নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুভ হোক তোমাতে, শুভ হোক আমাতে, শুভ হোক সপ্নরা, শুভ হোক পথচলা।(~সা\'দ আহমেদ শুভ~)https://m.facebook.com/desuja.shuvo?

শুভ৭১

কাব্যিক জাহাজের অচেনা এক নাবিক আমি,অনন্তের পথ খুঁজে চলেছি গহীন সাগরে।সেই সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাসে কবিতারা,আর সেই কবিতারা বেঁচে আছে বলেই আমি বেঁচে আছি,আর আমি বেঁচে আছি বলেই আমার কাব্যিক জাহাজ পথ খুঁজে চলেছে এখনো।।।।।।

শুভ৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যঃ " ডিজিটাল পাত্রী দর্শন "

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৩

ঠিক সেইভাবে ঘটা করে পাত্রি দেখতে যাওয়ার সময়,সুজোগ কিংবা অভিজ্ঞতা কোনটাই এর আগে ছিলনা, হঠাৎ করেই গত বছর এক বন্ধুর সাথে মেয়ে দেখতে গেলাম মেয়ের দাদার বাড়িতে।এখানে একটা বিষয় পরিস্কার করে রাখা ভালো মেয়ে দেখতে যাচ্ছিলাম আমার বন্ধুর জন্য(আমার নিজের জন্য হইলে তো একখানা নিমন্ত্রন্য পেতেন এতদিনে) সাথে বন্ধুর সম্পর্কের এক চাচা ও আছে। যাওয়ার আগে পাত্রের মুখে খানিকটা বিস্ময়,রহস্যের আর চিন্তার ছাপ,তবে আমি ছিলাম খুবই ফুরফুরে মেজাজে। জীবনের প্রথম কোন পাত্রি দেখতে যাওয়ার সহযাত্রী আমি,তাও আবার ছেলের একমাত্র বন্ধু হিসেবে সাথে যাচ্ছি, কিন্তু যদিওবা কারো বাসায় গিয়ে পাত্রী দেখার এইসব ব্যাপারস্যাপার আমার কাছে একদম পছন্দনীয় নয়, কেমন যেন হাটবাজার কিংবা নিলাম কেন্দ্রিক ঘটনা মনে হয় আমার কাছে,তারপরেও বন্ধুর জোরাজুরিতে আর না করতে পারলাম না,সামাজিক প্রথায় গা ভাসিয়ে আয়রন করা শার্ট,প্যান্টের সাথে বডি স্প্রেরের সুগন্ধ মাখিয়ে এক খানা গার্ডিয়ান মার্কা ভাব নিয়ে রওনা হইলাম।

পাত্রীর বাড়িতে গিয়ে গল্প গুজোবের সাথে নানা রকমের খানা-দানা আর আপ্যায়ন চলছে,আমার নজর শুধু খানাপিনার দিকে আর তালে তালে সবার গল্পের সাথে শুধু হু,হা, করে তাল মেরে যাচ্ছি। এর মধ্যে ঘটছে আর এক মজার ঘটনা, যাওয়ার আগে কে যেন আমার বন্ধুরে কানে কানে কইয়া দিছে যে মেয়ে দেখতে গিয়ে মিষ্টি,মিষ্টান্ন ছেলের খাওয়া ঠিক নয়,পাত্রি পক্ষ নাকি মিষ্টি-মিষ্টান্ন তে কি যেন সূরা-টূরা পইরা ফু দিয়ে দেয়।আর সেই মিষ্টি খাইলে নাকি ছেলে পুরাই ওই মেয়ের জন্য ফিদা হইয়া যায়!!! তবে যাইহোক পাত্রের এই মিষ্টি বর্জন আমার জন্য খুবই সু-প্রশন্ন হইয়া গেলো,পাত্র যখন কইলো যে সে মিষ্টি খায়না,তখন সবাই মিলে আমাকে জোর করতে শুরু কইরা দিল,আর ততক্ষণে আমার ভাগের মিষ্টিতো আমি শেষ কইরা ফেলাইছি, আর সবাই যখন এত আদর কইরা আমারে সাধতে লাগলো তখন আমি মুখে না,না,করতে করতে পাত্রের ভাগের মিষ্টি ও ভোজন করতে শুরু কইরা দিলাম!!

এর মধ্যে পাত্রির আগমন ঘটিল,হাতে চায়ের কাপ নিয়ে।তবে এর আগে একজন জিজ্ঞেস করে গেছে যে,কে রং চা আর কে দুধ চা খাবে।পাত্র সাহেব খাবেন রং চা আর আমি দুধ চা'য়ের কথা বললাম ,তো পাত্রী রুমে প্রবেশ করে ভদ্রতা বশত সবার সামনে চা রেখে আমাদের সামনে এসেছে দুই কাপ চা ট্রেতে করে নিয়ে, একটা কাপে দুধ চা,আর একটা কাপে রং চা।কিন্তু সমস্যা হইছে পাত্রী আমাদের সামনে এসে ভুলে গেছে যে কাকে কোন চায়ের কাপ দিতে হবে।আমি মেয়ের চশমা পরা চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি কনফিউশন,সাথে সাথে মাথায় কুবুদ্ধি এসে হাজির,মেয়েরে বললাম আমারে রং চা দেন,সাথে সাথে পাত্র সাহেব বলে উঠলো তুই না দুধ চা খাবি বললি।এই কথা শুইনা মেয়ে তো আরো কনফিউজড!! এবার আমি মেয়ের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি,মেয়ে আমার দিকে রাগান্বিত হয়ে বাঁকা চোখে তাকিয়ে আছে।আমি ভয়ে ভয়ে চোখ নামিয়ে নিলাম,তারপরে পাত্রী আর কিছু না বলে চায়ের কাপ দুইটা সামনে রেখে তার নিদ্রিষ্ঠ আসন গ্রহন করলেন।সবাই চা'য়ে চুমুক দিচ্ছে আর গল্প গুজব করছে আর সাথে মেয়ের সাথে টুকটাক আলাপচারীতা হচ্ছে,গার্ডিয়ানদের পালা শেষে পাত্র মশাই ও টুকটাক কথা বার্তা জিজ্ঞাসাবাদ করে নিলেন,আমি শুধু চুকচুক করে চা'য়ের কাপে চুমুক দিচ্ছি আর গল্পের সাথে সাথে পাত্রীর রুপদর্শন করছি।অসম্ভব সুন্দর রুপবতী, দেখতে শীতকালে নতুন গজিয়ে ওঠা নচনচে লাউ গাছের মত,কথাবার্তা ও বলছে খুবই চমতকার ভাবে,পাত্রীর চোখ জোড়ায় সপ্নীল সৌন্দর্য ঝরে পরছে,কিন্তু যে ভারি গ্লাসের চশমা চোখে তা দেখে নির্দিধায় বলে দেয়া যায় মুখস্থ করন টাইপের পড়ুয়া মেয়ে!! একফাকে আমি বন্ধুর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম মেয়েকে দেখে শুধু সপ্ন ভাসছে চোখে আর ঠোটের কোনায় মিষ্টি বাকা হাসির নহর!!

সবার গল্পে গল্পে জানতে পারলাম মেয়ে পড়ালেখার সুবাদে সুদুর ঢাকা শহরে থাকে,নামকরা কোন এক প্রাইভেট ভার্সিটি তে BBA তে পড়ে।চেহারা সুরুতেও সেই ছাপ,চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায় যে বিউটি পার্লার নামক সাজুগুজু ঘড়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ আছে।এর মধ্যে কেউ একজন আমার চিন্তার জগতে টোকা দিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল, তুমিতো পাত্রের বন্ধু তুমি যে কিছুই বলছ না,আমি খানিকটা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে হাসি দিয়ে বললাম,আমার আর কি বলার আছে, কিন্তু না,সবাই নাছোড়বন্ধ, বলছে তোমার কিছু জিজ্ঞাসা করার থাকলে কর।কি আর করা,কিছুতো একটা বলতেই হয়, আমি তখন পাত্রী কে জিজ্ঞাসা করলাম,আচ্ছা আপনার নানুবাড়ি কোথায়?? পাত্রী দেখি কিছুই বলছেনা,ভুলে গেছে মনে হয়, পাশে থেকে আর একজন ফিসফসিয়ে কি যেন বলে দিল,আর সাথে সাথে পাত্রী বলে উঠলো সেই থানার নাম।আবার আমার মাথায় কুবুদ্ধি এসে ঘুতাঘুতি শুরু কইরা দিল, আমার আগের ধারনাই ঠিক, মুখস্থ করন টাইপের পড়ুয়া মেয়ে!!আমার আর বুঝা বাকী রইলো না যে,এই প্রশ্ন মেয়ের কমন পড়ে নাই।আমি তখন আবার উল্টা প্রশ্ন করলাম কোন পাড়ায় যেন??? মেয়ে আবারো চুপ,কিছুই বলেনা,আবার ফিসফসিয়ে পাশে থেকে কে যেন কি বলে দিল।আমি তখন মিচমিচিয়ে হাসছি, মেয়ের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছেনা, প্রশ্ন কমন নাই!!

তারপরে মেয়ের এত সুন্দর শুকনা মলিন মুখখানির দিকে তাকিয়ে আর বেফাঁস কোন কিছু জিজ্ঞাস করা হয়নি।পরে ছেলে পক্ষের সবার সবকিছু পছন্দ হলেও, মেয়ে তার নিজের নানাবাড়ির ঠিকানা বলতে পারেনা এই শাস্তিযোগ্য অপরাধ আর কেউ মেনে নেয়নি!!
সব দোষ এই আমার কেনো যে হঠাৎ কইরা কুবুদ্ধি আইসা মাথায় ঘোরাফেরা করে!!

তবে যাইহোক, যে সমস্ত পাত্রীগণ বিবাহের উপযোগী হয়েছেন তারা ঢাকা, লন্ডন,আমিরিকা কিংবা যেখানেই পড়ালেখা করেন না কেনো,নিজের নানা-দাদা বাড়ির ঠিকানা মুখস্থ কইরা ফেলেন,এইটা ২০১৪ সালের প্রশ্ন,যে কোন সালে রিপিট হইতে পারে!!!

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো হয়েছে। মেয়েটি বেঁচে গিয়েছে। যে পরিবার এই সামান্য কারনে মেয়ে অপছন্দ করতে পারে, সেই পরিবারের ক্যালিবার সম্পর্কে চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায়।

আর আপনিও মশাই পাত্রী নামক মানুষটির যে উদ্ভিজও বর্ণনা দিলেন, অসম্ভব সুন্দর রুপবতী, দেখতে শীতকালে নতুন গজিয়ে ওঠা নচনচে লাউ গাছের তাতে মনে হচ্ছে কেউ বুঝি শীতের সকালে এক হাতে লুঙ্গি ধরে বাজার করতে গেছে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১

শুভ৭১ বলেছেন: মেয়েটি বেঁচেছে তা ঠিক আছে,কিন্তু নানা-দাদা বাড়ির ঠিকানা না জানার বিষয় টা কিন্তু একেবারেই সামান্য না।আপনি যেখানেই থাকেন না কেন,যে পরিবেশেই বড় হন না কেন,আপনি কিন্তু আপনার রুটস কে ভুলতে পারেন না।আর লাউ গাছের ব্যাপার টা খুব মজার,এক ঘটকের মুখে শোনা ছেনটেন্স!!! গ্রামের ঘটকেরা অনেক মজা করে বলতে পারে।।।।।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর রুপবতী, দেখতে শীতকালে নতুন গজিয়ে ওঠা নচনচে লাউ গাছের মত,কথাবার্তা ও বলছে খুবই চমতকার ভাবে,পাত্রীর চোখ জোড়ায় সপ্নীল সৌন্দর্য ঝরে পরছে,কিন্তু যে ভারি গ্লাসের চশমা চোখে তা দেখে নির্দিধায় বলে দেয়া যায় মুখস্থ করন টাইপের পড়ুয়া মেয়ে!!

------------------- পাত্রীর যে বর্ণনা দিলেন আর পাত্রপক্ষের যে অজুহাত দেখালেন তাতে ভালো লাগলো না জেনে। মেয়ে দেখতে যাওয়া পছন্দের না জেনেও নানা বাড়ি দাদা বাড়ি নিয়ে খোঁচাখুঁচি করলেন তাতে মনে হয় পাত্রী দেখতে যাওয়া আপনার পছন্দের কাজের মাঝেই পড়ে!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১

শুভ৭১ বলেছেন: আসলে ব্যাপার টা আমার কাছেও ভালো লাগেনি,আর পাত্রীর এই ধরনের বিহ্যাবিয়র এ আমিও খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পরেছিলাম,তবে যাইহোক, এটলিস্ট নানা-দাদা বাড়ির ঠিকানা না জানার বিষয় টা কিন্তু একেবারেই সামান্য না।আপনি যেখানেই থাকেন না কেন,যে পরিবেশেই বড় হন না কেন,আপনি কিন্তু আপনার রুটস কে ভুলতে পারেন না।আর লাউ গাছের ব্যাপার টা খুব মজার,এক ঘটকের মুখে শোনা ছেনটেন্স!!! গ্রামের ঘটকেরা অনেক মজা করে বলতে পারে।।।।।আর আপনি যে খোঁচাখুঁচির কথা বলেছেন,এইটা কিন্তু সেই টাইপের কোন খোঁচাখুঁচি না।আপনি একজন মানুষ কে খুব সাভাবিক ভাবেই তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করতে পারেন।এতে তেমন কোন হার্ম নেই,না বলতে পারাটাই হার্ম।।।।।ধন্যবাদ

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

রিকি বলেছেন: একটি ডিজিটাল সবজি বাগান দর্শন পড়লাম মনে হলো!!! ফাও খেতে মেয়ের বাড়িতে যেতে কিন্তু ভালোই লাগে ভাই যাই বলেন---সামনেবার পাড়া প্রতিবেশীদেরও নিয়ে যাবেন আশা করি !!!! পরবর্তীতে দুই-একটা খুঁত ধরিয়ে দিলে কার কি যাই বলেন---হাজার হলেও 'মেয়ের বাড়ি'-- এটা চিরন্তন প্রথা !!!! চিন্তা ডিজিটালাইজড করুন এবং প্রসারিতও। কা_ভা ভাইয়ের সাথে একমত---সত্যি পাত্রী বেঁচে গেছে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

শুভ৭১ বলেছেন: আপু আপনি ব্যাপারটা যতটা না ডিজিটালাইজেশনের ভিতর দিয়ে চিন্তা করেছেন আসলে এতটা চিন্তার মনে হয় প্রয়োজন নেই।খুব সাভাবিক ভাবে চিন্তা করে বলুন তো, যদি মেয়েটি তার নানার বাড়ির ঠিকানা টুপ করে বলে দিত তাইলে কি ব্যাপার টা এতদুর যাইতো ??? আপনি কিন্তু একটু বেশি ডিজিটাল চিন্তা করে ব্যাপারটা ঘুড়িয়ে অন্য দিকে নিয়ে গেছেন। আসলে ব্যাপার টা আমার কাছেও ভালো লাগেনি,আর পাত্রীর এই ধরনের বিহ্যাবিয়র এ আমিও খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পরেছিলাম,তবে যাইহোক, এটলিস্ট নানা-দাদা বাড়ির ঠিকানা না জানার বিষয় টা কিন্তু একেবারেই সামান্য না।আপনি যেখানেই থাকেন না কেন,যে পরিবেশেই বড় হন না কেন,আপনি কিন্তু আপনার রুটস কে ভুলতে পারেন না।আর লাউ গাছের ব্যাপার টা খুব মজার,এক ঘটকের মুখে শোনা ছেনটেন্স!!! গ্রামের ঘটকেরা অনেক মজা করে বলতে পারে।।।আপনি একজন মানুষ কে খুব সাভাবিক ভাবেই তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞেস করতে পারেন।এতে তেমন কোন হার্ম নেই,না বলতে পারাটাই হার্ম।।।।।ধন্যবাদ

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৩

গেম চেঞ্জার বলেছেন: আপনার লেখায় যে রস ও মজা পেয়েছি। সচরাচর এইরকম পাওয়া যায় না। সত্যিই বেশ রসিয়ে রসিয়ে লিখেছেন। এইরকম সুখপাঠ্যের অভাব।

আর যাই বলা হোক, আমাদের যে চিরায়ত সামাজিক একটি ব্যবস্থ্যার প্রতিচিত্র ফুটে এসেছে তাতে আপনাকে বাহবা না দিয়ে পারা যায় না।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭

শুভ৭১ বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার ভাই, এই অল্প রসেই আপনি যে এই ভাবে ডুবে যাবেন তা শুনে ভালো লাগছে,তবে যাইহোক,মনে হয়না এই শীতে আপনার আর রসের হাড়ির দিকে চোখ পড়বে!!!! ☺☺শুভ হোক রসময়ী ব্লগিং

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই তথ্য প্রয়োজন, এটা অক্সিলারী ম্যাটার। না জানলে পরেও জেনে নেয়ার সুযোগ আছে। এটা না জানার অপরাধে কেউ মারা যায় না। তাছাড়া বিয়ের জন্য যারা যায়, তারা খোঁজ খবর নিয়েই যায়। তাই এই কারন দেখিয়ে বিয়ের জন্য অনুপুযুক্ত ঘোষনা করাটা হাস্যকর এবং অরুচিকর। যাইহোক, আপনার লেখায় আমাদের তথাকথিত সভ্য সমাজের একটি অসভ্য রুপ প্রকাশিত হয়েছে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

শুভ৭১ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে প্রচন্ড রকমের হাসি পাচ্ছে!! Roots information কখনোই অক্সিলারী হইতে পারেনা,আপনার হাতে কয়টি আংগুল আছে এইটা যেমন আপনা আপনি জানার কথা ঠিক তেমনি আপনার দাদা আর নানা বাড়ি কোথায় সেটাও আপনা আপনি জানার কথা।এখানে কিন্তু দাদার দাদার নাম কিংবা নানার বাবার নাম জিজ্ঞাসা করা হয়নি।This is call roots. আর আমি আগেই বলেছি যে,এই বিষয় টা আমার মোটেই ভালো লাগেনি,আর অনুপুযুক্তের ব্যাপার টা ও গ্রহণ যোগ্য নয়,তবে আপনাকে বুঝতে হবে লেখায় যে চিত্র অংকিত হয়েছে তা গ্রামীণ সমাজে,আর সেখানে এই Roots information গুলি খুবই মূল্য দিয়ে দেখা হয়,যদিওবা আমার জানা নেই যে বাংলার গ্রাম সম্পর্ক এ আপনার কতটুকুন ধারনা।।।।।ধন্যবাদ

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই মজা লৈলেন। এক্কাম্করেন পাত্রীদের জন্যে এক্টা গাইড বই লিখ্যা ফালান, যে কী কী প্রশ্ন থাক্তারে। তার্পরে বইটার পৃষ্ঠাগুলো রোল্কৈরা আপ্নার্পুন্দে ঢুকান।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শুভ৭১ বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই,একটা গ্রামীণ চিত্রের ঘটনাকে কেন্দ্র করে খানিকটা রম্যতা প্রকাশ করেছি এখানে,কিন্তু তাইবলে আপনি সেই রম্য পড়ে নিজের ভিতরের চটি সাহিত্যের মগজেরচাষ উন্মুক্ত করে দিবেন, তা আমার জানা ছিল না।।।।।।ধন্যবাদ, শুভহোক ব্লগিং, চটি মুক্ত হোক ব্লগিং !!

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৭

অন্য পথিক বলেছেন: এই কারনে মেয়ে পছন্দ করে নাই? :-/ X(( আপনার বন্ধু তো পুরাই লুল। তারের তাঁর দাদার বাবার নানবাড়ি কই ছিল সেটা জিজ্ঞেস কইরেন তো। সবই তো রুট! শিকড় সম্পর্কে জানবে না?>

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শুভ৭১ বলেছেন: আমার বন্ধু না শুধু,পাত্রী কিন্তু আমারো সেইরাম পছন্দ হইছিল!! অনেক ঘোর গ্রামের ভিতরের ঘটনা ছিল।আর সেইসব গ্রামের মুরুব্বীদের ব্যাপারস্যাপার তো জানেন ঈ।তারা অনেক বেশি কিছু আশা করে শহুরে মানুষের কাছে থেকে,আর তাই হয়তোবা এই অল্প ঘটনাই তাদের কাছে অনেক কিছু মনে হয়েছে।তবে দাদার দাদার নাম না জানলেও কিন্তু এটলিস্ট নানা বাড়ি কোথায় তা যে কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে।।।কিন্তু গ্রামের মুরুব্বীদের কাছে এটা অনেক বড় আঘাত ছিল।।।।এনিওয়ে ধন্যবাদ

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসলে ব্যাপার টা আমার কাছেও ভালো লাগেনি,আর পাত্রীর এই ধরনের বিহ্যাবিয়র এ আমিও খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পরেছিলাম
------- পাত্রীর কোন বিহেভিয়র টা ? সেতো ভালো মতই রঙ চা আর দুধ চা নিয়া আসছিলো। দুষ্টামি তো কর্ছেন আপনি। পার্লারে গিয়া সাজুগুজু করছে, সমস্যা কি ? প্রেজেন্টেবল হয়ে আপনাদের সামনে আসাটা সমস্যা ? সে তার নানার বাড়ির নাম বলতে পারেনাই, আরেকজন শিখায় দিছে সে সেটা শুনে আপনাদের বলছে। তাতে দোষের কিছু নাই।

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই মজা লৈলেন। এক্কাম্করেন পাত্রীদের জন্যে এক্টা গাইড বই লিখ্যা ফালান, যে কী কী প্রশ্ন থাক্তারে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৩৪

শুভ৭১ বলেছেন: আপু আপনি কিন্তু আমার চেয়েও কয়েক হাজার গুন বেশি রসিক!!! খুব সুন্দর করে ভিতরের দুইটা লাইন কপি করে নিয়ে এসে পেস্ট বাটনে প্রেস করে লেখকের ঘারে চেপে দিয়ে দুর্দান্ত ব্যাখ্যা হাজির করেছেন!!! লেখা পড়ুন বেশি বেশি করে,বুঝতে চেস্টা করুন,তারপরে কপি আর পেস্ট বাটনের কারসাজী করুন।আগে লেখার ভিতরের মজ্জাটা বুঝুন, তারপরে না হইলে একটু লম্ফঝম্ফ করলেন।।।

৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মাইরালা! সবাই এত হালকা লেখাটাকে এত কঠিন করে নিল ক্যান?
ভাল্লাগছে| বিয়া হয় নাই ভালৈছে| কারণ পাত্রিটারে আমার পছন্দ হৈছে| পালায় নিয়া যাব ঠিক করছি

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪০

শুভ৭১ বলেছেন: ভাই কি আর বলবো, আকাইম্মা যিনিস নিয়ে নাচানাচি করতে ভালো লাগলে কি আর করা,রম্যতা শব্দের অর্থ এখনো তাদের অজানা!!!পালাইয়া নিয়ে যান আর যাই করেন না কেনো, দাওয়াত কিন্তু চাই।।।। এনিওয়ে ধন্যবাদ।

১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ঠিক বুঝলাম না.....

একমত @আরণ্যক রাখাল

বিষয়টাকে এভাবে চিপে তিতা করা হচ্ছে তা দেখে খারাপই লাগল। এই মানসিকতার সাথে লেখকের নিজেরও কিছু করার ছিল না। তিনি বলতে গেলে ৩য় পক্ষ। উনার প্রতি নিন্দা জ্ঞাপন দেখে সেন্স অব হিউমারের ঘাটতি ক্রমশ পরিস্কার হচ্ছ্বে বৈ কিছু নয়।
নিন্দা জানাতেই হলে ঐ পরিবারকেই জানান।(যদিও জানানোর মতো কোন সংবাদ নয় এটি)

অন্তত অজপাঁড়া কুসংস্কারের সাথে সহমত পোষণকারী কোন মানুষ ব্লগে থাকবে তার সম্ভাবনা খুব কম দেখছি। মেয়েদের'কে এইরকম কুরবানীর গরু দেখার মানসিকতার সাথে আমি নিজেও চরম বিরক্ত।

এই সভ্য যুগে এটা বেমানান। তাই বলে কেউ এইসব তুলে ধরলে তাকে ধোলাই দিতে হবে সে সংকীর্ণ মানসিকতায় আমি দুর্গতি বৈ প্রগতি দেখি না।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৩

শুভ৭১ বলেছেন: সবাই লিখে কিন্তু রম্যতা ৯৯% লোকই বুঝেনা।।।।এনিওয়ে, অনেক ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার ভাই।।।।রসবোধে ভরে যাক চারপাশ,রম্যতা মুক্তি পাক,শুভ হোক ব্লগিং।।

১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০০

কলাবাগান১ বলেছেন: পাতড় (পাত্র) কি এমন করে!!!! যে উজবুক মিস্টি খায় না ঝাড় ফুকের ভয়ে, তার সাথে বিয়ে না হয়ে বেচে গেছে মেয়েটা।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

শুভ৭১ বলেছেন: কলাবাগান ভাই,পাত্র কলার ব্যাপারী হোক কিংবা কাঁঠালের ব্যাপারী হোক বিষয় সেইটা না,বিষয় হচ্ছে পাত্র ঝাড়ফুঁক বিশ্বাস না করলে তো আমার এত্তগুলান মিষ্টি খাওন হইতো না!! ☺☺

১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শায়মা বলেছেন: এহ রে!!! কাজ নাই!!!!!!!!

নানা নানী দাদা দাদী কে কোথায় জন্মেছিলো, তাদের থানা, জেলা, বিভাগ সব মুখস্ত করবে!

ভালো হয়েছে পাত্রী সেসব বলেনি। নইলে বিয়ের পর আবার কি কি প্রশ্ন করে শেষে বিয়েই ভেঙ্গে যেত!!!!!!!!!!

তুমি খুব ভালো কাজ করেছো ভাইয়া। ঐ বাড়ি থেকে এই মেয়েকে বাঁচিয়ে দিয়ে!:)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

শুভ৭১ বলেছেন: আপনি এতক্ষণে একটা কাজের কথা বলেছেন আপু,আমি এত বড় একটা কাজ করলাম,অথচ আপনি ছাড়া আর কেউ বুঝিতেই পারিল না।।এনিওয়ে ধন্যবাদ, রম্যতার ছরিয়ে পরুক,শুভ হোক ব্লগিং।।

১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৭

আবু শাকিল বলেছেন: মন্তব্য অংশে দেখলাম লেখাকে আরো একবার ধর্ষন করা হচ্ছে :)
দর্শন ভাল ছিল।খুব ভাল করে চেটেছিলাম :)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০২

শুভ৭১ বলেছেন: আর বইলেন না,তারা উষ্ণ মস্তিষ্কে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত দহনে নেতিয়ে ঘুমিয়ে পরলো অথচ বুঝতেই পারলো না যে তারা শিশ্নোদরপরায়ণ খানা কোথায় ব্যাবহার করিল!!!!!!! এনিওয়ে ধন্যবাদ, রম্যতা মুক্তিপাক, শুভ হোক ব্লগিং।। ☺☺

১৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১২

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পাত্রী দেখার গল্প। তবে পাত্রীর নানা বাড়ি কোথায় ছিল তা তো কইলেন না?

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৪

শুভ৭১ বলেছেন: আমিতো সেটাই আপনাদের কওনের জন্যই পাত্রী রে জিগাইছিলাম!! কিন্তু মাগার পাত্রী তো সব গড়বর কইরা দিল,এহন দেহি পুরো ঘটনা মনে আছে মাগার পাত্রীর নানার বাড়ির ঠিকানা ভুইলা গেছি গা!!! এনিওয়ে ধন্যবাদ, রম্যতা মুক্তিপাক, শুভহোক ব্লগিং।।

১৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার পূর্বের মন্তব্যের জন্যে স্যরি। চাইলে মুছে দিতে পারেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.