নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপন মনে, আপন সুরে

I do not agree with what you have to say, but I'll defend to the death your right to say it.

শূন্যবতী

না প্রেমিক না বিপ্লবী

শূন্যবতী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারিজাতের কেশর নিয়ে…

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮



পারিজাত নাকি স্বর্গের ফুল, ফোটে নন্দনকাননে। মর্ত্যের রাজা কৃষ্ণ স্বর্গের রাজা ইন্দ্রকে যুদ্ধে হারিয়ে পারিজাতকে নিয়ে আসেন পৃথিবীর বুকে। আমরা সাধারণেরা অবশ্য আমাদের সাধারণ নামেই ডাকি। আমরা কেউ বলি মাদার, কেউবা মান্দার। আমরা একে যায়গা দিই বাড়ির সীমানায় কিংবা বাগানের বেড়ায়। মাদারের পাঁশুটে সবুজ শরীর, কাঁটাভরা। একটি ডঁটার মাথায় তিনটি চওড়া পাতা। বসন্তের অনাগত ফুলের জন্য শীতেই পাতারা যায়গা ছেড়ে দেয়। ঝলমলে মাদারমঞ্জরির রঙ গাঢ় লাল, বেরিয়ে থাকে কেশরগুচ্ছ। ফলের আগা চোখা, রঙ কালচে বা গাঢ়-বাদামি। মাদার গাছের তলায় খসে-পড়া ছোট ছোট কাঁটাভরা-ডাল থাকে। সৃষ্টিকর্তা আত্মরক্ষায় একেকজনকে দিয়েছেন একেক কৌশল। এ এক অদ্ভুত সৌন্দর্য। মান্দারের বৈজ্ঞানিক নাম Erythrina variegate ।

“পারিজাতের কেশর নিয়ে, ধরায় শশী ছড়াও কী এ, ইন্দ্রপুরীর কোন রমণী বাসর প্রদীপ জ্বালো… চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো”।



(সূত্রঃ গাছের কথা ফুলের কথা, দ্বিজেন শর্মা।)



পুনশ্চঃ লোকজনের মান্দারের ডাল দিয়ে পিটাতে এতো আগ্রহ প্রকাশ করার কারণ যে ডালে থাকা কাঁটা, তা মফস্বলে বড় হওয়া এই ছেলেটির বুঝতে মান্দার গাছ দেখা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। আমাদের আশেপাশেই বসবাস করা গাছগুলোকে আমরা খেয়াল করি না, বাচ্চাদেরও চেনাই না ফলে যুগে-যুগে শিশুরা কেবল আমার মতো কাঠ হয়েই গড়ে ওঠে, গাছ হয়ে বেড়ে ওঠে না।/:)



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শায়মা বলেছেন: বাহ!!!


অনেক অনেক থ্যাংকস পারিজাত ওরফে মান্দার ফুল নিয়ে জানাবার জন্য!:)

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০১

শূন্যবতী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ :) :)

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬

শায়মা বলেছেন: http://www.youtube.com/watch?v=iYDf67fku9c



শুনছি!!!:)

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৯

শূন্যবতী বলেছেন: আমার খুব পছন্দের :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.