়, সে নীরবই থাকবে। তৃতীয় পক্ষের একজন হিসেবে সরকারকেও দর্শকের সারিতে আহ্বান জানাচ্ছি।


সহজ কথায়: চুমুর বিপক্ষে কেউ না.......কেউ কেউ চুমু আদান প্রদানকে হাত মেলানোর মত স্বাভাবিক মনে করে, সুখের অনুভবটা হয়তো বেশি। কেউ কেউ নৈতিকতার ভাঙন দেখে আতঙ্কিত হয় । এদের অনেকে নৈতিকতাকে বাস্তব জীবনে মান্যও করে। কেউ কেউ নিজে শতভাগ অনৈতিক কিন্তু অন্যের নৈতিকস্খলন একদম সহ্য করতে পারেন না, এরা ভণ্ড। আবার কেউ কেউ মনে করেন, চুমুর সৌন্দর্য খানিকটা গোপনীয়তার উপর নির্ভর করেন। এরা মনে করে চুমু দেওয়াটা অন্য রকম । ঠিক হাত মেলানোর মত বা ঘটা করে জানানোর মত ঘটনা না বরং চুমু ইস্যুটা গোপনে থাকাই ভাল:যত্নে থাকে। ক্ষানিকটা অপরাধবোধ একে মলিন করেনা, উজ্জ্বলই করে।..... ..... আরো একদল আছে। এরা বিকৃত। আবারও বলছি, এরা ভন্ড নয়...... বিকৃত। এদের মানসিক চিকিৎসা দরকার, উপযুক্ত শিক্ষা দরকার, বর্হিমুখী জানাশোনার দক্ষতা থাকা দরকার। এ নিয়ে কারো ভাবনা নেই, না সরকারের, না প্রকাশ্যে চুমু দেনে-লেনেওয়ালাদের । আমি এদের সাফাই গাইছি না ...... আমি শুধু বলতে চেয়েছি, এরাও চুমুর বিপক্ষে না। প্রকাশ্যে না হতে পারে, গোপনে নিশ্চয়ই, বিয়ের আগে না হতেই পারে, বিয়ের পরে নিশ্চয়ই।

আপাত অপ্রাসঙ্গিক পর্ব:


বাংলাদেশে সামাজিক রাজনৈতিক বা পারিবারিক ক্ষেত্রে পরমত সহিষ্ণুতার রীতি খুব একটা নেই। এটা আমাদের জাতিগত সমস্যা । কেউ কাউকে মানতে নারাজ। বিরোধী মতেরও যে নিজের মতের মতই হাত পা বা অনুভূতি আছে, এটা কেউ বিশ্বাস করে না বা বুঝে না। বিরোধী মতেরও যে ইচ্ছা শক্তিসমেত আলাদা অস্তিত্ব আছে, এটা অগোচরেই থেকে যায়। ফলে, বিরোধী মত দমানোর জন্য বরাবরই আমরা গালাগালিমূলক শব্দ প্রয়োগ করি। ভাবে না হোক, শব্দ বাছাইয়ে আমাদের কারোরই জুড়ি নেই। এমন লড়াইয়ে একটু মনোযোগ দিলেই বুঝা যায়, আমরা কতটা জ্ঞানী ! কতটা উদার ! আর কতটা মর্যাদা দেই অন্য মতের মানুষকে ! এখানকার রাজনৈতিক ধর্মবিশারদরা লোকচেতানোতে যতটা মনোযোগী, ধর্মে ততটা নয়। ছোট ছোট নাস্তিকগুলি বোধহয় পূর্ব জন্মে গালাগালি অণুষদের অধীনে অভিধান বিভাগের কেরানী ছিলো । নইলে একজন মানুষের ভাষা এত বাজে হবে কেনো ? তার প্রকাশ ভঙ্গি এত নোংরা হবে কেনো ? কোন মত, কোন মতকে সমীহ করবে না। কেউ কাউকে বুঝানোর দায়িত্ব নেবে না। একে অপরকে গালাগালি করে জীবন কাটাবে ....... স- তে ‘সত্য প্রকাশের জন্য গালি জানতে হয় না ।’, কেউ আমাদের শেখায় নাই। আমরাও শিখি নাই। কিন্তু মেরুদণ্ড ভাঙা সত্যের গোলা বিরুদ্ধ পক্ষ্যের দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছি প্রতিনিয়ত। কেউ কারো ইচ্ছার খোঁজ করছি না, কেউ কারো অস্তিত্বকে স্বীকার করছি না। কেউ কারো মতকে শ্রদ্ধার সাথে মোকাবেলা করছি না, কেউ কা্রো অনুভূতিকে অনুভবের চেষ্টা করছি না। ফলাফল নৈরাজ্য নয়, অর্থহীন বিশৃঙ্খলা: একেবারে অনুর্বর, পুরোপুরি ক্ষতি .................... প্রসঙ্গ চুমু ইস্যুও তাই। হুবহু তাই। কেউ কেউ দেশে থেকে সুবিধা না করতে পেরে, বিশ্বায়নের বিষন্নতায় ভরা উস্কানিক্ষম মগজের জোরে বিদেশে গেছেন । বাঙালিয়ানা অভ্যাস যায়নি। ঠুনকো জনপ্রিয়তার নামে, টাইমলাইনে আসার তাগিদে যা ইচ্ছে তাই বলে বেড়াচ্ছে । অপর দলও শ্রদ্ধা বা যৌক্তিক অবস্থান বেমালুম ভুলে প্রাগৈতিহাসিক ধাঁচে প্রতিরোধ শুরু করেছে। কেউ কেউ আবার বলার চেষ্টা করেছেন, ভালবাসা দিবসে পুলিশি হয়রানির বিরুদ্ধে এ এক ধরনের প্রতিবাদ ! এটা স্পষ্ট ভণ্ডামী: মিথ্যাচার। দাবী আদায় যদি লক্ষ্য হতো তবে কর্মসূচীর রং অন্য রকম হতো। পোস্টারে ভালবাসা দিবস নয়, ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ লেখা থাকতো। আহূত কর্মসূচী বাস্তবায়ন হবে না, জানি। তারপরও এর পরিণতি কী হতে পারে তা বিদেশে বসে দাতারা বুঝতেই পারছেন না। বুঝবেন কী করে ! বারবার বলেছি, কারো মধ্যে অন্য মতের প্রতি কোন শ্রদ্ধা নেই।



একান্ত মতামত:

সন্ত্রাসী থেকে প্রেমিক বা ডান থেকে বাম শুধু নয়, সকল বুদ্ধিমান প্রাণী চুমুর মত সোহাগ বিনিময় পছন্দ করে। বিশ্বাস না হলে, চিড়িয়াখানার বানর, ক্লান্ত কাক, চড়ুই, পোষা কুকুর, পুকুরের হাঁস বা যেকোন পশুর দিকে নজড় দেবেন। চুমুর মাহাত্ম্য সারা প্রাণী জগতই বুঝে .................. কিন্তু মানুষ বোধহয় একটু আলাদা। কিছু ব্যাপার একটু আলাদাই থাক .................. তবে কেউ যদি ঢাক ঢোল পিটিয়ে চুমুর মিছিল করতে চান, আমি বাঁধা দেবো না................ অংশও নেবো না । আপাতত তৃতীয় পক্ষে ......................





মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:১৬

নাভিলা বলেছেন: মানুষ যদি প্রকাশ্যেই সবকিছু করবে তবে কুকুর/বানরের সাথে মানুষের প্রার্থক্য থাকলো কই?
কেউ যদি তার বউকে চুমু দিতে চায় সেটা জনসম্মুখে প্রয়োজন আছে কি?
আর যদি একটি অপরিচিত ছেলে আরেকটি অপরিচিত মেয়েকে চুমু দেয় সেটা স্বাস্থ্য সম্মত হয়না।
সম্প্রতি চুমু বিশেষজ্ঞ! বিজ্ঞানীরা সাবধান করেছেন, চুমু দেওয়া যাবেনা জিকায় ধরবে!
তারা সরকারীভাবে ঘোষনা করেছে চুমু না দিতে!!

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বাধা দেবেন না অংশও নেবেন না থাকবেন তৃতীয় পক্ষে।তার মানে শুধু মনে মনে ঘৃনা করবেন?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৩

শওকত জামিল বলেছেন: নাহ । ঘৃণা করার মত যোগ্য কোন লোক ‍দুই দলের কোন দলে নেই । অন্তত আমার তা মনে হয় না । এদের কাণ্ড কারখানা কেবল দেখাই যায়, ঘৃণা করার ইচ্ছেও হয় না ।

৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

অগ্নি কল্লোল বলেছেন: লেখার সাথে একমত।
তবে আমি তৃতীয় পক্ষ নই,কারণ অন্যায় সহ্য করার মত ক্ষমতা আমার নেই।

৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২১

মহা সমন্বয় বলেছেন:
তবে আমি প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার পক্ষে আর এতে খারাপের কিছুই দেখি না। শুধু আশে পাশে বয়জেষ্ঠ এবং হুজুর টাইপের কেউ না থাকলেই হলো কারণ পরিবেশ পরিস্থিতির একটা ব্যাপার মথায় রাখতেই হবে এটা অস্বীকার করার কোনে উপায় নেই।
আর প্রকাশ্যে চুুমু খেলে ভালবাসা বৃদ্ধি পায় এবং এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকে না। শরীর এবং মন দুটোই ভাল থাকে।
অপর দিকে গোপনে চুমু খেতে গেলেই সমস্যা বাধবে ৯৯.৯০% ক্ষেত্রেই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে।
যেমন- কোন কাপল যদি পরস্পরকে গোপনে চুমু খাওয়ার উদ্দেশ্যে, বহুত কাঠ খর পুড়িয়ে, গোপনে, সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে, নির্জন একটা রুম ঠিক করল।
চারিদিকে নির্জন,কেউ কোথাও নেই... শধুই নির্জনতা আর দুজন দুজনার।
তারপর.. তারপর দুজন দুজনার কাছে আসল এবং গভীর চুম্বনে জড়িয়ে পড়ল.. তারপর...তারপর... কি হবে বলুন? একটু ভাল করে ভেবে বলুন ??
নির্জন রুমের এই চুম্বন কি আর এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে? পদ্মা,মেঘনার জল সব শেষ হয়ে যাবে, সাগর শুকিয়ে চৌঁচির হয়ে যাবে, সময় থমকে দাঁড়াবে, তবুও ওই গভীর চুম্বন শেষ হবে না, চলতেই থাকবে। শেষ পর্যন্ত বড় একটা দুর্ঘটনার মধ্য দিয়েই কেবল এই চুম্বন চুম্বন খেলা শেষ হবে। একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না এমনকি মৃত্যুও হতে পারে। আর এটাই হচ্ছে সত্য আর যারা এই সত্যকে অস্বীকার করবে তারা তো কিছুই বুঝে না, নিঃশ্বই তারা দুর্ঘটনার পক্ষে। এর পরেও কি তাদের জ্ঞান হবে না?

আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন-আমিন। :)

৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৫

আব্দুল্যাহ বলেছেন: "আপাতত তৃতীয় পক্ষে", আমিও

৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
আমার যেহেতু চুমু দেয়ার মানুষ নাই সেজন্য আমি প্রকাশ্যে চুমু দেয়ার বিপক্ষে ||

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৮

আলোড়ন বলেছেন: আমরা যারা "তৃতীয় পক্ষ" তাঁরাই মনে হয়, সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করছি ।কারণ যারা আমাদের উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের প্রকাশ্যে যৌনতার সুড়সুড়ি দিচ্ছে,তাদেরকে আমরা লাথিয়ে বিদায় করতে পারছি না।বড়ই,মৌন থেকে সম্মতি দিচ্ছি।


ইসসসসস!!! আমাদের অধঃপতন ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৭

শওকত জামিল বলেছেন: নাহ । আমি অতটা দায়িত্ব আমার কাঁধে নেবো না । কে কার ঘরে ঢুকবে , তা নির্ধারনের আমি কে ? মানুষের ক্ষতি না করে সবাই সবার মত থাকুক । কর্তৃত্ব দিয়ে সব কাজ হয় না .......

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন:

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:০৩

সত্যানুরাগী বলেছেন: আমিতো প্রকাশ্যে চুম্বন করার ভেতর কোন অযৌক্তিকতা খুজে পাচ্ছি না।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৯

শওকত জামিল বলেছেন: আমি দেখি না । তবে চুমু জিনিসটা যেমন খুব লুকিয়ে বিনিময়ের ব্যাপার নয়, তেমনি ঢাক ঢোল পিটিয়ে জাহির করার মতও না ........ চুমুর বোধহয় স্বাভাবিক এবং সুন্দর একটা গতিবিধি আছে । ওটাকে টেনে বড় করারও কিছু নেই, আবার পিটিয়ে খাঁটো করারও দরকার নেই ...............

১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৫৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
প্রকাশ্য চুমুর পরের ধাপ কি হবে?

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫০

শওকত জামিল বলেছেন: এই জবাব আমার কাছে নেই ।

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৯

ধমনী বলেছেন: কে, কাকে, কেন চুমু খাচ্ছে সেটাই বিষয়।

১২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৪

সত্যানুরাগী বলেছেন: আমাদের চিন্তাধারাকে তো আর ১৪০০ বছর পিছিয়ে রাখলে চলবে না।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪৩

শওকত জামিল বলেছেন: হা হা হা হা । প্রকাশ্যে চুমু দিলে বুদ্ধি বাড়ে তা কোন বিজ্ঞানী আবিষ্কার করলেন ? চুমু কেনো , প্রকাশ্যে যৌন মিলন করে পশুরা, পাখিরা । তাই বলে কি ওরা বুদ্ধিতে এগিয়ে গেছে নাকি ? যৌনতা একটি শিল্প , মানতে আপত্তি নেই । কিন্তু সব শিল্পের চর্চা যে সব জায়গায় করা যায় না, তা ভুলে গেলে শিল্প বা শিল্পী কোনটারই মান থাকে না । ১৪০০ বছর পিছিয়ে কেনো, আমিতো বলি, আমাদের হাঁটলে চলবে না, দৌড়াতে হবে । তাই বলে কাপড় চোপড় ফেলে নয় । উন্নয়নের জোয়ারে ভাসার জন্য কাপড় ফেলার যেমন দরকার পরে না । তাই না ?

১৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

মুনতাসিন মাহমুদ বলেছেন: ভালোবাসা দিবসে একদল ছেলেমেয়ে প্রকাশ্যে চুম্বনের একটা ইভেন্ট ডেকেছে। এই ইভেন্টটা আমার কাছে বেশ লেগেছে। আমি সম্ভবত সেখানে যাবনা। কেন যাবনা? হাঙ্গামা মারামারি হতে পারে এরকম কোন ইভেন্টে সম্ভবত আমার স্ত্রী যাবেন না। আমার প্রিয়তমা স্ত্রী যদি রাজি হয়ে যান, আবার চলেও যেতে পারি। নাও যেতে পারি। থাক, তরুণরা করুক।

এমনিতে এই ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস ব্যাপারটা আমার কাছে খুব আবেদনময় কিছু মনে হয়না। সাহেবি ব্যাপার মনে হয়। সেরকম মন থেকে ইয়ে পাইনা।

এইরকম দিবসগুলি- হলমার্ক জাতীয় কার্ড ব্যাপারীরা এইগুলিকে প্রমোট করে ওদের ব্যবসার উদ্দেশ্য। তাতে অন্য লোকেরা ফু দেয় নানারকম মতলবে। এইসব কথা সত্যি। কিন্তু নেহায়েত বাছুর জাতীয় প্রেমিক প্রেমিকারা যখন একটা বা দুইটা গোলাপ ফুল আর একটা চকলেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে একটা ক্যাফে বা রেস্টুরেন্টে গিয়ে পাগলের মত মেন্যু দেখতে থাকে বাজেটের মধ্যে কি খাবার অর্ডার করা যায় সেটা দেখতে, ওদেরকে দেখতে একরকম ভালোও লাগে। একজোড়া তরুণ প্রাণের মধ্যে ভালোবাসার উপস্থিতি- এর একটা সৌন্দর্য কিন্তু আছে। ওদের চেহারার মধ্যে তখন আপনি একটা অপার্থিব উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন। সেটা ভালোবাসার দ্যুতি। আপনি ভালোবাসাকে নিন্দা করবেন কোন প্রাণে?

ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবস উদযাপনের বিপক্ষে আরেকটা যুক্তি দেখান অনেকে। স্বৈরাচারবিরোধী দিবস আর ভ্যালেন্টাইনস ডে একই সময়ে হয়ে গেছে। স্বৈরাচারবিরোধী দিবসটা আমাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তার সাথে ভ্যালেন্টাইনস ডে’র বিরোধ কোথায়? ভালবাসাবাসি আর লড়াই সংগ্রাম তো একসাথেই হতে পারে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়ে বেশ কিছু কবিতা জনপ্রিয় ছিল- প্রায় শ্লোগানের মত হয়ে গিয়েছিল। এরকম কয়েকটা কবিতা ছিল যেখানে প্রেমিক প্রেমিকাকে বলছে মিছিলে দেখা হবে, মিছিলে আমরা একসাথে হাত ধরে হাঁটবো ইত্যাদি।

বিপ্লব আর ভালোবাসা একসাথে- এর চেয়ে রোম্যান্টিক কি হতে পারে? ভালোবাসার মানুষটার চেয়ে প্রিয় সহযোদ্ধা কে হতে পারে?

আর দলবেঁধে প্রকাশ্যে চুম্বন? ঠিক সময় মত প্রয়োগ করতে পারলে এইটা প্রচলিত গোঁড়ামি আর অন্ধত্বের বিরুদ্ধে একটা শক্ত প্রতিবাদের হাতিয়ার হতে পারে। এমনিতে প্রকাশ্য স্থানে চুম্বনের অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকেরই আছে। এটা আমার কাছে এই বয়সে এসে সেরকম খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু মনে হয়না। আমার কাছে যেটা ইন্টারেস্টিং মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে একদল তরুণ ভালোবাসার একান্ত প্রকাশের ব্যাপারটা প্রকাশ্যে জনসমক্ষে করার অবাধ অধিকারের স্বীকৃতি চাইছে। আমি এর মধ্যে অন্যায় কিছু দেখি না।

কিন্তু আফসোস, আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষ প্রেম ব্যাপারটাকেই পেশাব পায়খানার মত গোপনে করার মত কাজ মনে করে। ওদের এই বদ-ধারনাটার বিরুদ্ধে এইরকম একটা ইভেন্ট, আইডিয়াটা ভাল। একটু অরগানাইজড হয়ে পরিকল্পনা নিয়ে করলে খারাপ হতোনা। শুরু তো হলো, তাই বা কম কি?

১৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:২৪

শওকত জামিল বলেছেন: হা হা হা হা । আপনার আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি...........

সত্যিই প্রণয় দৃশ্য দেখার মত ঘটনাই । নইলে নায়লা নাঈম কী করেছে যে, ফেসবুক পেজে সে এত জনপ্রিয় ? শানি লিওনের কী এমন আছে যে, তরুণরা অমর্ত্য সেনের থেকে তাকে বেশি চর্চা করে ! মানছি । মানতে আপত্তি নেই ।

ভালবাসার দ্যুতি আমি অসম্মান করবো কেনো ? করছি না । একদমই না । আপনি ভুল বুঝেছেন । তবে প্রকাশ্য চুমু যে ব্যারিকেড ভাঙার মত ঘটনা, আমি তা স্বীকার করছি না । এই কর্মসূচীর কোন গঠনমূলক রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই, সামাজিকও না । যা আছে তা নৈরাজ্যবাদ কিন্তু কাজের নৈরাজ্য নয়....... এই নৈরাজ্যের জন্ম থেকে মৃত্যু পুরোটাই অনর্থক । দলবেঁধে প্রকাশ্য চুম্বনে তরুনের দল কেবল আফিমের সাগরে ডুবতে পারে, মিছিলে আসতে পারে না । কর্পোরেট কোম্পানি , আধুনিক রাষ্ট্র এমন আহম্মক নাগরিকই চায়, যারা বছরে একদিন প্রকাশ্যে চুমু দিয়ে মহাজাগতিক প্রেম প্রকাশ করবে ! আর খুশি হবে এই ভেবে যে, বিপ্লব টিপ্লবের মত কিছু একটা করে এসেছে বুঝি ।

দয়াকরে, তসলিমার কণ্ঠে কথা বলবেন না । সব গোপন কাজই পেশাব পায়খানার মত না । পেশাব পায়খানা প্রকাশ্যে কি কেউ করে না ? সমাজ সভ্যতার মুখোশের উপর প্রতিদিন লাখ লাখ টোকাই পেশাব পায়খানা করে । তাতে কী পেশাব পায়খানা শুদ্ধ হয়ে উঠেছে ? না । পেশাব গোপনে করা হোক, আর জাহিরে, ওটা গনধ ছড়াবেই । আর চুমু গোপনে হোক আর প্রকাশ্যে হোক তা ভালবাসার অনুভূতি দেবেই । যৌনতা নিশ্চই শিল্প । কিন্তু সব মন্ত্র যে সব মন্দিরে পড়া যায় না । কুকুর বেড়াল বা জন্তুরাতো প্রাগৈতিহাসিক কাল ধরেই প্রকাশ্যে যৌন মিলন করে তাতে কি ওরা এগিয়ে গেছে ? খুব পিছিয়ে পড়েছে মানুষ । আসলে যৌনতাকে বাইরে আনলেই তা পবিত্র হবে না । ইউরোপ যৌনতাকে বাইরে এনে পবিত্র করতে পারেনি, বিকৃত করেছে । ওতে উন্নত বিশ্বের নারী-পুরুষরা যৌনতার স্বাধীনতা পায়নি, পতিতালয়ের সংখ্যা বেড়েছে । সম্ভব হলে, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভ্যাজিনা’ বইটির পাতা উল্টিয়ে দেখবেন । তারপরও যখন রাস্তায় চুমুর দৃশ্য দেখি, ব্যক্তিগতভাবে ভাল বোধ করি। মনে হয়, যাহোক, কেউ কেউ হয়তো কিছু সময়ের জন্য হলেও সুখে আছে । কিন্তু ঢাক ঢোল পিটিয়ে সব চুম্বন দৃশ্য নেটে ছেড়ে হৈ হুল্লোরের পক্ষে আমি না ।

সবথেকে বড় কথা , আমি প্রেম শিখেছি বিদ্যাপতি, রাধা-কৃষ্ণ, রবী, নজরুল ,সুধীন্দ্রনাথ দত্ত বা জীবনানন্দ দাশদের কাছ থেকে । প্রেমের জন্য আমাকে লেডি গাগা, শানি লিওন, তসলিমা বা পাশ্চাত্য মিডিয়ার সাহায্য লাগেনি .....................



ভ্যালেন্টাইন আর স্বৈরাচার প্রতিরোধ একসাথে ? েএকটু গুলিয়ে ফেলেছেন, ভালবাসা বা প্রেম আর বিপ্লব একসাথে হাঁটতে পারে কিন্তু ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ আর ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ একসাথে হাঁটতে পারে না। ধারনাগত জায়গাটা একটু ভিন্ন । প্রয়োজনে সংগাগুলি একটু রিভিশন দিয়ে দেখেন ।

১৫| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২২

সত্যানুরাগী বলেছেন: আমি তো আপনাকে বলিনি কাপড় চোপড় ফেলে দৌড়াতে বলিনি।
যুগ বদলাচ্ছে।
কুকুরের পেটে যেমন ঘৈ সহ্য হয় না তেমনি বাঙালির কাছে নতুনত্ব সহ্য হয় না।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪০

শওকত জামিল বলেছেন: আপনি তা বলেননি। আমি তা বুঝতে পেরেছি .............এবং এটাও জানি কাক তাঁর নিজের গুণেই সুন্দর, ময়ূরের পেখম লাগিয়ে তাঁর সৌন্দর্যবৃদ্ধির আস্ফালন বৃথা । এটা হীনমন্যতার পরিচয় । প্রতিটি জাতির বেড়ে ওঠার সুস্থ এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়া আছে সেখানে ছাড় দেয়া চলে না । আমরা বিশ্বায়নের নামে যা করছি তা আসলে দেওয়া-নেওয়া না বরং নিজের অস্তিত্বকে অস্বীকার করে অন্যকে নকলের ব্যর্থ চেষ্টা । সত্যি বলেছেন, বাঙালি নতুন কিছু স্বীকার করেনা। তাঁরা কেবল পেছনে থাকতে চায়, আর উন্নয়নের জোয়ারে তারাই ভাসে যারা অশুদ্ধ উচ্চারণে দুচার লাইন ইংরেজি বলতে পারে এবং দেশজ কাঁথা বালিশ ছিড়ে যারা কোর্ট টাই বানিয়ে পরতে পারে তারা । তারা খ্যাতি পায়, বুদ্ধিজীবীর তকমা পায় । পশ্চিমি ফ্যাশনে যারা অভ্যস্ত তারা সভ্য বলে স্বীকৃতি পায় । যদিও পশ্চিমের বিজ্ঞানকে তারা বরাবরই অস্বীকার করে । কারণ বিজ্ঞানের জন্য এই আধা বিকশিত ইংরেজ বাবুদের খুব হৈ চৈ করতে দেখি না । তাদের সব বিদ্রোহ বিপ্লব কেবল ফ্যাশন আর হেয়ার স্টাইল বড়জোর তা সাহিত্যের প্রথম পাঠে পৌঁছায় । ........ বাঙালিতো কৃষকের জাত । এঁরা ঘি কী করে পছন্দ করবে ? এঁদের পালিত গরুর দুধেও তাঁদের নিজেদের অধিকার নেই । পঁচা পানির তাজা মাছই তাঁর বিশুদ্ধ খাবার । তাই না ? ........................................... ‘ঘি কেবল রঙে নয়, স্বাদের মধ্যেই তার সবটুকু গুণ । ....... উত্তরাধুনিক দর্শন কী বলে খোঁজ রাখেন ? কিছু কিছু ঘি কেবল কুকুর জাতীয় নিম্নমেধার প্রাণীরাই খায়, অল্প কিছু কেবল বিকশিত মস্তিষ্কের জন্য । .............. এই অল্প ঘি টুকুই আসল ঘি । এই ঘি-য়ে অরুচির কারনেই পড়শির আঙিনা থেকে ময়লা আবর্জনা চেটে খায় , কুকুরগুলো । আহ্ ! যদি এরা বুঝতো ! তাই না ?

আর হ্যাঁ ! যুগ বদলাচ্ছে না শুধু রীতিমত দৌড়াচ্ছে । স্পষ্ট দেখছি আমি । দৌড়াতে দৌড়াতে এক্কেবারে দান্তের নরকের সিংহদরজায় দাঁড়িয়েছে .......................... এর পতন ঠেকায় কে ?

১৬| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৭

বিজন রয় বলেছেন: হা হা জমেছে ভাল।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:৪০

শওকত জামিল বলেছেন: খুব মজা ! বিনা টিকেটে সবটুকু ?????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.