![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুচি সৈয়দ
অমর একুশের গ্রন্থমেলা ২০১৪ সম্পর্কে অভিমত জানতে চাইলে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইমেরিটাস ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এবারের বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক। বাংলা একাডেমির অপরিসর প্রাঙ্গণ থেকে উš§ুক্ত উদ্যানের এই আয়োজন বইপ্রেমী পাঠক এবং সংস্কৃতিমনস্ক মানুষকে মেলামুখী করবে। ইতিপূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র একবার মেলা করেছিল, তাতে যে স্বস্তিবোধ করেছিল বইপ্রেমীরা এবারও সেই স্বস্তি মিলবে মেলার সুপরিসর প্রাঙ্গণের জন্য।
বইকে জীবনের অনুষঙ্গী করে তোলার জন্য কী কী করণীয়? এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বইকে জীবনের অনুষঙ্গী করে তোলার জন্য পাঠাভ্যাস বাড়াতে হবে। পাঠাভ্যাস নানা কারণে কমে যাচ্ছে তাই পাঠাভ্যাস বাড়াতে প্রকাশক, লেখকসহ দেশের সংবাদপত্র এবং অন্য গণমাধ্যমগুলোকেও ভূমিকা পালন করতে হবে।
ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আরও বলেন, বইমেলা কেবল ঢাকায় মাসব্যাপী সাংবাৎসরিক উদ্যোগ হিসেবে থাকলে পাঠাভ্যাস বাড়বে না। তাই আমার মনে হয়, সারা বছরই বইকেন্দ্রিক মেলা, প্রতিযোগিতা, অন্যান্য তৎপরতা দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও সমৃদ্ধ গ্রামে আয়োজন করতে হবে। অনেক আগে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এই কাজটি করত জেলায় জেলায় ভ্রাম্যমাণ বইমেলা, একাজের জন্য তাদের একটি বইয়ের কাভার ভ্যানও ছিল। স্বাধীনতার পর মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন সাহা বইকে সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেবার জন্য মুক্তধারার নিজস্ব বিপণন কার্যক্রম গড়ে তুলেছিলেনÑ সেই রকম উদ্যোগ আরও বেশি জরুরি বর্তমান সময়ে।
‘সরকার দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে। সেগুলো ইউনিয়নের মানুষদের ই-তথ্য সেবা প্রদান করছে এই ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রগুলোতে একটি ছোট পাঠাগার সংযোজন প্রয়োজন বলে মনে করেন কি? এ প্রশ্নের জবাবে, ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনের সরকারি উদ্যোগটির সঙ্গে অতিআবশ্যকভাবে লাইব্রেরি যুক্ত করা প্রয়োজন। লাইব্রেরি যুক্ত হলে তথ্য সেবাকেন্দ্রটি প্রকৃত অর্থে স্বয়ংসম্পূর্ণতা পাবে বলে আমি মনে করি। বইকে তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের হাতের লাগালে পৌঁছে দিতে, দেশব্যাপী পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্যÑ এটি একটি সুন্দর সুযোগ। এই সুযোগকে কাজে লাগনোর প্রয়োজন। এবারের বইমেলায় তাঁর রচনাবলীসহ কয়েকটি প্রবন্ধের বই বের হচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: ড: সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক। তবে দু:খের সঙ্গে বলতে হয় তাঁর উপদেশ গতানুগতিক।
তার চেয়ে উনি যদি বলতেন বাংলা একাডেমি তাঁর সমস্ত সাহিত্য ভান্ডার ডিজিটালাইজড্ করে আধুনিক ট্যাবলেট উপযোগী করুক তাহলেও বই পড়ার অভ্যাস করা যেতো।
যে পাঠক কম্পিউটারে সহজ লভ্য ভাবে বিনা পয়সায় বই পড়ার সুবিধা পায় সে কখনোই কাগজের বইমুখি হবেনা। এটি সারা দুনিয়ার জন্য প্রযোজ্য। এজন্যই উন্নত দেশ গুলো বই ডিজিটালাইজেশনে চলে গেছে।