নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কোন কিছুর কোন মানে নেই

একদিন হয়তো তুমি পড়বে এই লেখা, তাই লিখি

তালাত

আমি কেউ নই, আমি কেউ নই, আমাকে খুজো না,

তালাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহবাগের পক্ষে থাকার দরকার নাই - বাংলাদেশের পক্ষে থাকুন

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪

শাহবাগ নিয়ে দেখছি একটা বেশ বিতর্কের তৈরি হয়েছে।



এটাই এই জাতির দুর্ভাগ্য। একাত্তরে যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল, তখন তা নিয়েও অনেকে বিতর্ক তৈরি করেছিল। তখন্ও অনেকে পক্ষ বিপক্ষ নিয়েছিল। সব দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ই কিছু লোক থাকে, তারা শত্রুদের সাথে হাত মেলায়। ভিয়েতনামে যুদ্ধের পরই তাদের সবাইকে খতম করে দেয়া হয়েছিল। তাই আজ দেশটা এতটা ঘূরে দাড়াতে পেরেছে। অন্য দেশগুলোতেও তাদের তাক্ষণিক বিচার করে দেয়া হয়েছে। তাই সেই দেশে রাজনীতি নিয়ে যতই মতভিন্নতা থাকুক না কেন, দেশের স্বাধীনতা নিয়ে কার্ও কোন প্রশ্ন নেই।



আমরা সেটি করি নাই। আমাদের ভুলটা হয়ে গেছে অনেক আগেই। তাই দেশ বিরোধীদের শিকড় একটা গভীর হয়ে দাড়িয়েছে।



তো, কথা হলো, শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে। কয়েকজন ব্লগারের শুরু করা একটি উদ্যোগ আজ এত বড় হয়ে দাড়িয়েছে।



কিন্তু মানুষ কি এই ব্লগারদের ডাকে সারা দিতে সেখানে গেছে? না। আমি অন্তত যাই নি। ইমরান এই সরকারের নাম আমি এর আগে কখনোই শুনি নাই। ব্লগার হিসাব্ওে তার তেমন একটা কর্মকান্ড আমি খুজে পাই নাই। সুতরাং, তার ডাকে আমি শাহবাগে গিয়েছে, তা নয়।



আর ব্লগাররা এমন মহান কোন জাতি বা মানুষ্ও নন, যে তারা একটা ডাক দিলেন, আর আমরা সবাই ছুটে গিয়ে তাদের পেছনে দাড়ালাম। সেটিও নয়।



কিন্তু তারপরেও আমি শাহবাগের আন্দোলনে গিয়েছি। কেন গেলাম?



কারণ এই দেশেই আমি দেখেছি, যুদ্ধাপরাধীরা, স্বাধীনতা বিরোধীরা তাদের গাড়িতে পতাকা উড়িয়ে বেড়াচ্ছে। মন্ত্রী এমপি হয়েছে। এলাকার মাতব্বর হয়েছে।



কেউ তার প্রতিবাদ করেনি।



একজন স্বাধীন নাগরিক হিসাবে, আমি শহীদদের অপমান করেছি। কারণ এই স্বাধীন দেশে রাজাকারদের মেনে নিয়েছিলাম আমরা।



শাহবাগের আন্দোলন, এই এতবছর পরে সেটির প্রকাশ্য প্রতিবাদ। মানুষ প্রকাশ্যে দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তাদের আঙ্গুল তুলে দাড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলছে। আমিও আমার সেই কথা, সেই ক্ষোভের কথা বলতে গিয়েছি। আমার ঘৃণার কথা জানিয়েছি।



তো, সেই আন্দোলনটা যেখানে অরাজনৈতিকভাবে শুরু হয়েছিল, এটা ঠিক যে সেটা পরে সেভাবে থাকেনি। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতারা মঞ্চে এসে দাড়িয়েছে। বাম ঘরানার নেতারা তো আগেই ছিলেন।



কিন্তু তাতে কি, যে দাবিতে শাহবাগের আন্দোলন শূরু হয়েছিল, সেটি পাল্টে গেছে? যে চেতনা নিয়ে শাহবাগ শুরু হয়েছিল, সেই চেতনা থেকে কি সেটি সরে এসেছে?



আপনি নিজে কি সেই চেতনায় বিশ্বাস করেন? আপনি কি মনে করেন, পাকিস্তানের দালালি না করে স্বাধীন হ্ওয়া ঠিক হয়েছে, নাকি এখনো মার-গুতা খেয়ে পাকিস্তানের সাথেই থাকা উচিত ছিল?



মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের, স্বাধীনতার পক্ষের যেকেউ, সবাই তো এই আন্দোলনে এসে দাড়াবে। গলা মেলাবে। যে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে, শুধু সেই এই আন্দোলনের সাথে একমত হবে না।



শাহবাগের পক্ষে থাকার দরকার নাই। বাংলাদেশের পক্ষে থাকুন। যতদিন এই আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে, আপনার কাছে ভোট না চাইবে, ততদিন থাকুন। যতদিন আপনার বিশ্বাসের কথা বলবে, ততদিন থাকুন।



আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ কি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে? তারা যখন পক্ষের লোক, সেই বিশ্বাসকে ধারণ করেন, তারা তো এখানে আসবেনই। তাকে কি আন্দোলন দলীয় করণ হয়ে যায়। আপনি আমি, কেউই রাজনীতির বাইরে নয়। এই আন্দোলনও নয়। কিন্তু সেটি ক্ষমতায় যাবার জন্যে নয়। সেই অন্যায়ের বিচার চাওয়ার জন্যে।



এখন কথা হলো, বিএনপি কেন আন্দোলনে যাচ্ছে না? জামায়াতে ইসলামী তো যাবেই না, এই দলটি তো স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থা নিয়েছিল। কিন্তু এই আন্দোলন তো বিএনপির বিরুদ্ধে বা আওয়ামী লীগের পক্ষে নয়। এটা যুদ্ধাপরাধীর বিপক্ষে? বিএনপি কি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না?



বরং এই দলটির তো এসে আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করা উচিত, যে দলের প্রতিষ্ঠাতাই কিনা স্বাধীনতার ঘোঘণা দিয়েছিলেন।



অনেকেই দেখছি বলছেন, ১৯৭১ সালে কি হয়েছিল, সেটি জানা নেই। শোনা কথায় কান দেব্নে না।



বিয়াল্লিশ বছর পরেও যদি দেশের সঠিক ইতিহাস না জানেন, সেই লজ্জা আপনার।



তবে চাইলেই সেটি কাটাতে পারেন। ৭১ সালে প্রকাশিত পত্রিকা, বিশেষ করে সংগ্রাম এখনো পাবলিক লাইব্রেরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে আছে। সেগুলো একবার দেখে আসুন।



এই গোলাম আযম, সাঈদী, কাদের মোল্লার কর্মকান্ড সম্পর্কে, তাদেরই পত্রিকা সংগ্রাম থেকেই বিস্তারিত জানতে পারবেন।



এটাই কিন্তু শেষ সুযোগ। আপনাকে বেছে নিতে হবে একটি পক্ষ।



এখন এই যে দেশে জামায়াত শিবির চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা এখন মরণ কামড় দিতে চাইবে।



কিন্তু এইবারেই একটি ফয়সালা হয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এই দেশে থাকবে নাকি রাজাকারের চেতনা।



হয় তাদের একেবারে নিমুর্ল করতে হবে, না হলে, তারা শক্তিশালী হয়ে জেকে বসবে।



আপনি ঘরে বসে টকশো দেখতে পারেন। বিরিয়ানি খেতে পারেন। কিন্তু দেশের জন্য কিছু করার একটি সুযোগ হারাবেন।



কিন্তু আপনি যদি ঘরে বসে থাকেন, তাদের যদি এইবারেই ঠেকাতে না পারেন, এই দেশ থেকে কখনোই রাজাকারদের সরাতে পারবেন না। তাহলে এই দেশে অন্ধকারের যুগ জেকে বসবে। সেই যুগ থেকে বের হতে শত শত বছর লেগে যাবে।

মন্তব্য ২৯ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (২৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একজন স্বাধীন নাগরিক হিসাবে, আমি শহীদদের অপমান করেছি। কারণ এই স্বাধীন দেশে রাজাকারদের মেনে নিয়েছিলাম আমরা।

শাহবাগের আন্দোলন, এই এতবছর পরে সেটির প্রকাশ্য প্রতিবাদ। মানুষ প্রকাশ্যে দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তাদের আঙ্গুল তুলে দাড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলছে। আমিও আমার সেই কথা, সেই ক্ষোভের কথা বলতে গিয়েছি। আমার ঘৃণার কথা জানিয়েছি।

সুযোগ থাকলে, প্রযোজ্য হলে দশবার প্রিয়তে নিতাম।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৩

তালাত বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪

মোঃ উরমান বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধ এবং শেখ মুজিবকে আলাদা করতে পারবেন? পারবেন না। তবে শেখ মুজিব এর চামড়া দিয়ে ঢুকঢুগি যারা বাজাতে চায় তারা আপনাদের মঞ্চে ভাষন দেয়। লজ্জা লাগে তখন আমার। আপনারা কোন রাজনৈতিক নেতাদের সেখানে স্থান দেবেন না বলেছিলেন। তা রক্ষা করতে পারেন নি।

কারেন্ট চলে গেলো ব্যাটারী ব্যাক আপ নেই। পরে আপনার আপনাকে কিছু প্রশন্ করব। উত্তর দিয়েন।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৭

তালাত বলেছেন: কোন কিছুই কিন্তু রাজনীতির বাইরে নয়। তবে এই আন্দোলন শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতেই সীমিত থাকুক, এটাই আমার মত। কারণ বিয়াল্লিশ বছরে যে ময়লা জমেছে, তা তো একদিনে, একসপ্তাহে বা একমাসে দুর হবে না।

এখনো মানুষের মধ্যে ইতিহাস নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি আছে। সঠিক ইতিহাসটাও অনেকে জানে না।

একটা অর্জন আগে হোক। আগে দেশ শক্রুমুক্ত হোক। তারপরে সব হবে।

শেখ মুজিবুর রহমান একজন ভালো নেতা ছিলেন। কিন্তু তার শাসনামল নিয়ে অনেকের তিক্ত অভিজ্ঞতাও যে রয়েছে, সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই এখানে আর সেসব বিষয় না আনাই ভালো।

দলমত নেতা নির্বিশেষে একটাই দাবি হোক, যুদ্ধাপরাধীর বিচার। সেখানে মতভিন্নতার সুযোগ নেই। সেটা তৈরি হয়, এমন কাজ বা মন্তব্য থেকেও দুরে থাকা ভালো।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:০০

রাফা বলেছেন: জামাত/শিবির যতদিন এই দেশে থাকবে ততদিন অরক্ষিত থাকবে আমাদের স্বাধীনতা।

হয় এইবার ,না হয় আর কখনই নয়।বাঙালী একবার মরে বার বার মরেনা।

জয় বাংলা।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২৮

তালাত বলেছেন: জয় বাংলা

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:১০

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: এত নাটক ভালো লাগে না !!!! আমরা কনফিউস কোনটা নাটক আর কোনটা সত্য ????? সব সত্যই শেষে গিয়ে দেখা যায় নাটক !!!!

আর তাইতো আমি হুজুগে না গিয়ে অপেক্ষা করি, আর ব্লগ আর ফেসবুকে এইসব নষ্ট রাজনীতি নিয়ে তর্কবিতর্ক না করে ব্লগ থেকে আয় করে সময় কাটাই।

আমার মনে হয় তারুন্য কে নষ্ট না করে এই সময় টা আমরা ফ্রীল্যান্সার ওয়ার্কে দেই, তা কাজে দিবে। ধন্যবাদ।

আমার ব্লগ
http://dreammucic.blogspot.com/

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

তালাত বলেছেন: যখন দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, তখনো এই দেশে অনেকে বিয়ে শাদি করেছে, বাচ্চা কাচ্চার জন্ম দিয়েছে। বিরিয়ানি খেয়ে দাত খুচিয়েছে। সেই তুলনায় এখন তো আসলে কিছুই হচ্ছে না।

তাই আপনি নিশ্চিন্তে ফ্রিল্যান্সারিং করে যেতে পারেন।

কোন দেশের যুদ্ধেই সে দেশের সব মানুষ অংশ নেয় না। অনেকেই দোকানপাট ব্যবসা বাণিজ্য করে।

সেটারও দরকার আছে। না হলে দেশ তো থেমে যাবে।

তবে এটাকে যদি হুজুগ বলেন, তা হলে কিন্তু আপনার মাকে, মাটিকে অপমান করা হয়। হয়তো এতদিন জেগে ওঠেনি, কিন্তু এখন জেগেছে। সেটা কিন্তু একটা চেতনা থেকে। একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ দাড়িয়েছে।

একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারলে আরো দশটা অন্যায় ঠেকানো যায়।

সেখানে আপনি আসতে না পারেন, কিন্তু অপমান না করাই ভালো।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: সব দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ই কিছু লোক থাকে, তারা শত্রুদের সাথে হাত মেলায়। ভিয়েতনামে যুদ্ধের পরই তাদের সবাইকে খতম করে দেয়া হয়েছিল। তাই আজ দেশটা এতটা ঘূরে দাড়াতে পেরেছে। অন্য দেশগুলোতেও তাদের তাক্ষণিক বিচার করে দেয়া হয়েছে। তাই সেই দেশে রাজনীতি নিয়ে যতই মতভিন্নতা থাকুক না কেন, দেশের স্বাধীনতা নিয়ে কার্ও কোন প্রশ্ন নেই।

আমরা সেটি করি নাই। আমাদের ভুলটা হয়ে গেছে অনেক আগেই। তাই দেশ বিরোধীদের শিকড় একটা গভীর হয়ে দাড়িয়েছে।------------------
etodin kole kore rakhar mashul den sobai mile

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

তালাত বলেছেন: দিলাম তো এতবছর। সেই ভুলটাই এখন সংশোধনের চেষ্টা চলছে।

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৩

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: শাহবাগের পক্ষে থাকার দরকার নাই - বাংলাদেশের পক্ষে থাকুন। সহমত।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

তালাত বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২০

কৃষি এবং কৃষক বলেছেন: গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: একজন স্বাধীন নাগরিক হিসাবে, আমি শহীদদের অপমান করেছি। কারণ এই স্বাধীন দেশে রাজাকারদের মেনে নিয়েছিলাম আমরা।

শাহবাগের আন্দোলন, এই এতবছর পরে সেটির প্রকাশ্য প্রতিবাদ। মানুষ প্রকাশ্যে দেশদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তাদের আঙ্গুল তুলে দাড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলছে। আমিও আমার সেই কথা, সেই ক্ষোভের কথা বলতে গিয়েছি। আমার ঘৃণার কথা জানিয়েছি।

সুযোগ থাকলে, প্রযোজ্য হলে দশবার প্রিয়তে নিতাম।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

তালাত বলেছেন: ধন্যবাদ

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

হাসি .. বলেছেন: সত্যের পক্ষে
দেশের পক্ষে
হোক সেটা শাহাবগ বিংবা আরাম বাগ

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

তালাত বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২

এম ই জাভেদ বলেছেন: অনেক তথাকথিত দেশ প্রেমিককে বলতে শুনি - আমি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, তবে ........যারা এভাবে শেষে তবে , কিন্তু, যদি ইত্যাদি যোগ করে বুঝতে হবে তাদের দেশপ্রেমে ভেজাল আছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই এর পর একেবারে ফুল স্টপ দিতে হবে, কোন তাল বাহানা নয়। আমার কথা হল, আওয়ামী লীগ যদি শুধু জামাত এবং বি এন পি 'র যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করে তাও ভাল। বি এন পি না হয় কোন এক সময় ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগে থাকা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে । তাতে দেশ একদিন যুদ্ধাপরাধী মুক্ত হয়ে তো সাফ সুতরো তথা পুত পবিত্র হবে।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

তালাত বলেছেন: খুবই ভালো বলেছেন। এটাই চাই।

আমরা আওয়ামী লীগ আর বিএনপি বুঝি না।

যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধেই যারা দাড়াবে, তারাই এদেশের সন্তান। আর পক্ষে যারা বলছে, তারাই দেশের শত্রু। সেটা যে দলই হোক না কেন।

এমনকি জামায়াতে ইসলামীর কোন নেতাও যদি যুদ্ধাপরাধীর বিপক্ষে এসে দাড়ান, তাকেও আমি স্বাগত জানাই।

১০| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৯

নায়করাজ বলেছেন: শাহবাগকে সমর্থন করি কেন ?

শাহবাগই প্রথমবার যুদ্ধাপরাধী রাজাকারদের বিপক্ষে শক্ত প্রতিবাদ। কে সেখানে গেছে সেটা বড় কথা নয়, সেখানে কী বলা হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কে বলছে সেটা বড় কথা নয়, কী বলছে সেটাই বড় কথা। তারা রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ চায়। এটা আমারও চাওয়া।

কারণ আমি বিশ্বাস করি যারা আমার দেশের অস্তিত্ব স্বীকার করে নাই এবং করে না, তারা এই দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। এটা পৃথিবীর কোন নীতি দিয়েই বৈধ করার উপায় নাই।

শাহবাগ কেন, রাজাকার মুক্ত দেশের দাবি যেখান থেকেই উঠত, সেটাকেই আমি সমর্থন করতাম।

পাশাপাশি আমি মনে করি, আমরা যদি বাংলাদেশকে ভালোবাসি, তাহলে কোন তর্ক বিতর্ক না করে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে আমাদের সকলের দাড়ানো দরকার। কঠিনভাবে তাদের পক্ষে থাকা দরকার। কে শাহবাগকে সমর্থন করছে তাতে করে আমার সমর্থনের হেরফের করার কিছু নাই। যদি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ বা বাম দলগুলো সমর্থন করে, তাতে করে আমাদের এই দাবীটা খেলো হয়ে যায় না।

এইবার জামাত শিবির ছাড় পেলে সে আমাদের দেশের অস্তিত্ব নিয়ে টান দেবে। তাদের তো এই দেশের প্রতি কোন টান নাই। তারা এই দেশের অস্তিত্ব বিরোধী।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

তালাত বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এটাই আমরা যত তাড়াতাড়ি বুঝতে পারব, ততই মঙ্গল।

এতদিন যে শত্রুদের বিরুদ্ধে আমরা দাড়াই নাই, তারা এখন অনেক শক্তিশালী হয়ে গেছে।

এই শত্রুদের দমন করতে হলে, নিমুর্ল করতে হলে, এখন আমাদের সবার একতাবদ্ধ শক্তির দরকার।

১১| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩০

নুরুজ্জামান লাবু বলেছেন: জয় বাংলা জয় তারুণ্য
শাহবাগের পক্ষেই যে দাঁড়াতে হবে এমন কোনো কথা নেই...দেশের পক্ষ দাঁড়াতে হবে...দেশকে রাজাকারমূক্ত করতে হবে।
হক কথা......

বি. দ্র. আপনার লেখাটা দারুণ হয়েছে ভাই... পোস্টটা স্টিকি রাখতে পারলে ভালো হতো। এই কথা গুলো মানুষের কাছে পৌছানো দরকার। তা না হলে মানুষের ভুল ভাংবে না।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:০৫

তালাত বলেছেন: ধন্যবাদ।

আসলে নিজের দায়িত্বেই নিজের ভূল ভাঙ্গাতে হবে।

পৃথিবীর নানা জাতির, দেশের ইতিহাস মুখস্ত করার আগে নিজের ইতিহাসটা তো পরিষ্কার করে জানা দরকার। আর সেটি নিয়ে ভুল ধারণা থাকা ঠিক না।

শাহবাগে গেলে বা না গেলে কিছুই আসে যায় না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনার কথা বলা হচ্ছে, রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের সব্বোচ্চ দাবি করা হচ্ছে, এই দেশের একজন নাগরিক হিসাবে তার সাথে তো ভিন্নমতের সুযোগ নেই। তাহলে তো নিজের মাটির সাথেই বেইমানী করা হয়ে যায়।

শাহবাগের সব দাবির সাথে আমি একমত নই। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের, রাজাকারের শাস্তি নিয়ে তো ভিন্নমতের সুযোগ নেই।

সেই দাবি, সেই চেতনার প্রকাশ, যেখানে ইচ্ছা বসে, ঘরে বসেও করা যায়। তাহলেও ঠিক আছে।

তবে যুদ্ধ একা করাটা একটু কঠিন। শাহবাগে গেলে যা হয়, সেই যুদ্ধে অংশগ্রহণ বাড়ে, দল ভারি হয়।

১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:২০

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: @ অপেক্ষা করুন সময় হলেই আপনার ভুল ভাঙবে ।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৩০

তালাত বলেছেন: আপনাদের মতো মানুষ এখনো এই দেশে রয়ে গেছে বলেই না এখন আমাদের রাজপথে নামতে হয়, এই এতবছর পরেও।

কারণ আপনারা বিভ্রান্ত। এজন্যে আপনাকে দোষ দেই না। আপনি বড় হয়েছে বিভ্রান্ত ইতিহাসের মধ্যে। সঠিক তথ্য আর আলোর দেখা পান নাই। তাই এখনো অন্ধকারের মধ্যে রয়ে গেছেন।

একদিন পাবলিক লাইব্রেরিতে গিয়ে একাত্তর সালের সংগ্রাম পত্রিকাটা উল্টে পাল্টে দেখে আসুন। জেনে আসুন, এই রাজাকারা, গো আযম, নিজামী, কাদের মোল্লা কি করেছে? জামায়াতের মুখপাত্র সংগ্রাম পড়েই সেটি জানতে পারবেন।

পরম করুনাময় আপনার চোখ খুলে দিক।

১৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩১

শাহীন উল্লাহ বলেছেন: অপেক্ষা করুন !!!

গতকাল নিরাপত্তার ভয়ে ফেনী থেকে চলে এসেছে !!!!!!!
আন্দোলনের নেতার জানের ভয় ??????

আমি কনফিউস?????

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

তালাত বলেছেন: আমি প্রথমেই বলেছি, শাহবাগের আন্দোলন দেখার দরকার নেই। কে এই ইমরান এইচ? বা অন্যরা? এরা তো আর দেশের কান্ডারি নয়। চেতনা রক্ষার কান্ডারিও নয়। তারা একটি উদ্যোগ শুরু করেছেন, সেজন্য তাদের ধন্যবাদ পাওনা। তারা কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নেতা নন।

তাই শাহবাগের আন্দোলনকারীরা যদি চট্টগ্রাম নাও যেতে পারেন কিছু আসে যায় না।

কথা হলো, আমরা কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করি কিনা? সেটার সাথে বিরোধ আছে কিনা। যার যার বিশ্বাস আর চেতনা রক্ষার দায়িত্ব নিজেরই।

চট্টগ্রামের হেফাজতে ইসলাম কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে নয়, তারা ইসলাম ধর্মের অবমাননার বিপক্ষে। সেটা নিয়ে একটা ভুল বোঝাবুঝি আছে। আশা করি, সময়ে সেটি মিটে যাবে।

তাই শাহবাগের আন্দোলনকারীরা না গেলেও, চট্টগ্রামে কিন্তু সমাবেশ হয়েছে।

১৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন ।

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

তালাত বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:১১

রাসেল ভাই বলেছেন: একজন স্বাধীন নাগরিক হিসাবে, আমরা শহীদদের অপমান করেছি। কারণ এই স্বাধীন দেশে রাজাকারদের মেনে নিয়েছিলাম আমরা।

৭২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত সকল সরকার প্রধান কে বিচারের কাটগরায় দাড় করানো যায় ( মরনোত্তর , জীবিত ) ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.