![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুচি সৈয়দ
অমর একুশের গ্রন্থমেলায় নতুন প্রযুক্তির কারণে বইয়ের অস্তিত্ব কি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন? এ প্রশ্নের জবাবে অ্যাডর্ন পাবলিকেশনের সৈয়দ জাকির হোসাইন বলেন, ‘বই কিছুটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন, তবে বাংলাদেশে এখনও এর প্রভাব পড়েনি বরং প্রযুক্তির এসব মাধ্যম বর্তমানে বইয়ের খবরাখবর রাখতে সহযোগিতা করছে।’ তিনি বলেন, ‘আশির দশকে লিটলম্যাগ ও সংবাদপত্রে কাজ করার সুবাদে মুদ্রণ ও প্রকাশনার সবগুলো প্রক্রিয়ার সাথেই পরিচিত হওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে, যেমন : লিথো থেকে বর্তমান ডিজিটাল প্রেসের সময়। প্রযুক্তিকে আমি টুলস হিসেবেই ব্যবহার করে এসেছি, যার কারণে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখতে চাই না। তবে প্রযুক্তি সময় বাঁচালেও শুদ্ধতার চর্চার মানসিকতা কমে যাচ্ছে, চৌর্যবৃত্তি বেড়ে যাচ্ছে। কম্পোজ হলেই বইয়ের কাজ শেষ মনে করছেন অধিকাংশ লেখক প্রকাশক।’
তিনি জানান, আমরা প্রকাশনায় দেড় যুগে পড়েছি এ বছর। এ পর্যšত সাড়ে পাঁচশ’র মতো বই আমরা প্রকাশ করেছি। প্রকাশ করেছি চারশ’র বেশি লেখকের একক বই। লেখা ছেপেছি প্রায় ৭০০-র বেশি লেখকের লেখা। একুশের সুবর্ণ জয়šতী গ্রন্থেই গত চারশ’ বছরের প্রায় সাড়ে তিনশ’ লেখকের লেখা ছিল। আমরা কবীর চৌধুরীর আমার ছোটবেলাসহ ৭টি বই, আনিসুজ্জামান সম্পাদিত সাহিত্যকীর্তি গ্রন্থমালা সিরিজের ২৪টি বই প্রকাশ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের শকুšতলা থেকে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর লালসালু। বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের তিনটি বই, মুর্তজা বশীরের গবেষণা গ্রন্থ মুদ্রা ও শিলালিপির আলোকে বাংলার হাবশী সুলতান ও তৎকালীন সমাজ, আব্দুল মান্নান সৈয়দের কবিতার বইসহ ৫টি বই, ময়ুখ চৌধুরীর ৩টি কবিতার বইসহ প্রবন্ধ উনিশ শতকের নবচেতনা ও বাংলা কাব্যের গতিপ্রকৃতি, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, হাসনাত আব্দুল হাইয়ের আত্মজীবনীসহ ৫টি বই এবং মনসুর মুসার ৫টি বই আমরা প্রকাশ করেছি। এ ছাড়া আমাদের অসংখ্য লেখকের মধ্যে ড. আতিউর রহমান, জাফর আলম, জয়নাল হোসেন প্রমুখ রয়েছেন।
তাঁর আগ্রহ পাঠকনির্ভর বিষয় বৈচিত্র্যের বই নির্বাচন ও প্রকাশ করা। আর একুশে গ্রন্থমেলা ছাড়া বছরব্যাপী বিভিন্ন মাসে একক বইমেলা আয়োজন এবং প্রকৃত পাঠকের কাছে সরাসরি পৌঁছার চেষ্টা।
পাঠক বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তার পর্যবেক্ষণ, ‘এটা বলা মুশকিল। আমার মনে হয় পাঠক বেড়েছে কারণ এখন পূর্বের চাইতে আমরা তরুণ প্রজš§কে বইয়ের প্রতি বেশি আগ্রহী হতে দেখতে পাই। আমরা মেলা করলে এখনও তরুণদেরই বেশি বই কিনতে দেখছি।
কিভাবে প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হলেন জানতে চাইলে জানান, ‘অ্যাডর্নের আয়োজন শুরু করি প্রকাশনা ময়ুখ চৌধুরীর উনিশ শতকের নবচেতনা ও বাংলা কাব্যের গতিপ্রকৃতি দিয়ে। বইটি অবশ্যই আমার প্রিয়। তার পরবর্তীতে আবু রুশ্দ্-এর আত্মজীবনী এবং বাংলা ভাষা স্মারক মহান একুশে সুবর্ণ জয়šতী গ্রন্থ প্রকাশ করেছি। এছাড়া বাংলা ভাষায় দাসপ্রথা ও বিদ্রোহ নিয়ে প্রথম বই সিরাজউদ্দিন সাথীর দাস প্রথা আমরা প্রকাশ করেছি।
দেশে নতুন পাঠক তৈরির উদ্যোগ বিষয়ে বলেন, ‘অবশ্যই আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের আন্দোলন দেশব্যাপী বড় অবদান রাখছে। তাঁর কর্মসূচির সাথে আমাদের সবধরনের সমর্থন রয়েছে। এখানে উল্লেখ করতে পারিÑআমরাও পাঠাভ্যাস বাড়াতে বছরব্যাপী ‘জীবনকে ভালোবেসে বই উৎসব’ টাইটেলে পাঠ্যভ্যাস আন্দোলন, লেখক পাঠক শিল্পী মেলা, বই পড়া প্রতিযোগিতা, সেরা পাঠকের খোঁজে, কলেজ ও ইউনিভার্সিটি বুক ডে এবং পাঠাভ্যাসভিত্তিক নানা কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছি। তার প্রস্তুতি কার্যক্রম শুরু হয়েছে গত ডিসেম্বর থেকে। এ কর্মসূচিতে একটি সেমিনার হয়েছে; বিষয় ছিল ‘জাতিগঠনে মেধাবী উদ্যোক্তা : প্রেক্ষিত বাংলাদেশের প্রকাশনা জগৎ’। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। এছাড়া ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে ‘পড়তে হয়, না হয় পিছিয়ে পড়তে হয়’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় অ্যাডর্নের নববর্ষ বই উৎসব আয়োজনে।
তিনি জানান, আমরা এখনও সরাসরি বিদেশে কোনো মেলায় অংশগ্রহণ করিনি তবে অসসধুড়হ.পড়স-এর মাধ্যমে সারা বিশ্বে আমাদের বই পাঠকরা পাচ্ছেন এবং এর সুযোগ গ্রহণ করছেন। কলকাতা বইমেলায় কয়েক বছর ধরে আমাদের বইও যাচ্ছে।
তিনি লেখক ও পাঠকদের প্রতি বলেন, ‘লেখকদের উদ্দেশে আমার একটাই বক্তব্যÑলেখকের একটি ভালো পাণ্ডুলিপিই একজন প্রকাশকের প্রাথমিক পুঁজি। তাই লেখক ছাড়া প্রকাশক অ¯িতত্বহীন। এদেশে লেখালেখিকে পেশা হিসেবে নেওয়ার লেখক তেমন দেখা যাচ্ছে না। পেশাদার লেখক সৃষ্টিতে পরিবেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অপরদিকে পাঠককে বিষয় বৈচিত্র্যের মাধ্যমে আকৃষ্ট করার পাণ্ডুলিপির অভাব রয়েছে। আমরা দেখেছি পরিকল্পিতভাবে বিষয়নির্ভর গ্রন্থ প্রণয়ন করা হলে পরিচিত লেখক না হলেও বিষয় বৈচিত্র্যের মাধ্যমে পাঠককে আকৃষ্ট করা সম্ভব। বাংলাদেশের পাঠকের প্রতি আমার অনেক আস্থা, তবে তাদের প্রতি প্রকাশক হিসেবে আমার অনুরোধÑমুদ্রণ চাকচিক্যে ও বিজ্ঞাপনে বিভ্রাšত না হয়ে যেকোনো বই উল্টেপাল্টে দেখে পরীক্ষা করে যেন ক্রয় করেন, কারণ বই একটি স্থায়ী বিনিয়োগ, পাঠও তাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
ra66i বলেছেন: Kagoj er boi er theke ami
E-book porte besi agrohi. Ate kagoj o nosto holo na, khoroch o kom. abr e book apni je konokisute portau parben. Bus er handel dore jule jule o porte parben. Apnar boi ebook akara prokash kora jai kina deken.