![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাভার রানা প্লাজার বিভিন্ন ফ্লোরে এখনও আটকে রয়েছে অনেক মানুষ। কেবল উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধার করা যাচ্ছে না আটকে পড়া জীবিতদের।
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া তিনটায় ঘটনাস্থল ঘুরে স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ মমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, “বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় মোবাইল ফোনে আমার ভাই সাঈদের আটকে থাকার খবর জানতে পেরে দুপুর ১২ টায় এসে তাকে উদ্ধার করি। তারপর থেকেই উদ্ধার কাজ করছি।”
মমিনুল ইসলাম বলেন, “১ম ও ২য় তলা ছাড়া প্রতিটি ফ্লোর থেকেই হতাহতদের কম বেশি উদ্ধার করা হয়েছে। অনেককে আবার অক্ষত অবস্থায়ও উদ্ধার করা গেছে। তবে উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি না থাকায় তৃতীয় তলা থেকে ষষ্ঠ তলা পর্যন্ত অনেকেই আটকা পড়ে আছেন। আমরা পানি, স্যালাইন, ছোট ফ্যান, লাইট সরবরাহ করার চেষ্টা করছি। ভেতর থেকে আহত অনেকেই মোবাইলে উদ্ধার করার জন্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। কিন্তু যন্ত্রপাতি না থাকায় আমরা যেতে পাচ্ছি না। আবার অনেকের মোবাইলের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার আমরা আর বুঝতে পারছি না তারা বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে।”
এছাড়া, নিখোঁজ স্বজনদের জন্য রাস্তায় ভীড় করে রয়েছেন অনেকে। রাজশাহীর নওদা পাড়া থেকে সালাহ উদ্দিন এসেছেন তার ভাইকে খুঁজতে। আর একই পরিবারের ১০ সদস্যকে হারিয়েছেন দারাউজ্জামান। এমন অসংখ্য স্বজনের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠছে সাভারের আকাশ- বাতাস। অনেকে নিখোঁজ হওয়া স্বজনের ছবি হাতে এদিক ওদিক ছুটছেন। কেউ উদ্ধার হলেই সেদিকে ছুটে যাচ্ছেন নিজের স্বজনের খোঁজ নিতে।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের বহুতল ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনটির মালিক স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল রানা স্তুপের নিচে আটকে ছিলেন। পরে তাকে উদ্ধার করা হলে তিনি পুলিশের সহায়তায় এলাকা ত্যাগ করেন। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। রানা প্লাজার প্রথম ও দ্বিতীয় বিপণী বিতান এবং তৃতীয় থেকে অষ্টম তলা পর্যন্ত পোশাক কারখানা। এসব ফ্লোরে পাঁচটি কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। নবম তলার নির্মাণ কাজ চলছিল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৪৪
মুহসিন বলেছেন: উদ্ধারকাজে দরকার পর্যাপ্ত ক্রেন, শাবল, ড্রিল মেশিন, অক্সিজেন, টর্চ, পানি, রশি এবং ট্রেনিংপ্রাপ্ত মানুষ।
নাহলে লাশের মিছিল কেবল দীর্ঘই হবে।
জীবিত হাজারো মানুষ দিনের শেষে হবে কেবলই লাশ।
সারাদেশের ফায়ারসার্ভিসের ট্রেনিংপ্রাপ্ত দক্ষ লোকদেরকে দ্রুত ঢাকা আনা দরকার। আর দরকার তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ক্যাম্প, অপারেশন ক্ষমতা, রক্ত, ইনজেকশন, ব্যান্ডেজ, ব্যাথানাশক ওষুধ, সেলাইন।
প্রয়োজনে হেলিকপ্টার সার্ভিস ব্যবহার করতে হবে এম্বুল্যান্সের পাশাপাশি।
বিদেশ থেকেও কি বিমানে করে বেশ কিছু দক্ষ ট্রেনিংপ্রাপ্ত লোক আনা যায়না জরুরী ভিত্তিতে? ভারত, চীন, মায়ানমার, সিঙ্গাপুর তো দূরে নয়!!