![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
না প্রেমিক না বিপ্লবী
‘অপু বলিল কী ফুলের গন্ধ বেরুচ্ছে দিদি? তাহাদের মা বলিল তাহাদের জ্যেঠামশায়ের ভিটার পিছিনে ছাতিম গাছ আছে, সেই ফুলের গন্ধ। … ছাতিম ফুলের উগ্র সুবাসে হেমন্তের আঁচলাগা শিশিরাদ্র নৈশবায়ু ভরিয়া যায়। মধ্যরাতে বেণুবনশীর্ষে কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের ম্লান জ্যোৎস্না উঠিয়া শিশিরসিক্ত গাছপালায় ডালে পাতায় পাতায় চিকচিক করে’।
দ্বিজেন শর্মা লিখেছেন, “কোন হেমন্ত সন্ধ্যায় অপুর মতো তোমরাও হয়তো এমন মধু গন্ধের ভাগ পেয়ে থাকবে। … ছাতিমের ডালের গাঁটে থাকে ৫-৭টি পাতা, তাই এর আরেক নাম সপ্তপর্ণী। পাতাগুলি বেশ লম্বা। ফলগুলি সরু আর লম্বা, পাকলে পাশুটে রঙের, নইলে সবুজ থোকায় থোকায় ঝুলে থাকে। ছাতিমের বীজগুলি ভারি মজার, ছোট একটা কাঠির মতো, দুমাথায় এক থোকা করে বাদামি রোম, যাতে বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে। বীজগুলি দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে বংশবিস্তারে খুব সুবিধা। একদিন একটা পৌঁছতে পারে জানালা গলিয়ে তোমাদের ঘরেও। ছাতিমের সঙ্গে শিক্ষাদীক্ষার একটা যোগ আছে। গাছটা চিরসবুজ। ছায়া দেয় ভালো। আগের দিনে পাঠশালা বসত ছাতিমের তলায়’’।
জাহাঙ্গীরনগরে এক বড়-আপু একদিন বলছিলেন যে তার বাসার সামনে একটা ছাতিম গাছ আছে। সন্ধ্যাবেলায় বিদেশে কি পাওয়া যাবে এমন ছাতিমের সুবাস! তখনো ছাতিমের গাছ বা সুবাস কারো সাথেই পরিচয় নেই। বছর-দেরেক পর দেখলাম সিলেটে সার্কিট হাউজ পেরিয়ে বড় এক গাছভর্তি ফুল, মৌমাছি আর প্রজাপতির উড়াউড়ি। নাম জানা নেই। কত নাম অজানা রয়ে যায়! যাবে!
কয়েকদিন আগে মাঠময় ছড়িয়ে পড়া উগ্র-সুবাসিত সন্ধ্যায় এক ব্যাচমেট জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী ফুলের গন্ধ’? হুট করে সেই বড় আপুর কথা মনে পড়লো। মনে-প্রাণে বলতে চাইলাম ছাতিম, বললাম ‘শিরীষ’। হিমুর কোন এক বইতে ও,সি সাহেবকে খাগড়াছড়ি বদলী করা হয়। সেই ও,সি সাহেব সন্ধ্যাবেলায় হাতির ভয়ে শিরীষ গাছে ওঠে বসে থাকে। এজন্যই হয়তো ‘শিরীষ’ নামটা মাথায় ছিল। অবশ্য শিরীষ গাছ এখনো চিনি না। ফুল ফুটলে তাও দু-এক জনকে চেনা যায় কিন্তু ফুল না থাকলে কিছু ফলের গাছ বাদে প্রায় সবাই অচেনা
।
পুনশ্চঃ ১। গন্ধে টের পাচ্ছি খাগড়াছড়িতে ছাতিমেরা বেশ ভালো সংখ্যাতেই আছে। এমন-কি ঘরে বসেও পাওয়া যায় ‘মধু-গন্ধের ভাগ’। যদিও জানালা আজীবন বন্ধই রাখলাম তবু আপেক্ষায় আছি ব্যালকনি অব্দি পৌঁছতে পারে কি-না সুপ্ত ছাতিমের দল।
২। ছাতিমের বৈজ্ঞানিক নাম Alstonia scholaris
৩। বিজ্ঞজনের মতে দুই জাতের ছাতিম আছে আমাদের দেশে। জাত নিয়ে যাদের 'যাতাযাতি' আছে তাঁরা নিজ দায়িত্বে খুঁজে নেবেন
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩০
শূন্যবতী বলেছেন: ধন্যবাদ, জাস্ট ক্লিকান Click This Link
২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৪
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভালো লাগলো তথ্যগুলো জেনে +
ভালো থাকবেন
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩২
শূন্যবতী বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন
৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৩
শূন্যবতী বলেছেন: Alstonia scholaris (Apocynaceae, commonly called Blackboard tree, Indian devil tree, Ditabark, Milkwood pine, White cheesewood and Pulai (Bengali:ছাতিম; Assamese:চতিয়না); syn. Echites scholaris L. Mant., Pala scholaris L. Roberty) is an evergreen, tropical tree native to the Indian subcontinent and Indomalaya, Malesia and Australasia. from Click This Link
৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩২
শায়মা বলেছেন: আমি তও হাস্নাহেনা ভেবেছিলাম ছবি দেখে।
০৩ রা মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:২৩
শূন্যবতী বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আরো একজন ভেবেছিলেন, কী আর করা! চলুন হাস্নাহেনা দেখি Click This Link
৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৮
দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: বাহ! বেশ তো।
আমি কিন্তু ছাতিম ই ভেবেছিলাম। লেখাই তো আছে।
২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫২
শূন্যবতী বলেছেন: রাজপুত্র দিশে হারাননি রাজপুত্রকে ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৩৪
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট! পোস্টে ফুলসমেত একটা ছাতিম গাছের ছবি দিলে আমার মত অনেকেই হয়ত বলত, ওয়াও এই গাছ আমি দেখেছি!