![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাব্যিক জাহাজের অচেনা এক নাবিক আমি,অনন্তের পথ খুঁজে চলেছি গহীন সাগরে।সেই সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ভাসে কবিতারা,আর সেই কবিতারা বেঁচে আছে বলেই আমি বেঁচে আছি,আর আমি বেঁচে আছি বলেই আমার কাব্যিক জাহাজ পথ খুঁজে চলেছে এখনো।।।।।।
প্রত্যেকটা টিভি চ্যানেলে উদ্দীপনার সাথে বড় বড় হেডলাইন সহ বেশ চমকপ্রদ খবর নিয়ে হাজির হয়েছে আজ,কারন আজ ৮ই মার্চ বিশ্ব নারী দিবস।একটি দিবস নিয়ে তারা যা ইচ্ছে করতেই পারে,তা নিয়ে আমার চুলকানি কিংবা এলার্জি কোন কিছুই নেই,আমার যা নিয়ে সংশয় আছে তা হচ্ছে অধিকার নিয়ে। অধিকার এমন একটি শব্দ যে শব্দের পুংলিঙ্গ কিংবা স্ত্রী লিঙ্গ হয়না,কিন্তু আমরা আজ নারী দিবস উপলক্ষে সভা-সেমিনার বক্তৃতা করে গলা ফাটিয়ে দিচ্ছি,দিবসের সামনে নারী কিংবা পুরুষ শব্দাদি বসিয়ে দিবসের ব্যাবচ্ছেদ করছি,দিবসের নামে অধিকারকে টেনে হিঁচড়ে মাটিতে নামিয়ে দিচ্ছি।কিন্তু আমি খুব হলফ করে বলতে পারি বাংলাদেশের ৯৫% মানুষ জানেই না "পুরুষ দিবস" বলেও কোন দিবস আছে।১৯ই নভেম্বর বিশ্ব "পুরুষ দিবস",অথচ এই দিবস নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই।
আরো অবাক করা বিষয় হচ্ছে, আজকে আমরা যে নারী দিবস পালন করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করছি তার উদ্দেশ্য কি??? উদ্দেশ্য একটিই হতেপারে তা হচ্ছে নারীর সঠিক অধিকার আদায় করে প্রাপ্যতা টুকুন বুঝিয়ে দেয়া। পুরুষের কাছে থেকে পাওনাটুকুন গুনে গুনে আদায় করে নেয়া,রতি পরিমাণ ছাড় না দিয়ে সমানে সমান হওয়া।কিন্তু হাস্যকর বিষয় হচ্ছে যে সমাজের কাছে থেকে এই নারী অধিকার আদায় করে নিতে আমরা আজ ঐক্যবদ্ধভাবে গলা ফাটিয়ে যাচ্ছি,সেই সমাজের আর একটা অংগ যদি পুরুষ জাতি হয়ে থাকে, তাহলে আমরা বেমালুম তাদের কথা ভুলে গিয়েছি। আজ পুরুষদের জন্য "পুরুষ দিবস" আছে কিন্তু দিবসের কোন গন্ধ নেই,যা আছে তা শুধুই খাতা আর কলমে।এ নিয়ে কারও কোন লেখা চোখেও পরে না অথচ বিশ্ব নারী দিবসে এই পুরুষেরাই নারী অধিকার নিয়ে আর্টিকেল লিখতে হুমড়ি খেয়ে পরে,সভা-সমিতি করে,চিৎকার চ্যাঁচামেচি করে হইচই বাধিয়ে ফেলে,কিন্তু দিনশেষে আবার সেই পুরুষ নিজেই নারী অধিকারের কথা ভুলে যায়!! কারন সেই পুরুষেরা নিজের অধিকার নিয়ে নিজেরাই অজ্ঞ, নিজের অধিকার যাদের অজানা তারা কিভাবে নারী মহলের অধিকার নিয়ে সচেতন হবে?? তারা কিভাবে অধিকারের সুশম বন্ঠন করা শিখবে?? এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই।
সমাজে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অধিকার প্রতিষ্ঠা হোক এই কামনায় করি পাশাপাশি পুরুষদের দরদ যেন কেবল নারীদের জন্যই উথলে না উঠে সে ব্যাপারে সজাগ থাকা প্রয়োজন। অধিকারকে কেটে যদি দুই ভাগ করে ফিফটি ফিফটি করা হয় তাহলে অবশ্যই পুরুষের ভাগ টুকুন পুরুষকে ঢাকঢোল পিটিয়ে দেয়াই যেতে পারে,এ নিয়ে কোন সংশয় থাকা উচিত নয়।মানবাধিকার নারীদের একার কিংবা পুরুষের বাপদাদার সম্রাজ্য কিংবা সম্পত্তি নয়,মানবাধিকার সবার জন্য।
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১১
শুভ৭১ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই,মুক্তিপাক নারী-পুরুষের অধিকার।।
২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫২
গেম চেঞ্জার বলেছেন: কথা হচ্ছে পুরুষ ও নারী উভয়েই কি নিজেদের প্রতিপক্ষ? নারী অধিকার আদায়ের জন্য কি পুরুষদের বিরুদ্ধে ঝাড়ু জ জাটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে?
এই ব্যাপারটা খেয়াল রাখা জরুরী।
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
শুভ৭১ বলেছেন: কেউই কারো প্রতিপক্ষ নয় কিন্তু আজ তারা একে অপরকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে নিয়েছে।তারা কেউ জানেনা তাদের প্রাপ্য কতটুকুন, কতটুকু দিতে হবে আর কতটুকু রেখে দিতে হবে।কেউই ছাড় দিতে জানেনা,জানে শুধু নিজের আখের গোছাইতে।আর তারই ফলাফল হচ্ছে এইরকম অজস্র দিবস।।।ধন্যবাদ ভাই,মুক্তিপাক নারী-পুরুষের প্রাপ্য অধিকার।
৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: সাম্যতার বিষয়ে সুন্দর চিন্তা করেছেন। তবে, পুরুষ জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিশেষ চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। সিংহের ভাগটা এখনও তাদেরই মালিকানায়।
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪
শুভ৭১ বলেছেন: আমি পুরুষদের অধিকার আদায় নিয়ে তেমন কিছু বলিনি,আমি বলতে চেয়েছি নারী-পুরুষের অধিকার নিয়ে কোন টানাহ্যাঁচড়া করার দরকার নেই,দরকার শুধু সাম্যবাদী অধিকার,একজন মানুষের অধিকার। ধন্যবাদ " সােজোন বাদিয়া " মুক্তিপাক নারী-পুরুষের প্রাপ্য অধিকার।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩
গন্ধ গণতন্ত্র বলেছেন: Click This Link