![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাব্যিক জাহাজের অচেনা এক নাবিক আমি,অনন্তের পথ খুঁজে চলেছি গহীন সাগরে।সেই সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাসে কবিতারা,আর সেই কবিতারা বেঁচে আছে বলেই আমি বেঁচে আছি,আর আমি বেঁচে আছি বলেই আমার কাব্যিক জাহাজ পথ খুঁজে চলেছে এখনো।।।।।।
ছোটবেলায় দেখতাম মামা,চাচারা খুব যত্নের সাথে কাগজ কেটে কেটে পরিক্ষার নকল বানাইতেন।নকল গুলো দেখতেও অনেক রহস্যময়!! টানলেই ভাজ খুলে খুলে রাবারের মতন লম্বা হতে থাকে। আর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে গুপ্তধন!! তারা নকল গুলো এত যত্নসহকারে লিখত যেন কোন কাটাকাটি না হয়,যতটা সম্ভব অল্প জায়গায় বেশি লেখার চেষ্টা।গোটা গোটা অক্ষরের হাতের লেখা, যেন অপুর্ব এক শিল্প। আমার প্রাইমারি স্কুল, কলেজের একদম পাশেই হওয়াতে অনেক কিছুই চোখে পরত সেই সময়।পরিক্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হাজারো পদ্ধতিতে নকল সাপ্লাই, পুলিশের কনকনে বাঁশির আওয়াজ, মাঝেমধ্যে খাকী পোশাকের পুলিশের থলথলে ভুড়ি বের করে নকল সাপ্লাইকারীদের ব্যর্থ ধাওয়া,আবার
মাঝেমধ্যে নকল ধরা খেয়ে পরীক্ষার্থীর কান্নার আওয়াজ,সব শেষে পরীক্ষার হলের আশে পাশে টোকাই বাচ্চাকাচ্চাদের বিপুল উদ্দীপনায় নকল কুড়ানো।
তখন পরীক্ষা মানেই যেন উৎসবের আমেজ,একজন পরীক্ষার্থীর সাথে কম করে হলেও চার পাঁচজন সহ যোদ্ধা থাকতেই হবে নইলে যেন কোন ক্রমেই পরীক্ষা সফল হবার নয়।সেই সৃতি মনে হইলে আজকাল হাসি পায়। সেই সময়ের মন্ত্রী মিনিস্টাররা কি যে কঠিন হৃদয়ের ছিল।পরীক্ষার্থীদের এত এত কষ্ট দেখে একটুও মন গলতো না,কি নিষ্ঠুর!!!! একটু প্রশ্ন ফাঁস করে দিলে কি এমন হইতো!!!বরং উপরন্তু পকেট মোটা তাজা হইতো।কি যে বোকা ছিল ওরা। তবে আমরা অনেক ভাগ্যবান!!! কি স্মার্ট আর কিউট কিউট সব মন্ত্রী আমাদের!!! দেখলেই গাল টেনে গুদুগুদু করতে ইচ্ছা করে।আমাদের এত্ত কেয়ার করে যা বলার মত না,আমরা না চাইতেই প্রশ্ন হাতে তুলে দেয় পরিক্ষার আগের দিন রাতেই!!!
আসল কথায় আসা যাক,গতকিছু দিন হইলো সবখানেই শুধু একটাই কথা, মেডিকেল ভর্তি পরিক্ষার প্রশ্ন ফাঁস। তারপরেও,এ আর আমাদের দেশে নতুন কী,এই ভেবে চুপ থেকে শুধুই খবরাখবর দেখে যাচ্ছিলাম।
কিন্তু কিছুক্ষণ আগে "জাফর ইকবাল স্যারের" প্রশ্নফাঁস বিষয়ক স্ট্যাটাস পড়তে গিয়ে কমেন্টস এ চোখজোড়া আটকে গেল।আমি যেন থমকে গেলাম
লাইন দুটি পড়ে।দুইবার পড়ে আর পড়তে পারছিলাম না, দুটি বাক্য লিখা, তাতে আবার একশত ঊনষাট টি লাইক পরেছে।লেখাটি এমন ছিলঃ
"আমার সোনার বাংলা
আমি তোমায় ঘৃণা করি"
আমি আর পড়তে পারছিলাম না,মনে হচ্ছিল কেউ যেন আমার কানের কাছে এসে চিৎকার করে লাইন দুটি আওরাচ্ছে বারংবার।আমি কান চেপে ধরে আছি না শুনার জন্য কিন্তু আমি পারছিলাম না,সমস্ত বাধা পেরিয়ে আমার কানে পেরেকঠোকা আওয়াজের মতন বাজছিল লাইন দুটি।এই কথা শোনার জন্যই কি এত এত রক্ত দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের এই দেশ উপহার দিয়েছিলেন ?
এই কথা শোনার জন্যই কি রবিন্দ্রনাথ, নজরুলেরা হাজার হাজার গান কবিতায় এই বাংলার শব্দাদি লিখে গিয়েছিলেন ?
হয়তোবা এর কোন উত্তর আজ আমার জানা নেই।তবে শুধু এতটুকুই বলব আমাদের ব্রেলিয়েন্ট অভিভাবক মন্ত্রীমিনিস্টারদের উদ্দেশ্যে,আপনাদের চিকিৎসার জন্য মাউন্ট এলিজাবেথ এর মতন হাজারো উঁচু উঁচুশ্রেণীর হসপিটাল দাড়িয়ে আছে,আপনাদের সর্দি কাশি হলেও সেইসব হসপিটালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন, কিন্তু আমাদের মতন খেটে খাওয়া মানুষদের তো সরকারী হসপিটাল ছারা আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আপনারা টাকার লোভে যেসব জারজদের আজ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুজোগ করে দিচ্ছেন আর কয়েক বছর বাদেই সেই সব জারজদের হাতে আমাদের মৃত্যু হবে ভুল চিকিৎসায়। আর কত জারজের জন্ম দিয়ে যাবেন। আপনারা সুশিক্ষিত মন্ত্রী মিনিস্টাররা আজ জেনে শুনে জারজের জন্ম দিচ্ছেন,তাইলে মনে রাখবেন ভবিষ্যতে এই জারজেরা জাতির জন্য জন্ম দিবে একদল পশু !!!!
(বিঃদ্রঃ যারা হয়তোবা আমার লেখা পড়ে ভাবছেন মন্ত্রী মিনিস্টার আবার কিভাবে প্রশ্ন ফাঁস করে ?
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি,একপাল ভেড়া খোলাময়দানে ছেরে দিয়ে দেখুন,পালের বড় ভেড়া যে দিকে যায়,ছোট ভেড়ারা ও সেই পথেরই যাত্রী।)
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯
শুভ৭১ বলেছেন: আমাদের বুদ্ধিমান মহলের তো অতটা বুদ্ধি নেই যে বুদ্ধিমানের কাজ করবে।
২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৪
গেম চেঞ্জার বলেছেন: রম্যতা কেটে গেল শেষের দিকে। কিন্তু কিছুই করার নেই। আমাদের মন্ত্রীরাই জড়িত কি-না সন্দেহ থেকে যায় কারন প্রশ্ন ফাঁস একবার নয় প্রত্যেকবারই হচ্ছে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৩
শুভ৭১ বলেছেন: বার বার হচ্ছে বলেইতো সন্দেহ টা আরো প্রবল!!!! আমাদের বুদ্ধিমান মন্ত্রী মহদয়ের শরীরে মীরজাফরের রক্ত প্রবাহিত কিনা!!! তবে একটা বিষয় আমি খুব নিশ্চিত করে বলতে পারি,আর তা হচ্ছে প্রশ্ন পত্রের গায়ে জীন ভুতের আছড় লাগেনি এখনো!!!।।।।। ধন্যবাদ খেলা পরিবর্তন কারী দাদা ☺☺
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বিঃদ্রঃ যারা হয়তোবা আমার লেখা পড়ে ভাবছেন মন্ত্রী মিনিস্টার আবার কিভাবে প্রশ্ন ফাঁস করে ?
তাদের উদ্দেশ্যে বলছি,একপাল ভেড়া খোলাময়দানে ছেরে দিয়ে দেখুন,পালের বড় ভেড়া যে দিকে যায়,ছোট ভেড়ারা ও সেই পথেরই যাত্রী।
হুমম।
১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪
শুভ৭১ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু,মতামতে একাত্মতা প্রকাশ এবং মন্তব্য করার জন্য।।।।। ☺☺☺
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:২৯
মোস্তাক_আহম্মদ বলেছেন: সব মেডিক্যাল ভর্তি ইচ্ছুকেরাই কি প্রশ্ন পেয়েছে? মনে হয় না। তবে পরীক্ষা যেহেতু প্রশ্নবিদ্ধ তাই স্বল্প সময়ে নতুন পরীক্ষা নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে বুদ্ধিমান প্রশাসন কি এই বুদ্ধিমানের কাজ করবে?