নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুভ হোক তোমাতে, শুভ হোক আমাতে, শুভ হোক সপ্নরা, শুভ হোক পথচলা।(~সা\'দ আহমেদ শুভ~)https://m.facebook.com/desuja.shuvo?

শুভ৭১

কাব্যিক জাহাজের অচেনা এক নাবিক আমি,অনন্তের পথ খুঁজে চলেছি গহীন সাগরে।সেই সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাসে কবিতারা,আর সেই কবিতারা বেঁচে আছে বলেই আমি বেঁচে আছি,আর আমি বেঁচে আছি বলেই আমার কাব্যিক জাহাজ পথ খুঁজে চলেছে এখনো।।।।।।

শুভ৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"সমকামিতা vs ইসলামী দলিল"

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৪

এত নিকৃষ্টতম বিষয় নিয়ে কলম ধরতে চাইনি,নিবৃত থেকেই,চোখজোড়া বন্ধ করেই থাকতে চেয়েছিলাম,কিন্তু এই নিকৃষ্ট পাপ আর সম্ভাব্য ধ্বংসলীলা দেখে চুপ থাকতে পারলাম না।তবে নিজেকে খানিকটা সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে এই ভেবে যে,এখনো কোন প্রোফাইল পিকে ভিক্টরি চিহ্ন সহ সমকামী কাপলের গায়ে রেইনবো রং দেখতে হয়নি,শুধুমাত্র দেখতে হয়েছে সিংগেল পাপিষ্ঠের রেইনবো রাংগানো ছবি।

এ জঘন্য কর্মটি যে গুরুতর অপরাধ তার নিদর্শন মহাগ্রন্থ আল-কুরআনে স্পষ্ট রয়েছে।যা ঘটেছিল লূত (আ.) এর সম্প্রদায়ের মধ্যে।আর ঐ সম্প্রদায়ের চুড়ান্ত পরিণতি হয়েছিল ধ্বংস।এবং আল্লাহ নিজেই তাদেরকে সীমালঙ্ঘনকারী বলে ঘোষণা দিয়েছেন!
মহান আল্লাহ বলেন,
"আমি লূত (আ.) কে প্রেরণ করেছি,যখন তিনি তাঁর সম্প্রদায়কে বললেন, তোমরা চরম অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতার কাজ করছ যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বে কেউ কখনো করেনি।তোমরা কামপ্রবৃত্তি
পূরণ করার জন্য মেয়েদের কাছে না গিয়ে পুরুষদের কাছে যাচ্ছ।প্রকৃতপক্ষে
তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি ।"
(সূরা আ'রাফ:৮০-৮১)
মহান আল্লাহ আরো বলেন,
"অবশেষে আমার আদেশ চলে আসল, তখন আমি উক্ত জনপদ কে ধ্বংস করে দিলাম এবং তাদের উপর স্তরে স্তরে পাথর বর্ষণ করলাম ।"
(সূরা হুদ: ৮২)
অর্থাৎ ঐ সম্প্রদায় চুড়ান্ত গজবে পতিত হয়েছিল। আর ঐ সময়টা ছিল সূর্যোদয়ের সময় যখন জিবরাইল (আ.) ঐ জনপদটিকে উপরে নিয়ে উল্টিয়ে জমিনে চাপা দিয়ে দেন এবং উপর থেকে শক্ত পাথর নিক্ষেপ করেন।(তাফসীর ইবনে কাসীর)
তাইতো, জাবির (রা.)থেকে বর্ণিত,রাসূল (সা.) বলেছেন, "আমার উম্মত
সম্পর্কে যে সব বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ভয় করি তা হচ্ছে পুরুষে পুরুষে যৌন মিলনে লিপ্ত হওয়া"
(ইবনু মাজাহ,মিশকাত/৩৪২১)
সুতরাং এই নিকৃষ্ট কাজটি যে কোনো একটি সম্প্রদায়ের জন্য অভিশাপস্বরূপ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।বরং এই নোংরামীর শেষ পরিণতি যে ধ্বংস তা প্রমাণে ক'ওমে লূত (আ.)এক বিরাট ও স্পষ্ট নিদর্শন ।যেহেতু সমস্যার পেছনে শয়তানের ইন্দন ও বাসনা রয়েছে,সেহেতু এর সমাধানও ইসলাম দিয়েছে।এবং তা খুবই স্পষ্ট ও যথার্থ। তাহলে দেখি এর সমাধান হিসেবে ইসলাম কি নির্ধারণ করেছে।ইকরামাহ (রা.) ইবনু আব্বাস থেকে বর্ণনা করেন, ইবনু আব্বাস (রা.)বলেন,
রাসূল (সা.) বলেছেন,
"তোমরা যাদেরকে লূতের সম্প্রদায়ের অনুরূপ আচরণ করতে দেখ,সে পাপাচারী এবং যার উপর ঐ কুকর্ম করা হয়েছে উভয়কে হত্যা কর"
(ইবনু মাজাহ, সনদ হাসান, মিশকাত /৩৫৭৫)এই হাদীসের উপর ভিত্তি করে ঈমাম শাফেই(রহ.) এবং আলেমদের একটি জামাত বলেছেন, 'লাওয়াতাতকারীকে' হত্যা করতে হবে, সে বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত হোক।ঈমাম আবু হানিফা (রহ.) বলেন যে, তাকে উপর থেকে নিচে নিক্ষেপ
করতে হবে এবং এক এক করে পাথর বর্ষণ করতে হবে যেভাবে লূত (আ.)এর
ক'ওমের প্রতি করেছিলেন।(তাফসীর ইবনে কাসীর)
সুতরাং 'সমকামীদের' মতো নোংরা ও বর্বর মানুষদের মুসলিম সমাজে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ নেই!

যদিও দেশের ৯০ ভাগ মানুষ নিজেদের মুসলিম দাবি করে আসছে,আদৌ তাদের কতটুকু ধর্মীয় অনুভূতি আছে তা প্রশ্নের দাবি রাখে, আর না হয় কি করে এই দেশের মানুষেরা রেইনবো রংয়ে রাংগানোর সাহস করে(?)
যেখানে শাস্তি হচ্ছে মৃত্যু (!)
সেখানে প্রকাশ্য উৎসাহ কি করে সম্ভব?
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে অবশ্যই আপনাকে ইসলামের শত্রু পক্ষকে চিনতে হবে এবং তাদের উদ্দেশ্য ও চাওয়া কি সে সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। আর তোদেরকে বলছি,যারা কিনা এই সমকামীতার সমর্থনপুষ্ট হয়ে নিজের গায়ে রেইনবো রংয়ে রাংগিয়েছিস, যারা এই জঘন্যতার জন্য মিছিল মিটিং কিংবা উচ্চ আদালতের দারস্থ হয়ে অধিকারের প্রশ্ন তুলিস, তোরা নিজেকে জিজ্ঞাস কর।যদি তোরা সাচ্চা মুসলমান এর বাচ্চা হয়ে থাকিস, যদি তোদের শরীরে এক ফোটা হলেও মুসলমান এর বীর্য থেকে থাকে,তবে আজই ঐ রংধনু মুছে তাওবা করে ইসলামের ছায়ায় ফিরে আয়।এই সুশীতল ইসলামের ছায়া থেকে যতই দূরে চলে যাবি ধংস ততই তোদের নিকটস্থ হবে।

হে আল্লাহ আমাদেরকে 'ইসলামিক জ্ঞান' দান করুন এবং ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ সৃষ্টি করার মানসিকতা তৈরী করে দিন।আমাদেরকে প্রকৃত বন্ধু এবং শত্রু চেনার সামর্থ্য দান করুন। আমাদেরকে সঠিকপথ দান করুন,আমীন ।

বিঃদ্রঃ উপরিস্থ তথ্যাদি মহাগ্রন্থ আল-কুরআন এবংবিভিন্ন হাদীস শরীফের আলোকে রচিত।এ বিষয়ে যদি কাহারো চুল পরিমাণ সন্দেহ থেকে থাকে তবে তাদের জন্য নিম্ন বর্নিত আরো কিছু রেফারেন্স সমুহ দেয়া হইলো,
রেফারেন্স সমুহঃ
১। সুরা আল আরাফের ৮০-৮৪ আয়াত
২। সুরা হুদ এর ৭১-৮৩ আয়াত
৩। সুরা আল আম্বিয়া এর ৭৪ আয়াত
৪। সুরা আল হাজ্জ্ব এর ৪৩ আয়াত
৫। সুরা আশ-শুয়ারা এর ১৬৫-১৭৫ আয়াত
৬। সুরা আন-নামল এর ৫৬-৫৯ আয়াত
৭। সুরা আনকাবুত এর ২৭-৩৩ আয়াত

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

মনছুরুল বলেছেন: হে আল্লাহ তোমার শান ও ইজ্জেতর দিকে তাকিয়ে আমাদের বাঁচাও।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৩

শুভ৭১ বলেছেন: মহান আল্লাহ তায়ালা যেন আপনার প্রার্থনা কবুল করেন,আমিন।।।

২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০১

মনছুরুল বলেছেন: আমিন :((

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

বিদেশ পাগলা বলেছেন: আপনার সৎ সাহসী সময়োপযোগী লেখাকে আন্তরিক ভাবে সাধুবাদ জানাই । নৈতিক অবক্ষয় থেকে সমাজ কে সচেতন ও সতর্ক করার জন্য যথেষ্ট প্রমান উপস্থাপন করেছেন । এ জন্য অনেক ধন্যবাদ ...... ! পরিবার প্রথা জিন্দাবাদ এবং নিকৃষ্ট পশুরও ঘৃনা-রুচি বিরোধী প্রথা “ সমকামিতা ” মুরদাবাদ ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪১

শুভ৭১ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া,অনেক সুন্দর এবং মুল্যবান মন্তব্যের জন্য।আমার জন্য দোয়া রাখবেন।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.