আর এইটাই হওয়া উচিৎ।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৪

সিগারেট খাচ্ছে আমাদের উঠানে বসে। আমাদের পাশের বাড়ীর ছেলে। জিজ্ঞাসা করলাম
- কিরে তোর বউ কি ঢাকায়? তোর সাথে আসে নাই!
এক গাল হেসে বল্লো
- না কাকা, আসছে তো।
আমি অবাক হয়ে বল্লাম, তোর বউ নিশ্চয়ই আসেপাশে আছে। সিগারেট যে খাইতাছস, দেখবো না?

এবার তার হাসি এক গাল থেকে দুই গাল হইলো। আমারে উপদেশ দিয়া বলা শুরু করলো
- বুচ্ছ কাকা, বড় লোকরা বউরে ভয় পায়। আমিতো আর বড়লোক না। তাই আমি বউয়ের সামনেই সিগারেট খাই!

আমি নিরাশ হইয়া হাল ছাইড়া দিলাম। এই মুহূর্তে আমি বেকুব। তিনি বুদ্ধিদাতা। ফিক কইরা একটা হাসি দিয়া আবারো বলা শুরু করলো
- শোনো কাকা, বড়লোকদের বউরাও বড় ঘরের হয়। জামাই ছাইড়া দিলেও তাদের ভাতের অভাব নাই।

এবার বাকী যুক্তিটাও দিলো। বল্লো
- আর গরীব মানুষ মেয়েটারে বিয়া দিয়াই মনে করে, ব্যাস দায়িত্ব শেষ। বাকী জীবন জামাইর ঘরের ভাত খাইবো। কোন কারেন সংসার ভাইঙ্গা গেলে তার আর যাওয়ার জায়গা নাই।
-০-
ওমেন এমপাওয়ারমেন্ট নামের একটা টার্ম আছে। সহজ ভাষায় যারে বলা যায়, নারীর ক্ষমতা বাড়াইতে হবে। এই ক্ষমতা সবার আগে হওয়া উচিৎ আর্থিক ক্ষমতা। বিষয়টা এমন না যে টাকা পয়সা কামাই করার জন্য বি.এ, এম.এ পাশ করা লাগবো। প্রাথমিক শিক্ষাটা নেওয়ার পরেও যদি একটা মেয়ে ইনকাম শুরু করতে পারে। তবে তাই করুক। টাকা ইনকামের বুদ্ধি যার আছে, সংসারের অন্য বুদ্ধিগুলা তার এমনিতেই হয়ে যাবে। আর তখনই তার হাজবেন্ড তাকে অসম্মান করতে পারবে না।

আর এর পরেও যদি হাজবেন্ড অসম্মান করে, ভালো না বাসে। খুব সহজেই এমন হাজবেন্ডকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়ে সে নিজের মত করে চলতে পারবে। যদি মনের মিল হয় তাহলে আরেকজনের সাথে ভালোবাসার ঘরও শুরু করতে পারবে।

নারী শক্তি, নারীর প্রতি সম্মান বিষয়গুলা বড়ই পুস্তকের ভাষা। বাস্তবে তার জন্য সাবলম্বি হতে হবে নারীকে। তবেই নারীকে অসম্মান করতে গেলেও দশবার ভাববে সবাই। আর এইটাই হওয়া উচিৎ।

১ টি +১/-০